Ajker Patrika

সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের এজেন্ট: রিজভী

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের এজেন্ট: রিজভী

সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের এজেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

রিজভী বলেন, বর্তমান এই সরকার নিরপেক্ষ। কিন্তু সরকারের নিচের যে আবরণ রয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের এজেন্ট। 

রিজভী আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রজনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে। পরে গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের দোসর শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে।’ 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থান সফলে ছাত্রজনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন। আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল, স্যার একজন মরে, আরও দুজন দাঁড়িয়ে যায়। এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্রজনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এছাড়া শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।’ 

পুলিশের নিয়োগের প্রশ্ন তুলে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে। ৬২ জন এসপি শেখ হাসিনার আমলের নিয়োগপ্রাপ্ত।’ 

পুলিশের মাঠ পর্যায়ের রদবদল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ জন পুলিশের উপপরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। এরা কেউই নিরপেক্ষ নন। তাঁরা সবাই হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এই নিয়োগ নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আহ্বান জানাই।’ 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালানো পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে, তা ছাত্রজনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।’ 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘যে পুলিশ ছাত্রজনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেই সব পুলিশ কীভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের ২০০ এসআই কীভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে?’ 

এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক পারভেজ রেজা কাকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য আমিনুল হক, যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত