ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ছাত্রসমাবেশ শুরু হয়। যা গতকাল শনিবার রাতে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
কাউন্সিল অধিবেশন সর্বসম্মতভাবে তামজিদ হায়দারকে সভাপতি, শিমুল কুম্ভকারকে সাধারণ সম্পাদক ও রথীন্দ্রনাথ বাপ্পীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ১৪১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদ নির্বাচিত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন রাগীব নাঈম।
কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাজিফা জান্নাত, অমর্ত্য রায়, মাঈন আহমেদ, আসিফ জামান, মনীষা ওয়াহিদ, সুজয় সরকার, মৈত্রেয় হাসান জয়িতা ও বায়েজিদ রহমান। সহকারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী ও তানজিমুর রহমান রাফি।
কাউন্সিলে মধুসূদন কর্মকার কোষাধ্যক্ষ, আমিনুল ইসলাম ইমন দপ্তর সম্পাদক, মেঘমল্লার বসু শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক, একরামুল হক জিহাদ স্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, অন্তু অরিন্দম বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, দূর্জয় রায় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, অর্ণি আনজুম সাংস্কৃতিক সম্পাদক, তাবিব মাহমুদ ক্রীড়া সম্পাদক এবং তিলোত্তমা ইতি সমাজকল্যাণ ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রাগীব নাঈম, রাকিবুল রনি, মাশরুখ জলিল, নিরব সরকার সাম্য, ঐশ্বর্য সরকার, ইমন আকন্দ, ইমদাদ মোহাম্মদ, শোভন প্রান্ত, তৌকির ইসলাম, রিদওয়ান পর্ব, সজীব নগর, আবু সাঈদ, জান্নাতুল নাঈম, রাকিব হোসেন ও জয় ভৌমিক। কেন্দ্রীয় কমিটির চারটি পদ শূন্য রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ‘গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, বৈষম্যহীন সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থা’—স্লোগানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসি আরা জামান। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সংগঠনের রাজনৈতিক প্রস্তাব, শিক্ষা প্রস্তাব, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট, সাংগঠনিক সম্পাদকের রিপোর্ট, অর্থ রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রস্তাব ও রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে। এবারের সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন সর্বসম্মতভাবে ছাত্র ইউনিয়নের ঐক্য প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি এ লক্ষ্যে কার্যক্রম চালাবে।
সম্মেলনের শেষদিন গতকাল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ‘ঐতিহ্যের পদাবলী’ শীর্ষক বাউল গান অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ থেকে বাউল সুনীল কর্মকার, মাগুরার বিমল দাস বাউল, সুনামগঞ্জের দুখু মিয়া, ফরিদপুরের জাফর ইকবাল আকাশ, নরসিংদীর শেখ সাদি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মারুফ মৃণ্ময়, ঢাকার সৌরভ আকন্দসহ বাউল শিল্পীরা অংশ নেন।
রাতে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে বিদায়ি ও নবনির্বাচিত নেতারাসহ প্রতিনিধি পর্যবেক্ষকদের মিছিল ‘ঐতিহ্যের পদাবলী’ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাঁদের অভিনন্দন জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। রাতে নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি ও জাতীয় পরিষদের সদস্যরা টিএসসিতে শহীদ মঈন হোসেন রাজুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানে নির্মিত বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছে।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ছাত্রসমাবেশ শুরু হয়। যা গতকাল শনিবার রাতে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
কাউন্সিল অধিবেশন সর্বসম্মতভাবে তামজিদ হায়দারকে সভাপতি, শিমুল কুম্ভকারকে সাধারণ সম্পাদক ও রথীন্দ্রনাথ বাপ্পীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ১৪১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদ নির্বাচিত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন রাগীব নাঈম।
কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাজিফা জান্নাত, অমর্ত্য রায়, মাঈন আহমেদ, আসিফ জামান, মনীষা ওয়াহিদ, সুজয় সরকার, মৈত্রেয় হাসান জয়িতা ও বায়েজিদ রহমান। সহকারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী ও তানজিমুর রহমান রাফি।
কাউন্সিলে মধুসূদন কর্মকার কোষাধ্যক্ষ, আমিনুল ইসলাম ইমন দপ্তর সম্পাদক, মেঘমল্লার বসু শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক, একরামুল হক জিহাদ স্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক, অন্তু অরিন্দম বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, দূর্জয় রায় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, অর্ণি আনজুম সাংস্কৃতিক সম্পাদক, তাবিব মাহমুদ ক্রীড়া সম্পাদক এবং তিলোত্তমা ইতি সমাজকল্যাণ ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন রাগীব নাঈম, রাকিবুল রনি, মাশরুখ জলিল, নিরব সরকার সাম্য, ঐশ্বর্য সরকার, ইমন আকন্দ, ইমদাদ মোহাম্মদ, শোভন প্রান্ত, তৌকির ইসলাম, রিদওয়ান পর্ব, সজীব নগর, আবু সাঈদ, জান্নাতুল নাঈম, রাকিব হোসেন ও জয় ভৌমিক। কেন্দ্রীয় কমিটির চারটি পদ শূন্য রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ‘গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, বৈষম্যহীন সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থা’—স্লোগানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসি আরা জামান। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে সংগঠনের রাজনৈতিক প্রস্তাব, শিক্ষা প্রস্তাব, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট, সাংগঠনিক সম্পাদকের রিপোর্ট, অর্থ রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রস্তাব ও রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে। এবারের সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন সর্বসম্মতভাবে ছাত্র ইউনিয়নের ঐক্য প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি এ লক্ষ্যে কার্যক্রম চালাবে।
সম্মেলনের শেষদিন গতকাল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে ‘ঐতিহ্যের পদাবলী’ শীর্ষক বাউল গান অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ থেকে বাউল সুনীল কর্মকার, মাগুরার বিমল দাস বাউল, সুনামগঞ্জের দুখু মিয়া, ফরিদপুরের জাফর ইকবাল আকাশ, নরসিংদীর শেখ সাদি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মারুফ মৃণ্ময়, ঢাকার সৌরভ আকন্দসহ বাউল শিল্পীরা অংশ নেন।
রাতে কাউন্সিল অধিবেশন শেষে বিদায়ি ও নবনির্বাচিত নেতারাসহ প্রতিনিধি পর্যবেক্ষকদের মিছিল ‘ঐতিহ্যের পদাবলী’ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাঁদের অভিনন্দন জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। রাতে নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি ও জাতীয় পরিষদের সদস্যরা টিএসসিতে শহীদ মঈন হোসেন রাজুর গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানে নির্মিত বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
১২ মিনিট আগে
আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
যেসব আসনে নারীরা প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন—
১. মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫, সিরিয়াল: ২৫)
২. দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩, সিরিয়াল: ২৮)
৩. দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী (প্রীতি) (সিরাজগঞ্জ-৪, সিরিয়াল: ২৯)
৪. ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১, সিরিয়াল: ৪৭)
৫. তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১, সিরিয়াল: ৬২)
৬. ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯, সিরিয়াল: ৭৩)
৭. নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২, সিরিয়াল: ৭৫)
৮. ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭, সিরিয়াল: ৭৯)
৯. ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০, সিরিয়াল: ৮২)
১০. সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩, সিরিয়াল: ৯১)
১১. ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২, সিরিয়াল: ১০৫)
১২. অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫, সিরিয়াল: ১০৯)
১৩. সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০, সিরিয়াল: ১১৪)
১৪. অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি, সিরিয়াল: ১২৩)
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে জানান, এটি প্রথম ধাপ। পরে আরও আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণার পর নারী প্রার্থী এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি জানি, আমি শুধুমাত্র নিজের জন্য এই কঠিন পথ বেছে নেই নাই। আমার উপর যারা বিশ্বাস রাখেন, যারা আমাকে ভালোবাসেন, আমাকে সাহস দেন, অনুপ্রেরণা দেন তাদেরকে আমিও হারতে দিতে চাই না। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি।’
তাজনূভা জাবীন আরও বলেন, ‘আমি মনে প্রাণে চাই, এনসিপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী একটা দল হোক, ভবিষ্যত হোক। এনসিপিই বিকল্প হোক। আমিসহ ১৪ জন নারীকে এনসিপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় মনোনয়ন দিয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন। আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন। আশা করি, শীঘ্রই আরো অনেকে যুক্ত হবেন। আমরা অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে যাচ্ছি।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
যেসব আসনে নারীরা প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন—
১. মনিরা শারমিন (নওগাঁ-৫, সিরিয়াল: ২৫)
২. দিলশানা পারুল (সিরাজগঞ্জ-৩, সিরিয়াল: ২৮)
৩. দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী (প্রীতি) (সিরাজগঞ্জ-৪, সিরিয়াল: ২৯)
৪. ডা. মাহমুদা আলম মিতু (ঝালকাঠি-১, সিরিয়াল: ৪৭)
৫. তানহা শান্তা (ময়মনসিংহ-১১, সিরিয়াল: ৬২)
৬. ডা. তাসনিম জারা (ঢাকা-৯, সিরিয়াল: ৭৩)
৭. নাহিদা সারওয়ার নিভা (ঢাকা-১২, সিরিয়াল: ৭৫)
৮. ডা. তাজনূভা জাবীন (ঢাকা-১৭, সিরিয়াল: ৭৯)
৯. ইঞ্জিনিয়ার নাবিলা তাসনিদ (ঢাকা-২০, সিরিয়াল: ৮২)
১০. সৈয়দা নীলিমা দোলা (ফরিদপুর-৩, সিরিয়াল: ৯১)
১১. ইসরাত জাহান বিন্দু (চাঁদপুর-২, সিরিয়াল: ১০৫)
১২. অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর (নোয়াখালী-৫, সিরিয়াল: ১০৯)
১৩. সাগুফতা বুশরা মিশমা (চট্টগ্রাম-১০, সিরিয়াল: ১১৪)
১৪. অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা (খাগড়াছড়ি, সিরিয়াল: ১২৩)
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে জানান, এটি প্রথম ধাপ। পরে আরও আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণার পর নারী প্রার্থী এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাজনূভা জাবীন ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি জানি, আমি শুধুমাত্র নিজের জন্য এই কঠিন পথ বেছে নেই নাই। আমার উপর যারা বিশ্বাস রাখেন, যারা আমাকে ভালোবাসেন, আমাকে সাহস দেন, অনুপ্রেরণা দেন তাদেরকে আমিও হারতে দিতে চাই না। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি।’
তাজনূভা জাবীন আরও বলেন, ‘আমি মনে প্রাণে চাই, এনসিপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী একটা দল হোক, ভবিষ্যত হোক। এনসিপিই বিকল্প হোক। আমিসহ ১৪ জন নারীকে এনসিপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় মনোনয়ন দিয়েছে। সবাইকে অভিনন্দন। আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন। আশা করি, শীঘ্রই আরো অনেকে যুক্ত হবেন। আমরা অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে যাচ্ছি।’

দেশের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ছাত্রসমাবেশ শুরু হয়। যা গতকাল শনিবার রাতে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। জন্মভূমিকে নিয়ে প্রত্যেক নাগরিকই গর্ববোধ করে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সর্বজন স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো এমনই একান্ত গুরুত্বের দাবিদার। সকলের উচিত এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। এর ব্যতিক্রম কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
ফেসবুকে জামায়াতের আমির নারীদের সম্মানহানি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নমতের প্রতি আক্রমণ, নারীদের সম্মানহানি এবং প্রযুক্তি বা এআই-এর অপব্যবহার করে মানুষকে হেনস্তা করার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশেষ করে কেউ যখন ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এমন অশালীনতায় লিপ্ত হন, তা আমাদের মূল্যবোধের ওপর বড় আঘাত।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য মানেই শত্রুতা নয় উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—“মুমিন কখনো কটূক্তিকারী বা অভিশাপকারী হতে পারে না” (তিরমিজি)। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সঙ্গে উত্তম ভাষায় কথা বলতে এবং একে অপরকে উপহাস না করতে। ভিন্নমতকে যুক্তি ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করাই প্রকৃত মুসলিমের বৈশিষ্ট্য। গালিগালাজ বা চরিত্রহনন কোনো মুসলমানের—বা কোনো সভ্য নাগরিকের—হাতিয়ার হতে পারে না।’
তিনি আহ্বান করে বলেন, ‘আসুন, অনলাইনেও আমরা আমাদের ঈমান ও মর্যাদা বজায় রাখি। কারণ প্রতিটি শব্দই মহান আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত হচ্ছে।
ঘৃণা নয়—যুক্তি ও শালীনতা দিয়ে সমাজ গড়ি।’

আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। জন্মভূমিকে নিয়ে প্রত্যেক নাগরিকই গর্ববোধ করে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সর্বজন স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো এমনই একান্ত গুরুত্বের দাবিদার। সকলের উচিত এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। এর ব্যতিক্রম কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
ফেসবুকে জামায়াতের আমির নারীদের সম্মানহানি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নমতের প্রতি আক্রমণ, নারীদের সম্মানহানি এবং প্রযুক্তি বা এআই-এর অপব্যবহার করে মানুষকে হেনস্তা করার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বিশেষ করে কেউ যখন ধর্মীয় পরিচয় বহন করে এমন অশালীনতায় লিপ্ত হন, তা আমাদের মূল্যবোধের ওপর বড় আঘাত।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য মানেই শত্রুতা নয় উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—“মুমিন কখনো কটূক্তিকারী বা অভিশাপকারী হতে পারে না” (তিরমিজি)। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের সঙ্গে উত্তম ভাষায় কথা বলতে এবং একে অপরকে উপহাস না করতে। ভিন্নমতকে যুক্তি ও ভদ্রতার সঙ্গে মোকাবিলা করাই প্রকৃত মুসলিমের বৈশিষ্ট্য। গালিগালাজ বা চরিত্রহনন কোনো মুসলমানের—বা কোনো সভ্য নাগরিকের—হাতিয়ার হতে পারে না।’
তিনি আহ্বান করে বলেন, ‘আসুন, অনলাইনেও আমরা আমাদের ঈমান ও মর্যাদা বজায় রাখি। কারণ প্রতিটি শব্দই মহান আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত হচ্ছে।
ঘৃণা নয়—যুক্তি ও শালীনতা দিয়ে সমাজ গড়ি।’

দেশের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ছাত্রসমাবেশ শুরু হয়। যা গতকাল শনিবার রাতে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
১২ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে আসা তরুণেরা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নাহিদ ইসলাম ঢাকা–১১ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।
এনসিপির নির্বাচনকালীন কৌশল ব্যাখ্যা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আসন জেতাই যদি তাঁদের মূল লক্ষ্য থাকত, তাহলে তাঁরা অবশ্যই কোনো না কোনো জোটে ভিড়তেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না, এটা খুবই পরিষ্কার। সিট কয়টা পাব কি পাব না, সেটা বিবেচনায় রেখেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না।’
তাঁর মতে, এবারের নির্বাচন হলো ‘গণভোট’, যেখানে ভোটের প্রধান প্রশ্ন হলো ‘হ্যাঁ অথবা না’ (সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে)। এই বার্তাটি জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্যই এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
গণ-অভ্যুত্থানের এই ছাত্রনেতা এনসিপি গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ও তরুণ প্রজন্মের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজেদের রাজনীতি পুনর্গঠন করত এবং দলের অভ্যন্তরে সংস্কার আনত, তাহলে এনসিপির জন্মের প্রয়োজন হতো না।’
তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপি সাত মাস অপেক্ষা করার পরও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। তারা নিজেদের দলাদলি–অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যস্ত ছিল, নিজেদের দলীয় এজেন্ডাকে প্রধান করে তুলেছে। এই ব্যর্থতার কারণেই এনসিপির জন্ম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান এজেন্ডা ছিল সংস্কার ও বিচার। অথচ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো গণভোট ও সংস্কারপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আলোচনা না করে কেবল নিজেদের দলীয় এজেন্ডা নিয়েই প্রচার চালাচ্ছে।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জায়গায় এনসিপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। একই সঙ্গে, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে পোস্টারিং ও টাকা খরচের মতো অনিয়ম হচ্ছে।
অন্য দলগুলোর মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়াদের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ঋণখেলাপিকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে।’ তিনি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এসব ঋণখেলাপি ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া, তিনি বিএনপি–জামায়াত উভয় দলেই ‘অস্ত্রের মহড়া’র মতো সংস্কৃতির অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নিজেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে আমাদের এই যে মনোনয়ন তালিকাটা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক...সেখানে নারী-পুরুষ, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সবকিছুর সমন্বয় আমরা করব।’ তিনি বলেন, মনোনীত কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বে আসা তরুণেরা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। নাহিদ ইসলাম ঢাকা–১১ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।
এনসিপির নির্বাচনকালীন কৌশল ব্যাখ্যা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আসন জেতাই যদি তাঁদের মূল লক্ষ্য থাকত, তাহলে তাঁরা অবশ্যই কোনো না কোনো জোটে ভিড়তেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না, এটা খুবই পরিষ্কার। সিট কয়টা পাব কি পাব না, সেটা বিবেচনায় রেখেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না।’
তাঁর মতে, এবারের নির্বাচন হলো ‘গণভোট’, যেখানে ভোটের প্রধান প্রশ্ন হলো ‘হ্যাঁ অথবা না’ (সংস্কারের পক্ষে বা বিপক্ষে)। এই বার্তাটি জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্যই এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
গণ-অভ্যুত্থানের এই ছাত্রনেতা এনসিপি গঠনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যদি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ও তরুণ প্রজন্মের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নিজেদের রাজনীতি পুনর্গঠন করত এবং দলের অভ্যন্তরে সংস্কার আনত, তাহলে এনসিপির জন্মের প্রয়োজন হতো না।’
তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপি সাত মাস অপেক্ষা করার পরও বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সমঝোতায় আসতে পারেনি। তারা নিজেদের দলাদলি–অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যস্ত ছিল, নিজেদের দলীয় এজেন্ডাকে প্রধান করে তুলেছে। এই ব্যর্থতার কারণেই এনসিপির জন্ম হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রধান এজেন্ডা ছিল সংস্কার ও বিচার। অথচ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো গণভোট ও সংস্কারপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের আলোচনা না করে কেবল নিজেদের দলীয় এজেন্ডা নিয়েই প্রচার চালাচ্ছে।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জায়গায় এনসিপির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। একই সঙ্গে, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে পোস্টারিং ও টাকা খরচের মতো অনিয়ম হচ্ছে।
অন্য দলগুলোর মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়াদের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ঋণখেলাপিকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে।’ তিনি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এসব ঋণখেলাপি ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া, তিনি বিএনপি–জামায়াত উভয় দলেই ‘অস্ত্রের মহড়া’র মতো সংস্কৃতির অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, নিজেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে আমাদের এই যে মনোনয়ন তালিকাটা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক...সেখানে নারী-পুরুষ, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সবকিছুর সমন্বয় আমরা করব।’ তিনি বলেন, মনোনীত কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ছাত্রসমাবেশ শুরু হয়। যা গতকাল শনিবার রাতে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
১২ মিনিট আগে
আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা লিখেছেন তিনি।
পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন রাজনীতির চেয়েও বড় কিছু—একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, বিরোধী মত যেখানে হুমকি না হয়ে বরং গণতন্ত্রের অংশ হবে। যেখানে ভিন্ন মতের কারণে কাউকে নিপীড়িত হতে হবে না বা গুম হয়ে যেতে হবে না।
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়— মানবাধিকারই মানুষের দৈনন্দিন বেঁচে থাকার মৌলিক শর্ত মন্তব্য করে তারেক রহমান পোস্টে লেখেন, আমরা আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি— আর অসংখ্য শহীদের গল্প মনে রাখি, যেন ভবিষ্যতে এমন নিপীড়ন আর দায়মুক্তি আর কখনো ফিরে না আসে।
১৬টা বছর ধরে বাংলাদেশ যেন একটা কালো মেঘের নিচে চাপা পড়ে ছিল বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি লেখেন, কেউ সেই অন্ধকারকে খুব তীব্রভাবে টের পেয়েছে, কেউ চুপচাপ বয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রাজনৈতিক অবস্থান তখনকার পতিত সরকারের বিপরীতে ছিল, তাদের জন্য এই অন্ধকার ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। রাতের বেলা দরজায় কড়া নাড়া, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, ভয়কে সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলা, আর অসংখ্য পরিবার অপেক্ষা করেছে সেই প্রিয়জনদের জন্য, যারা আর কোনো দিন ঘরে ফিরে আসেনি। এই বোঝা বিএনপির চেয়ে বেশি আর কেউ বহন করেনি।
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই জানিয়ে তিনি লেখেন, ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু, মিথ্যা মামলা— সব জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু অত্যাচারের শিকার শুধু বিএনপি ছিল না; ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, পথচারী, সাধারণ মানুষ— সবাই সেই ভয়ংকর পরিবেশের ক্ষত বয়ে বেড়িয়েছে, ন্যূনতম মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত মর্যাদা, নিরাপত্তা, মত প্রকাশের অধিকারের মতো মৌলিক সব বিষয়গুলো ছিল হুমকির মুখে।
পোস্টে তারেক রহমান তাঁকে ও তাঁর মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, এই বছরগুলোতে আমাকেও কথা বলার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে আমার কথা বলার অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়। দেশের কোনো পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া যেন আমার কোনো বক্তব্য প্রকাশ না করা হয়, এমন নির্দেশনা জারি ছিল। তবুও এই চাপিয়ে দেয়া নীরবতার মধ্যেও আমি অধিকার, গণতন্ত্র আর মানুষের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছি, কারণ সত্যের স্পিরিটকে আদেশ দিয়ে থামানো যায় না। এই পুরো অন্ধকার সময়টায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক। মিথ্যা মামলা, কারাবাস, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা- এসবই পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন। তবুও তিনি তাঁর গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে কখনো সরে যাননি। তাঁর বিশ্বাস একটাই— অধিকার সবার; ভয় দেখিয়ে দেশকে এগোনো যায় না।
এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান আরও লেখেন, আমি ব্যক্তিগতভাবেও সেই দুঃসহ সময়ের সাক্ষী। আমার মা, যিনি দেশনেত্রী, নিজে সহ্য করেছেন তাঁর ছেলেকে জেলে নেওয়া, নির্যাতন করার মানসিক যন্ত্রণা। তাঁর আরেক ছেলেকে আমরা চিরতরে হারিয়েছি। বাংলাদেশের হাজারো পরিবারের মতো আমাদের পরিবারও ছিল লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু ইতিহাসের একটা সত্য আছে- কষ্ট মানুষকে সব সময় তিক্ত করে না। কখনো কখনো কষ্ট মানুষকে আরও মহান করে তোলে। দেশনেত্রী, আমার মা- এটাই প্রমাণ করেছেন। তিনি শিখিয়েছেন—যে অন্যায় আমরা সহ্য করেছি, তা যেন আর কারও জীবনে না আসে। দেশকে বদলাতে হলে, ঘৃণার পথ নয়— ন্যায়, নৈতিকতা আর ক্ষমাশীলতার পথই ভবিষ্যৎ গড়ে।

আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা লিখেছেন তিনি।
পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, আজ বাংলাদেশের প্রয়োজন রাজনীতির চেয়েও বড় কিছু—একটি ঐক্যবদ্ধ দেশ, যেখানে সবার জন্য মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে, বিরোধী মত যেখানে হুমকি না হয়ে বরং গণতন্ত্রের অংশ হবে। যেখানে ভিন্ন মতের কারণে কাউকে নিপীড়িত হতে হবে না বা গুম হয়ে যেতে হবে না।
বিএনপি প্রতিশোধের রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিখেছেন, বিএনপি আজ প্রতিশোধের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করছে, আমরা সমাধানের পথে বিশ্বাসী। আমরা এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, কোনো বাংলাদেশিকে রাষ্ট্রের ভয়ে বাঁচতে হবে না, তা সে সরকারের সমর্থক হোক বা বিরোধী।
১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়— মানবাধিকারই মানুষের দৈনন্দিন বেঁচে থাকার মৌলিক শর্ত মন্তব্য করে তারেক রহমান পোস্টে লেখেন, আমরা আবরার ফাহাদ, মুশতাক আহমেদ, ইলিয়াস আলী, সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাগর-রুনি— আর অসংখ্য শহীদের গল্প মনে রাখি, যেন ভবিষ্যতে এমন নিপীড়ন আর দায়মুক্তি আর কখনো ফিরে না আসে।
১৬টা বছর ধরে বাংলাদেশ যেন একটা কালো মেঘের নিচে চাপা পড়ে ছিল বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি লেখেন, কেউ সেই অন্ধকারকে খুব তীব্রভাবে টের পেয়েছে, কেউ চুপচাপ বয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু যাদের রাজনৈতিক অবস্থান তখনকার পতিত সরকারের বিপরীতে ছিল, তাদের জন্য এই অন্ধকার ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। রাতের বেলা দরজায় কড়া নাড়া, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, ভয়কে সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলা, আর অসংখ্য পরিবার অপেক্ষা করেছে সেই প্রিয়জনদের জন্য, যারা আর কোনো দিন ঘরে ফিরে আসেনি। এই বোঝা বিএনপির চেয়ে বেশি আর কেউ বহন করেনি।
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানেও সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে বিএনপির ঘরেই জানিয়ে তিনি লেখেন, ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, হেফাজতে মৃত্যু, মিথ্যা মামলা— সব জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু অত্যাচারের শিকার শুধু বিএনপি ছিল না; ছাত্র, সাংবাদিক, লেখক, পথচারী, সাধারণ মানুষ— সবাই সেই ভয়ংকর পরিবেশের ক্ষত বয়ে বেড়িয়েছে, ন্যূনতম মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত মর্যাদা, নিরাপত্তা, মত প্রকাশের অধিকারের মতো মৌলিক সব বিষয়গুলো ছিল হুমকির মুখে।
পোস্টে তারেক রহমান তাঁকে ও তাঁর মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, এই বছরগুলোতে আমাকেও কথা বলার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকে আমার কথা বলার অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়। দেশের কোনো পত্রিকা, টিভি বা সোশ্যাল মিডিয়া যেন আমার কোনো বক্তব্য প্রকাশ না করা হয়, এমন নির্দেশনা জারি ছিল। তবুও এই চাপিয়ে দেয়া নীরবতার মধ্যেও আমি অধিকার, গণতন্ত্র আর মানুষের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই চালিয়ে গেছি, কারণ সত্যের স্পিরিটকে আদেশ দিয়ে থামানো যায় না। এই পুরো অন্ধকার সময়টায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন আমাদের ধৈর্য ও প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় প্রতীক। মিথ্যা মামলা, কারাবাস, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা- এসবই পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এক কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রতিফলন। তবুও তিনি তাঁর গণতান্ত্রিক আদর্শ থেকে কখনো সরে যাননি। তাঁর বিশ্বাস একটাই— অধিকার সবার; ভয় দেখিয়ে দেশকে এগোনো যায় না।
এ প্রসঙ্গে তারেক রহমান আরও লেখেন, আমি ব্যক্তিগতভাবেও সেই দুঃসহ সময়ের সাক্ষী। আমার মা, যিনি দেশনেত্রী, নিজে সহ্য করেছেন তাঁর ছেলেকে জেলে নেওয়া, নির্যাতন করার মানসিক যন্ত্রণা। তাঁর আরেক ছেলেকে আমরা চিরতরে হারিয়েছি। বাংলাদেশের হাজারো পরিবারের মতো আমাদের পরিবারও ছিল লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু ইতিহাসের একটা সত্য আছে- কষ্ট মানুষকে সব সময় তিক্ত করে না। কখনো কখনো কষ্ট মানুষকে আরও মহান করে তোলে। দেশনেত্রী, আমার মা- এটাই প্রমাণ করেছেন। তিনি শিখিয়েছেন—যে অন্যায় আমরা সহ্য করেছি, তা যেন আর কারও জীবনে না আসে। দেশকে বদলাতে হলে, ঘৃণার পথ নয়— ন্যায়, নৈতিকতা আর ক্ষমাশীলতার পথই ভবিষ্যৎ গড়ে।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলন শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ছাত্রসমাবেশ শুরু হয়। যা গতকাল শনিবার রাতে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এ পর্যায়ে ১২৫টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৪ জন।
১২ মিনিট আগে
আমাদের জাতীয় জীবনে জাতীয় দিবসগুলো একান্ত গুরুত্বের দাবিদার বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় দিবসের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম ধাপে ১২৫টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে নির্বাচনকে কেবল আসন জেতার লড়াই হিসেবে নয়, বরং এটিকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ওপর একটি ‘গণভোট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে