আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে পড়া দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্কের ফ্যালকন ৯ রকেট মহাকাশে পাঠিয়েছিল নাসা। এই রকেটে যুক্ত ছিল ড্রাগন ক্যাপসুল। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টা ৫৭ মিনিটে (জিএমটি ২১টা ৫৭ মিনিট) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলের কাছে সমুদ্রে অবতরণ করেছে ক্যাপসুলটি। দুই নভোচারীকে ফেরত আনতে যাওয়া স্পেসএক্সের ক্যাপসুলে আরও ছিলেন মার্কিন নভোচারী নিকোলাস হেগ ও রুশ নভোচারী আলেকসান্দ্র গর্বুনভ।
গত ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। বেশ কয়েকবার মহাকাশযানটি মেরামত করে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি।
আইএসএসে যাওয়ার সময় ড্রাগন ক্যাপসুলে ছিলেন ক্রু-১০-এর চারজন নভোচারী। তাঁরা হলেন নাসার নিকোল আয়ার্স ও অ্যান ম্যাকক্লেইন, রাশিয়ার রোসকসমস নভোচারী কিরিল পেসকভ এবং জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির তাকুয়া ওনিশি। গত ১৬ মার্চ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছান তাঁরা। নভোচারী অদলবদলের মাধ্যমে ক্রু-১০-এর ওই ফ্লাইটে করে ১৮ মার্চ ফেরার যাত্রা শুরু করেন সুনিতা ও বুচ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ফ্যালকন ৯ রকেট এবং ড্রাগন স্পেসক্রাফট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছিল স্পেসএক্স। রকেটের ক্ল্যাম্প আর্ম এবং লঞ্চ টাওয়ারের হাইড্রোলিক সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় দুটি মিশন শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়েছিল।
তৃতীয়বারের মতো সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী সফলভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং গত শুক্রবার ফ্যালকন ৯ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে এই জটিল ও দীর্ঘ মিশনে আসলে নাসার অনেক অর্থ খরচ হয়েছে।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট এবং মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে মহাকাশে যাওয়ার খরচ কিছুটা কমলেও মানবযাত্রীর কারণে এই খরচ অনেক বেড়ে যায়।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ২০২৪ সালে একটি ফ্যালকন ৯ উৎক্ষেপণে প্রায় ৬৯ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। তবে মানবযাত্রীসহ উৎক্ষেপণের জন্য গড়ে ১৪০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়।
এই খরচের মূল কারণ হলো ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুলের কারণে ফ্যালকন রকেটের মোট ভর বেড়ে যায়। এর ফলে অন্যান্য জিনিস নেওয়ার জন্য জায়গা কমে যায়। এ ছাড়া মহাকাশযানটি মানুষের নিরাপত্তা, আরাম ও সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন উপাদান নিতে হয়, যা খরচ বাড়িয়ে দেয়।
মানবযাত্রী থাকলে ফ্যালকন ৯ রকেট প্রায় ১৩ হাজার পাউন্ডের কিছু বেশি মালপত্র নিয়ে মহাকাশে যেতে পারে। তাই হিসাব করলে দেখা যায়, যখন মানববাহী কোনো মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন প্রতি পাউন্ড (প্রায় শূন্য দশমিক ৪৫ কিলোগ্রাম) ওজনের জন্য খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার ডলার।
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, রকেট উৎক্ষেপণের খরচ হয়তো কখনোই কমবে না; তবে ব্যক্তিগত এবং সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায়, উৎক্ষেপণগুলো এখন অনেক বেশি কার্যকরী এবং কম খরচে হয়েছে। যেমন পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট ব্যবহার করে একাধিক মিশন সফলভাবে শেষ করেছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স।
অপরদিকে, জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন ন্যু শেপার্ড, সাব-অরবিটাল ফ্লাইটের জন্য এবং ন্যু গ্লেন, অরবিটাল মিশনের জন্য দুটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট সিস্টেম তৈরি করেছে।
আরও খবর পড়ুন:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে পড়া দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্কের ফ্যালকন ৯ রকেট মহাকাশে পাঠিয়েছিল নাসা। এই রকেটে যুক্ত ছিল ড্রাগন ক্যাপসুল। আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৩টা ৫৭ মিনিটে (জিএমটি ২১টা ৫৭ মিনিট) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার উপকূলের কাছে সমুদ্রে অবতরণ করেছে ক্যাপসুলটি। দুই নভোচারীকে ফেরত আনতে যাওয়া স্পেসএক্সের ক্যাপসুলে আরও ছিলেন মার্কিন নভোচারী নিকোলাস হেগ ও রুশ নভোচারী আলেকসান্দ্র গর্বুনভ।
গত ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। বেশ কয়েকবার মহাকাশযানটি মেরামত করে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি।
আইএসএসে যাওয়ার সময় ড্রাগন ক্যাপসুলে ছিলেন ক্রু-১০-এর চারজন নভোচারী। তাঁরা হলেন নাসার নিকোল আয়ার্স ও অ্যান ম্যাকক্লেইন, রাশিয়ার রোসকসমস নভোচারী কিরিল পেসকভ এবং জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির তাকুয়া ওনিশি। গত ১৬ মার্চ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছান তাঁরা। নভোচারী অদলবদলের মাধ্যমে ক্রু-১০-এর ওই ফ্লাইটে করে ১৮ মার্চ ফেরার যাত্রা শুরু করেন সুনিতা ও বুচ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ফ্যালকন ৯ রকেট এবং ড্রাগন স্পেসক্রাফট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছিল স্পেসএক্স। রকেটের ক্ল্যাম্প আর্ম এবং লঞ্চ টাওয়ারের হাইড্রোলিক সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় দুটি মিশন শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়েছিল।
তৃতীয়বারের মতো সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী সফলভাবে বাস্তবায়িত হয় এবং গত শুক্রবার ফ্যালকন ৯ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে এই জটিল ও দীর্ঘ মিশনে আসলে নাসার অনেক অর্থ খরচ হয়েছে।
পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট এবং মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে মহাকাশে যাওয়ার খরচ কিছুটা কমলেও মানবযাত্রীর কারণে এই খরচ অনেক বেড়ে যায়।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ২০২৪ সালে একটি ফ্যালকন ৯ উৎক্ষেপণে প্রায় ৬৯ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। তবে মানবযাত্রীসহ উৎক্ষেপণের জন্য গড়ে ১৪০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়।
এই খরচের মূল কারণ হলো ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। এই ক্যাপসুলের কারণে ফ্যালকন রকেটের মোট ভর বেড়ে যায়। এর ফলে অন্যান্য জিনিস নেওয়ার জন্য জায়গা কমে যায়। এ ছাড়া মহাকাশযানটি মানুষের নিরাপত্তা, আরাম ও সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য বিভিন্ন উপাদান নিতে হয়, যা খরচ বাড়িয়ে দেয়।
মানবযাত্রী থাকলে ফ্যালকন ৯ রকেট প্রায় ১৩ হাজার পাউন্ডের কিছু বেশি মালপত্র নিয়ে মহাকাশে যেতে পারে। তাই হিসাব করলে দেখা যায়, যখন মানববাহী কোনো মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন প্রতি পাউন্ড (প্রায় শূন্য দশমিক ৪৫ কিলোগ্রাম) ওজনের জন্য খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার ডলার।
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, রকেট উৎক্ষেপণের খরচ হয়তো কখনোই কমবে না; তবে ব্যক্তিগত এবং সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টায়, উৎক্ষেপণগুলো এখন অনেক বেশি কার্যকরী এবং কম খরচে হয়েছে। যেমন পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট ব্যবহার করে একাধিক মিশন সফলভাবে শেষ করেছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স।
অপরদিকে, জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন ন্যু শেপার্ড, সাব-অরবিটাল ফ্লাইটের জন্য এবং ন্যু গ্লেন, অরবিটাল মিশনের জন্য দুটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট সিস্টেম তৈরি করেছে।
আরও খবর পড়ুন:
মহাবিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ‘ব্ল্যাক হোল’ আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শক্তিশালী জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে তারা জানান, এমন একটি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যার জন্ম হতে পারে বিগ ব্যাংয়ের মাত্র এক সেকেন্ডেরও কম সময় পরে
১ দিন আগেঢাকার সময় অনুযায়ী, আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে অত্যন্ত বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের ‘পেনুম্ব্রাল’ বা সূক্ষ্ম ছায়া পর্ব। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ শুরু হবে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই গ্রহণ দেখা যাচ্ছে।
৩ দিন আগেপ্রায় দুই শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হয়ে আসছে যে, বরফের ওপর চাপ বা ঘর্ষণের ফলে তার পৃষ্ঠে একটি পাতলা তরল স্তর তৈরি হয়, আর এই তরল স্তরই বরফকে পিচ্ছিল করে তোলে। শীতপ্রধান দেশে বরফে ঢাকা ফুটপাতে হাঁটার সময় হঠাৎ পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা তাই অনেকেই এভাবে ব্যাখ্যা করতেন।
৩ দিন আগেপ্রকৃতি আবার সাজিয়েছে এক মায়াবী আয়োজন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও ফিরে আসছে ‘ব্লাড মুন’। অর্থাৎ চাঁদ রূপ বদলে হয়ে উঠবে লাল। এই রক্তিম আভা রাতের আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। আর বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখতে পাবে এই দুর্লভ চন্দ্রগ্রহণ।
৪ দিন আগে