Ajker Patrika

দর্শকপূর্ণ দুবাইয়েই বিশ্বকাপ ফাইনাল চান সৌরভ

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ০০
Thumbnail image

মুখে মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার, তিন মিটার দূরত্ব বজায়সহ আরও অনেক করোনাবিধির বেড়াজালে বন্দী বিশ্ব। আর ক্রীড়া আসরগুলো বন্দী জৈব সুরক্ষাবলয় নামের এক খাঁচায়। 

করোনার ধকল কাটিয়ে ২২ গজে ক্রিকেট ফিরলেও সেভাবে ফেরানো হয়নি ‘মাঠের প্রাণ’ দর্শকদের। কোথাও কোথাও ফিরলেও সেটা ধারণক্ষমতার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশেই সীমাবদ্ধ।। কানায় কানায় পূর্ণ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারির দৃশ্য এখনো যেন স্বপ্নের মতো! 

এই ‘নিউ নরমালেই’ আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। মরুর দুই দেশ আয়োজক হলেও আসরের সবকিছু দেখভাল করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। 

জমজমাট আসরে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও প্রতি ম্যাচে ৫০ শতাংশের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। তবে ফাইনালের ভেন্যু যাতে পরিপূর্ণ থাকে, সে জন্য আমিরাত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক বিসিসিআই। 

 ‘হাউসফুল গ্যালারি’র বিষয়ে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় বোর্ডকে সমর্থন জানাচ্ছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডও। তবে সমস্যা হলো, আমিরাতের একেকটি স্টেডিয়ামের নিয়ম একেক রকম। যেমন—দুবাইয়ে খেলা দেখতে হলে করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট দেখালেই চলবে। কিন্তু আবুধাবি ও শারজার মাঠে বসে খেলা দেখতে চাইলে দুটি ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেটের পাশাপাশি ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টা আগের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্টও দেখাতে হবে। 

নিয়মের বেড়াজাল এখানেই শেষ নয়। শারজায় ১৬ বছরের নিচে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই। অন্যদিকে, আবুধাবিতে ১২-১৫ বছর বয়সী সমর্থকেরা দুটি ডোজের সার্টিফিকেট ছাড়াই ঢুকতে পারবে। তবে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবেই। তার মানে, তিন জায়গায় আমিরাত প্রশাসনের নিয়মও তিন রকম। 

তবে সৌরভের জন্য আশার কথা হচ্ছে, আসরের একটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল হবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সেখানকার করোনাবিধি কিছুটা শিথিল (শুধু টিকার সার্টিফিকেট হলেই চলবে) হওয়ায় ফাইনালে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক থাকার সম্ভাবনাই বেশি। বর্তমানে দুবাইয়েই মাঠটির দর্শক ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত