জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণসভা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যদি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হয়, তার বাহক হচ্ছে যে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় অলটারনেটিভ নাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কাজগুলো শুরু করা দরকার, সে কাজগুলোর শুরু হতেই আমরা দেখতে পারছি না। আমরা সেই কাজের আশপাশে নাই। বিগত দিনে আমরা যেগুলো দেখে আসছি, মনে হচ্ছে সেগুলো একটা ভিন্ন রূপে আমাদের কাছে চালু হয়ে গেছে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, এর বেশির ভাগ লোকের চেহারা আমরা দেখি নাই আন্দোলনের সময়। এদের মধ্যে কেউ কেউ উঁকিঝুঁকি মেরেছে। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ তাদের ওপর গেছে, তারা গর্তে ঢুকে গেছে, আর বের হয় নাই। এখন তারা গর্ত থেকে বের হয়ে আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে।’
নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কোনো সংস্কার করা যাবে না। এখানে কাউকে আমরা বাংলাদেশের মালিকানা দিইনি, যারা আগামীর বাংলাদেশের সংস্কার করবে। তার বাইরে সংস্কারের কোনো সুযোগ নাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সংসদ ব্যতীত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নাই।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করতেন, মানুষই দেশের মালিক, মানুষের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করাই রাজনীতির কাজ। আজকের বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ, আবু সাঈদ, মুগ্ধরা বয়সে ছোট জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের সকলের ভেতরেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরা উচিত। আমরা আজকের এই সভা থেকে এই দাবি জানাচ্ছি। সরকার কোন দিকে হাঁটছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। নয় মাস পর এখনো কেন বিচার, সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে? এর কারণ উপদেষ্টারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ভোট শেষ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, ভোট কবে হবে? ভোট কি হবে? ড. ইউনূস বিদেশ থেকে যারা জ্ঞানী লোক তাদের নিয়ে এসে দেশ গঠন করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাঁরা দেশে ভালো মানুষ পান না। এই ৯ মাসে কী সংস্কার হয়েছে?’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই মনে করি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত। যতটা অত্যাচার করেছে, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘যারা জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চান, তাঁরা সাবধান হয়ে যান। আপনারা ’২৪-এ আমাদের সঙ্গে ছিলেন সে জন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই, কিন্তু ’৭১-এর জন্য আপনাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করতে ইস্যু তৈরি করতে পারঙ্গম। আবদুল হামিদ রাতের আঁধারে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন, এটা সরকার জানে না—এটা মানি না।’
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ।
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যদি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হয়, তার বাহক হচ্ছে যে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় অলটারনেটিভ নাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কাজগুলো শুরু করা দরকার, সে কাজগুলোর শুরু হতেই আমরা দেখতে পারছি না। আমরা সেই কাজের আশপাশে নাই। বিগত দিনে আমরা যেগুলো দেখে আসছি, মনে হচ্ছে সেগুলো একটা ভিন্ন রূপে আমাদের কাছে চালু হয়ে গেছে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, এর বেশির ভাগ লোকের চেহারা আমরা দেখি নাই আন্দোলনের সময়। এদের মধ্যে কেউ কেউ উঁকিঝুঁকি মেরেছে। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ তাদের ওপর গেছে, তারা গর্তে ঢুকে গেছে, আর বের হয় নাই। এখন তারা গর্ত থেকে বের হয়ে আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে।’
নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কোনো সংস্কার করা যাবে না। এখানে কাউকে আমরা বাংলাদেশের মালিকানা দিইনি, যারা আগামীর বাংলাদেশের সংস্কার করবে। তার বাইরে সংস্কারের কোনো সুযোগ নাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সংসদ ব্যতীত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নাই।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করতেন, মানুষই দেশের মালিক, মানুষের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করাই রাজনীতির কাজ। আজকের বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ, আবু সাঈদ, মুগ্ধরা বয়সে ছোট জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের সকলের ভেতরেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরা উচিত। আমরা আজকের এই সভা থেকে এই দাবি জানাচ্ছি। সরকার কোন দিকে হাঁটছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। নয় মাস পর এখনো কেন বিচার, সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে? এর কারণ উপদেষ্টারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ভোট শেষ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, ভোট কবে হবে? ভোট কি হবে? ড. ইউনূস বিদেশ থেকে যারা জ্ঞানী লোক তাদের নিয়ে এসে দেশ গঠন করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাঁরা দেশে ভালো মানুষ পান না। এই ৯ মাসে কী সংস্কার হয়েছে?’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই মনে করি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত। যতটা অত্যাচার করেছে, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘যারা জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চান, তাঁরা সাবধান হয়ে যান। আপনারা ’২৪-এ আমাদের সঙ্গে ছিলেন সে জন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই, কিন্তু ’৭১-এর জন্য আপনাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করতে ইস্যু তৈরি করতে পারঙ্গম। আবদুল হামিদ রাতের আঁধারে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন, এটা সরকার জানে না—এটা মানি না।’
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ।
গোপালগঞ্জে ফের লংমার্চ করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দ্রুত বিচার না করলে গোপালগঞ্জে আমরা শিগগির লংমার্চ করব। এবার গোপালগঞ্জকে আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদমুক্ত করে ফিরে আসব।’ এ ছাড়া তিনি গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা না করার
১ ঘণ্টা আগেসরকারের নির্লিপ্ততা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় সারা দেশে মবক্রেসির রাজত্ব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জুলাই ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছিলাম ডেমোক্রেসির জন্য। আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, চেয়েছিলাম ডেমোক্রেসি, হয়ে যাচ্ছে মবক্রেসি।’
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গোপালগঞ্জ ও পুরো বাংলাদেশকে মুজিববাদী সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, গোপালগঞ্জের প্রতিটি ঘরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা আবারও গোপালগঞ্জ যাবেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পো
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভেতরে-ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে