নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, দুর্নীতির মামলায় দুই বছর বা তার অধিক সাজা হলে এমপি নির্বাচন করতে পারবেন না। তিনি আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত। দেশে যে আইন আছে সে আইনে যদি তিনি (খালেদা) যোগ্য হন তাহলে নির্বাচন করবেন, আর তিনি যদি অযোগ্য হন তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে আপাতত যে আইন আছে তাতে মনে হয় না যে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।’
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার। এদিকে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করেছে সরকার। এই বিষয়ে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
সংসদ নির্বাচনে অযোগ্যতার বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ (২) (ঘ) তে বলা আছে–নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হলে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই খালেদাকে নেওয়া হয় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। এরপর খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন। আর সাজার বাড়াতে আবেদন করে দুদক। শুনানি শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। যা এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। পরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। যা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত ছিল খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এর পর থেকে দফায় দফায় তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাসের জন্য মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তবে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা আগে ক্ষমতা ছাড়ুক, তত্ত্বাবধায়ক আসুক, পারব কি না তখন দেখা যাবে।’
এ ছাড়া বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আইন যদি তার নিজস্ব গতিতে চলে, আইনি প্রক্রিয়াতেই বেগম খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর তথাকথিত দণ্ড আইনবহির্ভূতভাবে এক ব্যক্তির ইচ্ছায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এই দণ্ডাদেশের আইনগত কোনো বৈধতা নেই। যে কারণে এই দণ্ডাদেশকে আমরা কখনোই আমলে নেব না।’
কায়সার কামাল বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবং খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। এর আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, দুর্নীতির মামলায় দুই বছর বা তার অধিক সাজা হলে এমপি নির্বাচন করতে পারবেন না। তিনি আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত। দেশে যে আইন আছে সে আইনে যদি তিনি (খালেদা) যোগ্য হন তাহলে নির্বাচন করবেন, আর তিনি যদি অযোগ্য হন তাহলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে আপাতত যে আইন আছে তাতে মনে হয় না যে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।’
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইন সচিব গোলাম সারওয়ার। এদিকে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করেছে সরকার। এই বিষয়ে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
সংসদ নির্বাচনে অযোগ্যতার বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ (২) (ঘ) তে বলা আছে–নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হলে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই খালেদাকে নেওয়া হয় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। এরপর খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন। আর সাজার বাড়াতে আবেদন করে দুদক। শুনানি শেষে একই বছরের ৩০ অক্টোবর খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। যা এখন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। পরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি। যা এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত ছিল খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এর পর থেকে দফায় দফায় তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাসের জন্য মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তবে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা আগে ক্ষমতা ছাড়ুক, তত্ত্বাবধায়ক আসুক, পারব কি না তখন দেখা যাবে।’
এ ছাড়া বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘আইন যদি তার নিজস্ব গতিতে চলে, আইনি প্রক্রিয়াতেই বেগম খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাঁর তথাকথিত দণ্ড আইনবহির্ভূতভাবে এক ব্যক্তির ইচ্ছায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এই দণ্ডাদেশের আইনগত কোনো বৈধতা নেই। যে কারণে এই দণ্ডাদেশকে আমরা কখনোই আমলে নেব না।’
কায়সার কামাল বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এবং খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে। এর আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, যেসব রাজনৈতিক দল নিজেদের হর্তাকর্তা ভাবছে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে, তাদের আওয়ামী লীগের পতন থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ দেশের ছাত্র-জনতা আগামীতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হতে দেবে না।নারায়ণগঞ্জ, গণঅধিকার পরিষদ, আওয়ামী লীগ, জেলার খবর
৮ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিমানের লন্ডন-সিলেট-ঢাকার রুট পরিবর্তন করে লন্ডন-ঢাকা-সিলেট করার প্রস্তাব দেয় অন্তর্বর্তী সরকার ও বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তাবটি খালেদা জিয়ার কাছে পৌঁছালে ওই বিমানের অন্য সহযাত্রীদের ভোগান্তি এবং কষ্টের কথা বিবেচনা করে
৯ ঘণ্টা আগেস্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন ডা. জোবাইদা রহমান। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ১৭ বছর। একমাত্র কন্যা জায়মা রহমানকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছিলেন তিনি। অবশেষে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান।
৯ ঘণ্টা আগেসমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নেমে আসতে হচ্ছে, রাজপথে কথা বলতে হচ্ছে, এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা বলেই মনে করি।’
১০ ঘণ্টা আগে