নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। আমরা নির্বাচনের দীর্ঘস্থায়ীর কথা বলতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তার মানে চলতেই থাকবে। জনদুর্ভোগ কমাতে আপনারা চোর, লুটপাট, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্বাচন করবেন।’
আজ বুধবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণশক্তির মতবিনিময় সভা: জনদুর্ভোগ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন’—শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না এ মন্তব্য করেন। সকাল ১১ থেকে শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মান্না বলেন, ‘আমাদের জনদুর্ভোগ আমরাই করি। নির্বাচিত সরকারের প্রতি বিশ্বাস করতে পারি না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতে হলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। জনপ্রতিনিধি বাছাই প্রক্রিয়ায় আপনারাই করবেন। চোর, বাটপার, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্ধারণ করবেন। কিন্তু নির্বাচনে ভোটাধিকারের কথা না বললে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসবে। দেশে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় এসে ভালো কিছু হয়েছে? সেটা জিয়াউর রহমান, ইয়াহিয়া বা যাদের কথাই বলেন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। রাজনীতিকে গুণগতভাবে উন্নত করতে হবে। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের প্রতিদিনের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। ক্ষমতার উৎস জনগণের কথা বলি, অথচ তারা ভোট দিতে পারে না। আওয়ামী আমলের গভীর রাতের নির্বাচন তো নির্বাচনই না।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এ কিংবা বি কে বসানোর লড়াই করছি জন্য না। আপনি যদি প্রচারণা করে (ক্যাম্পেইন) করে বোঝাতে সক্ষম হন যে, ওমুককে ভোট দিলে নানা জটিলতার সৃষ্টি হবে, তাহলে সেটি জনগণ মনে করলে ভোট দেবে না। যার কোয়ালিটি নেই, সে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘শোনা যাচ্ছিল ইউনূস সরকার পাঁচ বছরের থাকার কথা। প্রশ্ন আসে, তিনি নির্বাচন ছাড়ায় পাঁচ বছর থাকবেন? নাকি তাঁর কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে তিনি কত দিন থাকবেন। ইউনূসের সময়ে প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স বেড়েছে এটা সত্য। তবে শুধু রেমিট্যান্সেই দেশের উন্নয়ন হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এখন কথা হচ্ছে। করিডর কাকে দেবেন, কীভাবে দেবেন এগুলো বলার অধিকার সবারই আছে। নোবেল পুরস্কার পেলেই তিনি ভালো মানুষ এমন না, বরং তাঁর কাজের মাধ্যমটাও দেখতে হবে।’
স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে প্রভাব ও ত্রুটিমুক্ত। এমন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে যিনি জনদুর্ভোগ কমাতে পারেন, কিন্তু আমরা তা করতে ব্যর্থ হয়। নির্বাচন বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে যারাই আন্দোলন করছে তারা কি সবাই আওয়ামী দোসর নাকি?’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবাইকে যেমন রাজাকার বলত, ঠিক একই পথে এরাও হাঁটছে। এভাবে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। ফ্যাসিবাদ যাতে না আসতে পারে, সেইভাবে সংস্কার করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা দরকার। আপনি নির্বাচিত সরকারের কাছে কথা বলতে পারবেন, কিন্তু যাদের নির্বাচনের দরকার পড়বে না, তারা আপনার সঙ্গে দেখাই করবে না। কারণ তাদের তো ভোট লাগে না।’ এ সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয়ে বিকেন্দ্রীকরণের কথাও বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, গণমুক্তি জোটের মহাসচিব মো. আকতার হোসেন, হেজবুত তওহীদের গণমাধ্যম ও যোগাযোগ সম্পাদক শারমিন সুলতানা চৈতি, যুগ্ম নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা, ওমর ফারুক ও আলাউদ্দিন কামরুল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৬ বছর সাংবাদিকেরা সঠিক সংবাদ প্রচার করতে পারত না, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাড়ি থাকতে পারত না। সেই ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্টের পর উত্তরণ করতে পেরেছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ রাজনৈতিক সংস্কৃতি, কালো টাকার রাজনীতি, দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে সংস্কার করতে চেয়েছিল। এগুলো নিয়ে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে যারা ক্ষমতায় আসবে তা আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। আমরা নির্বাচনের দীর্ঘস্থায়ীর কথা বলতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তার মানে চলতেই থাকবে। জনদুর্ভোগ কমাতে আপনারা চোর, লুটপাট, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্বাচন করবেন।’
আজ বুধবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণশক্তির মতবিনিময় সভা: জনদুর্ভোগ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন’—শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না এ মন্তব্য করেন। সকাল ১১ থেকে শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মান্না বলেন, ‘আমাদের জনদুর্ভোগ আমরাই করি। নির্বাচিত সরকারের প্রতি বিশ্বাস করতে পারি না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতে হলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। জনপ্রতিনিধি বাছাই প্রক্রিয়ায় আপনারাই করবেন। চোর, বাটপার, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্ধারণ করবেন। কিন্তু নির্বাচনে ভোটাধিকারের কথা না বললে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসবে। দেশে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় এসে ভালো কিছু হয়েছে? সেটা জিয়াউর রহমান, ইয়াহিয়া বা যাদের কথাই বলেন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। রাজনীতিকে গুণগতভাবে উন্নত করতে হবে। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের প্রতিদিনের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। ক্ষমতার উৎস জনগণের কথা বলি, অথচ তারা ভোট দিতে পারে না। আওয়ামী আমলের গভীর রাতের নির্বাচন তো নির্বাচনই না।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এ কিংবা বি কে বসানোর লড়াই করছি জন্য না। আপনি যদি প্রচারণা করে (ক্যাম্পেইন) করে বোঝাতে সক্ষম হন যে, ওমুককে ভোট দিলে নানা জটিলতার সৃষ্টি হবে, তাহলে সেটি জনগণ মনে করলে ভোট দেবে না। যার কোয়ালিটি নেই, সে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘শোনা যাচ্ছিল ইউনূস সরকার পাঁচ বছরের থাকার কথা। প্রশ্ন আসে, তিনি নির্বাচন ছাড়ায় পাঁচ বছর থাকবেন? নাকি তাঁর কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে তিনি কত দিন থাকবেন। ইউনূসের সময়ে প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স বেড়েছে এটা সত্য। তবে শুধু রেমিট্যান্সেই দেশের উন্নয়ন হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এখন কথা হচ্ছে। করিডর কাকে দেবেন, কীভাবে দেবেন এগুলো বলার অধিকার সবারই আছে। নোবেল পুরস্কার পেলেই তিনি ভালো মানুষ এমন না, বরং তাঁর কাজের মাধ্যমটাও দেখতে হবে।’
স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে প্রভাব ও ত্রুটিমুক্ত। এমন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে যিনি জনদুর্ভোগ কমাতে পারেন, কিন্তু আমরা তা করতে ব্যর্থ হয়। নির্বাচন বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে যারাই আন্দোলন করছে তারা কি সবাই আওয়ামী দোসর নাকি?’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবাইকে যেমন রাজাকার বলত, ঠিক একই পথে এরাও হাঁটছে। এভাবে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। ফ্যাসিবাদ যাতে না আসতে পারে, সেইভাবে সংস্কার করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা দরকার। আপনি নির্বাচিত সরকারের কাছে কথা বলতে পারবেন, কিন্তু যাদের নির্বাচনের দরকার পড়বে না, তারা আপনার সঙ্গে দেখাই করবে না। কারণ তাদের তো ভোট লাগে না।’ এ সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয়ে বিকেন্দ্রীকরণের কথাও বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, গণমুক্তি জোটের মহাসচিব মো. আকতার হোসেন, হেজবুত তওহীদের গণমাধ্যম ও যোগাযোগ সম্পাদক শারমিন সুলতানা চৈতি, যুগ্ম নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা, ওমর ফারুক ও আলাউদ্দিন কামরুল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৬ বছর সাংবাদিকেরা সঠিক সংবাদ প্রচার করতে পারত না, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাড়ি থাকতে পারত না। সেই ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্টের পর উত্তরণ করতে পেরেছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ রাজনৈতিক সংস্কৃতি, কালো টাকার রাজনীতি, দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে সংস্কার করতে চেয়েছিল। এগুলো নিয়ে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে যারা ক্ষমতায় আসবে তা আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। আমরা নির্বাচনের দীর্ঘস্থায়ীর কথা বলতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তার মানে চলতেই থাকবে। জনদুর্ভোগ কমাতে আপনারা চোর, লুটপাট, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্বাচন করবেন।’
আজ বুধবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণশক্তির মতবিনিময় সভা: জনদুর্ভোগ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন’—শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না এ মন্তব্য করেন। সকাল ১১ থেকে শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মান্না বলেন, ‘আমাদের জনদুর্ভোগ আমরাই করি। নির্বাচিত সরকারের প্রতি বিশ্বাস করতে পারি না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতে হলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। জনপ্রতিনিধি বাছাই প্রক্রিয়ায় আপনারাই করবেন। চোর, বাটপার, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্ধারণ করবেন। কিন্তু নির্বাচনে ভোটাধিকারের কথা না বললে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসবে। দেশে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় এসে ভালো কিছু হয়েছে? সেটা জিয়াউর রহমান, ইয়াহিয়া বা যাদের কথাই বলেন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। রাজনীতিকে গুণগতভাবে উন্নত করতে হবে। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের প্রতিদিনের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। ক্ষমতার উৎস জনগণের কথা বলি, অথচ তারা ভোট দিতে পারে না। আওয়ামী আমলের গভীর রাতের নির্বাচন তো নির্বাচনই না।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এ কিংবা বি কে বসানোর লড়াই করছি জন্য না। আপনি যদি প্রচারণা করে (ক্যাম্পেইন) করে বোঝাতে সক্ষম হন যে, ওমুককে ভোট দিলে নানা জটিলতার সৃষ্টি হবে, তাহলে সেটি জনগণ মনে করলে ভোট দেবে না। যার কোয়ালিটি নেই, সে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘শোনা যাচ্ছিল ইউনূস সরকার পাঁচ বছরের থাকার কথা। প্রশ্ন আসে, তিনি নির্বাচন ছাড়ায় পাঁচ বছর থাকবেন? নাকি তাঁর কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে তিনি কত দিন থাকবেন। ইউনূসের সময়ে প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স বেড়েছে এটা সত্য। তবে শুধু রেমিট্যান্সেই দেশের উন্নয়ন হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এখন কথা হচ্ছে। করিডর কাকে দেবেন, কীভাবে দেবেন এগুলো বলার অধিকার সবারই আছে। নোবেল পুরস্কার পেলেই তিনি ভালো মানুষ এমন না, বরং তাঁর কাজের মাধ্যমটাও দেখতে হবে।’
স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে প্রভাব ও ত্রুটিমুক্ত। এমন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে যিনি জনদুর্ভোগ কমাতে পারেন, কিন্তু আমরা তা করতে ব্যর্থ হয়। নির্বাচন বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে যারাই আন্দোলন করছে তারা কি সবাই আওয়ামী দোসর নাকি?’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবাইকে যেমন রাজাকার বলত, ঠিক একই পথে এরাও হাঁটছে। এভাবে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। ফ্যাসিবাদ যাতে না আসতে পারে, সেইভাবে সংস্কার করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা দরকার। আপনি নির্বাচিত সরকারের কাছে কথা বলতে পারবেন, কিন্তু যাদের নির্বাচনের দরকার পড়বে না, তারা আপনার সঙ্গে দেখাই করবে না। কারণ তাদের তো ভোট লাগে না।’ এ সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয়ে বিকেন্দ্রীকরণের কথাও বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, গণমুক্তি জোটের মহাসচিব মো. আকতার হোসেন, হেজবুত তওহীদের গণমাধ্যম ও যোগাযোগ সম্পাদক শারমিন সুলতানা চৈতি, যুগ্ম নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা, ওমর ফারুক ও আলাউদ্দিন কামরুল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৬ বছর সাংবাদিকেরা সঠিক সংবাদ প্রচার করতে পারত না, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাড়ি থাকতে পারত না। সেই ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্টের পর উত্তরণ করতে পেরেছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ রাজনৈতিক সংস্কৃতি, কালো টাকার রাজনীতি, দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে সংস্কার করতে চেয়েছিল। এগুলো নিয়ে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে যারা ক্ষমতায় আসবে তা আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। আমরা নির্বাচনের দীর্ঘস্থায়ীর কথা বলতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তার মানে চলতেই থাকবে। জনদুর্ভোগ কমাতে আপনারা চোর, লুটপাট, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্বাচন করবেন।’
আজ বুধবার (২৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণশক্তির মতবিনিময় সভা: জনদুর্ভোগ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন’—শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না এ মন্তব্য করেন। সকাল ১১ থেকে শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মান্না বলেন, ‘আমাদের জনদুর্ভোগ আমরাই করি। নির্বাচিত সরকারের প্রতি বিশ্বাস করতে পারি না। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতে হলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। জনপ্রতিনিধি বাছাই প্রক্রিয়ায় আপনারাই করবেন। চোর, বাটপার, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্ধারণ করবেন। কিন্তু নির্বাচনে ভোটাধিকারের কথা না বললে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসবে। দেশে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় এসে ভালো কিছু হয়েছে? সেটা জিয়াউর রহমান, ইয়াহিয়া বা যাদের কথাই বলেন।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। রাজনীতিকে গুণগতভাবে উন্নত করতে হবে। রাজনীতি হচ্ছে মানুষের প্রতিদিনের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন। ক্ষমতার উৎস জনগণের কথা বলি, অথচ তারা ভোট দিতে পারে না। আওয়ামী আমলের গভীর রাতের নির্বাচন তো নির্বাচনই না।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘আমরা এ কিংবা বি কে বসানোর লড়াই করছি জন্য না। আপনি যদি প্রচারণা করে (ক্যাম্পেইন) করে বোঝাতে সক্ষম হন যে, ওমুককে ভোট দিলে নানা জটিলতার সৃষ্টি হবে, তাহলে সেটি জনগণ মনে করলে ভোট দেবে না। যার কোয়ালিটি নেই, সে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘শোনা যাচ্ছিল ইউনূস সরকার পাঁচ বছরের থাকার কথা। প্রশ্ন আসে, তিনি নির্বাচন ছাড়ায় পাঁচ বছর থাকবেন? নাকি তাঁর কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে তিনি কত দিন থাকবেন। ইউনূসের সময়ে প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স বেড়েছে এটা সত্য। তবে শুধু রেমিট্যান্সেই দেশের উন্নয়ন হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এখন কথা হচ্ছে। করিডর কাকে দেবেন, কীভাবে দেবেন এগুলো বলার অধিকার সবারই আছে। নোবেল পুরস্কার পেলেই তিনি ভালো মানুষ এমন না, বরং তাঁর কাজের মাধ্যমটাও দেখতে হবে।’
স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে প্রভাব ও ত্রুটিমুক্ত। এমন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে যিনি জনদুর্ভোগ কমাতে পারেন, কিন্তু আমরা তা করতে ব্যর্থ হয়। নির্বাচন বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে যারাই আন্দোলন করছে তারা কি সবাই আওয়ামী দোসর নাকি?’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবাইকে যেমন রাজাকার বলত, ঠিক একই পথে এরাও হাঁটছে। এভাবে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। ফ্যাসিবাদ যাতে না আসতে পারে, সেইভাবে সংস্কার করে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা দরকার। আপনি নির্বাচিত সরকারের কাছে কথা বলতে পারবেন, কিন্তু যাদের নির্বাচনের দরকার পড়বে না, তারা আপনার সঙ্গে দেখাই করবে না। কারণ তাদের তো ভোট লাগে না।’ এ সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয়ে বিকেন্দ্রীকরণের কথাও বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী আক্তার, গণমুক্তি জোটের মহাসচিব মো. আকতার হোসেন, হেজবুত তওহীদের গণমাধ্যম ও যোগাযোগ সম্পাদক শারমিন সুলতানা চৈতি, যুগ্ম নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা, ওমর ফারুক ও আলাউদ্দিন কামরুল প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৬ বছর সাংবাদিকেরা সঠিক সংবাদ প্রচার করতে পারত না, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বাড়ি থাকতে পারত না। সেই ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্টের পর উত্তরণ করতে পেরেছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ রাজনৈতিক সংস্কৃতি, কালো টাকার রাজনীতি, দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে সংস্কার করতে চেয়েছিল। এগুলো নিয়ে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে যারা ক্ষমতায় আসবে তা আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না।’

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তা কেবল “আনুষ্ঠানিকতা” হয়ে থাকবে এবং জনগণের অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।’
তিনি স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে তাঁরা মূল বিষয়বস্তু মনে করেন না, বরং এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। এনসিপি মনে করে, জনগণের কাছে বাস্তবায়নের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন দাবি করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আদেশ জারি, গণভোট এবং সামনের সংসদকে জনগণ কর্তৃক ন্যস্ত ক্ষমতা (Constituent Power) প্রদানের মাধ্যমে একটি সংস্কারকৃত সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া সত্ত্বেও সে আইনি ভিত্তি কীভাবে অর্জিত হবে? সেটা কখন থেকে কার্যকর হবে? সেই জায়গা জনগণের কাছে এখনো পর্যন্ত খোলাসা করা হয় নাই।’
তিনি যোগ করেন, জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এই সনদ জারি করবেন এবং গণভোটের মাধ্যমে আগামীর সংসদকে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এরপর সেই সংসদ সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৬ সালের সংস্কারকৃত সংবিধান ঘোষণা করবে।
সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সদস্যসচিব জানান, অনানুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এনসিপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া, বিষয়বস্তু ও পরিধি—প্রত্যেকটি জিনিস জাতির কাছে অবিলম্বে উপস্থাপন করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যা এনসিপি অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বলে জানান আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন সতর্ক বলেন, কমিশন আন্তরিকতা থেকে কাজ শুরু করলেও, এটি যেন কোনোভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে কেবল একটি কাগুজে দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন পরিপন্থীভাবে উপস্থাপিত না হয়।
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে দেখি না। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের প্রতিফলন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদেশের স্পষ্ট ধারণা না থাকলে শুধু গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই কমিশনকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
গত ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। এ প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এই সনদ স্বাক্ষরিত হলে তা কেবল “আনুষ্ঠানিকতা” হয়ে থাকবে এবং জনগণের অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে।’
তিনি স্পষ্ট করেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে তাঁরা মূল বিষয়বস্তু মনে করেন না, বরং এটি একটি আনুষ্ঠানিকতা। এনসিপি মনে করে, জনগণের কাছে বাস্তবায়নের আদেশ সম্পর্কে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করাই মূল লক্ষ্য।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন দাবি করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একটি আদেশ জারি, গণভোট এবং সামনের সংসদকে জনগণ কর্তৃক ন্যস্ত ক্ষমতা (Constituent Power) প্রদানের মাধ্যমে একটি সংস্কারকৃত সংবিধান প্রণয়নের বিষয়ে একমত হয়েছিল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইনি ভিত্তি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হওয়া সত্ত্বেও সে আইনি ভিত্তি কীভাবে অর্জিত হবে? সেটা কখন থেকে কার্যকর হবে? সেই জায়গা জনগণের কাছে এখনো পর্যন্ত খোলাসা করা হয় নাই।’
তিনি যোগ করেন, জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এই সনদ জারি করবেন এবং গণভোটের মাধ্যমে আগামীর সংসদকে ‘কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার’ প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এরপর সেই সংসদ সংস্কারগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে ২০২৬ সালের সংস্কারকৃত সংবিধান ঘোষণা করবে।
সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করার লক্ষ্যে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সদস্যসচিব জানান, অনানুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের সঙ্গে তাঁদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে, যেখানে তাঁরা তাঁদের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এনসিপি কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের খসড়া, বিষয়বস্তু ও পরিধি—প্রত্যেকটি জিনিস জাতির কাছে অবিলম্বে উপস্থাপন করতে হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, যা এনসিপি অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও, সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁরা পুরোপুরি আশাবাদী হতে পারেননি বলে জানান আখতার হোসেন।
আখতার হোসেন সতর্ক বলেন, কমিশন আন্তরিকতা থেকে কাজ শুরু করলেও, এটি যেন কোনোভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে কেবল একটি কাগুজে দলিল হিসেবে বাস্তবায়ন পরিপন্থীভাবে উপস্থাপিত না হয়।
আখতার হোসেন আরও বলেন, ‘জুলাই সনদকে আমরা শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে দেখি না। এটি জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের প্রতিফলন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদেশের স্পষ্ট ধারণা না থাকলে শুধু গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবে না। তাই কমিশনকে সর্বাধিক সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। আমরা নির্বাচনের দীর্ঘস্থায়ীর কথা বলতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তার মানে চলতেই থাকবে। জনদুর্ভোগ কমাতে আপনারা চোর, লুটপাট, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্বাচন করব
২৮ মে ২০২৫
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আজ সকাল ১০টার পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি, দুপুর ১টার দিকে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, সংশোধিত আরপিও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনী জোট হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তবে এতে দ্বিমত করেছে বিএনপি। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে জুলাই সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়ন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নতুন পরামর্শ প্রস্তাব সামনে এনেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়, মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরপর ওই আদেশ নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করা যেতে পারে। সে সময় বিএনপিসহ কয়েকটি দল সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাবে দ্বিমত করে। তবে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে। আর প্রস্তাবটি নিয়ে এনসিপি বলেছিল, এ নিয়ে তারা দলের ভেতরে আলোচনা করবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছে। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই একমত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব—জুলাই জাতীয় সনদের প্রজ্ঞাপন বা গেজেট নোটিফিকেশন কীভাবে করা যায়। কারণ, যেভাবেই হোক, সেটি শেষ পর্যন্ত জনগণের গণভোটের মাধ্যমেই আইনি রূপ পাবে।’
আজ শনিবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘সে আদেশের কনটেন্ট কী হবে, টেক্সট কী হবে, তার কার্যকারিতার জায়গাগুলো কী হবে? সেটা পরিষ্কার করা। যদি আদেশের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে শুধু গণভোট আমাদের সংস্কারের বাস্তবায়নকে সিকিউর করতে পারবে না। এই কারণে আমরা আদেশের বিষয়টাতে সরকারের তরফ থেকে পরিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত হয়ে তারপরেই গণভোট এবং স্বাক্ষরের মতো বিষয়গুলোতে অগ্রসর হতে চাই।’
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আরপিওতে যে সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়েছে এগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমরা খেয়াল করেছি যে আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের পূর্বতন বক্তব্য থেকে সরে এসে, আরপিও সংশোধনীকে বাতিল করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দরখাস্ত দেবেন বলে তাঁরা বলেছেন। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনীকে আটকে দেওয়ার যে মানসিকতার কথা বলা হচ্ছে তাতে করে মনে হয়, সরকার কোনো বিশেষ বিশেষ উপদেষ্টার মধ্য থেকে কারও কারও সঙ্গে কোনো কোনো দলের সম্পর্কের জায়গা থেকে, সেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে, তারা কোনো একটা বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে চান। যেটাকে আমরা ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট (যথোপযুক্ত নয়) মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে এটাও মনে হয়, যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী প্রস্তাবগুলো থেকে সরে আসে, তাহলে আমাদের কাছে আবারও প্রতীয়মান হবে যে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
আরও খবর পড়ুন:

‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আজ সকাল ১০টার পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে এনসিপি, দুপুর ১টার দিকে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, সংশোধিত আরপিও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনী জোট হলেও প্রার্থীদের নিজ দলের প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে হবে। তবে এতে দ্বিমত করেছে বিএনপি। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে জুলাই সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাব বাস্তবায়ন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার মধ্যে বিশেষজ্ঞদের নতুন পরামর্শ প্রস্তাব সামনে এনেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়, মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘সংবিধান আদেশ’ জারি করতে পারে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। এরপর ওই আদেশ নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোট করা যেতে পারে। সে সময় বিএনপিসহ কয়েকটি দল সাংবিধানিক আদেশ জারির প্রস্তাবে দ্বিমত করে। তবে জামায়াতে ইসলামী সমর্থন করে। আর প্রস্তাবটি নিয়ে এনসিপি বলেছিল, এ নিয়ে তারা দলের ভেতরে আলোচনা করবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণভোটের প্রস্তাব বিএনপিই দিয়েছে। নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রস্তাবে দুটি রাজনৈতিক দল ছাড়া সবাই একমত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব—জুলাই জাতীয় সনদের প্রজ্ঞাপন বা গেজেট নোটিফিকেশন কীভাবে করা যায়। কারণ, যেভাবেই হোক, সেটি শেষ পর্যন্ত জনগণের গণভোটের মাধ্যমেই আইনি রূপ পাবে।’
আজ শনিবার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘সে আদেশের কনটেন্ট কী হবে, টেক্সট কী হবে, তার কার্যকারিতার জায়গাগুলো কী হবে? সেটা পরিষ্কার করা। যদি আদেশের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে শুধু গণভোট আমাদের সংস্কারের বাস্তবায়নকে সিকিউর করতে পারবে না। এই কারণে আমরা আদেশের বিষয়টাতে সরকারের তরফ থেকে পরিপূর্ণভাবে আশ্বস্ত হয়ে তারপরেই গণভোট এবং স্বাক্ষরের মতো বিষয়গুলোতে অগ্রসর হতে চাই।’
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আরপিওতে যে সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়েছে এগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমরা খেয়াল করেছি যে আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের পূর্বতন বক্তব্য থেকে সরে এসে, আরপিও সংশোধনীকে বাতিল করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে দরখাস্ত দেবেন বলে তাঁরা বলেছেন। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে দরখাস্ত দিয়ে আরপিও সংশোধনীকে আটকে দেওয়ার যে মানসিকতার কথা বলা হচ্ছে তাতে করে মনে হয়, সরকার কোনো বিশেষ বিশেষ উপদেষ্টার মধ্য থেকে কারও কারও সঙ্গে কোনো কোনো দলের সম্পর্কের জায়গা থেকে, সেই ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে, তারা কোনো একটা বিষয়কে বাস্তবায়ন করতে চান। যেটাকে আমরা ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েট (যথোপযুক্ত নয়) মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে এটাও মনে হয়, যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী প্রস্তাবগুলো থেকে সরে আসে, তাহলে আমাদের কাছে আবারও প্রতীয়মান হবে যে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া হতে পারে না।’
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
আরও খবর পড়ুন:

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। আমরা নির্বাচনের দীর্ঘস্থায়ীর কথা বলতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তার মানে চলতেই থাকবে। জনদুর্ভোগ কমাতে আপনারা চোর, লুটপাট, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্বাচন করব
২৮ মে ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৬ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।
১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদে আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেয়ে ওই দিন স্বাক্ষর করেনি এনসিপি। দলটিকে সনদে স্বাক্ষর করাতে সরকার ও কমিশন কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে আজ কমিশনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছে এনসিপি।
এদিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণে কমিশন কয়েক দফা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। আজই সরকারকে সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত রূপরেখা-সংবলিত সুপারিশ জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। আমরা নির্বাচনের দীর্ঘস্থায়ীর কথা বলতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তার মানে চলতেই থাকবে। জনদুর্ভোগ কমাতে আপনারা চোর, লুটপাট, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্বাচন করব
২৮ মে ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিনিধিদলে থাকবেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সাক্ষাৎকালে এনসিপির প্রতিনিধিদল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে নির্বাচনের কথা বলতেই হবে। আমরা নির্বাচনের দীর্ঘস্থায়ীর কথা বলতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তার মানে চলতেই থাকবে। জনদুর্ভোগ কমাতে আপনারা চোর, লুটপাট, দুর্নীতিবাজকে ভোট দেবেন নাকি কাকে দেবেন সেটা আপনারাই নির্বাচন করব
২৮ মে ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আড়ালের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি জুলাই সনদের মূল অর্জনগুলোকে শুধু ‘কাগুজে দলিলে’ পরিণত করার প্রবণতা দেখাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
৬ ঘণ্টা আগে