নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সময়টা আসলেই খারাপ যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের। আইপিএলে ছিলেন নিজের ছায়া। পরে তো একাদশে সুযোগই পেলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও এই সিরিজে ব্যাটে–বলে ছন্দ খুঁজে পাননি। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আরও দুর্দান্তভাবে ফিরবেন—গত বছর একাধিকবার এমন ঘোষণা দিলেও এখনো ‘আসল’ সাকিবের দেখা মেলেনি।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এ বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনটা মন্দ ছিল না। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৩ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ব্যাটিং পজিশন একটু বদলে চারে নেমে এক ফিফটিতে করেছিলেন ১১৩ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষেই ছন্দ হারিয়ে ফেলা সাকিবের। মার্চ–এপ্রিলে পারিবারিক কারণে নিউজিল্যান্ডে যাননি। আইপিএল খেলতে যাওয়ায় হাতছাড়া করেছেন এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরও। আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলতে পেরেছেন তিন ম্যাচে। তিন ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ৩৮ রান ও বোলিংয়ে ২ উইকেট নেওয়ার পর একাদশ থেকেই ছিটকে পড়েন। আর ফিরতে পারেননি একাদশে।
সাকিব হয়তো আশায় ছিলেন মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ কিছু করবেন। কিন্তু বোলিং–ব্যাটিং দুই বিভাগেই স্বমহিমায় ফিরতে ব্যর্থ বাঁহাতি অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতলেও সাকিবের ব্যক্তিগত অর্জনের খাতাটা অপূর্ণই রয়ে গেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তিনেই রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন সাকিব। এখন পর্যন্ত তিনে খেলা ২৫ ইনিংসে ৫৪.১৮ গড়ে করেছেন ১১৯২ রান। দুই সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি ১১টি। প্রিয় পজিশনে ফিরে তেমন কিছুই করতে পারেননি সাকিব! শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রিয় তিন নম্বর পজিশনে ফিরে তিন ম্যাচে তাঁর রান–১৫, ০ ও ৪। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে মাত্র তিনবারই তিন ওয়ানডের সিরিজে এত কম রান করলেন সাকিব!
শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নয়, ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরই তাঁর গড় সবচেয়ে খারাপ। ৬ ওয়ানডেতে ২৬.৪ গড়ে করেছেন ১৩২ রান। ফিফটির সংখ্যা ১টি। যেখানে নিষেধাজ্ঞার আগে ২০১৯ সালে ১১ ওয়ানডেতে ৯৩.২৫ গড়ে করেছিলেন ৭৪৬ রান। ৯ ইনিংসেই ছিল ২টি সেঞ্চুরি, ৭টি ফিফটি।রানের জন্য যতই সংগ্রাম করুন, সমালোচকেরা যতই তাঁকে বিদ্ধ করুন, সাকিবকে নিয়ে উদ্বেগের কিছু দেখছেন না তাঁর সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সিরিজের শেষ ওয়ানডের আগে সাকিবকে নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘সাকিবকে নিয়ে বলার কিছু নেই। সে তার খেলাটা জানে। ও জানে কখন কী করা প্রয়োজন। একটা খেলোয়াড় ১০-১২ বছর নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হয়ে আছে, এটা কোনো কৌতুক নয়!’
সাকিবের ছন্দ হারিয়ে ফেলা নিয়ে এতটুকু চিন্তিত নন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। পরশু সিরিজের শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাকিবকে নিয়ে মন্তব্য করার কোনো বিষয় নেই। ও আমাদের সেরা অলরাউন্ডার–এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর সামর্থ্য নিয়েও কারও কোনো প্রশ্ন নেই। হয়তো এখন ছন্দ পাচ্ছে না।’
ফর্ম নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে সাকিবকেও। কাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দল মোহামেডানের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘কেমন খেলেছি আপনারা তো দেখেছেনই। আশা ছিল আইপিএলের পর ভালো কিছু করব। কিন্তু সেটি হয়নি।’
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে নিজেকে ফিরে পেতে একটু সময় লাগছে সাকিবের। কাল থেকে শুরু প্রিমিয়ার লিগ হতে পারে তাঁর ফেরার মঞ্চ।
ঢাকা: সময়টা আসলেই খারাপ যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের। আইপিএলে ছিলেন নিজের ছায়া। পরে তো একাদশে সুযোগই পেলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও এই সিরিজে ব্যাটে–বলে ছন্দ খুঁজে পাননি। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আরও দুর্দান্তভাবে ফিরবেন—গত বছর একাধিকবার এমন ঘোষণা দিলেও এখনো ‘আসল’ সাকিবের দেখা মেলেনি।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এ বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তনটা মন্দ ছিল না। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৩ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ব্যাটিং পজিশন একটু বদলে চারে নেমে এক ফিফটিতে করেছিলেন ১১৩ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষেই ছন্দ হারিয়ে ফেলা সাকিবের। মার্চ–এপ্রিলে পারিবারিক কারণে নিউজিল্যান্ডে যাননি। আইপিএল খেলতে যাওয়ায় হাতছাড়া করেছেন এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরও। আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলতে পেরেছেন তিন ম্যাচে। তিন ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ৩৮ রান ও বোলিংয়ে ২ উইকেট নেওয়ার পর একাদশ থেকেই ছিটকে পড়েন। আর ফিরতে পারেননি একাদশে।
সাকিব হয়তো আশায় ছিলেন মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ কিছু করবেন। কিন্তু বোলিং–ব্যাটিং দুই বিভাগেই স্বমহিমায় ফিরতে ব্যর্থ বাঁহাতি অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতলেও সাকিবের ব্যক্তিগত অর্জনের খাতাটা অপূর্ণই রয়ে গেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপে তিনেই রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন সাকিব। এখন পর্যন্ত তিনে খেলা ২৫ ইনিংসে ৫৪.১৮ গড়ে করেছেন ১১৯২ রান। দুই সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি ১১টি। প্রিয় পজিশনে ফিরে তেমন কিছুই করতে পারেননি সাকিব! শ্রীলঙ্কা সিরিজে প্রিয় তিন নম্বর পজিশনে ফিরে তিন ম্যাচে তাঁর রান–১৫, ০ ও ৪। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে মাত্র তিনবারই তিন ওয়ানডের সিরিজে এত কম রান করলেন সাকিব!
শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নয়, ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরই তাঁর গড় সবচেয়ে খারাপ। ৬ ওয়ানডেতে ২৬.৪ গড়ে করেছেন ১৩২ রান। ফিফটির সংখ্যা ১টি। যেখানে নিষেধাজ্ঞার আগে ২০১৯ সালে ১১ ওয়ানডেতে ৯৩.২৫ গড়ে করেছিলেন ৭৪৬ রান। ৯ ইনিংসেই ছিল ২টি সেঞ্চুরি, ৭টি ফিফটি।রানের জন্য যতই সংগ্রাম করুন, সমালোচকেরা যতই তাঁকে বিদ্ধ করুন, সাকিবকে নিয়ে উদ্বেগের কিছু দেখছেন না তাঁর সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সিরিজের শেষ ওয়ানডের আগে সাকিবকে নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘সাকিবকে নিয়ে বলার কিছু নেই। সে তার খেলাটা জানে। ও জানে কখন কী করা প্রয়োজন। একটা খেলোয়াড় ১০-১২ বছর নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হয়ে আছে, এটা কোনো কৌতুক নয়!’
সাকিবের ছন্দ হারিয়ে ফেলা নিয়ে এতটুকু চিন্তিত নন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। পরশু সিরিজের শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাকিবকে নিয়ে মন্তব্য করার কোনো বিষয় নেই। ও আমাদের সেরা অলরাউন্ডার–এটাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর সামর্থ্য নিয়েও কারও কোনো প্রশ্ন নেই। হয়তো এখন ছন্দ পাচ্ছে না।’
ফর্ম নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে সাকিবকেও। কাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দল মোহামেডানের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাঁহাতি অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘কেমন খেলেছি আপনারা তো দেখেছেনই। আশা ছিল আইপিএলের পর ভালো কিছু করব। কিন্তু সেটি হয়নি।’
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে নিজেকে ফিরে পেতে একটু সময় লাগছে সাকিবের। কাল থেকে শুরু প্রিমিয়ার লিগ হতে পারে তাঁর ফেরার মঞ্চ।
লাফ দিয়ে আকাশ ছোঁয়া যদি সম্ভব হতো, হয়তো সেটাও করে ফেলতেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। পোল ভল্টে বিস্ময় জাগিয়ে তোলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন এই সুইডিশ অ্যাথলেট। গতকাল গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড। হাঙ্গেরির গ্রাঁ প্রিতে ৬ দশমিক ২৯ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখালেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেসকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় মিরপুরে ক্রিকেটারদের আলস্য আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ও স্ট্রেংথ ট্রেইনার নাথান কেলির কাছে এসবের গুরুত্ব নেই। গুমোট আবহাওয়া হোক বা গরম, কাজের বেলায় তিনি একচুল ছাড় দেন না—এটাই বোঝা গেছে শেষ এক সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্পে।
২ ঘণ্টা আগেইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার তোড়জোড় চলছে। ১৫ আগস্ট থেকে পর্দা উঠবে লা লিগার ৯৫তম মৌসুমের। বার্সেলোনা নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। জাবি আলোনসোকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা রিয়াল মাদ্রিদও চায় আধিপত্য ফেরাতে। সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমে লা লিগায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা বিষয়াদি নিয়েই এই উপস
৫ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ম্যাচের পরপরই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে হামজা চৌধুরী খেলবেন তো। সে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো। যদিও হামজাকে দলে রেখেই ২৪ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
৬ ঘণ্টা আগে