Ajker Patrika

৫ বলে ৫ ছক্কা হজম করে বিব্রতকর রেকর্ডে রশিদ খান 

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ৪৪
৫ বলে ৫ ছক্কা হজম করে বিব্রতকর রেকর্ডে রশিদ খান 

সাউদাম্পটনে গত রাতের ঘটনা যে চাইলেও ভুলতে পারবেন না রশিদ খান। আফগান লেগ স্পিনারকে দুঃস্বপ্নের রাত উপহার দিয়েছেন কাইরন পোলার্ড। পাঁচ ছক্কা হজম করে বিব্রতকর রেকর্ডে নাম উঠে গেছে রশিদের। 

ইংল্যান্ডের ১০০ বলের টুর্নামেন্ট ‘দ্য হান্ড্রেডে’ সাউদার্ন ব্রেভের হয়ে খেলছেন পোলার্ড। রশিদ খেলেছেন ট্রেন্ট রকেটসের হয়ে। সাউদাম্পটনে গত রাতে ৮১ থেকে ৮৫—এই পাঁচ বল করতে আসেন তিনি। পোলার্ড প্রথম বল উড়িয়ে মারলেন কাউ কর্নারের ওপর দিয়ে। পরের ছক্কার গন্তব্য লং অফ। তৃতীয় বলে পোলার্ড ছক্কা মারলেন রশিদের মাথার ওপর দিয়ে। হ্যাটট্রিক ছক্কার পর পোলার্ডকে পেয়ে বসে রেকর্ডের নেশা। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ডিপ মিড উইকেট ও লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে রশিদকে বিব্রতকর রেকর্ডে ফেলে দিলেন পোলার্ড। হান্ড্রেডে প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হজম করা প্রথম বোলার বনে গেলেন তিনি। 

রেকর্ড গড়া পোলার্ড গত রাতে সাউদার্ন ব্রেভকে এনে দেন রুদ্ধশ্বাস এক জয়। ১২৭ রানের লক্ষ্যে নেমে ১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেটে জয় পায় ব্রেভ। ২৩ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পোলার্ড বলেন, ‘আমি তার (রশিদ) বিপক্ষে অনেক খেলেছি। অনেকবার আউটও হয়েছি। কী হচ্ছে, সেটা দেখতে চাচ্ছিলাম। তবে জানতাম যে রশিদ কোন লেংথে বোলিং করবে। তিনটা বল করেছে ফুল লেংথে, যা ছিল আমার আয়ত্তের মধ্যে। তখন নিজেকে থামানোর মতো অবস্থা ছিল না। সর্বোচ্চ রান নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম।’ 
 
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ছয় ছক্কা মারার কীর্তি গড়েন পোলার্ড। অ্যান্টিগার কুলিজ গ্রাউন্ডে ২০২১ সালে ক্যারিবীয় এই ব্যাটার এক ওভারে ছয় ছক্কা মারেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়াকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত এক ওভারে ছয় ছক্কার ঘটনা ঘটেছে তিনটি। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় ছক্কা মেরে উদ্বোধনটা করেন যুবরাজ সিং। যুবরাজ, পোলার্ডের পর এ বছর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান নেপালের দীপেন্দ্র সিং আইরি। কাতারের কামরান খানকে ছয় ছক্কা মারেন ঐরি। 

কখনো কোচ, কখনো খেলোয়াড়—টি-টোয়েন্টিতে বর্তমানে দুই পরিচয়ই বজায় রাখছেন পোলার্ড। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে আছেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সহকারী কোচ ছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কবে ও কোথায় পাওয়া যাবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ০৯
বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: এক্স
বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: এক্স

এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠা হচ্ছে না বাংলাদেশের। বাছাইপর্বে প্রথম ৪ ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি হাভিয়ের কাবরেরার দল। পরবর্তী ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বর নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। মূল পর্বে ওঠার আশা না থাকলেও আসন্ন ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনার কমতি নেই ভক্তদের মধ্যে।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের ভেন্যু ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। দুই প্রতিবেশী দেশের ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৯ নভেম্বর দুপুর ২ টা থেকে। টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইন মাধ্যম কুইকেটে।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ১-১ গোল ড্র করে সফরকারী দল। এরপর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে হেরে যায় তারা। সর্বশেষ ম্যাচে হংকংয়ের মাঠ থেকে পয়েন্ট ভাগ করে ফেরে বাংলাদেশ। এই ড্র ছিল অতিথিদের জন্য জয় সমতুল্য। পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে রাকিবের গোলে হার এড়ায় দলটি।

হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলামদের মতো খেলোয়াড়দের আগমনে জেগে উঠেছে দেশের ফুটবল। এদের পেয়ে শক্তি বেড়েছে বাংলাদেশ দলের। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্রতি ম্যাচে লড়াকু পারফরম্যান্স তারই প্রমাণ। প্রবাসী খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তিতে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে প্রতি ম্যাচেই জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। জয় উপহার দিতে না পারলেও মাঠের পারফরম্যান্সে হতাশ করেননি হামজা, জামাল, রাকিবরা।

বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হলেও ভারত ম্যাচকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভারতকে হারাতে মুখিয়ে আছেন হামজারা। হংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের পর ভারত ম্যাচ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন ফুটবলাররা। এবার মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্রুক দেখালেন কীভাবে একলা চলতে হয়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ০২
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ছবি: এক্স
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ছবি: এক্স

‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটির সঙ্গে হ্যারি ব্রুকের পরিচিতি থাকার কথা না। এই গান না শুনলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে একাই চললেন তারকা ব্যাটার। ব্যাট হাতে অসামান্য দৃঢ়তায় দলকে এনে দিলেন সম্মানজনক পুঁজি।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভার টিকতে পারেনি ইংল্যান্ড। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৩৫.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়েছে ইংলিশরা। এর মধ্যে ব্রুক একাই করেছেন ১৩৫ রান। টস হারা সফরকারী দল শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় ৩৩ রানেই তাদের ইনিংসের অর্ধেক সাজঘরে হাঁটে।

জেমি স্মিথ, বেন ডাকেট, জো রুট, জ্যাকব বেথেল, জস বাটলার–দলকে বিপদে রেখে একে একে বিদায় নেন সবাই। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ব্রুক। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাট করেন ইংলিশ দলপতি। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন অর্ধশতক করেও থামেননি। ৮২ বলে তিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান। ১৩৫ রানের ইনিংসে ১০১ বল খেলেন তিনি।

ব্রুকের ১৩৩.৬৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৯ চার ও ১১ ছয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে সফরকারীদের ব্যাটারদের মধ্যে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছয় আছেন কেবল থিসারা পেরেরারা। ২০১৯ সালে ১৪০ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৩ বার বলকে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন এই লঙ্কান ক্রিকেটার। ব্রুকের সমান এক ইনিংসে ১১টি ছয় মেরেছেন মার্কাস স্টয়নিস।

মিচেল সান্টনারের বলে নাথান স্মিথের হাতে ধরা পড়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নে হাঁটেন ব্রুক। সেঞ্চুরি করার পথে এই সংস্করণে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। সপ্তম উইকেটে জিমে ওভারটনকে নিয়ে যোগ করেন মূল্যবান ৮৭ রান। ওভারটনের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান। বাকিদের মধ্যে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রোনালদোর ৫০ গোলের অপেক্ষা

ক্রীড়া ডেস্ক    
ক্যারিয়ারের ৯৫০ তম গোলের দেখা পেয়েছেন সিআরসেভেন। ছবি: এক্স
ক্যারিয়ারের ৯৫০ তম গোলের দেখা পেয়েছেন সিআরসেভেন। ছবি: এক্স

অদম্য ইচ্ছাশক্তি, কঠোর পরিশ্রম আর হাল না ছাড়ার বড় উদাহরণ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৪০ এ এসেও মাঠে এই ফরোয়ার্ডের নিবেদন সেটাই প্রমাণ করে। বুটজোড়া তুলে রাখার বয়সেও ধারাবাহিকভাবে দলের জয়ের কারিগর বনে যাচ্ছেন সিআরসেভেন। তাড়া করে বেড়াচ্ছেন হাজারতম গোলের মাইলফলক। সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি।

সৌদি প্রো লিগে আল হাজমকে ২–০ গোলে হারিয়েছে আল নাসর। দলের জয়ের দিনে একবার জালের দেখা পান রোনালদো। এটা পেশাদার ক্যারিয়ারে পর্তুগিজ তারকার ৯৫০ তম গোল। অর্থাৎ আর মাত্র ৫০ গোল করলে ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে এক হাজার গোলের অসাধারণ কীর্তি গড়বেন সাত নম্বর জার্সিধারী।

কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্ট সিটি স্টেডিয়ামে স্কোরবোর্ড দেখে আল নাসরের পারফরম্যান্স কেমন ছিল সেটা বোঝার সুযোগ নেই। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচজুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলেছে রিয়াদের ক্লাবটি। ম্যাচে ৬৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখে আল হাজমের লক্ষ্য বরাবর সাতটি শট নেয় তারা। মূলত ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় জয়ের ব্যবধান বড় করতে পারেনি আল নাসর।

২৫ মিনিটে লিড নেয় আল নাসর। বাঁ পাশ দিয়ে আয়মান ইয়াহিয়ার ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন জোয়াও ফেলিক্স। সুযোগ নষ্টের ভীড়ে প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সফরকারী দল। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন রোনালদো। সতীর্থ ওয়েসলি গাসোভার বাড়ানো বল থেকে বাঁ পায়ের টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন।

নতুন মৌসুমে লিগে প্রথম ৬ ম্যাচে টানা জয় তুলে নিল আল নাসর। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। দুইয়ে আছে আল তাইউন। তাদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে আছে আল হিলাল। ৫ পয়েন্ট পাওয়া আল হাজমের অবস্থান ১৪ নম্বরে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে কোথায় এগিয়ে বাংলাদেশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ২০
ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার টি–টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি
ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার টি–টোয়েন্টি খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

চট্টগ্রামের উইকেট দেখে কাল ড্যারেন স্যামির মুখে ফুটে উঠেছে একচিলতে হাসি। মিরপুরের কালো উইকেটের বিপরীতে চট্টগ্রামের বাদামি সবুজাভ পিচ দেখে মনে একটা স্বস্তির হাওয়া বইয়ে যাওয়ার কথা ক্যারিবীয় কোচের। বিপিএল আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বাংলাদেশে তো কম খেলেননি স্যামি। বাংলাদেশের উইকেট-কন্ডিশন তাঁর যে ভালোই চেনা, সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচের কথাতেই বোঝা যাবে।

মিরপুরে ওয়ানডে সিরিজ শেষে স্যামি বলেছেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা বলে, বাংলাদেশের সেরা উইকেট (চট্টগ্রামে)। যদি ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের তুলনা করি, ওয়ানডে সিরিজের উল্টো ফল পেতে উন্মুখ হয়ে আছি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমাদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে আমরা জেতার পর তারা (বাংলাদেশ) কিন্তু আমাদের ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। আশা করি, এখানে আমরাও তেমন কিছু করতে পারব।’

চট্টগ্রামের ভালো উইকেটে স্যামি যেটা করার আশায় আছেন, সেটা ভেস্তে দিতে তৈরি বাংলাদেশও! দুই বছর আগেও ২০ ওভারের ক্রিকেটে দুই দলের সাক্ষাতে এগিয়ে রাখা যেত ক্যারিবীয়দের। গত দুই দশকে ২০ ওভারের ক্রিকেটেই তো মজেছে তারা। দুটো বিশ্বকাপ জিতেছে। কিন্তু এখন সেটা বলার সুযোগ নেই। পরিসংখ্যান-রেকর্ডই সে সুযোগ দিচ্ছে না। কাল থেকে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ‘ফেবারিট’ বলতে হবে।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জেতার আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু উল্টো দৃশ্য। টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতলে শারজায় আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ কিন্তু ক্যারিবীয়দের মাঠেই ধবলধোলাই করে এসেছে। সেই সিরিজের কথাই মিরপুরে উল্লেখ করেছেন স্যামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিসংখ্যান ঠিক উল্টো। এ বছর যে ৫টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে ক্যারিবীয়রা, তার মধ্যে এক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছে। বাকি চারটিতেই হার। এর মধ্যে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার কাছে হয়েছে ধবলধোলাই। বাংলাদেশে আসার আগে নেপালের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে তারা।

২০ ওভারের ক্রিকেটে এমনিতেই বাংলাদেশ দারুণ ছন্দে আছে, দুদিন আগে ওয়ানডে সিরিজ জিতে আরও আত্মবিশ্বাসী স্বাগতিকেরা। দলকে উজ্জীবিত রাখতে এরই মধ্যে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক লিটন দাস। পাঁচ মাস পর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাঠে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে নিজেদের তৈরি করার সুযোগটাও কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ওয়ানডেতে যতটা ঘূর্ণি উইকেটের ফাঁদ তৈরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘায়েল করতে চেয়েছে বাংলাদেশ, টি-টোয়েন্টিতে সেটা স্বাগতিকেরা নিশ্চয়ই করতে চাইবে না। বিশ্বকাপ ভাবনায় রেখে চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটে আদর্শ টি-টোয়েন্টি ম্যাচই খেলতে চাইবে বাংলাদেশ।

পাওয়ার হিটিংয়ে এখন বাংলাদেশ বেশ এগিয়েছে, চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে তাদের বেগ পেতে হয় না। ক্যারিবীয়রাও জানে ২০ ওভারের রোমাঞ্চ জমিয়ে তুলতে হয়, সে হিসেবে চট্টগ্রামে একটা জমজমাট টি-টোয়েন্টি সিরিজের আশা তো করাই যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত