ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ডহ্যাম অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট জেনারেল হাসপাতালে এক ইতিহাস রচিত হয় আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই। এদিন জন্ম নেয় বিশ্বের প্রথম টেস্টটিউব শিশু লুইস জয় ব্রাউন। তাঁর মায়ের নাম লেসলি ব্রাউন এবং বাবার নাম পিটার ব্রাউন। মধ্যরাতের একটু আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবান শিশুটির জন্ম নেয়। তার ওজন ছিল পাঁচ পাউন্ড ১২ আউন্স। লুইসের জন্মকে বিবেচনা করা হয় বিংশ শতকের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অসাধারণ এক সাফল্য হিসেবে।
লুইস ব্রাউনের জন্মের আগে কয়েক বছর ধরে শারীরিক কিছু জটিলতার কারণে বন্ধ্যত্বে ভুগছিলেন লেসলি ব্রাউন। ১৯৭৭ সালে ওই সময়কার পরীক্ষামূলক ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। তাঁর একটি ডিম্বাশয় থেকে একটি পরিপক্ব ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়। তারপর গবেষণাগারে স্বামী পিটারের শুক্রাণুর সঙ্গে যুক্ত করে তৈরি করা হয় একটি ভ্রূণের। কয়েক দিন পর এটি লেসলির জরায়ুতে স্থাপন করা হয়।
লেসলির আইভিএফ চিকিৎসক, ব্রিটিশ গাইনিকোলজিস্ট পেট্রিক স্টেপটো ও বিজ্ঞানী রবার্ট এডওয়ার্ডস এক দশক আগে এটি নিয়ে কাজের সূচনা করেন। সংবাদমাধ্যমে যখন লেসলির সন্তান ধারণের খবরটি ছড়িয়ে পড়ল তখন ব্রাউনদের ঘিরে বিপুল আগ্রহ তৈরি হলো। শেষ পর্যন্ত ১৯৭৮ সালের জুলাইয়ে লুইসের জন্ম সংবাদপত্রের শিরোনাম হয় বিশ্বজুড়ে। একই সঙ্গে এই টেস্টটিউব শিশুর জন্ম ওই সময় বেশ কিছু আইনগত ও নৈতিক বিভিন্ন প্রশ্নের সূচনা করে।
কয়েক বছর পর ব্রাউনদের আরেকটি মেয়ে হয়। নাতালিয়ে জন্মও আইভিএফ পদ্ধতিতে। ১৯৯৯ সালের মেতে প্রথম টেস্টটিউব শিশু হিসেবে সন্তানের জন্ম দেন নাতালিয়ে। শিশুটি জন্ম নেয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়। এর আগে অনেকের মধ্যে সন্দেহ ছিল নারী টেস্টটিউব শিশুরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান জন্ম দিতে পারবে না। নাতালিয়ের এই সন্তান জন্মদান সেই ধারণাটিকে ভুল প্রমাণিত করে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে লুইস ব্রাউন নিজেও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্যামেরন জন মুলিন্ডার নামে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
বর্তমানে সব ধরনের বিতর্ক পেরিয়ে বন্ধ্যত্ব মোকাবিলায় একটি জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি আইভিএফ। অসংখ্য শিশুর জন্ম হচ্ছে এখন এই পদ্ধতিতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনকি দান করা ডিম্বাণু বা শুক্রাণুও ব্যবহার হচ্ছে। তবে এই যুগান্তকারীর প্রক্রিয়ার সূচনা নিঃসন্দেহে লুইস ব্রাউনের জন্মের মধ্য দিয়ে।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ডহ্যাম অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট জেনারেল হাসপাতালে এক ইতিহাস রচিত হয় আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯৭৮ সালের ২৫ জুলাই। এদিন জন্ম নেয় বিশ্বের প্রথম টেস্টটিউব শিশু লুইস জয় ব্রাউন। তাঁর মায়ের নাম লেসলি ব্রাউন এবং বাবার নাম পিটার ব্রাউন। মধ্যরাতের একটু আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবান শিশুটির জন্ম নেয়। তার ওজন ছিল পাঁচ পাউন্ড ১২ আউন্স। লুইসের জন্মকে বিবেচনা করা হয় বিংশ শতকের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অসাধারণ এক সাফল্য হিসেবে।
লুইস ব্রাউনের জন্মের আগে কয়েক বছর ধরে শারীরিক কিছু জটিলতার কারণে বন্ধ্যত্বে ভুগছিলেন লেসলি ব্রাউন। ১৯৭৭ সালে ওই সময়কার পরীক্ষামূলক ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। তাঁর একটি ডিম্বাশয় থেকে একটি পরিপক্ব ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়। তারপর গবেষণাগারে স্বামী পিটারের শুক্রাণুর সঙ্গে যুক্ত করে তৈরি করা হয় একটি ভ্রূণের। কয়েক দিন পর এটি লেসলির জরায়ুতে স্থাপন করা হয়।
লেসলির আইভিএফ চিকিৎসক, ব্রিটিশ গাইনিকোলজিস্ট পেট্রিক স্টেপটো ও বিজ্ঞানী রবার্ট এডওয়ার্ডস এক দশক আগে এটি নিয়ে কাজের সূচনা করেন। সংবাদমাধ্যমে যখন লেসলির সন্তান ধারণের খবরটি ছড়িয়ে পড়ল তখন ব্রাউনদের ঘিরে বিপুল আগ্রহ তৈরি হলো। শেষ পর্যন্ত ১৯৭৮ সালের জুলাইয়ে লুইসের জন্ম সংবাদপত্রের শিরোনাম হয় বিশ্বজুড়ে। একই সঙ্গে এই টেস্টটিউব শিশুর জন্ম ওই সময় বেশ কিছু আইনগত ও নৈতিক বিভিন্ন প্রশ্নের সূচনা করে।
কয়েক বছর পর ব্রাউনদের আরেকটি মেয়ে হয়। নাতালিয়ে জন্মও আইভিএফ পদ্ধতিতে। ১৯৯৯ সালের মেতে প্রথম টেস্টটিউব শিশু হিসেবে সন্তানের জন্ম দেন নাতালিয়ে। শিশুটি জন্ম নেয় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়। এর আগে অনেকের মধ্যে সন্দেহ ছিল নারী টেস্টটিউব শিশুরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান জন্ম দিতে পারবে না। নাতালিয়ের এই সন্তান জন্মদান সেই ধারণাটিকে ভুল প্রমাণিত করে। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে লুইস ব্রাউন নিজেও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ক্যামেরন জন মুলিন্ডার নামে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
বর্তমানে সব ধরনের বিতর্ক পেরিয়ে বন্ধ্যত্ব মোকাবিলায় একটি জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি আইভিএফ। অসংখ্য শিশুর জন্ম হচ্ছে এখন এই পদ্ধতিতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনকি দান করা ডিম্বাণু বা শুক্রাণুও ব্যবহার হচ্ছে। তবে এই যুগান্তকারীর প্রক্রিয়ার সূচনা নিঃসন্দেহে লুইস ব্রাউনের জন্মের মধ্য দিয়ে।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম
মাইক্রোপ্লাস্টিকে থাকা রাসায়নিক পদার্থ জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক বিষ হয়ে দাঁড়ায়। এসব মাছ মানুষও খায়। ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক ঢুকে যেতে পারে মানবদেহেও। গবেষণায় দেখা গেছে, টায়ার থেকে সৃষ্ট এসব কণার ভেতরে থাকা ‘৬ পিপিডি-কিউ’ এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মাছের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের
২৪ মিনিট আগেমহাকাশ গবেষণায় এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরির মাধ্যমে তাঁরা একটি বিরল ধরণের ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন, যা হতে পারে বহুদিন খোঁজে থাকা ‘মধ্যম-ভরবিশিষ্ট ব্ল্যাক হোল’ (Intermediate-Mass Black Hole)। এই ব্ল্যাক হোলকে একটি নক
৬ ঘণ্টা আগেআকাশপ্রেমীদের জন্য দারুণ এক সন্ধ্যা অপেক্ষা করছে ২৮ জুলাই সোমবার। এদিন সূর্যাস্তের প্রায় ৪৫ মিনিট পর পশ্চিম আকাশে দেখা মিলবে চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের অসাধারণ সংযোগের। একে বলা হচ্ছে গ্রীষ্মের সবচেয়ে সুন্দর রাত—কারণ একই রাতে আকাশে দেখা যাবে একাধিক উল্কাবৃষ্টি।
১ দিন আগেপ্রায় সাড়ে ৮ লাখ বছর আগে একটি ছোট শিশুকে কেটে হত্যা ও ভক্ষণ করা হয়েছিল। স্পেনের উত্তরে আতাপুয়েরকা অঞ্চলের গ্রান দোলিনা গুহায় পাওয়া শিশুর একটি গলার হাড়ে কাটা দাগের বিশ্লেষণ করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন গবেষকেরা।
১ দিন আগে