অনলাইন ডেস্ক
হাইপারসনিক মহাকাশযান বা যানের অগ্রযাত্রা আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এমন এক ধরনের বস্তু আবিষ্কার করেছেন, যা হাইপারসনিক কোনো যানের বহিরাবরণে ব্যবহার করা হলে তা টিকে থাকে দীর্ঘদিন। আগে এই প্রযুক্তিকে অসম্ভব বলেই মনে করা হতো। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সাধারণত হাইপারসনিক (সাধারণত শব্দের গতির চেয়ে ৫-১০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন কোনো যানকে হাইপারসনিক যান বলা হয়।) কোনো যান—সাধারণত যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়—যখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়, তখন বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন কণার সঙ্গে তীব্র গতিতে সংঘর্ষের কারণে সেই যানের বহিরাবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু চীনা বিজ্ঞানীরা এমন পদার্থ আবিষ্কার করেছেন, যা কেবল যানের বহিরাবরণকেই রক্ষা করবে না, পাশাপাশি যানের ভেতরের অংশকে বাইরের অংশে সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট তাপ থেকেও রক্ষা করবে।
সম্প্রতি চীনা বিজ্ঞানীরা ‘ওয়েভরেইডার’ নামে একধরনের হাইপারসনিক বিমানের বহিরাবরণে এই পদার্থ ব্যবহার করে পরীক্ষা চালিয়েছেন। সাধারণত হাইপারসনিক বিমানগুলো নিজস্ব ইঞ্জিনের সৃষ্ট শক ওয়েভ ব্যবহার করে ওপরের দিকে উঠে যায়। তবে এ সময় ইঞ্জিন থেকে ব্যাপক জ্বালানি পোড়ানোর কারণে বিপুল পরিমাণ তাপ নির্গত হয়, যা বিমানটির পেছন দিকের অংশটাকে উত্তপ্ত করে তোলে।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, নতুন এই পদার্থের বহিরাবরণ শক ওয়েভের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, পাশাপাশি বিমানের অভ্যন্তরের যন্ত্রপাতিকেও ঠান্ডা রাখছে। এর বাইরে বিমানের ওয়্যারলেস যোগাযোগও মসৃণ করে তুলেছে। কারণ নতুন এই পদার্থের তৈরি বহিরাবরণ ভেদ পরে খুব সহজেই যোগাযোগের সংকেত আসা-যাওয়া করতে পারে, যার ফলে এসব যুদ্ধবিমানের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতাও বেড়ে গেছে।
পদার্থটি আবিষ্কারক গবেষক দলের প্রধান আই ব্যাংচেং। তাঁর নেতৃত্বে এই আবিষ্কারবিষয়ক একটি নিবন্ধ পিয়ার রিভিউড জার্নাল ফিজিকস অব গ্লাসে প্রকাশিত হয়েছে গত মাসে। তবে ওই নিবন্ধে ঠিক কোন সময় পরীক্ষাটি চালানো হয়, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সেখানে দাবি করা হয়েছে, ‘পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবেই শেষ হয়েছে।’
ওই নিবন্ধে বেইজিংয়ে অবস্থিত চায়না একাডেমি অব অ্যারোস্পেস অ্যারোডাইনামিকসের উপপরিচালক ব্যাংচেং বলেছেন, এ ধরনের উচ্চ তাপ সহনীয় প্রযুক্তি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পুনর্ব্যবহারযোগ্য হাইপারসনিক যান তৈরির পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, যা হবে আরও বেশি দূরপাল্লার এবং আরও বেশি গতিসম্পন্ন।
চীনা বিজ্ঞানীর কোন পদ্ধতিতে ওই পদার্থ আবিষ্কার করেছেন, তা নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়নি। তবে তাঁরা বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য পথের কথা বলেছেন। যেমন—যে পদার্থ দিয়েই তৈরি হোক না কেন, হাইপারসনিক যানের বহিরাবরণ যত বেশি মসৃণ বিশেষজ্ঞ হবে, তত বেশি টিকে থাকবে। আবার যানের কাঠামোর গায়ে নিওবিয়াম, মলিবডিনাম এবং বোরনের আবরণ ক্ষয় রোধ করবে। এর বাইরে তাঁরা বলেছেন—এমন কাঠামো তৈরি করা হবে, যার ফলে যানের ওজন কমে যাবে। পাশাপাশি ইঞ্জিন থেকে যে তাপ বের হয়, তাকে তরলীকরণ করে প্রপালশন থার্স্ট বা ইঞ্জিনের গতিবেগ বাড়ানো যায় কি না, সেই প্রচেষ্টার কথাও তাঁরা উল্লেখ করেছেন।
চীনের আগে এ ধরনের প্রযুক্তি আবিষ্কারের চেষ্টা শুরু করলেও যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এখনো এই আবিষ্কারে সফল হতে পারেনি। দেশটি এই প্রযুক্তি নিয়ে বিপুলসংখ্যক পরীক্ষা চালিয়েছে, কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। চীনের এই আবিষ্কার যুক্তরাষ্ট্রকে এই প্রযুক্তি আবিষ্কারের পথে আরও বিনিয়োগে বাধ্য করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
হাইপারসনিক মহাকাশযান বা যানের অগ্রযাত্রা আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এমন এক ধরনের বস্তু আবিষ্কার করেছেন, যা হাইপারসনিক কোনো যানের বহিরাবরণে ব্যবহার করা হলে তা টিকে থাকে দীর্ঘদিন। আগে এই প্রযুক্তিকে অসম্ভব বলেই মনে করা হতো। হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সাধারণত হাইপারসনিক (সাধারণত শব্দের গতির চেয়ে ৫-১০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন কোনো যানকে হাইপারসনিক যান বলা হয়।) কোনো যান—সাধারণত যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়—যখন দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়, তখন বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন কণার সঙ্গে তীব্র গতিতে সংঘর্ষের কারণে সেই যানের বহিরাবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু চীনা বিজ্ঞানীরা এমন পদার্থ আবিষ্কার করেছেন, যা কেবল যানের বহিরাবরণকেই রক্ষা করবে না, পাশাপাশি যানের ভেতরের অংশকে বাইরের অংশে সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট তাপ থেকেও রক্ষা করবে।
সম্প্রতি চীনা বিজ্ঞানীরা ‘ওয়েভরেইডার’ নামে একধরনের হাইপারসনিক বিমানের বহিরাবরণে এই পদার্থ ব্যবহার করে পরীক্ষা চালিয়েছেন। সাধারণত হাইপারসনিক বিমানগুলো নিজস্ব ইঞ্জিনের সৃষ্ট শক ওয়েভ ব্যবহার করে ওপরের দিকে উঠে যায়। তবে এ সময় ইঞ্জিন থেকে ব্যাপক জ্বালানি পোড়ানোর কারণে বিপুল পরিমাণ তাপ নির্গত হয়, যা বিমানটির পেছন দিকের অংশটাকে উত্তপ্ত করে তোলে।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, নতুন এই পদার্থের বহিরাবরণ শক ওয়েভের কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, পাশাপাশি বিমানের অভ্যন্তরের যন্ত্রপাতিকেও ঠান্ডা রাখছে। এর বাইরে বিমানের ওয়্যারলেস যোগাযোগও মসৃণ করে তুলেছে। কারণ নতুন এই পদার্থের তৈরি বহিরাবরণ ভেদ পরে খুব সহজেই যোগাযোগের সংকেত আসা-যাওয়া করতে পারে, যার ফলে এসব যুদ্ধবিমানের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতাও বেড়ে গেছে।
পদার্থটি আবিষ্কারক গবেষক দলের প্রধান আই ব্যাংচেং। তাঁর নেতৃত্বে এই আবিষ্কারবিষয়ক একটি নিবন্ধ পিয়ার রিভিউড জার্নাল ফিজিকস অব গ্লাসে প্রকাশিত হয়েছে গত মাসে। তবে ওই নিবন্ধে ঠিক কোন সময় পরীক্ষাটি চালানো হয়, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সেখানে দাবি করা হয়েছে, ‘পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবেই শেষ হয়েছে।’
ওই নিবন্ধে বেইজিংয়ে অবস্থিত চায়না একাডেমি অব অ্যারোস্পেস অ্যারোডাইনামিকসের উপপরিচালক ব্যাংচেং বলেছেন, এ ধরনের উচ্চ তাপ সহনীয় প্রযুক্তি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের পুনর্ব্যবহারযোগ্য হাইপারসনিক যান তৈরির পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, যা হবে আরও বেশি দূরপাল্লার এবং আরও বেশি গতিসম্পন্ন।
চীনা বিজ্ঞানীর কোন পদ্ধতিতে ওই পদার্থ আবিষ্কার করেছেন, তা নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়নি। তবে তাঁরা বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য পথের কথা বলেছেন। যেমন—যে পদার্থ দিয়েই তৈরি হোক না কেন, হাইপারসনিক যানের বহিরাবরণ যত বেশি মসৃণ বিশেষজ্ঞ হবে, তত বেশি টিকে থাকবে। আবার যানের কাঠামোর গায়ে নিওবিয়াম, মলিবডিনাম এবং বোরনের আবরণ ক্ষয় রোধ করবে। এর বাইরে তাঁরা বলেছেন—এমন কাঠামো তৈরি করা হবে, যার ফলে যানের ওজন কমে যাবে। পাশাপাশি ইঞ্জিন থেকে যে তাপ বের হয়, তাকে তরলীকরণ করে প্রপালশন থার্স্ট বা ইঞ্জিনের গতিবেগ বাড়ানো যায় কি না, সেই প্রচেষ্টার কথাও তাঁরা উল্লেখ করেছেন।
চীনের আগে এ ধরনের প্রযুক্তি আবিষ্কারের চেষ্টা শুরু করলেও যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এখনো এই আবিষ্কারে সফল হতে পারেনি। দেশটি এই প্রযুক্তি নিয়ে বিপুলসংখ্যক পরীক্ষা চালিয়েছে, কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। চীনের এই আবিষ্কার যুক্তরাষ্ট্রকে এই প্রযুক্তি আবিষ্কারের পথে আরও বিনিয়োগে বাধ্য করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
১৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
১৫ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
২ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৪ দিন আগে