আমাদের প্রায়ই বলতে শোনা যায় জীবনটা অনেক ছোট। কিন্তু পৃথিবীতে বাস করা অন্য প্রাণীদের কথা বিবেচনা করলে মানুষ মোটেই স্বল্পায়ু নয়। তাহলে কোন প্রাণী সবচেয়ে কম সময় বেঁচে থাকে?
এটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। ক্ষণস্থায়ী জীবনধারীদের বিষয়ে গবেষকদের জন্য বিশদভাবে অধ্যয়ন করা কঠিন। তা ছাড়া পৃথিবীতে এখনো নতুন নতুন প্রাণীর খোঁজ মিলছে কিংবা আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে। তবে বলা হয় যে সবচেয়ে কম সময় বাঁচা প্রাণীর তালিকায় এক নম্বরে থাকার লড়াইয়ে মেফ্লাই নামের প্রাণীটি একটি শক্ত প্রতিযোগী।
এই জলজ পোকা ডিম থেকে শুঁয়োপোকার মতো একটি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দুই বছর পর্যন্ত এ অবস্থায় পানির নিচে বসবাস করে তারা। তারপরে তাদের জীবনচক্রের চূড়ান্ত পর্যায়ের এবং মিলনের জন্য ডানার বিস্তার ঘটে। অনেক মেফ্লাই তাদের ডানাযুক্ত আকারে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় বাঁচে। আবার কিছু ৫ মিনিটও স্থায়ী হয় না।
ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি-পারডু ইউনিভার্সিটি কলম্বাসের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ও মে ফ্লাই গবেষক লুক জ্যাকোবাস এক ই-মেইলে লাইভ সায়েন্সকে বলেন, মেফ্লাইয়ের বেশির ভাগ প্রজাতি সাবিমাগো পর্যায়ে (এ প্রাণীদের জীবন চক্রের একটি পর্যায়) জল থেকে স্থল এবং বায়ুতে স্থানান্তর করে। তারপর ইমাগো পর্যায়ে রূপ নেয়। উভয় পর্যায়ে তাদের কার্যকরী মুখ বা হজম ব্যবস্থা নেই। বরং শুঁয়োপোকা হিসেবে তৈরি করা শক্তির ভান্ডারের ওপর বাঁচে।
‘সে অর্থে কোনো পরিপাকতন্ত্র না থাকায় শরীরে ডিমের জন্য অনেক বেশি পায় স্ত্রী মে ফ্লাইরা,’ জ্যাকোবাস বলেন, ‘আমি একটিকে এমন ডিমে পরিপূর্ণ অবস্থায় পেয়েছিলাম যে ওটার মাথার ভেতরেও ছিল ডিম। এ ধরনের স্ত্রী পোকার অনেক সময়ই ১ হাজারের বেশি ডিম থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ছোট্ট জীবনটাতে চমৎকারভাবে কাজে লাগায় এরা।’
অন্যান্য দ্রুত মারা যাওয়া প্রজাতির প্রাণীদের মতো মেফ্লাই খুব বেশি নির্ভর করে প্রচুর পরিমাণে নতুন প্রাণীর জন্ম দেওয়ার ওপর। যেন যত বেশি সম্ভব প্রাণী যৌবনপ্রাপ্ত হওয়া এবং প্রজনন করা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু জ্যাকোবাস উল্লেখ করেছেন যে কেন এই মাছিদের জীবন সংক্ষিপ্ত হয় এমন প্রশ্নের চেয়ে ভালো প্রশ্ন হতে পারে ‘কেন নয়?’
‘প্রাচীন যেসব মেফ্লাইয়ের জীবাশ্ম আমরা পাই তা আজকে আমরা যা দেখি তার থেকে খুব বেশি আলাদা নয়।’ জ্যাকোবাস বলেন, ‘তারা যে চক্রে চলছে তা তাদের জন্য খুব ভালো কাজ করছে।’
উতাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির বিবর্তনীয় জীববিদ্যার অধ্যাপক হিথ ওগডেন যিনি মেফ্লাইদের বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করেন তিনি লাইভ সায়েন্সকে বলেন, এই প্রজাতির প্রাণীদের উদ্ভব হয় মোটামুটি ৩৫ কোটি বছর আগে। আর এদের বিবর্তন অনুসন্ধানে জানা যায় শুঁয়োপোকা অবস্থায় বেশি সময় থাকাটা এদের জন্য চমৎকার একটি কৌশল হিসেবে কাজ করে।
‘এটা মনে হচ্ছে বিবর্তন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এরা শুঁয়োপোকা হিসেবে পুষ্টি সংগ্রহের ক্ষেত্রে যা যা করতে হবে তার বেশির ভাগই করছে। প্রাপ্তবয়স্ক থাকার সময়টা কেবল উড়া, প্রজনন এবং ডিম পাড়ার একটি প্রক্রিয়া।’ বলেন ওগডেন।
এখন পর্যন্ত যেসব প্রাণীর খোঁজ মিলেছে তাদের মধ্যে আমেরিকান সেন্ড বারোয়িং বা বালুতে গর্ত করা মেফ্লাইদের প্রাপ্তবয়স্ক জীবন সবচেয়ে স্বল্প সময়ের। এ তথ্য জর্জিয়া ডিপার্টমেন্ট অব নেচার রিসোর্সেসের বায়োডাইভারসিটি পোরটালের। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পুরুষেরা বাঁচে এক ঘণ্টার কম, আর স্ত্রী পোকারা মারা যাওয়ার আগে বংশবিস্তারের জন্য কেবল পাঁচ মিনিট সময় পায়। তবে এর আগে শুঁয়োপোকা অবস্থায় মোটামুটি বছর দুই কাটিয়ে দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, সেভেন ফিগার পিগমি গোবি নামের মাছেরা তাদের সমগ্র জীবনচক্র দুই মাসের মধ্যে শেষ করে। যে কোনো পরিচিত মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে যা সবচেয়ে কম। এরা তিন সপ্তাহ খোলা সমুদ্রে কিশোর লার্ভা আকারে কাটায়, তারপর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার জন্য এক বা দুই সপ্তাহের জন্য একটি শৈলশিরায় আশ্রয় নেয়। সাড়ে তিন সপ্তাহের মতো প্রাপ্তবয়স্ক জীবন কাটিয়ে মারা যায় এরা। এদের জীবনচক্র সম্পর্কে এ তথ্য প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীর একটি নিবন্ধে।
আমাদের প্রায়ই বলতে শোনা যায় জীবনটা অনেক ছোট। কিন্তু পৃথিবীতে বাস করা অন্য প্রাণীদের কথা বিবেচনা করলে মানুষ মোটেই স্বল্পায়ু নয়। তাহলে কোন প্রাণী সবচেয়ে কম সময় বেঁচে থাকে?
এটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। ক্ষণস্থায়ী জীবনধারীদের বিষয়ে গবেষকদের জন্য বিশদভাবে অধ্যয়ন করা কঠিন। তা ছাড়া পৃথিবীতে এখনো নতুন নতুন প্রাণীর খোঁজ মিলছে কিংবা আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে। তবে বলা হয় যে সবচেয়ে কম সময় বাঁচা প্রাণীর তালিকায় এক নম্বরে থাকার লড়াইয়ে মেফ্লাই নামের প্রাণীটি একটি শক্ত প্রতিযোগী।
এই জলজ পোকা ডিম থেকে শুঁয়োপোকার মতো একটি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দুই বছর পর্যন্ত এ অবস্থায় পানির নিচে বসবাস করে তারা। তারপরে তাদের জীবনচক্রের চূড়ান্ত পর্যায়ের এবং মিলনের জন্য ডানার বিস্তার ঘটে। অনেক মেফ্লাই তাদের ডানাযুক্ত আকারে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় বাঁচে। আবার কিছু ৫ মিনিটও স্থায়ী হয় না।
ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি-পারডু ইউনিভার্সিটি কলম্বাসের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ও মে ফ্লাই গবেষক লুক জ্যাকোবাস এক ই-মেইলে লাইভ সায়েন্সকে বলেন, মেফ্লাইয়ের বেশির ভাগ প্রজাতি সাবিমাগো পর্যায়ে (এ প্রাণীদের জীবন চক্রের একটি পর্যায়) জল থেকে স্থল এবং বায়ুতে স্থানান্তর করে। তারপর ইমাগো পর্যায়ে রূপ নেয়। উভয় পর্যায়ে তাদের কার্যকরী মুখ বা হজম ব্যবস্থা নেই। বরং শুঁয়োপোকা হিসেবে তৈরি করা শক্তির ভান্ডারের ওপর বাঁচে।
‘সে অর্থে কোনো পরিপাকতন্ত্র না থাকায় শরীরে ডিমের জন্য অনেক বেশি পায় স্ত্রী মে ফ্লাইরা,’ জ্যাকোবাস বলেন, ‘আমি একটিকে এমন ডিমে পরিপূর্ণ অবস্থায় পেয়েছিলাম যে ওটার মাথার ভেতরেও ছিল ডিম। এ ধরনের স্ত্রী পোকার অনেক সময়ই ১ হাজারের বেশি ডিম থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর ছোট্ট জীবনটাতে চমৎকারভাবে কাজে লাগায় এরা।’
অন্যান্য দ্রুত মারা যাওয়া প্রজাতির প্রাণীদের মতো মেফ্লাই খুব বেশি নির্ভর করে প্রচুর পরিমাণে নতুন প্রাণীর জন্ম দেওয়ার ওপর। যেন যত বেশি সম্ভব প্রাণী যৌবনপ্রাপ্ত হওয়া এবং প্রজনন করা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু জ্যাকোবাস উল্লেখ করেছেন যে কেন এই মাছিদের জীবন সংক্ষিপ্ত হয় এমন প্রশ্নের চেয়ে ভালো প্রশ্ন হতে পারে ‘কেন নয়?’
‘প্রাচীন যেসব মেফ্লাইয়ের জীবাশ্ম আমরা পাই তা আজকে আমরা যা দেখি তার থেকে খুব বেশি আলাদা নয়।’ জ্যাকোবাস বলেন, ‘তারা যে চক্রে চলছে তা তাদের জন্য খুব ভালো কাজ করছে।’
উতাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির বিবর্তনীয় জীববিদ্যার অধ্যাপক হিথ ওগডেন যিনি মেফ্লাইদের বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করেন তিনি লাইভ সায়েন্সকে বলেন, এই প্রজাতির প্রাণীদের উদ্ভব হয় মোটামুটি ৩৫ কোটি বছর আগে। আর এদের বিবর্তন অনুসন্ধানে জানা যায় শুঁয়োপোকা অবস্থায় বেশি সময় থাকাটা এদের জন্য চমৎকার একটি কৌশল হিসেবে কাজ করে।
‘এটা মনে হচ্ছে বিবর্তন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এরা শুঁয়োপোকা হিসেবে পুষ্টি সংগ্রহের ক্ষেত্রে যা যা করতে হবে তার বেশির ভাগই করছে। প্রাপ্তবয়স্ক থাকার সময়টা কেবল উড়া, প্রজনন এবং ডিম পাড়ার একটি প্রক্রিয়া।’ বলেন ওগডেন।
এখন পর্যন্ত যেসব প্রাণীর খোঁজ মিলেছে তাদের মধ্যে আমেরিকান সেন্ড বারোয়িং বা বালুতে গর্ত করা মেফ্লাইদের প্রাপ্তবয়স্ক জীবন সবচেয়ে স্বল্প সময়ের। এ তথ্য জর্জিয়া ডিপার্টমেন্ট অব নেচার রিসোর্সেসের বায়োডাইভারসিটি পোরটালের। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পুরুষেরা বাঁচে এক ঘণ্টার কম, আর স্ত্রী পোকারা মারা যাওয়ার আগে বংশবিস্তারের জন্য কেবল পাঁচ মিনিট সময় পায়। তবে এর আগে শুঁয়োপোকা অবস্থায় মোটামুটি বছর দুই কাটিয়ে দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, সেভেন ফিগার পিগমি গোবি নামের মাছেরা তাদের সমগ্র জীবনচক্র দুই মাসের মধ্যে শেষ করে। যে কোনো পরিচিত মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে যা সবচেয়ে কম। এরা তিন সপ্তাহ খোলা সমুদ্রে কিশোর লার্ভা আকারে কাটায়, তারপর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার জন্য এক বা দুই সপ্তাহের জন্য একটি শৈলশিরায় আশ্রয় নেয়। সাড়ে তিন সপ্তাহের মতো প্রাপ্তবয়স্ক জীবন কাটিয়ে মারা যায় এরা। এদের জীবনচক্র সম্পর্কে এ তথ্য প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালে কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীর একটি নিবন্ধে।
আধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগেবসন্ত এলেই গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে লাখ লাখ পিঁপড়া। দলবদ্ধভাবে তারা ছড়িয়ে পড়ে উঠোন, বারান্দা ও রান্নাঘরের মেঝেতে—উদ্দেশ্য একটাই, কলোনির জন্য খাবার খুঁজে বের করা। তবে এদের সব সময় সারিবদ্ধভাবেই হাঁটতে দেখা যায়। তবে তাদের এই শৃঙ্খলাবদ্ধ হাঁটার পেছনে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
৪ দিন আগে