এক ভোটের জয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা স্টার্ক, স্ত্রী অ্যালিসা ওয়ানডের সেরা

সতীর্থদের মধ্যে সুস্থধারার লড়াই-ই তো সবাই দেখতে চান। তাই বলে এতটা হাড্ডাহাড্ডি!

স্রেফ এক ভোটের ব্যবধানে মিচেল মার্শকে পেছনে ফেলে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব জিতেছেন মিচেল স্টার্ক। পাশাপাশি বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন বাঁহাতি তারকা ফাস্ট বোলার। মার্শ হয়েছেন টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা।

সেরা নির্বাচনে স্টার্ক ১০৭ ভোট পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক মার্শের পক্ষে রায় দিয়েছেন ১০৬ জন। ট্রাভিস হেড ৭২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। তবে হেড বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হওয়ার পাশপাশি সেরা ঘরোয়া ক্রিকেটারও নির্বাচিত হয়েছেন। ৫৯.৫০ গড়ে ৩৫৭ রান করে কদিন আগেই অ্যাশেজের সেরা হয়েছিলেন হেড।

স্টার্কের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার প্রায় এক যুগের। অ্যাশেজের মর্যাদাপূর্ণ ছাইদানি থেকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়—কত সাফল্য, কত অর্জন তাঁর। গতি আর সুইংয়ে তাবড় ব্যাটারদের পরাস্ত করে হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন। এত বেলা পেরিয়ে, এত পথ মাড়িয়ে অবশেষে নিজ দেশের সেরার স্বীকৃতি জুটল স্টার্কের। বিশ্বের আগামীকাল ৩২তম জন্মদিনের কেক কাটার আগে প্রথমবার জিতলেন অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের খেতাব ‘অ্যালান বর্ডার মেডেল’।

নারীদের বর্ষসেরাও হয়েছেন প্রথমবার কেউ। সেরার খেতাব ‘বেলিন্ডা ক্লার্ক মেডেল’ জিতেছেন অ্যাশলে গার্ডনার। প্রথম আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে সেরার সম্মান পেলেন ২৪ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দুজনই তাঁদের সতীর্থ, আম্পায়ার এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের ভোটে গত ১২ মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব সংস্করণে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রথমবার এই পুরস্কার জিতলেন।’

অজিদের হয়ে গত বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৩ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। ব্যাটিংয়েও দারুণ অবদান রেখেছেন। ২৬.৮ গড়ে করেছেন ২৪১ রান। নারীদের বিভাগে স্টার্কের স্ত্রী অ্যালিসা হিলি টানা তৃতীয়বার সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন ওপেনার বেথ মুনি। এলিস ভিলানি জিতেছেন সেরা নারী ঘরোয়া ক্রিকেটার পুরস্কার।