Ajker Patrika

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই জনগণ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে: মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ২১: ৪৭
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই জনগণ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে: মির্জা ফখরুল 

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই সরকারের পদত্যাগ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে সব সময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন জয়ী হয়েছে। আমরা এবারও বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেক শোরে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং ইন্দো-প্যাসেফিক কৌশল’ শীর্ষক এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমরা সবাই, এ দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছি এবং একটা দফার মধ্যে এসেছি—এই সরকারের পদত্যাগ চাই। আমরা একটা স্বচ্ছ অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চাই। আমি মনে করি, আমরা আজকে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, আমরা আমাদের দাবি অর্জন করতে পারব।’

এ সময় সরকারের দমননীতির চিত্র তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যে সময়টা অতিক্রম করছি এই সময়টা জাতির জন্য সবচেয়ে একটা সংকটময় সময়। এই সরকার এই অবস্থা তৈরি করেছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে না আসতে পারে, নির্বাচনে যোগ না দিতে পারে।’

সেমিনারে আমীর খসরু বলেন, ‘আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দানের বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগতভাবে কাতারবদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করার পাশাপাশি লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম ও রাজনীতি নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশির স্বাধীনতা, সমতা, সমৃদ্ধির ক্ষমতায়নের জন্য দেশীয় উদ্যোগ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের দল বিএনপি জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিশ্চিত করতে নিবেদিত।’

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বে গৃহীত ইন্দো-প্যাসেফিক কৌশল বৈশ্বিক একটি অবাধ, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিকের লক্ষ্যে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থাপত্যকে নতুন করে ঢেলে সাজাবে বলে আশা করা যায়। সংযোগের কেন্দ্রস্থল হিসেবে বঙ্গোপসাগরের শীর্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পশ্চিম ও পূর্ব গোলার্ধের পাশাপাশি ভারত মহাসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তা সহযোগিতা, নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সম্প্রীতি, নিরাপদ নৌ চলাচল, টেকসই অর্থনীতি, মুক্তবাণিজ্য, জলবায়ু, স্বাস্থ্য, মহামারির মতো হুমকিসমূহের মোকাবিলার পাশাপাশি একটি অবাধ, মুক্ত, উদার, গণতান্ত্রিক ও নিরাপদ ইন্দা-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল গ্রহণ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের কেউ ইমাম-মুয়াজ্জিন হতে পারবে না: আটঘরিয়ায় হাবিব

আলটিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই আসতে পারে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঘোষণা

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প স্থবির

নূর ধান-২: এক চালেই হবে ভাত পোলাও খিচুড়ি বিরিয়ানি তেহারি

ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে বাঁচতে পারবে না বাংলাদেশ: বিজেপি নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত