Ajker Patrika

মিসরের মরুভূমিতে ৪ কোটি বছর আগের তিমির জীবাশ্মের সন্ধান 

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৩, ১৪: ২০
মিসরের মরুভূমিতে ৪ কোটি বছর আগের তিমির জীবাশ্মের সন্ধান 

মিসরের মরুভূমিতে সন্ধান পাওয়া গেছে ৪ কোটি ১০ লাখ বছর আগের একটি বিলুপ্ত হওয়া তিমির জীবাশ্মের। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই তিমি সেই সময়ের, যখন তিমির পূর্ব প্রজাতির সদস্যরা মাত্রই ডাঙা থেকে পানিতে নিজেদের স্থানান্তর শেষ করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মিসরের জীবাশ্ম বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির নাম দিয়েছেন মিসরীয় ফারাও তুতেনখামেনের নাম অনুসারে ‘তুতসিটাস রায়ানেনসিস’। মিসরের ওয়াদি আল-রায়ান সংরক্ষিত এলাকার মরূদ্যান ফায়ুমে এই জীবাশ্ম পাওয়া যায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তিমিটির দৈর্ঘ্য ছিল আড়াই মিটার বা ৮ ফুট এবং এর ওজন ছিল আনুমানিক ১৮৭ কেজি। এটি তিমির সবচেয়ে ছোট প্রজাতিগুলোর একটি।

যে গবেষক দল আবিষ্কারটি করেছে, সেই দলের প্রধান এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব কায়রোর অধ্যাপক হেশাম সালাম বলেন, ‘যখন থেকে এই প্রজাতির প্রাণীরা পরিপূর্ণরূপে পানিতে বাস করা শুরু করল, সেই সময়কার নিদর্শন বা তথ্য-প্রমাণ হিসেবে এই আবিষ্কার অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

সালাম বলেছেন, এই সময়টাতে এই প্রজাতির তিমির আগের প্রজাতির তিমিরা মাছের মতো বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। বিশেষ করে সুবিন্যস্ত দেহ, শক্ত লেজ, পাখনা এবং পুচ্ছ পাখনা এই সময়েই অর্জিত হয়। এবং পায়ের মতো দেখতে অঙ্গ যা হয়তো প্রজননের কাজে সহায়তা করত—সেই সময়েই অর্জিত হয়।

কায়রো থেকে প্রায় দেড় শ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ফায়ুম মরূদ্যানে অবস্থিত ওয়াদি আল-হিতান, যা তিমির উপত্যকা নামে পরিচিত। এটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান, যেখানে তিমির প্রাচীনতম প্রজাতির শত শত জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আজ থেকে ৫ কোটি ৬০ লাখ থেকে ৩ কোটি ৪০ লাখ বছর আগে ইওসিন যুগে এই জায়গায় একটি সমুদ্র ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

পরপর সংঘর্ষে উড়ে গেল বাসের ছাদ, যাত্রীসহ ৫ কিমি নিয়ে গেলেন চালক

ইটনায় এবার ডিলার নিয়োগে ঘুষ চাওয়ার কল রেকর্ড ফাঁস

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত