মুশফিকুর রিজন, জাবি

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে। আবাসিক হলগুলো থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, ক্যাফেটেরিয়া, টারজান পয়েন্টসহ ক্যাম্পাসের সব আড্ডার মূল আলোচনা এখন জাকসু নির্বাচন।
১৯৭২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৮ বার জাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে। সর্বশেষ জাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন মাসুদ হাসান তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন শামসুল তাবরীজ। ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই ছাত্ররা শিক্ষক ক্লাবে হামলা চালালে প্রশাসন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ ভেঙে দেয়। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।
সব সংগঠন যখন নিজেদের প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত, তখন জাবি ছাত্রদলে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ৮ আগস্ট ১৭টি আবাসিক হল ও শাখা কমিটি বর্ধিত করার পর নবগঠিত কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়ার অভিযোগে একাংশ বিক্ষোভ করে।
এরপর থেকে ওই অংশের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন (মহড়া) করছেন। অন্যদিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না। এতে ছাত্রদল থেকে জাকসুর প্যানেল কী রকম হবে, সে বিষয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে জাকসু নির্বাচনে এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ তিনটি জাকসুতেই ছাত্রদলের প্যানেল জয়ী হয়েছে। আমরা আশা করছি, এবারও সেই জয়ের ধারা বজায় থাকবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই গত ছয় মাস কাজ করছি। ২৫ তারিখে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’ এখন যারা বিদ্রোহ করছে তাদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘কিছু জায়গায় আমাদের মতের অমিল থাকতে পারে, তবে প্যানেল ঘোষণার ক্ষেত্রে যারা শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় এবং যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি তাদের আমরা ছাত্রদলের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করব।’ একমাত্র ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদলই শুধু হল সংসদেও প্যানেল ঘোষণা করবে বলে নিশ্চিত করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত দুটি প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। একটি প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (ফাইজা), ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ কয়েকটি সমমনা সাংস্কৃতিক সংগঠন। অন্য প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়নের অন্য অংশ (জাহিদ-তানজিম), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (মেঘ), জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন।
এদিকে ৩৬ বছর পর জাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে ছাত্র শিবির। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। তবে এবার জাকসুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তাদের একক প্যানেল প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের একক প্যানেল রেডি আছে। তবে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট (চেতনা) ধারণ করে এমন অনেকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’
এবারের জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ছাত্রসংগঠন হিসেবে নির্বাচন করছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করতে চায় সংগঠনটি। সংগঠনটির জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি এককভাবে আমাদের প্যানেল ঘোষণা করতে। তবে আমরা আলোচনার সুযোগ রেখেছি। আমাদের সংগঠনের বাইরেও দীর্ঘদিন যারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কাজ করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে।’
তবে দল কিংবা সংগঠন দেখে নয় যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আকমল মাসুদ অয়ন বলন, ‘দল বা সংগঠন বিবেচনায় নয়, বরং একজন প্রার্থী ব্যক্তি হিসেবে কেমন সেটার বিবেচনায় আমি ভোট দেব। যে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে, আমরা জাকসুতে তাকেই আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছি। সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা আগামীকাল (১৭ আগস্ট) নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ করব।’

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে। আবাসিক হলগুলো থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, ক্যাফেটেরিয়া, টারজান পয়েন্টসহ ক্যাম্পাসের সব আড্ডার মূল আলোচনা এখন জাকসু নির্বাচন।
১৯৭২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৮ বার জাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে। সর্বশেষ জাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন মাসুদ হাসান তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন শামসুল তাবরীজ। ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই ছাত্ররা শিক্ষক ক্লাবে হামলা চালালে প্রশাসন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ ভেঙে দেয়। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।
সব সংগঠন যখন নিজেদের প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত, তখন জাবি ছাত্রদলে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ৮ আগস্ট ১৭টি আবাসিক হল ও শাখা কমিটি বর্ধিত করার পর নবগঠিত কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়ার অভিযোগে একাংশ বিক্ষোভ করে।
এরপর থেকে ওই অংশের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন (মহড়া) করছেন। অন্যদিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না। এতে ছাত্রদল থেকে জাকসুর প্যানেল কী রকম হবে, সে বিষয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে জাকসু নির্বাচনে এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ তিনটি জাকসুতেই ছাত্রদলের প্যানেল জয়ী হয়েছে। আমরা আশা করছি, এবারও সেই জয়ের ধারা বজায় থাকবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই গত ছয় মাস কাজ করছি। ২৫ তারিখে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’ এখন যারা বিদ্রোহ করছে তাদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘কিছু জায়গায় আমাদের মতের অমিল থাকতে পারে, তবে প্যানেল ঘোষণার ক্ষেত্রে যারা শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় এবং যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি তাদের আমরা ছাত্রদলের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করব।’ একমাত্র ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদলই শুধু হল সংসদেও প্যানেল ঘোষণা করবে বলে নিশ্চিত করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত দুটি প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। একটি প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (ফাইজা), ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ কয়েকটি সমমনা সাংস্কৃতিক সংগঠন। অন্য প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়নের অন্য অংশ (জাহিদ-তানজিম), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (মেঘ), জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন।
এদিকে ৩৬ বছর পর জাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে ছাত্র শিবির। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। তবে এবার জাকসুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তাদের একক প্যানেল প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের একক প্যানেল রেডি আছে। তবে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট (চেতনা) ধারণ করে এমন অনেকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’
এবারের জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ছাত্রসংগঠন হিসেবে নির্বাচন করছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করতে চায় সংগঠনটি। সংগঠনটির জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি এককভাবে আমাদের প্যানেল ঘোষণা করতে। তবে আমরা আলোচনার সুযোগ রেখেছি। আমাদের সংগঠনের বাইরেও দীর্ঘদিন যারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কাজ করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে।’
তবে দল কিংবা সংগঠন দেখে নয় যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আকমল মাসুদ অয়ন বলন, ‘দল বা সংগঠন বিবেচনায় নয়, বরং একজন প্রার্থী ব্যক্তি হিসেবে কেমন সেটার বিবেচনায় আমি ভোট দেব। যে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে, আমরা জাকসুতে তাকেই আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছি। সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা আগামীকাল (১৭ আগস্ট) নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ করব।’
মুশফিকুর রিজন, জাবি

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে। আবাসিক হলগুলো থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, ক্যাফেটেরিয়া, টারজান পয়েন্টসহ ক্যাম্পাসের সব আড্ডার মূল আলোচনা এখন জাকসু নির্বাচন।
১৯৭২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৮ বার জাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে। সর্বশেষ জাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন মাসুদ হাসান তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন শামসুল তাবরীজ। ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই ছাত্ররা শিক্ষক ক্লাবে হামলা চালালে প্রশাসন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ ভেঙে দেয়। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।
সব সংগঠন যখন নিজেদের প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত, তখন জাবি ছাত্রদলে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ৮ আগস্ট ১৭টি আবাসিক হল ও শাখা কমিটি বর্ধিত করার পর নবগঠিত কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়ার অভিযোগে একাংশ বিক্ষোভ করে।
এরপর থেকে ওই অংশের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন (মহড়া) করছেন। অন্যদিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না। এতে ছাত্রদল থেকে জাকসুর প্যানেল কী রকম হবে, সে বিষয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে জাকসু নির্বাচনে এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ তিনটি জাকসুতেই ছাত্রদলের প্যানেল জয়ী হয়েছে। আমরা আশা করছি, এবারও সেই জয়ের ধারা বজায় থাকবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই গত ছয় মাস কাজ করছি। ২৫ তারিখে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’ এখন যারা বিদ্রোহ করছে তাদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘কিছু জায়গায় আমাদের মতের অমিল থাকতে পারে, তবে প্যানেল ঘোষণার ক্ষেত্রে যারা শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় এবং যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি তাদের আমরা ছাত্রদলের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করব।’ একমাত্র ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদলই শুধু হল সংসদেও প্যানেল ঘোষণা করবে বলে নিশ্চিত করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত দুটি প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। একটি প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (ফাইজা), ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ কয়েকটি সমমনা সাংস্কৃতিক সংগঠন। অন্য প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়নের অন্য অংশ (জাহিদ-তানজিম), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (মেঘ), জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন।
এদিকে ৩৬ বছর পর জাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে ছাত্র শিবির। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। তবে এবার জাকসুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তাদের একক প্যানেল প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের একক প্যানেল রেডি আছে। তবে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট (চেতনা) ধারণ করে এমন অনেকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’
এবারের জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ছাত্রসংগঠন হিসেবে নির্বাচন করছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করতে চায় সংগঠনটি। সংগঠনটির জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি এককভাবে আমাদের প্যানেল ঘোষণা করতে। তবে আমরা আলোচনার সুযোগ রেখেছি। আমাদের সংগঠনের বাইরেও দীর্ঘদিন যারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কাজ করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে।’
তবে দল কিংবা সংগঠন দেখে নয় যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আকমল মাসুদ অয়ন বলন, ‘দল বা সংগঠন বিবেচনায় নয়, বরং একজন প্রার্থী ব্যক্তি হিসেবে কেমন সেটার বিবেচনায় আমি ভোট দেব। যে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে, আমরা জাকসুতে তাকেই আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছি। সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা আগামীকাল (১৭ আগস্ট) নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ করব।’

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে। আবাসিক হলগুলো থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, ক্যাফেটেরিয়া, টারজান পয়েন্টসহ ক্যাম্পাসের সব আড্ডার মূল আলোচনা এখন জাকসু নির্বাচন।
১৯৭২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ৮ বার জাকসু নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে। সর্বশেষ জাকসুতে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন মাসুদ হাসান তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন শামসুল তাবরীজ। ১৯৯৩ সালের ২৯ জুলাই ছাত্ররা শিক্ষক ক্লাবে হামলা চালালে প্রশাসন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ ভেঙে দেয়। এরপর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।
সব সংগঠন যখন নিজেদের প্যানেল গোছাতে ব্যস্ত, তখন জাবি ছাত্রদলে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ৮ আগস্ট ১৭টি আবাসিক হল ও শাখা কমিটি বর্ধিত করার পর নবগঠিত কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের পদ দেওয়ার অভিযোগে একাংশ বিক্ষোভ করে।
এরপর থেকে ওই অংশের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন (মহড়া) করছেন। অন্যদিকে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক, সদস্যসচিবসহ শীর্ষ পাঁচ নেতাকে স্বাভাবিক সময়ের মতো ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না। এতে ছাত্রদল থেকে জাকসুর প্যানেল কী রকম হবে, সে বিষয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে জাকসু নির্বাচনে এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ তিনটি জাকসুতেই ছাত্রদলের প্যানেল জয়ী হয়েছে। আমরা আশা করছি, এবারও সেই জয়ের ধারা বজায় থাকবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই গত ছয় মাস কাজ করছি। ২৫ তারিখে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’ এখন যারা বিদ্রোহ করছে তাদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘কিছু জায়গায় আমাদের মতের অমিল থাকতে পারে, তবে প্যানেল ঘোষণার ক্ষেত্রে যারা শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি জনপ্রিয় এবং যাদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি তাদের আমরা ছাত্রদলের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করব।’ একমাত্র ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদলই শুধু হল সংসদেও প্যানেল ঘোষণা করবে বলে নিশ্চিত করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত দুটি প্যানেল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। একটি প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি-অর্ক), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (ফাইজা), ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ কয়েকটি সমমনা সাংস্কৃতিক সংগঠন। অন্য প্যানেলে থাকতে পারে ছাত্র ইউনিয়নের অন্য অংশ (জাহিদ-তানজিম), জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (মেঘ), জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন।
এদিকে ৩৬ বছর পর জাবি ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে ছাত্র শিবির। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। তবে এবার জাকসুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে তাদের একক প্যানেল প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের একক প্যানেল রেডি আছে। তবে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট (চেতনা) ধারণ করে এমন অনেকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা আমাদের প্যানেল ঘোষণা করব।’
এবারের জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ছাত্রসংগঠন হিসেবে নির্বাচন করছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এককভাবে প্যানেল ঘোষণা করতে চায় সংগঠনটি। সংগঠনটির জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি এককভাবে আমাদের প্যানেল ঘোষণা করতে। তবে আমরা আলোচনার সুযোগ রেখেছি। আমাদের সংগঠনের বাইরেও দীর্ঘদিন যারা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কাজ করেছে তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে।’
তবে দল কিংবা সংগঠন দেখে নয় যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজির স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আকমল মাসুদ অয়ন বলন, ‘দল বা সংগঠন বিবেচনায় নয়, বরং একজন প্রার্থী ব্যক্তি হিসেবে কেমন সেটার বিবেচনায় আমি ভোট দেব। যে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে, আমরা জাকসুতে তাকেই আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা করব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছি। সবার মতামতের ভিত্তিতে আমরা আগামীকাল (১৭ আগস্ট) নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ করব।’

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। গত রোববার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা দেশে এসেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থার পরিবর্তন এখনো হয়নি। এখনো সংকটাপন্ন অবস্থা।
৩৫ মিনিট আগে
পোস্টে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।’
৩৮ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে (সংকটাপন্ন অবস্থায়) চলে গেছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। গত রোববার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা দেশে এসেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থার পরিবর্তন এখনো হয়নি। এখনো সংকটাপন্ন অবস্থা।
এদিকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির খবরে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন নেতা-কর্মীরা। এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেছে।
উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকসেদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৃণমূলের অহংকার ও সারা দেশের আপসহীন নেত্রী। গতকালকে তাঁর খারাপ অবস্থা শোনার পরে যখন শুনলাম তিনি আইসিইউতে আছেন, তখন রাতে ঘুমাতে পারিনি। এ জন্য ছুটে চলে আসছি।’
বসুন্ধরা থেকে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভালো কার্যক্রম শুনে আমি বিএনপি করি। তাঁর সংকটাপন্ন অবস্থার কথা শুনে সকাল ও রাতে দু-তিনবার করে আসছি। বড় নেতারা যখন বক্তব্য দেন যে তিনি ভালো আছেন, তখন এই কথা শুনলে ভালো লাগে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে শুনছি, তাঁর অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। এমন কথা যখনই শুনি, খারাপ লাগে, তখন ছুটে আসি। দোয়া করি যেন উনি দেশের ক্রান্তিকালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
উত্তর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য শোহেলি পারভীন শিখা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসি। তিনি নিবিড় পরিচর্যায় আছেন শুনেছি। কিন্তু গতকাল রাত থেকে সঠিক তথ্য পাচ্ছি না, কোনো খবর পাচ্ছি না। এ জন্য গতকাল রাত থেকে ঘুম নেই। তিনি ভালো আছেন নাকি খারাপ আছেন, সেটাও জানছি না। কোনো খবরই পাচ্ছি না। এ জন্য আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়েই চলে আসছি ওনার খবর জানতে। আল্লাহ যেন ওনাকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ দুপুর ১২টায় বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতাল গেটের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ব্রিফ করবেন বলে জানা গেছে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। লিভার, কিডনি ও হৃদ্যন্ত্রের জটিলতার জন্য তাঁকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
গত রোববার রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেটরে নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার পাঁচ সদস্যের চীনা বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় এসে পৌঁছান। তাঁরা হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার বিষয়ে স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। গত রোববার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা দেশে এসেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থার পরিবর্তন এখনো হয়নি। এখনো সংকটাপন্ন অবস্থা।
এদিকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির খবরে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন নেতা-কর্মীরা। এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেছে।
উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোকসেদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৃণমূলের অহংকার ও সারা দেশের আপসহীন নেত্রী। গতকালকে তাঁর খারাপ অবস্থা শোনার পরে যখন শুনলাম তিনি আইসিইউতে আছেন, তখন রাতে ঘুমাতে পারিনি। এ জন্য ছুটে চলে আসছি।’
বসুন্ধরা থেকে সালাহউদ্দিন আইয়ুবী বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভালো কার্যক্রম শুনে আমি বিএনপি করি। তাঁর সংকটাপন্ন অবস্থার কথা শুনে সকাল ও রাতে দু-তিনবার করে আসছি। বড় নেতারা যখন বক্তব্য দেন যে তিনি ভালো আছেন, তখন এই কথা শুনলে ভালো লাগে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে শুনছি, তাঁর অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। এমন কথা যখনই শুনি, খারাপ লাগে, তখন ছুটে আসি। দোয়া করি যেন উনি দেশের ক্রান্তিকালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
উত্তর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য শোহেলি পারভীন শিখা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসি। তিনি নিবিড় পরিচর্যায় আছেন শুনেছি। কিন্তু গতকাল রাত থেকে সঠিক তথ্য পাচ্ছি না, কোনো খবর পাচ্ছি না। এ জন্য গতকাল রাত থেকে ঘুম নেই। তিনি ভালো আছেন নাকি খারাপ আছেন, সেটাও জানছি না। কোনো খবরই পাচ্ছি না। এ জন্য আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়েই চলে আসছি ওনার খবর জানতে। আল্লাহ যেন ওনাকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজ দুপুর ১২টায় বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতাল গেটের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ব্রিফ করবেন বলে জানা গেছে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। লিভার, কিডনি ও হৃদ্যন্ত্রের জটিলতার জন্য তাঁকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
গত রোববার রাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভেন্টিলেটরে নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার পাঁচ সদস্যের চীনা বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় এসে পৌঁছান। তাঁরা হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার বিষয়ে স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে।
১৭ আগস্ট ২০২৫
পোস্টে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।’
৩৮ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে (সংকটাপন্ন অবস্থায়) চলে গেছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতায় সহযোগিতা ও শুভকামনার জন্য জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।’
পোস্টে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতায় সহযোগিতা ও শুভকামনার জন্য জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যেভাবে সহযোগিতা ও শুভকামনা জানানো হচ্ছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিকবৃন্দ ও বন্ধুগণের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া, সবকিছু আমাদের আবেগ ও অনুভূতিকে গভীরভাবে স্পর্শ করছে।’
পোস্টে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।’

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে।
১৭ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। গত রোববার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা দেশে এসেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থার পরিবর্তন এখনো হয়নি। এখনো সংকটাপন্ন অবস্থা।
৩৫ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে (সংকটাপন্ন অবস্থায়) চলে গেছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে (সংকটাপন্ন অবস্থায়) চলে গেছেন।...বর্তমানে তিনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন।’
আহমেদ আজম খানের বক্তব্যের পর অবশ্য বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল আছে’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ম্যাডামকে নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, এটা সঠিক নয়। কেউ এতে বিভ্রান্ত হবেন না।’
দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে চিকিৎসা চলা এবং বিদেশে নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতির মধ্যে গতকাল চীনের পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তা করতে ঢাকায় এসেছেন। চীন থেকে আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আসছেন আজ মঙ্গলবার।
বিএনপির চেয়ারপারসনের অবস্থা জানতে উদ্গ্রীব দলীয় নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ীরা রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন। সেখানে অবস্থান করছেন সংবাদকর্মীরাও। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে চলে গেছেন। এখনো অবস্থা ক্রিটিক্যাল আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে খালেদা জিয়া ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন। সিসিইউ থেকে আইসিইউ, এরপরে ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্ট, যা-ই বলেন। আমি এগুলোর বাইরে বলব যে ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। সেদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিডনির সমস্যার কারণে তাঁর ডায়ালাইসিসও করানো হয়েছে। এ ছাড়া শরীরে পানি জমেছে।
গত কয়েক দিনে বিএনপির চেয়ারপারসনের অবস্থার বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে গত শনিবার তিনি অল্প কথা বলেন বলে ঘনিষ্ঠ স্বজনেরা জানিয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনই তাঁর অবস্থা বিদেশে নেওয়ার মতো স্থিতিশীল নয়।
গতকাল বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে মির্জা ফখরুল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অবস্থা স্থিতিশীল আছে। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ম্যাডামকে নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, এটা সঠিক নয়। কেউ এতে বিভ্রান্ত হবেন না।’
গতকাল সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে বৈঠক করেন তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর ডায়ালাইসিস শুরু করা হয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই সূত্র বলছে, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকদের দলে চীনও যুক্ত হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানও অংশ নেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। ডায়ালাইসিস চলছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চিকিৎসক দল পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সোমবারও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ফলোআপ করা হচ্ছে।’
হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী শামিলা রহমান, ভাই শামীম এস্কান্দার ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতিমা সার্বক্ষণিক থাকছেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা ও স্টাফ রূপা আক্তার সঙ্গে আছেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। গতকাল রাতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদারক করতে হাসপাতালে যান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল রাতে বৈঠক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরে কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের নির্বাচনী প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়ে চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন কথা বলবেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘উনি শিগগির দেশে ফিরবেন।’
আরোগ্য কামনায় দোয়া অব্যাহত
খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় রাজধানীসহ সারা দেশে দোয়া ও প্রার্থনা অব্যাহত রয়েছে। রোগমুক্তি কামনায় ছাদকায়ে জারিয়া হিসেবে দুটি ছাগল জবাই করে দুস্থদের দান করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল দুপুরে মোহাম্মদপুরে দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব ইসলামের বাসভবনে দোয়া অনুষ্ঠান শেষে ছাদকা দেওয়া হয়। এর আগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন রোগশোকের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছেন। বিগত সরকারের আমলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য বারবার আবেদন করা হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। এর মধ্যেই ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকালমৃত্যুর শোক সইতে হয়। চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর কারামুক্ত হলে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পান বিএনপির চেয়ারপারসন। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। লন্ডনের এক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফেরার পরও অসুস্থতার কারণে হাসপাতাল-বাড়ি করতে হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে।
উদ্বেগ জানিয়ে মোদির টুইট
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার যেকোনো প্রয়োজনে ভারত সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল রাতে নরেন্দ্র মোদি এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পেরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবদান রেখেছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য আমাদের আন্তরিক প্রার্থনা ও শুভকামনা রইল। আমরা যেভাবে পারি, আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য ভারত প্রস্তুত রয়েছে।’
সরকারের সিদ্ধান্ত
খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ-কালের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে (সংকটাপন্ন অবস্থায়) চলে গেছেন।...বর্তমানে তিনি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন।’
আহমেদ আজম খানের বক্তব্যের পর অবশ্য বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল আছে’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে ম্যাডামকে নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, এটা সঠিক নয়। কেউ এতে বিভ্রান্ত হবেন না।’
দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে চিকিৎসা চলা এবং বিদেশে নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতির মধ্যে গতকাল চীনের পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তা করতে ঢাকায় এসেছেন। চীন থেকে আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আসছেন আজ মঙ্গলবার।
বিএনপির চেয়ারপারসনের অবস্থা জানতে উদ্গ্রীব দলীয় নেতা-কর্মী, শুভানুধ্যায়ীরা রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন। সেখানে অবস্থান করছেন সংবাদকর্মীরাও। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে চলে গেছেন। এখনো অবস্থা ক্রিটিক্যাল আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে খালেদা জিয়া ভেন্টিলেশন সাপোর্টে আছেন। সিসিইউ থেকে আইসিইউ, এরপরে ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্ট, যা-ই বলেন। আমি এগুলোর বাইরে বলব যে ম্যাডাম খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে আছেন।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। সেদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিডনির সমস্যার কারণে তাঁর ডায়ালাইসিসও করানো হয়েছে। এ ছাড়া শরীরে পানি জমেছে।
গত কয়েক দিনে বিএনপির চেয়ারপারসনের অবস্থার বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে গত শনিবার তিনি অল্প কথা বলেন বলে ঘনিষ্ঠ স্বজনেরা জানিয়েছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনই তাঁর অবস্থা বিদেশে নেওয়ার মতো স্থিতিশীল নয়।
গতকাল বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে মির্জা ফখরুল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অবস্থা স্থিতিশীল আছে। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ম্যাডামকে নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, এটা সঠিক নয়। কেউ এতে বিভ্রান্ত হবেন না।’
গতকাল সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে বৈঠক করেন তাঁর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁর ডায়ালাইসিস শুরু করা হয় বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই সূত্র বলছে, দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকদের দলে চীনও যুক্ত হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানও অংশ নেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক থেকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোর্ডের এক চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। ডায়ালাইসিস চলছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চিকিৎসক দল পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সোমবারও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত ফলোআপ করা হচ্ছে।’
হাসপাতালে বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলের স্ত্রী শামিলা রহমান, ভাই শামীম এস্কান্দার ও তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতিমা সার্বক্ষণিক থাকছেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা ও স্টাফ রূপা আক্তার সঙ্গে আছেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। গতকাল রাতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন ও তদারক করতে হাসপাতালে যান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
স্থায়ী কমিটির বৈঠক
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল রাতে বৈঠক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরে কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলের নির্বাচনী প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়ে চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন কথা বলবেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘উনি শিগগির দেশে ফিরবেন।’
আরোগ্য কামনায় দোয়া অব্যাহত
খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় রাজধানীসহ সারা দেশে দোয়া ও প্রার্থনা অব্যাহত রয়েছে। রোগমুক্তি কামনায় ছাদকায়ে জারিয়া হিসেবে দুটি ছাগল জবাই করে দুস্থদের দান করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল দুপুরে মোহাম্মদপুরে দলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব ইসলামের বাসভবনে দোয়া অনুষ্ঠান শেষে ছাদকা দেওয়া হয়। এর আগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন রোগশোকের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছেন। বিগত সরকারের আমলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য বারবার আবেদন করা হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। এর মধ্যেই ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকালমৃত্যুর শোক সইতে হয়। চব্বিশের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর কারামুক্ত হলে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পান বিএনপির চেয়ারপারসন। গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। লন্ডনের এক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফেরার পরও অসুস্থতার কারণে হাসপাতাল-বাড়ি করতে হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে।
উদ্বেগ জানিয়ে মোদির টুইট
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে তাঁর চিকিৎসার যেকোনো প্রয়োজনে ভারত সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল রাতে নরেন্দ্র মোদি এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পেরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবদান রেখেছেন। তাঁর দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য আমাদের আন্তরিক প্রার্থনা ও শুভকামনা রইল। আমরা যেভাবে পারি, আমাদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য ভারত প্রস্তুত রয়েছে।’
সরকারের সিদ্ধান্ত
খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঘোষণা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ-কালের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে বলে সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে।

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে।
১৭ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। গত রোববার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা দেশে এসেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থার পরিবর্তন এখনো হয়নি। এখনো সংকটাপন্ন অবস্থা।
৩৫ মিনিট আগে
পোস্টে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।’
৩৮ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, এই বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন কথা বলবেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ নানা বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান সালাহউদ্দিন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, এই বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন কথা বলবেন।

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর ভোট হবে।
১৭ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। গত রোববার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় চীনা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা দেশে এসেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অবস্থার পরিবর্তন এখনো হয়নি। এখনো সংকটাপন্ন অবস্থা।
৩৫ মিনিট আগে
পোস্টে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস। মমতাময়ী দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্যের জন্য আমরা সবাই নিরন্তর দোয়া করছি। এই কঠিন সময়ে ঐক্য, সহমর্মিতা ও সংহতির জন্য প্রতিটি মানুষের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা রইল।’
৩৮ মিনিট আগে
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান গতকাল সোমবার দুপুরে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘রোববার রাত থেকে খালেদা জিয়া খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে (সংকটাপন্ন অবস্থায়) চলে গেছেন।
১০ ঘণ্টা আগে