অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
আফ্রিকার সাহারা থেকে শুরু করে ভারতের থার মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত সাহারা-আরব মরুভূমি অঞ্চলকে পৃথিবীর বৃহত্তম জীব ভৌগোলিক ‘বাধা’ হিসেবে ধরা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ বছর ধরে এই অঞ্চল এতটাই শুষ্ক যে, তা মানুষ ও প্রাণীর আফ্রিকা থেকে ইউরেশিয়ার দিকে অভিবাসনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এই ধারণায় ধাক্কা দিয়েছে কিছু জীবাশ্ম প্রমাণ। লেট মায়োসিন ও প্লেইস্টোসিন যুগের জীবাশ্ম প্রমাণ ইঙ্গিত দেয় যে, পর্যাপ্ত জলাধার ও পানির ওপর নির্ভরশীল প্রাণী যেমন: কুমির, জলহস্তী ও ঘোড়া এই অঞ্চলজুড়ে বিচরণ করেছে ৭৪ হাজার বছর আগেও।
এ তথ্য বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে যে, এমন শুষ্ক ও রুক্ষ ভূখণ্ড একসময় কি সবুজ ও উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছিল।
সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গুহাগুলোতে খুঁজে পাওয়া গেছে খনিজের জমাট গঠন—স্পেলিওথেম। এগুলো সাধারণত গুহার ছাদ থেকে ঝুলে থাকা বরফের শিকের মতো দেখতে হয় এবং গুহার মাটিতেও গড়ে ওঠে। এই গঠন তখনই গড়ে ওঠে, যখন খনিজসহ মাটির নিচের পানি গুহায় চুঁইয়ে পড়ে।
এই স্পেলিওথেম থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, গত ৮০ লাখ বছরে বহুবার আর্দ্রতার পালাবদল ঘটেছে আরবের এই অঞ্চলে। ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি জানাচ্ছে, ৭ দশমিক ৪৪ থেকে ৬ দশমিক ২৫ মিলিয়ন বছর আগে প্রথম আর্দ্র সময়কাল শুরু হয় এবং সর্বশেষ আর্দ্র সময়কাল ছিল ৫ লাখ ৩০ হাজার বছর থেকে ৬০ হাজার বছর আগে পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির হিউম্যান ইভোলিউশন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ মাইকেল পেট্রাগলিয়া বলেন, ‘আমি তখন ভারতে কাজ করছিলাম এবং ভাবছিলাম আফ্রিকা থেকে মানব অভিবাসন সম্ভবত আরব-ভারত অঞ্চল দিয়েই ঘটেছে।’
সৌদি আরবের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন হেরিটেজ কমিশনের সহায়তায় পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প থেকে জানা যাচ্ছে, জুব্বাহ ওয়েসিসসহ প্রায় ১০ হাজার প্রাচীন হ্রদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে ৫ লাখ বছরের পুরোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে, আর্দ্র সময়ে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই অঞ্চল অতিক্রম করেছিলেন।
গবেষকেরা সাতটি গুহা থেকে ২২টি স্পেলিওথেম সংগ্রহ করেন। ইউরেনিয়াম-থোরিয়াম ও ইউরেনিয়াম-লেড রেডিওমেট্রিক পদ্ধতিতে এগুলোর বয়স নির্ধারণ করেন। খনিজের স্তরে থাকা পরিবর্তনের মাধ্যমে জানা গেছে, বর্ষার প্রবাহ ধীরে ধীরে কমেছে এবং প্লেইস্টোসিন যুগে তা আরও অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। উত্তর গোলার্ধে বরফের চাদর বিস্তৃত হওয়া এর একটি কারণ হতে পারে।
গবেষণার প্রধান লেখক মনিকা মার্কভস্কা বলেন, ‘আমাদের পাওয়া তথ্য প্রমাণ করে যে আরব উপদ্বীপ একসময় আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ার মধ্যে প্রাণীর আদান-প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।’
ইতিহাস বলছে, জলবায়ু আর্দ্র হলে মানুষের বিস্তার ঘটেছে, আর শুষ্কতার সময় তারা হয় নতুন ভূখণ্ডে সরে গেছে কিংবা বিলুপ্ত হয়েছে।
পেট্রাগ্লিয়া বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমরা আরব অঞ্চলে প্রাচীন হ্রদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান চিহ্নিত করে আসছি। ইতিহাস আমাদের শেখায়, জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে মানুষের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আজকের উষ্ণ পৃথিবীতে সেই শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা আরও বেড়ে গেছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
আফ্রিকার সাহারা থেকে শুরু করে ভারতের থার মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত সাহারা-আরব মরুভূমি অঞ্চলকে পৃথিবীর বৃহত্তম জীব ভৌগোলিক ‘বাধা’ হিসেবে ধরা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ বছর ধরে এই অঞ্চল এতটাই শুষ্ক যে, তা মানুষ ও প্রাণীর আফ্রিকা থেকে ইউরেশিয়ার দিকে অভিবাসনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এই ধারণায় ধাক্কা দিয়েছে কিছু জীবাশ্ম প্রমাণ। লেট মায়োসিন ও প্লেইস্টোসিন যুগের জীবাশ্ম প্রমাণ ইঙ্গিত দেয় যে, পর্যাপ্ত জলাধার ও পানির ওপর নির্ভরশীল প্রাণী যেমন: কুমির, জলহস্তী ও ঘোড়া এই অঞ্চলজুড়ে বিচরণ করেছে ৭৪ হাজার বছর আগেও।
এ তথ্য বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করে যে, এমন শুষ্ক ও রুক্ষ ভূখণ্ড একসময় কি সবুজ ও উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছিল।
সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গুহাগুলোতে খুঁজে পাওয়া গেছে খনিজের জমাট গঠন—স্পেলিওথেম। এগুলো সাধারণত গুহার ছাদ থেকে ঝুলে থাকা বরফের শিকের মতো দেখতে হয় এবং গুহার মাটিতেও গড়ে ওঠে। এই গঠন তখনই গড়ে ওঠে, যখন খনিজসহ মাটির নিচের পানি গুহায় চুঁইয়ে পড়ে।
এই স্পেলিওথেম থেকে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, গত ৮০ লাখ বছরে বহুবার আর্দ্রতার পালাবদল ঘটেছে আরবের এই অঞ্চলে। ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি জানাচ্ছে, ৭ দশমিক ৪৪ থেকে ৬ দশমিক ২৫ মিলিয়ন বছর আগে প্রথম আর্দ্র সময়কাল শুরু হয় এবং সর্বশেষ আর্দ্র সময়কাল ছিল ৫ লাখ ৩০ হাজার বছর থেকে ৬০ হাজার বছর আগে পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির হিউম্যান ইভোলিউশন গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ মাইকেল পেট্রাগলিয়া বলেন, ‘আমি তখন ভারতে কাজ করছিলাম এবং ভাবছিলাম আফ্রিকা থেকে মানব অভিবাসন সম্ভবত আরব-ভারত অঞ্চল দিয়েই ঘটেছে।’
সৌদি আরবের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন হেরিটেজ কমিশনের সহায়তায় পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্প থেকে জানা যাচ্ছে, জুব্বাহ ওয়েসিসসহ প্রায় ১০ হাজার প্রাচীন হ্রদের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে ৫ লাখ বছরের পুরোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে, আর্দ্র সময়ে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই অঞ্চল অতিক্রম করেছিলেন।
গবেষকেরা সাতটি গুহা থেকে ২২টি স্পেলিওথেম সংগ্রহ করেন। ইউরেনিয়াম-থোরিয়াম ও ইউরেনিয়াম-লেড রেডিওমেট্রিক পদ্ধতিতে এগুলোর বয়স নির্ধারণ করেন। খনিজের স্তরে থাকা পরিবর্তনের মাধ্যমে জানা গেছে, বর্ষার প্রবাহ ধীরে ধীরে কমেছে এবং প্লেইস্টোসিন যুগে তা আরও অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। উত্তর গোলার্ধে বরফের চাদর বিস্তৃত হওয়া এর একটি কারণ হতে পারে।
গবেষণার প্রধান লেখক মনিকা মার্কভস্কা বলেন, ‘আমাদের পাওয়া তথ্য প্রমাণ করে যে আরব উপদ্বীপ একসময় আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ার মধ্যে প্রাণীর আদান-প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।’
ইতিহাস বলছে, জলবায়ু আর্দ্র হলে মানুষের বিস্তার ঘটেছে, আর শুষ্কতার সময় তারা হয় নতুন ভূখণ্ডে সরে গেছে কিংবা বিলুপ্ত হয়েছে।
পেট্রাগ্লিয়া বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমরা আরব অঞ্চলে প্রাচীন হ্রদ ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান চিহ্নিত করে আসছি। ইতিহাস আমাদের শেখায়, জলবায়ু পরিবর্তন কীভাবে মানুষের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আজকের উষ্ণ পৃথিবীতে সেই শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা আরও বেড়ে গেছে।
প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে প্রাচীন মিশরে তৈরি একটি বুনন করা লিনেন পোশাক এখন বিশ্বের সর্বপ্রাচীন বুনন করা পোশাক জামা হিসেবে স্বীকৃত। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, ‘তারখান ড্রেস’ নামে পরিচিত এই পোশাকটি ৩৫০০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
২ দিন আগেপ্রতিবছর শীত এলেই বাংলাদেশের আকাশে দেখা মেলে হাজার হাজার অতিথি বা পরিযায়ী পাখির। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া কিংবা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে এসব পাখি উড়ে আসে দেশের হাওর-বাঁওড়, জলাশয় আর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। আবার গরম পড়লেই তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের নিজের ঠিকানায়।
৩ দিন আগেবরফের নিচ থেকে উঠে আসা রহস্যময় রেডিও তরঙ্গ ধরা পড়েছে অ্যান্টার্কটিকায় পরিচালিত এক গবেষণায়। আন্তর্জাতিক এক গবেষক দল অ্যান্টার্কটিকার আকাশে ওড়ানো এক বিশেষ ডিটেক্টরের মাধ্যমে এমন কিছু সংকেত পেয়েছেন, যা পদার্থবিদ্যার প্রচলিত নিয়মের সঙ্গে যায় না।
৩ দিন আগেপ্রথমবারের মতো সূর্যের দক্ষিণ মেরুর ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার (ইএসএ) সোলার অরবিটার মহাকাশযান। এই অসাধারণ ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে সূর্যের শান্ত অবস্থা থেকে তীব্র ঝড়ো রূপে রূপান্তর কীভাবে ঘটে, তা আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। এই গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সূর্যের তীব্র কার্যকলাপ কখনো
৭ দিন আগে