Ajker Patrika

মঙ্গলে ছিল বিশাল সমুদ্র, আবহাওয়া ছিল উষ্ণ

মঙ্গলে ছিল বিশাল সমুদ্র, আবহাওয়া ছিল উষ্ণ

মঙ্গলগ্রহে এককালে পানির অস্তিত্ব ছিল—এর স্বপক্ষে একাধিক প্রমাণ হাজির করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার আস্ত এক সমুদ্রের প্রমাণ দিলেন পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। 

গবেষকেরা সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠের কিছু মানচিত্র প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে হওয়া মঙ্গল গবেষণায় এ আবিষ্কার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। 

মানচিত্রগুলোতে বহু বছর আগে মঙ্গলের বুকে সমুদ্রের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ রয়েছে। তাই এখন এটি বলা যেতেই পারে যে, মঙ্গলে একসময় ছিল স্থির সমুদ্রপৃষ্ঠ; জলবায়ু ছিল উষ্ণ এবং আর্দ্র। যা এখনকার জলবায়ুর থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। মঙ্গলের জলবায়ু এখন বেশ রুক্ষ এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা। মঙ্গলের তাপমাত্রা আনুমানিক মাইনাস ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

সাম্প্রতিক গবেষণার প্রধান লেখক পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির জিওসায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক বেঞ্জামিন কার্ডেনাস বলেন, ‘একসময় সমুদ্রের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ মঙ্গলে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা নিয়েও বিজ্ঞানীদের ভাবতে বাধ্য করছে। সেই সঙ্গে এই গ্রহের প্রাচীন জলবায়ু এবং এর বিবর্তন সম্বন্ধেও আমাদের অনেকটুকু ধারণা দেয়। এসব ফলাফল দিয়ে বোঝা যায়, একসময় মঙ্গলের আবহাওয়া ছিল যথেষ্ট উষ্ণ এবং বিস্তৃত যা পানির অস্তিত্বকে অনুকূলে রাখত। 

মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধের নিচু অংশে সমুদ্র ছিল কি না তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মাঝে রয়েছে পক্ষ বিপক্ষে নানা মত। তবে গবেষক দলটি মঙ্গলের টপোগ্রাফির উপাত্তের মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ কোটি বছর পুরোনো উপকূলরেখা এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পলি দেখাতে সক্ষম হয়েছে। পুরোটি প্রায় ৯০০ মিটার পুরু এবং হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। 

নাসা এবং মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করা নাসার যন্ত্র লেজার অল্টিমিটারের উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকেরা। এ ছাড়া গবেষক দলটি মানচিত্রগুলো তৈরি করেছে ‘ইউনাইটেড জিওলজিক্যাল সার্ভে’–এর বানানো সফটওয়্যার দিয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত