অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে একসঙ্গে শত শত ‘মাইক্রোস্যাটেলাইট’ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্টার্টআপ স্পিনলঞ্চ। এর জন্য তারা একধরনের বিশাল কামান ব্যবহার করবে। কামানটি স্যাটলাইটগুলো ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে দ্রুতগতিতে মহাকাশে পাঠাবে। প্যানকেকের মতো মহাকাশযানের প্রথম ব্যাচটি আগামী বছরের মধ্যেই মহাকাশে নিক্ষেপ করে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করতে পারে।
স্পিনলঞ্চ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এই ‘কামান’গুলো বায়ুশূন্য কক্ষে ঘূর্ণনশক্তি ব্যবহার করে স্যাটেলাইটগুলোকে মহাকাশে পাঠাবে। এ জন্য কামানগুলোর হাতগুলো দ্রুতগতিতে ঘুরবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন ‘মেরিডিয়ান স্পেস’ স্থাপন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। স্পেসএক্সের স্টারলিংক নেটওয়ার্কের তুলনায় এগুলো আরও সাশ্রয়ী হবে বলে দাবি করছে কোম্পানিটি।
গত ৩ এপ্রিল স্পিনলঞ্চ জানায়, স্টার্টআপটি কংসবের্গ ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস (কেডিএ) থেকে ১ কোটি ২০ লাখ ডলারেরও বেশি অর্থায়ন পেয়েছে, যার ফলে তাদের মোট অর্থায়ন ১৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। একই দিনে কেডিএর স্যাটেলাইট নির্মাণ অংশীদার ন্যানোঅ্যাভিওনিক্স জানায়, তারা ‘মেরিডিয়ান স্পেস’ কনস্টেলেশনের প্রথম ২৫০টি স্যাটেলাইট তৈরি করবে। এই স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হতে পারে আগামী ২০২৬ সালে।
এই স্যাটেলাইটগুলো হবে চ্যাপ্টা ডিস্ক আকারের। এগুলো একে অপরের ওপরে স্তূপ করে রাখা হবে, ঠিক যেমন একগুচ্ছ প্যানকেক স্তূপ করে রাখা হয়। প্রতিটি স্যাটেলাইটের প্রস্থ হবে প্রায় ২ দশমিক ২ মিটার এবং ওজন ৭০ কিলোগ্রাম, যা সাধারণ স্যাটেলাইটের তুলনায় অনেক হালকা। উদাহরণস্বরূপ, স্টারলিংকের বর্তমান স্যাটেলাইটগুলো ৮০০ কেজি বা তারও বেশি ওজনের।
যদি আগামী বছর সব স্যাটেলাইট সফলভাবে নিম্ন কক্ষপথে পৌঁছায়। তবে এটি একসঙ্গে উৎক্ষেপিত সবচেয়ে বেশি মহাকাশযানের রেকর্ড স্থাপন করবে। এই রেকর্ড বর্তমানে স্পেসএক্সের ট্রান্সপোর্টার-১ মিশনের রয়েছে, যা ২০২১ সালে ১৪৩টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল।
এদিকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ মেক্সিকো থেকে ১০টি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পিনলঞ্চের সাব-অরবিটাল অ্যাক্সিলারেটর। এই মেশিন একটি বায়ুশূন্য কক্ষে প্রতি ঘণ্টায় ৫ হাজার মাইল (৮ হাজার কিলোমিটার/ঘণ্টা) গতি অর্জন করে এবং প্রতিটি উৎক্ষেপণের জন্য প্রায় ৩০ মিনিট সময় নেয়।
আগামী বছর কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠানোর বিস্তারিত তথ্য এখনো সীমিত। তবে এই মিশন সম্ভবত পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর মতো একই মেশিন ব্যবহার করে সম্পন্ন হবে।
স্পিনলঞ্চের বিশেষ কামানের মাধ্যমে রকেটটির গতি প্রথমে অনেক বাড়লেও তা পুরোপুরি মহাকাশে পৌঁছাতে পারবে না। এরপরে রকেটটি সাব-অরবিটাল (পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে কিছুটা ওপরে) অবস্থানে পৌঁছাবে। এরপর রকেটটির নিজস্ব ইঞ্জিন চালু হবে, যা তার গতি আরও বাড়িয়ে নিম্ন কক্ষপথ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দেবে।
এই নতুন উৎক্ষেপণ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর খরচ অনেক কম। স্পিনলঞ্চের দাবি, তাদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের খরচ হবে প্রতি কিলোগ্রামে ১ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ ডলার, যা স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে প্রতি কিলোগ্রামের জন্য খরচ হয় ৬ হাজার ডলার।
এ ছাড়া, এই সিস্টেমে কোনো রাসায়নিক রকেট ব্যবহার করা হবে না। ফলে পরিবেশে কোনো গ্রিনহাউস গ্যাসও নির্গত হবে না। এর ফলে মহাকাশে পরিবেশের ওপর প্রভাবও কম হবে। এ ছাড়া, এই প্রযুক্তিতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য কোনো বুস্টার রকেটের প্রয়োজন হবে না, যা মহাকাশে জমা হওয়া ‘স্পেস জাংক’ (মহাকাশের আবর্জনা) কমাতে সাহায্য করবে এবং পৃথিবীতে হুট করে এসব রকেট আছড়ে পড়াও কমাবে।
স্পিনলঞ্চ ভবিষ্যতে ১ হাজার ২০০-রও বেশি স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে এবং তারা একটি নতুন ১০০ মিটার প্রশস্ত ‘অরবিটাল অ্যাক্সিলারেটর’ তৈরি করবে, যা এক দিনে পাঁচটি বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ করতে পারবে। তবে, এই উৎক্ষেপণ বাড়ানোর ফলে মহাকাশে আরও বেশি স্যাটেলাইটের উপস্থিতি এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়। সেই সঙ্গে মহাকাশে আলোকদূষণ ও রেডিও-সংকেত বাড়ানোর মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানী গবেষণায় ব্যাঘাত ঘটানোর আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে একসঙ্গে শত শত ‘মাইক্রোস্যাটেলাইট’ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক স্টার্টআপ স্পিনলঞ্চ। এর জন্য তারা একধরনের বিশাল কামান ব্যবহার করবে। কামানটি স্যাটলাইটগুলো ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে দ্রুতগতিতে মহাকাশে পাঠাবে। প্যানকেকের মতো মহাকাশযানের প্রথম ব্যাচটি আগামী বছরের মধ্যেই মহাকাশে নিক্ষেপ করে একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করতে পারে।
স্পিনলঞ্চ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর জন্য একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এই ‘কামান’গুলো বায়ুশূন্য কক্ষে ঘূর্ণনশক্তি ব্যবহার করে স্যাটেলাইটগুলোকে মহাকাশে পাঠাবে। এ জন্য কামানগুলোর হাতগুলো দ্রুতগতিতে ঘুরবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের স্যাটেলাইট কনস্টেলেশন ‘মেরিডিয়ান স্পেস’ স্থাপন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। স্পেসএক্সের স্টারলিংক নেটওয়ার্কের তুলনায় এগুলো আরও সাশ্রয়ী হবে বলে দাবি করছে কোম্পানিটি।
গত ৩ এপ্রিল স্পিনলঞ্চ জানায়, স্টার্টআপটি কংসবের্গ ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস (কেডিএ) থেকে ১ কোটি ২০ লাখ ডলারেরও বেশি অর্থায়ন পেয়েছে, যার ফলে তাদের মোট অর্থায়ন ১৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। একই দিনে কেডিএর স্যাটেলাইট নির্মাণ অংশীদার ন্যানোঅ্যাভিওনিক্স জানায়, তারা ‘মেরিডিয়ান স্পেস’ কনস্টেলেশনের প্রথম ২৫০টি স্যাটেলাইট তৈরি করবে। এই স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হতে পারে আগামী ২০২৬ সালে।
এই স্যাটেলাইটগুলো হবে চ্যাপ্টা ডিস্ক আকারের। এগুলো একে অপরের ওপরে স্তূপ করে রাখা হবে, ঠিক যেমন একগুচ্ছ প্যানকেক স্তূপ করে রাখা হয়। প্রতিটি স্যাটেলাইটের প্রস্থ হবে প্রায় ২ দশমিক ২ মিটার এবং ওজন ৭০ কিলোগ্রাম, যা সাধারণ স্যাটেলাইটের তুলনায় অনেক হালকা। উদাহরণস্বরূপ, স্টারলিংকের বর্তমান স্যাটেলাইটগুলো ৮০০ কেজি বা তারও বেশি ওজনের।
যদি আগামী বছর সব স্যাটেলাইট সফলভাবে নিম্ন কক্ষপথে পৌঁছায়। তবে এটি একসঙ্গে উৎক্ষেপিত সবচেয়ে বেশি মহাকাশযানের রেকর্ড স্থাপন করবে। এই রেকর্ড বর্তমানে স্পেসএক্সের ট্রান্সপোর্টার-১ মিশনের রয়েছে, যা ২০২১ সালে ১৪৩টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল।
এদিকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ মেক্সিকো থেকে ১০টি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে স্পিনলঞ্চের সাব-অরবিটাল অ্যাক্সিলারেটর। এই মেশিন একটি বায়ুশূন্য কক্ষে প্রতি ঘণ্টায় ৫ হাজার মাইল (৮ হাজার কিলোমিটার/ঘণ্টা) গতি অর্জন করে এবং প্রতিটি উৎক্ষেপণের জন্য প্রায় ৩০ মিনিট সময় নেয়।
আগামী বছর কক্ষপথে স্যাটেলাইট পাঠানোর বিস্তারিত তথ্য এখনো সীমিত। তবে এই মিশন সম্ভবত পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর মতো একই মেশিন ব্যবহার করে সম্পন্ন হবে।
স্পিনলঞ্চের বিশেষ কামানের মাধ্যমে রকেটটির গতি প্রথমে অনেক বাড়লেও তা পুরোপুরি মহাকাশে পৌঁছাতে পারবে না। এরপরে রকেটটি সাব-অরবিটাল (পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে কিছুটা ওপরে) অবস্থানে পৌঁছাবে। এরপর রকেটটির নিজস্ব ইঞ্জিন চালু হবে, যা তার গতি আরও বাড়িয়ে নিম্ন কক্ষপথ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দেবে।
এই নতুন উৎক্ষেপণ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর খরচ অনেক কম। স্পিনলঞ্চের দাবি, তাদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের খরচ হবে প্রতি কিলোগ্রামে ১ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ ডলার, যা স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে প্রতি কিলোগ্রামের জন্য খরচ হয় ৬ হাজার ডলার।
এ ছাড়া, এই সিস্টেমে কোনো রাসায়নিক রকেট ব্যবহার করা হবে না। ফলে পরিবেশে কোনো গ্রিনহাউস গ্যাসও নির্গত হবে না। এর ফলে মহাকাশে পরিবেশের ওপর প্রভাবও কম হবে। এ ছাড়া, এই প্রযুক্তিতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য কোনো বুস্টার রকেটের প্রয়োজন হবে না, যা মহাকাশে জমা হওয়া ‘স্পেস জাংক’ (মহাকাশের আবর্জনা) কমাতে সাহায্য করবে এবং পৃথিবীতে হুট করে এসব রকেট আছড়ে পড়াও কমাবে।
স্পিনলঞ্চ ভবিষ্যতে ১ হাজার ২০০-রও বেশি স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে এবং তারা একটি নতুন ১০০ মিটার প্রশস্ত ‘অরবিটাল অ্যাক্সিলারেটর’ তৈরি করবে, যা এক দিনে পাঁচটি বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ করতে পারবে। তবে, এই উৎক্ষেপণ বাড়ানোর ফলে মহাকাশে আরও বেশি স্যাটেলাইটের উপস্থিতি এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হয়। সেই সঙ্গে মহাকাশে আলোকদূষণ ও রেডিও-সংকেত বাড়ানোর মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানী গবেষণায় ব্যাঘাত ঘটানোর আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স
কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যায় বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছেন ইসরায়েলের এক দল গবেষক। তাঁরা প্রথমবারের মতো এমন এক নতুন ধরনের কোয়ান্টাম বিজড়নের (এনটেঙ্গলমেন্ট) সন্ধান পেয়েছেন। অত্যন্ত ক্ষুদ্রাকৃতির কাঠামোর মধ্যে আবদ্ধ ফোটনের (আলোক কণা) মোট কৌণিক ভরবেগের সীমার মধ্যেই এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
১৬ ঘণ্টা আগেউপাদানটি স্বচ্ছ পেপারবোর্ড সেলুলোজ থেকে তৈরি করা হয়েছে। এটি উদ্ভিদের কোষপ্রাচীরের মূল উপাদান। সেলোফেনের হলেও এর আগে এটিকে শক্ত করে তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তাই এটি শুধু খাদ্য প্যাকেজিংয়ের মতো কাজে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু লিথিয়াম ব্রোমাইড দ্রবণে সেলুলোজ প্রক্রিয়াজাত করলে কোনো কোগুল্যান্ট (জমাটকারী রাসায়
২ দিন আগেমহাকাশ ভ্রমণ রোমাঞ্চকর বলে মনে হলেও এটি বেশ চ্যালেঞ্জিং এক অভিযান। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ নভোচারীদের জন্য খাদ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে একাধিক কঠোর বিধি-নিষেধ রয়েছে, যা শুধুমাত্র স্বাদ বা বৈচিত্র্যের জন্য নয়, বরং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার খাতিরে গুরুত্বপূর্ণ।
৪ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ফ্যান্টাসি ড্রামা ‘গেম অব থ্রোনস’ এর মাধ্যমে জনপ্রিয় হয় নেকড়ের এক প্রজাতি—ডায়ার উলফস। প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে কলসাল বায়োসায়েন্সেস নামক এক বায়োটেক প্রতিষ্ঠান।
৬ দিন আগে