প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। গায়ে গরম কাপড় জড়াতে শুরু করেছে অনেকই। তবে শীত নিয়ে একটি প্রচলিত ধারণা হলো—পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি ঠান্ডা লাগে। তবে কথাটা বৈজ্ঞানিকভাবে কতটুকু সত্য তা জানতে চলতি বছরে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা।
এই গবেষণার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ)-এর গবেষকদের চমকে দিয়েছে। কারণ এতে ঠান্ডা ঘরে পুরুষ এবং নারীদের শীতের অনুভূতিতে মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পাওয়া যায়নি। শারীরিক প্রতিক্রিয়াতেও খুবই কম লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষার জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রুমে টানা পাঁচ ঘণ্টা ২৮ জন পুরুষ ও নারীর একটি দলকে রাখা হয়। তাদের শার্ট, শর্টস বা স্কার্ট এবং মোজা পরতে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক অবস্থা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হয়। ঘরটির তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরিবর্তন করা হচ্ছিল, বিভিন্ন তাপমাত্রায় তারা কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন সে সম্পর্কে জরিপ করতের গবেষকেরা।
ঠান্ডা ঘরে গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীদের শরীরের তাপমাত্রা পুরুষদের তুলনায় সামান্য বেশি ছিল। অংশগ্রহণকারীদের গ্লুকোজ গ্রহণ, পেশির বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ, ত্বকের তাপমাত্রা, বা ঠান্ডায় সৃষ্ট তাপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
নারী অংশগ্রহণকারীরা শারীরিকভাবে পুরুষদের তুলনায় ছোট ছিল এবং নারীদের শরীর সামগ্রিকভাবে কম তাপ উৎপন্ন করছিল। তবে নারীদের তুলনামূলকভাবে বেশি চর্বি থাকায় শরীর ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছিল।
গবেষকেরা বলেন, নারীদের স্বাচ্ছন্দ্য থাকার জন্য প্রায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন, যা পুরুষদের জন্য গড় তাপমাত্রার থেকে এক ডিগ্রি কম। এর মাধ্যমে বোঝায় যায়, তাপমাত্রা কমলে নারীদের শরীর পুরুষদের মতো দ্রুত তাপ তৈরি করে না। যার ফলে নারীরা একটু বেশি ঠান্ডা সহ্য করতে পারে।
তবে এই লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্যটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি নারীদের খুব বেশি সুবিধা দেয় না। তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলে শরীরে কাঁপুনি দেওয়া বা ঘরে স্বাচ্ছন্দ্য বা অস্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করার ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
আগে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন যে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় তাপমাত্রায় দ্রুত ঠান্ডা অনুভব করেন। কারণ তাদের শরীর কম তাপ তৈরি করে, বেশি তাপ হারায় বা তাপের প্রয়োজন বেশি হয়। কিন্তু সম্প্রতি পাওয়া ফলাফলগুলো দেখাচ্ছে যে, এই ধারণাগুলোর আসলে সঠিক নয়।
তবে এই ছোট গবেষণাটি এই বিতর্ক শেষ করবে না। তাই আরও পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণার প্রয়োজন।
আজ পর্যন্ত খুব কম গবেষণায় লিঙ্গভিত্তিক শারীরিক তাপমাত্রার পার্থক্যগুলো গুরুত্বসহকারে পরীক্ষা করা হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে মানব শারীরবিজ্ঞান এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষের শরীর নিয়ে বেশি গবেষণা করা হয়েছে। নারী–পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে একই জ্ঞান প্রযোজ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
এই ধরনের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উপেক্ষা করে। যেমন: তাপমাত্রার পরিবর্তনে ব্যক্তি কেমন অনুভব করে, তা প্রভাবিত করতে পারে হরমোনের পরিবর্তন এবং ওষুধ।
গবেষণাটি ‘দ্য প্রোসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’–এ (পিএনএএস) প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। গায়ে গরম কাপড় জড়াতে শুরু করেছে অনেকই। তবে শীত নিয়ে একটি প্রচলিত ধারণা হলো—পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি ঠান্ডা লাগে। তবে কথাটা বৈজ্ঞানিকভাবে কতটুকু সত্য তা জানতে চলতি বছরে একটি গবেষণা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা।
এই গবেষণার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ)-এর গবেষকদের চমকে দিয়েছে। কারণ এতে ঠান্ডা ঘরে পুরুষ এবং নারীদের শীতের অনুভূতিতে মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য পার্থক্য পাওয়া যায়নি। শারীরিক প্রতিক্রিয়াতেও খুবই কম লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষার জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রুমে টানা পাঁচ ঘণ্টা ২৮ জন পুরুষ ও নারীর একটি দলকে রাখা হয়। তাদের শার্ট, শর্টস বা স্কার্ট এবং মোজা পরতে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক অবস্থা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হয়। ঘরটির তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পরিবর্তন করা হচ্ছিল, বিভিন্ন তাপমাত্রায় তারা কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন সে সম্পর্কে জরিপ করতের গবেষকেরা।
ঠান্ডা ঘরে গবেষণায় অংশ নেওয়া নারীদের শরীরের তাপমাত্রা পুরুষদের তুলনায় সামান্য বেশি ছিল। অংশগ্রহণকারীদের গ্লুকোজ গ্রহণ, পেশির বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ, ত্বকের তাপমাত্রা, বা ঠান্ডায় সৃষ্ট তাপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
নারী অংশগ্রহণকারীরা শারীরিকভাবে পুরুষদের তুলনায় ছোট ছিল এবং নারীদের শরীর সামগ্রিকভাবে কম তাপ উৎপন্ন করছিল। তবে নারীদের তুলনামূলকভাবে বেশি চর্বি থাকায় শরীর ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছিল।
গবেষকেরা বলেন, নারীদের স্বাচ্ছন্দ্য থাকার জন্য প্রায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন, যা পুরুষদের জন্য গড় তাপমাত্রার থেকে এক ডিগ্রি কম। এর মাধ্যমে বোঝায় যায়, তাপমাত্রা কমলে নারীদের শরীর পুরুষদের মতো দ্রুত তাপ তৈরি করে না। যার ফলে নারীরা একটু বেশি ঠান্ডা সহ্য করতে পারে।
তবে এই লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্যটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি নারীদের খুব বেশি সুবিধা দেয় না। তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেলে শরীরে কাঁপুনি দেওয়া বা ঘরে স্বাচ্ছন্দ্য বা অস্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করার ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি।
আগে বিজ্ঞানীরা মনে করতেন যে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় তাপমাত্রায় দ্রুত ঠান্ডা অনুভব করেন। কারণ তাদের শরীর কম তাপ তৈরি করে, বেশি তাপ হারায় বা তাপের প্রয়োজন বেশি হয়। কিন্তু সম্প্রতি পাওয়া ফলাফলগুলো দেখাচ্ছে যে, এই ধারণাগুলোর আসলে সঠিক নয়।
তবে এই ছোট গবেষণাটি এই বিতর্ক শেষ করবে না। তাই আরও পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণার প্রয়োজন।
আজ পর্যন্ত খুব কম গবেষণায় লিঙ্গভিত্তিক শারীরিক তাপমাত্রার পার্থক্যগুলো গুরুত্বসহকারে পরীক্ষা করা হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে মানব শারীরবিজ্ঞান এর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষের শরীর নিয়ে বেশি গবেষণা করা হয়েছে। নারী–পুরুষের উভয়ের ক্ষেত্রে একই জ্ঞান প্রযোজ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
এই ধরনের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উপেক্ষা করে। যেমন: তাপমাত্রার পরিবর্তনে ব্যক্তি কেমন অনুভব করে, তা প্রভাবিত করতে পারে হরমোনের পরিবর্তন এবং ওষুধ।
গবেষণাটি ‘দ্য প্রোসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’–এ (পিএনএএস) প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
আইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
১৩ ঘণ্টা আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
২ দিন আগেপৃথিবী ছাড়া মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিগত কয়েক দশক ধরে গবেষণা পরিচালনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার সেই উত্তরের খোঁজে আরেক ধাপ এগোল মানবজাতি। নাসার জ্যোতির্বিদরা দাবি করেছেন, পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে ‘কে২–১৮ বি’ নামের একটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলে...
২ দিন আগে