অনলাইন ডেস্ক
মানুষ, শিম্পাঞ্জি, বনবোর মতো প্রাণীদের বাচ্চাদের কান্নায় প্রতিক্রিয়া দেখায় নাইল ক্রোকোডাইল বা নীল নদের কুমিরেরা। শুধু তাই নয় শিশুদের কান্না থেকে তারা দুঃখ বা কষ্টের মাত্রাও আলাদা করতে পারে বলে জানা গেছে নতুন গবেষণায়।
কুমিরদের এ প্রতিক্রিয়াটি শিকারি সুলভ হতে পারে। একই সঙ্গে আবার স্ত্রী কুমিরদের মাতৃসুলভ প্রবৃত্তির পরিচয়ও হতে পারে। শিশুদের কান্নার শব্দে কুমিরদের আলোড়িত হওয়ার বিষয়টি নতুন গবেষণায় ওঠে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন গণমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার।
রয়্যাল সোসাইটির জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রধান গবেষণা জার্নাল রয়্যাল সোসাইটি বিতে প্রকাশিত গবেষণা পত্রটিতে উঠে এসেছে চমকপ্রদ এই তথ্য। এতে বলা হয় বনাবো, শিম্পাঞ্জি এমনকি মানব শিশুদের কান্নায় প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা গেছে নাইল ক্রোকোডাইল বা নীল নদের কুমিরদের। শুধু তাই নয় দুঃখ বা কষ্টের মাত্রাটিও তারা অনুভব করতে পারে।
গবেষকেরা কুমিরদের সামনে শিশুদের কান্নার শব্দের রেকর্ডিং বাজান। তারপরই তাঁরা আবিষ্কার করেন যেসব কান্নার শব্দে দুঃখের মাত্রা বেশি সেগুলোর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে এই সরীসৃপেরা।
কুমিরদের এ প্রতিক্রিয়া শিকারি প্রাণীর স্বাভাবিক আচরণ হতে পারে। তবে গবেষকেরা বলছেন স্ত্রী কুমিরদের মাতৃত্বের সহজাত প্রবৃত্তিও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার ভালো সম্ভাবনা আছে।
মরক্কোর আগাদিরের ক্রোকপার্কের ৩০০-র মতো কুমিরকে লাউডস্পিকারে এ কান্না শোনানো হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডেপেনডেন্ট। ওই সময় কুমিরদের অনেকগুলোকেই দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায়। বাচ্চাদের কান্না কিংবা কষ্টের মাত্রা যত বেশি ছিল, কুমিরগুলোকেও তত বেশি সাড়া দিতে দেখা যায়।
‘আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটা প্রমাণ হয় না যে, কুমিরদের দুঃখ-কষ্ট ছাড়া অন্য কোনো সংকেত প্রভাবিত করে না। এরা আসলে সুযোগ সন্ধানী শিকারি।’
‘কোনো কোনো কুমিরের বেলায় মা-বাবার স্বাভাবিক প্রবৃত্তির অংশ হিসেবে এমন প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।’ গবেষকেরা যোগ করেন।
গবেষকেরা অন্য একটি গবেষণার সঙ্গে তাঁদের গবেষণার ফলাফলের তুলনা করেন। ওই গবেষণায় এক দল মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয় একই ধরনের কান্নার শব্দ। এতে ওঠে আসে অন্য প্রজাতির প্রাণীর দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি বা যাচাইয়ে মানুষ ও কুমির ভিন্ন পদ্ধতি বা মানদণ্ড ব্যবহার করে। এতে মানুষের পদ্ধতিটি কম নিখুঁত মনে হয়েছে তাঁদের কাছে। মানুষেরা প্রাথমিকভাবে কান্নার মাত্রা অনুসারে সাড়া দিয়েছে। তবে কুমিরেরা প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় পারিপার্শ্বিক আরও অনেক বিষয়কে বিবেচনায় আনে।
গবেষকেরা জানান, কুমিরেরা তাদের সঙ্গে অনেক দূরবর্তী সম্পর্কের প্রাণীদের দুঃখের মাত্রাও শনাক্ত করতে পারে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের দেওয়া তথ্যে জানা যায় নাইল ক্রোকোডাইল বা নীল নদের কুমিরেরা লম্বায় ২০ ফুট ও ওজনে ১ হাজার ৬৫০ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। আফ্রিকার সাব-সাহারান অঞ্চল ও মাদাগাস্কারের নদী, জলাভূমি ও ম্যানগ্রোভ গাছবেষ্টিত জলা এলাকায় এদের দেখা মেলে বলে একই সূত্রে জানা যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক আরও জানায়, নাইল ক্রোকোডাইল বা কুমিরেরা সাধারণত মানব বসতির আশপাশে থাকে। এ করণে মানুষের সঙ্গে প্রায়ই সংঘাত বাঁধে তাদের। অনুমান করা হয় নাইল ক্রোকোডাইলের হাতে প্রতি বছর শ দুয়েক মানুষের মৃত্যু হয়।
মানুষ, শিম্পাঞ্জি, বনবোর মতো প্রাণীদের বাচ্চাদের কান্নায় প্রতিক্রিয়া দেখায় নাইল ক্রোকোডাইল বা নীল নদের কুমিরেরা। শুধু তাই নয় শিশুদের কান্না থেকে তারা দুঃখ বা কষ্টের মাত্রাও আলাদা করতে পারে বলে জানা গেছে নতুন গবেষণায়।
কুমিরদের এ প্রতিক্রিয়াটি শিকারি সুলভ হতে পারে। একই সঙ্গে আবার স্ত্রী কুমিরদের মাতৃসুলভ প্রবৃত্তির পরিচয়ও হতে পারে। শিশুদের কান্নার শব্দে কুমিরদের আলোড়িত হওয়ার বিষয়টি নতুন গবেষণায় ওঠে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন গণমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার।
রয়্যাল সোসাইটির জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত প্রধান গবেষণা জার্নাল রয়্যাল সোসাইটি বিতে প্রকাশিত গবেষণা পত্রটিতে উঠে এসেছে চমকপ্রদ এই তথ্য। এতে বলা হয় বনাবো, শিম্পাঞ্জি এমনকি মানব শিশুদের কান্নায় প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা গেছে নাইল ক্রোকোডাইল বা নীল নদের কুমিরদের। শুধু তাই নয় দুঃখ বা কষ্টের মাত্রাটিও তারা অনুভব করতে পারে।
গবেষকেরা কুমিরদের সামনে শিশুদের কান্নার শব্দের রেকর্ডিং বাজান। তারপরই তাঁরা আবিষ্কার করেন যেসব কান্নার শব্দে দুঃখের মাত্রা বেশি সেগুলোর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে এই সরীসৃপেরা।
কুমিরদের এ প্রতিক্রিয়া শিকারি প্রাণীর স্বাভাবিক আচরণ হতে পারে। তবে গবেষকেরা বলছেন স্ত্রী কুমিরদের মাতৃত্বের সহজাত প্রবৃত্তিও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার ভালো সম্ভাবনা আছে।
মরক্কোর আগাদিরের ক্রোকপার্কের ৩০০-র মতো কুমিরকে লাউডস্পিকারে এ কান্না শোনানো হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডেপেনডেন্ট। ওই সময় কুমিরদের অনেকগুলোকেই দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায়। বাচ্চাদের কান্না কিংবা কষ্টের মাত্রা যত বেশি ছিল, কুমিরগুলোকেও তত বেশি সাড়া দিতে দেখা যায়।
‘আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এটা প্রমাণ হয় না যে, কুমিরদের দুঃখ-কষ্ট ছাড়া অন্য কোনো সংকেত প্রভাবিত করে না। এরা আসলে সুযোগ সন্ধানী শিকারি।’
‘কোনো কোনো কুমিরের বেলায় মা-বাবার স্বাভাবিক প্রবৃত্তির অংশ হিসেবে এমন প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।’ গবেষকেরা যোগ করেন।
গবেষকেরা অন্য একটি গবেষণার সঙ্গে তাঁদের গবেষণার ফলাফলের তুলনা করেন। ওই গবেষণায় এক দল মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয় একই ধরনের কান্নার শব্দ। এতে ওঠে আসে অন্য প্রজাতির প্রাণীর দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি বা যাচাইয়ে মানুষ ও কুমির ভিন্ন পদ্ধতি বা মানদণ্ড ব্যবহার করে। এতে মানুষের পদ্ধতিটি কম নিখুঁত মনে হয়েছে তাঁদের কাছে। মানুষেরা প্রাথমিকভাবে কান্নার মাত্রা অনুসারে সাড়া দিয়েছে। তবে কুমিরেরা প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় পারিপার্শ্বিক আরও অনেক বিষয়কে বিবেচনায় আনে।
গবেষকেরা জানান, কুমিরেরা তাদের সঙ্গে অনেক দূরবর্তী সম্পর্কের প্রাণীদের দুঃখের মাত্রাও শনাক্ত করতে পারে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের দেওয়া তথ্যে জানা যায় নাইল ক্রোকোডাইল বা নীল নদের কুমিরেরা লম্বায় ২০ ফুট ও ওজনে ১ হাজার ৬৫০ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। আফ্রিকার সাব-সাহারান অঞ্চল ও মাদাগাস্কারের নদী, জলাভূমি ও ম্যানগ্রোভ গাছবেষ্টিত জলা এলাকায় এদের দেখা মেলে বলে একই সূত্রে জানা যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক আরও জানায়, নাইল ক্রোকোডাইল বা কুমিরেরা সাধারণত মানব বসতির আশপাশে থাকে। এ করণে মানুষের সঙ্গে প্রায়ই সংঘাত বাঁধে তাদের। অনুমান করা হয় নাইল ক্রোকোডাইলের হাতে প্রতি বছর শ দুয়েক মানুষের মৃত্যু হয়।
মহাকাশের ৪৫ কোটি গ্যালাক্সির (ছায়াপথ) মানচিত্র তৈরি করতে কক্ষপথে ‘স্ফিয়ারএক্স’ নামে নতুন টেলিস্কোপ পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা গ্যালাক্সির গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন। সেই সঙ্গে মহাবিশ্বের উৎপত্তির দিকে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাবে।
১ ঘণ্টা আগেকোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেলে সাধারণত তা চিরতরে হারিয়ে যায়। তবে উলি ম্যামথের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কিছুটা শিথিল হতে চলেছে। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিশাল এই হাতির মতো প্রাণীর কিছু জিনগত বৈশিষ্ট্য এখন পরীক্ষাগারে তৈরি ছোট্ট ইঁদুরের শরীরে নতুন করে ফিরে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এটি এক মুহূর্তও দূরে থাকলে অস্বস্তি বোধ করেন অনেকেই। বর্তমানে স্মার্টফোন নিকোটিন বা অ্যালকোহলের মতোই আসক্তি তৈরি করে। নতুন গবেষণায় এমনই তথ্য পেয়েছেন গবেষকেরা।
২১ ঘণ্টা আগেসূর্যগ্রহণের সময় চাঁদে কী হয়, তা দেখতে ও দেখাতে পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদে অবতরণ করেছে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের একটি মহাকাশযান। আজ রোববার মার্কিন সময় রাত ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে (স্থানীয়) চাঁদের মাটি স্পর্শ করে টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেসের চন্দ্রযান ব্লু ঘোস্ট।
৩ দিন আগে