মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ট্র্যাজেডির ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কেন, এটি সাধারণ মানুষের প্রশ্ন। এই প্রশ্ন নিরসনের দায়িত্ব সরকারের। যুদ্ধবিমান ঢাকার বাইরে যশোর বিমানবন্দর, কক্সবাজার বা পদ্মা নদীর তীর রয়েছে, সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারত। আমরা মনে করি, সরকার যথেষ্ট আন্তরিক রয়েছে। দক্ষ প্রশাসন তৈরি না করলে, সরকারের নজর না থাকলে দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়বে। এর জন্য যে সরকার দায়ী, তা কিন্তু নয়। মাইলস্টোন স্কুলের যেসব শিক্ষার্থী মারা গেছে, আমরা তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত, তাদের সুস্থতা কামনা করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। সেখানে বিএনপির মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই যে শুরু হয়েছে মব কালচার। মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করে রেখেছে মব কালচার। অপরাধ করলে আইনের হাতে তুলে দেন। বিনা বিচারে কাউকে অপরাধী বলা যাবে না। কেউ চাক্ষুষ অপরাধ করলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। মব তৈরি করে কাউকে বেদম পেটানো—এটা তীব্র আকার ধারণ করল কেন, এটা তো মানুষ আজকে জানতে চায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে মব কালচার। পাঁচ আগস্টের পর মব কালচার তীব্র হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের যে প্রস্তাব আমরা খবরের কাগজে দেখছি, সংবিধানে এগুলো আইন করে ঢোকানো হবে ঠিক আছে। কোনো ফাঁক দিয়ে যদি ফ্যাসিস্টরা আবার ক্ষমতায় চলে আসে, হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানকে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে। যারা আগে নির্বাচন কমিশনার হয়েছিলেন, সবাই হাসিনার মনোনীত ছিলেন। যারা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হবেন, তিনি যে দলের থাকুন না কেন, যেন নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন। সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আমরা আবারও পিছিয়ে যাব।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘জাতির কাঁধের ওপর এক রক্তপিপাসু দানব বসেছিল। সেই দানব না শুনত ভদ্রতার কথা, না শুনত সদয় আচরণের কথা। সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসহ নির্বাচন কমিশন, আদালত, মিডিয়া সবকিছু তছনছ করে তিনি (শেখ হাসিনা) নিজের সিংহাসন রক্ষার চেষ্টা করেছেন। হাসিনা সরকার ছিল বিদেশি মদদপৃষ্ঠ একটি সরকার। হাসিনার মূল উদ্দেশ্য ছিল—তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভয়ংকর দানবের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার পেয়েছে দেশের মানুষ। এক বছর চলে গেল। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করা সম্ভব ছিল। তারা তাদের লোকজনদের দিয়ে বলাচ্ছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সরকার তিন বছর বা পাঁচ বছর থাকা উচিত। এই সরকার এইটা বলে গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। গণতন্ত্রের যে ইমারত নির্মাণ করা হবে, সেটার ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়েছে। এরপরে জনগণ ও সবার দাবির ওপর ভিত্তি করে সংস্কার চলতে থাকবে, যেখানে ত্রুটি দেখা যাবে, সেখানেই সংস্কার হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করায় ধন্যবাদ জানাই। এত দিন পর একটা কাজের মতো কাজ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। খায়রুল গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, ন্যায়বিচার ধ্বংস করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মুছে দিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়েছে। খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি করেছিলেন শেখ হাসিনা। যাই হোক, দেরি হলেও তাকে গ্রেপ্তার করেছেন।’
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ট্র্যাজেডির ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কেন, এটি সাধারণ মানুষের প্রশ্ন। এই প্রশ্ন নিরসনের দায়িত্ব সরকারের। যুদ্ধবিমান ঢাকার বাইরে যশোর বিমানবন্দর, কক্সবাজার বা পদ্মা নদীর তীর রয়েছে, সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারত। আমরা মনে করি, সরকার যথেষ্ট আন্তরিক রয়েছে। দক্ষ প্রশাসন তৈরি না করলে, সরকারের নজর না থাকলে দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়বে। এর জন্য যে সরকার দায়ী, তা কিন্তু নয়। মাইলস্টোন স্কুলের যেসব শিক্ষার্থী মারা গেছে, আমরা তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত, তাদের সুস্থতা কামনা করছি।’
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মৌলভীবাজারের এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। সেখানে বিএনপির মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই যে শুরু হয়েছে মব কালচার। মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক তৈরি করে রেখেছে মব কালচার। অপরাধ করলে আইনের হাতে তুলে দেন। বিনা বিচারে কাউকে অপরাধী বলা যাবে না। কেউ চাক্ষুষ অপরাধ করলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। মব তৈরি করে কাউকে বেদম পেটানো—এটা তীব্র আকার ধারণ করল কেন, এটা তো মানুষ আজকে জানতে চায়। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে মব কালচার। পাঁচ আগস্টের পর মব কালচার তীব্র হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের যে প্রস্তাব আমরা খবরের কাগজে দেখছি, সংবিধানে এগুলো আইন করে ঢোকানো হবে ঠিক আছে। কোনো ফাঁক দিয়ে যদি ফ্যাসিস্টরা আবার ক্ষমতায় চলে আসে, হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানকে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে। যারা আগে নির্বাচন কমিশনার হয়েছিলেন, সবাই হাসিনার মনোনীত ছিলেন। যারা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হবেন, তিনি যে দলের থাকুন না কেন, যেন নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন। সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আমরা আবারও পিছিয়ে যাব।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘জাতির কাঁধের ওপর এক রক্তপিপাসু দানব বসেছিল। সেই দানব না শুনত ভদ্রতার কথা, না শুনত সদয় আচরণের কথা। সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসহ নির্বাচন কমিশন, আদালত, মিডিয়া সবকিছু তছনছ করে তিনি (শেখ হাসিনা) নিজের সিংহাসন রক্ষার চেষ্টা করেছেন। হাসিনা সরকার ছিল বিদেশি মদদপৃষ্ঠ একটি সরকার। হাসিনার মূল উদ্দেশ্য ছিল—তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভয়ংকর দানবের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার পেয়েছে দেশের মানুষ। এক বছর চলে গেল। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করা সম্ভব ছিল। তারা তাদের লোকজনদের দিয়ে বলাচ্ছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সরকার তিন বছর বা পাঁচ বছর থাকা উচিত। এই সরকার এইটা বলে গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। গণতন্ত্রের যে ইমারত নির্মাণ করা হবে, সেটার ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়েছে। এরপরে জনগণ ও সবার দাবির ওপর ভিত্তি করে সংস্কার চলতে থাকবে, যেখানে ত্রুটি দেখা যাবে, সেখানেই সংস্কার হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করায় ধন্যবাদ জানাই। এত দিন পর একটা কাজের মতো কাজ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। খায়রুল গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, ন্যায়বিচার ধ্বংস করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মুছে দিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়েছে। খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি করেছিলেন শেখ হাসিনা। যাই হোক, দেরি হলেও তাকে গ্রেপ্তার করেছেন।’
বাংলাদেশের জনগণ যে পরিবর্তনের আশায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে।
৮ ঘণ্টা আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যে দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সে দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ
১ দিন আগেনাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদের আবারও দাঁড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের
১ দিন আগে‘আমরা খবর পাচ্ছি, যাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। ওপরে আল্লাহ, নিচে মাটি, জালিমের শাসনের কবর হয়েছে। এনসিপির কোনো নেতা-কর্মীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না। আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য একটি রাজনৈতিক দল। আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করব। কিন্তু পরশ্রীকাতরতা ও হিংসার রাজনীত
১ দিন আগে