নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘যারা তুলে নিয়েছিল, তারা আমাকে একটি কবরের মতো কামরায় ৬১ দিন বন্দি রেখেছিল। তখন একটু সময়ের জন্যও তারা আমাকে বের করেনি।’
নয় বছর পর গতকাল রোববার দেশে ফিরে বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ তাঁকে অপহরণ ও নির্যাতনের দুর্বিষহ দিনের এমন বর্ণনা দিয়েছেন গণমাধ্যমে। তিনি বলেন, তারা আমাকে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। সেই জায়গাটা একটা কবরের মতো, একটা কামরা। আমার মনে হয়েছিল, এটা কোনো বাড়ির নিচতলা হবে। জায়গাটা ৫ ফুট বাই ১০ ফুট হবে। শুধু প্রস্রাব-পায়খানা করার জন্য একটা ছিদ্র ছিল এক কিনারে, সেখানে একটা পানির ট্যাব ছিল। কক্ষে একটা লোহার দরজা ছিল। তার নিচ থেকে খাবার দেওয়ার একটা জায়গা ছিল, বাহিরে একটা স্ট্যান্ড ফ্যান ছিল, মাথার ওপরে একটা হাইপাওয়ার লাইট ছিল, এতটুকুই। এখানে তারা আমাকে ৬১ দিন রাখে। এক দিনের জন্যও বের করেনি।’
সালাহউদ্দিন অপহরণের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তারা আসে। তাদের মধ্যে কেউ সাদাপোশাকে, কেউ অস্ত্রধারী ছিল। তখন আমি উত্তরায় আমার এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম, সেখান থেকেই তারা আমাকে চোখে কাপড় বেঁধে, হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যায়।
এরপর তারা আমাকে গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, তারা যেদিন আমাকে ওই কক্ষ থেকে বের করে, সেদিনও চোখ বেঁধে বের করে। গাড়িতে তোলে। ৬ সাত ৭ ঘণ্টা তারা আমাকে গাড়িতে তুলে চালাল। এরপর এক জায়গায় নিয়ে নামায়, তখন অন্ধকার। এরপর হেঁটে কিছুদূর, তারপর আবার গাড়িতে। এরপর একটি মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন ভোর। লোকজন হাটঁতে বের হয়েছে, তাদের সহযোগিতা চাইলাম। পুলিশ ডাকতে বললাম, তারপর আমি জানতে পারলাম এটা ভারতের শিলং।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এ ছাড়া যা ঘটেছে, তা আমি এ মুহূর্তে বলতে চাই না। কারণ যা ঘটেছে, তা উচ্চমহলের নির্দেশেই ঘটেছে। এজন্য তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে কোনো না কোনোদিন জবাবদিহি করতেই হবে।’
২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়। গতকাল তিনি বাংলাদেশে ফেরত আসেন।
‘যারা তুলে নিয়েছিল, তারা আমাকে একটি কবরের মতো কামরায় ৬১ দিন বন্দি রেখেছিল। তখন একটু সময়ের জন্যও তারা আমাকে বের করেনি।’
নয় বছর পর গতকাল রোববার দেশে ফিরে বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ তাঁকে অপহরণ ও নির্যাতনের দুর্বিষহ দিনের এমন বর্ণনা দিয়েছেন গণমাধ্যমে। তিনি বলেন, তারা আমাকে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। সেই জায়গাটা একটা কবরের মতো, একটা কামরা। আমার মনে হয়েছিল, এটা কোনো বাড়ির নিচতলা হবে। জায়গাটা ৫ ফুট বাই ১০ ফুট হবে। শুধু প্রস্রাব-পায়খানা করার জন্য একটা ছিদ্র ছিল এক কিনারে, সেখানে একটা পানির ট্যাব ছিল। কক্ষে একটা লোহার দরজা ছিল। তার নিচ থেকে খাবার দেওয়ার একটা জায়গা ছিল, বাহিরে একটা স্ট্যান্ড ফ্যান ছিল, মাথার ওপরে একটা হাইপাওয়ার লাইট ছিল, এতটুকুই। এখানে তারা আমাকে ৬১ দিন রাখে। এক দিনের জন্যও বের করেনি।’
সালাহউদ্দিন অপহরণের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বলেন, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তারা আসে। তাদের মধ্যে কেউ সাদাপোশাকে, কেউ অস্ত্রধারী ছিল। তখন আমি উত্তরায় আমার এক বন্ধুর বাসায় ছিলাম, সেখান থেকেই তারা আমাকে চোখে কাপড় বেঁধে, হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যায়।
এরপর তারা আমাকে গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, তারা যেদিন আমাকে ওই কক্ষ থেকে বের করে, সেদিনও চোখ বেঁধে বের করে। গাড়িতে তোলে। ৬ সাত ৭ ঘণ্টা তারা আমাকে গাড়িতে তুলে চালাল। এরপর এক জায়গায় নিয়ে নামায়, তখন অন্ধকার। এরপর হেঁটে কিছুদূর, তারপর আবার গাড়িতে। এরপর একটি মাঠে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন ভোর। লোকজন হাটঁতে বের হয়েছে, তাদের সহযোগিতা চাইলাম। পুলিশ ডাকতে বললাম, তারপর আমি জানতে পারলাম এটা ভারতের শিলং।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এ ছাড়া যা ঘটেছে, তা আমি এ মুহূর্তে বলতে চাই না। কারণ যা ঘটেছে, তা উচ্চমহলের নির্দেশেই ঘটেছে। এজন্য তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে কোনো না কোনোদিন জবাবদিহি করতেই হবে।’
২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়। গতকাল তিনি বাংলাদেশে ফেরত আসেন।
মনোনয়নপত্র সশরীরে জমা দেওয়া, দল নিবন্ধন নবায়ন, দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানো, ঋণখেলাপি ও হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্তত ১০টি দাবি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে তুলে ধরেছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকের পক্ষে নয় এবং এই নীতিটি সংবিধানে সংযুক্ত করার পক্ষেও দলটি একমত। সংবিধান সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অসন্তুষ্ট নয় বিএনপি। বরং রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য তাঁরা সর্বাত্মক...
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গতকাল তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার পর কয়েকটি সুপারিশ নিয়ে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার এবং ভরণপোষণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কারের বিষয়ে আর কোনো সংকট দেখছে না বিএনপি। এই অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে মনে করছে দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে কোনো সংকট নেই। সবাই সবার মতামত দিয়েছে। ঐকমত্য কোথায় কোথায় হয়েছে, তা জানতে এক সপ্তাহের...
৬ ঘণ্টা আগে