Ajker Patrika

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আ.লীগ ১০টি আসনও পাবে না: মির্জা ফখরুল

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, ২০: ২৩
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আ.লীগ ১০টি আসনও পাবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। দেশের মানুষ নির্বাচন চায়, কিন্তু সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এ ব্যাপারে কোনো আপস হবে না।

আজ রোববার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর তেলিপাড়া এলাকায় একটি কনভেনশন সেন্টারে গাজীপুর মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। এ জন্যই ওই দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি ডেড ইস্যু। কিন্তু না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি জীবন্ত ইস্যু। সারা বিশ্ব চায় বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হোক। আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়। তাই তারা নির্বাচন চায় না। তাদের সঙ্গে ফয়সালা হবে রাজপথে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঘুঘু তুমি বারবার খেয়ে যাও ধান। ২০১৪ সালে নির্বাচন করেছে, ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগের রাতে সিল মেরে নিয়ে গেছে, আহা কী মজা। এবার ঘুঘুকে সেই কাজ করতে দেওয়া হবে না। এইবার জনগণ জেগে উঠেছে।’ 

ফখরুল বলেন, ‘এরা ১৯৯৬-তে আন্দোলন করেছিল কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের জন্য। এরা ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টিকে একসঙ্গে নিয়েছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ১৭৩ দিন হরতালের পরে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনগণের যে চাহিদা, সেটাকে স্বাগত জানিয়ে সংসদের প্রথম অধিবেশনে কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট বিধানকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছিলেন।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জয় আমাদের সুনিশ্চিত, দেখেন তাদের কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে। সকালে বলে এক কথা, বিকেলে আবার অন্য কথা। কেউ বলে সংলাপ করব, কেউ বলে সংলাপ করব না। তাই, এবার আর কোনো ফাঁদে পা দেওয়া নয়, এবার লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করতে হবে।’

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়। মুখে বলবে গণতন্ত্রের কথা, কিন্তু কাজ করবে তার উল্টো। আওয়ামী লীগকে চিনতে হলে দুটো জিনিস খেয়াল করতে হবে, একটা দুর্নীতি, আরেকটা সন্ত্রাস।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ। সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম মনজুরুল করিম রনি। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন। বিশেষ বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মো. শওকত হোসেন সরকার। 

বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহশ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সদস্য কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, মো. ওমর ফারুক স্বাধীন, ডা. মাজহারুল আলম, মো. মুজিবুর রহমান ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নানসহ অনেকে। 

সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান । 

সম্মেলনে মো. শওকত হোসেন সরকারকে সভাপতি এবং এম মঞ্জুরুল করিম রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে গাজীপুর মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ১৫দিনের মধ্যে তাদেরকে ১৫১ সদস্যের মহানগর বিএনপির পূর্ণ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গের জন্য ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, জানতে চান ১৬২ নাগরিক

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত