নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশেষ ক্ষমতা আইনকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে মডেল মেঘনা আলমের দ্রুত মুক্তি এবং ১৯৭৪ সালের এই বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। সংগঠনের পক্ষে জারি করা বিবৃতিতে এই আইন ব্যবহারে ‘রাষ্ট্রীয় স্বৈরাচার ও নাগরিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৯ এপ্রিল (বুধবার) রাতে মেঘনা আলমের বাসায় পুলিশ পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ঢুকে দরজা ভেঙে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে পুরো এক দিন ‘নিখোঁজ’ রেখে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আটক করার মুহূর্তে মেঘনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করে পুলিশের পরিচয় নিশ্চিত করতে এবং থানায় নিজে যেতে চাওয়ার কথা বললেও কোনো কিছুই আমলে নেওয়া হয়নি। বরং, ঘটনার পর তাঁর লাইভ ভিডিও ডিলিট করা হয় এবং পুলিশ প্রথমে আটকের কথা অস্বীকার করে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরদার হলে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক স্বীকার করে বলা হয়, ‘জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার হুমকিস্বরূপ ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টার কারণে’ বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারী আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্ক্ষা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।
মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগকে ‘বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মতো একটি ফ্যাসিবাদী আইনের অপব্যবহার করে একজন নাগরিককে এভাবে আটক করায় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়।
সংগঠনটি অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি দাবি করেছে এবং একই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে যে রাষ্ট্রীয় বাহিনী বিদেশি কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়। এই ঘটনার সঙ্গে ওই বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ভূমিকাও তদন্ত করতে হবে এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে যথাযথ কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন:–
বিশেষ ক্ষমতা আইনকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে মডেল মেঘনা আলমের দ্রুত মুক্তি এবং ১৯৭৪ সালের এই বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। সংগঠনের পক্ষে জারি করা বিবৃতিতে এই আইন ব্যবহারে ‘রাষ্ট্রীয় স্বৈরাচার ও নাগরিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন’ হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৯ এপ্রিল (বুধবার) রাতে মেঘনা আলমের বাসায় পুলিশ পরিচয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা ঢুকে দরজা ভেঙে তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে পুরো এক দিন ‘নিখোঁজ’ রেখে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, আটক করার মুহূর্তে মেঘনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ করে পুলিশের পরিচয় নিশ্চিত করতে এবং থানায় নিজে যেতে চাওয়ার কথা বললেও কোনো কিছুই আমলে নেওয়া হয়নি। বরং, ঘটনার পর তাঁর লাইভ ভিডিও ডিলিট করা হয় এবং পুলিশ প্রথমে আটকের কথা অস্বীকার করে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরদার হলে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক স্বীকার করে বলা হয়, ‘জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার হুমকিস্বরূপ ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টার কারণে’ বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারী আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্ক্ষা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।
মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগকে ‘বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মতো একটি ফ্যাসিবাদী আইনের অপব্যবহার করে একজন নাগরিককে এভাবে আটক করায় রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংগঠনটি বলছে, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়।
সংগঠনটি অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি দাবি করেছে এবং একই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে যে রাষ্ট্রীয় বাহিনী বিদেশি কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বাহিনী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়। এই ঘটনার সঙ্গে ওই বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ভূমিকাও তদন্ত করতে হবে এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে যথাযথ কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন:–
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির চেয়ে চলমান প্রচারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচিত সরকারের বিকল্প তো আপনারা হতে পারেন না। আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত। সেটা প্রতিদিন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’
৭ ঘণ্টা আগেসংস্কার কোনো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এখন যতটুকু করা সম্ভব, তা করা উচিত। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে সম্পন্ন করবে। এটাই হওয়া উচিত।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৭৮টি প্রস্তাবেই দ্বিমত জানিয়ে মতামত জমা দিয়েছে গণফোরাম। দলটি কমিশনের ৫৮ প্রস্তাবে একমত এবং ২৪টি প্রস্তাবে আংশিকভাবে একমত। অন্যদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০৯টি প্রস্তাবে একমত, ২২টিতে দ্বিমত এবং ৩৪টিতে আংশিকভাবে একমত।
৯ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কারের বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব জাকের পার্টি করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার। তিনি বলেছেন, বড় বড় জায়গার বিষয়ে গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হওয়া উচিত। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থাকলে তথাকথিত বড় দলগুলোর প্রভাব থাকে। তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।
১ দিন আগে