জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণসভা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যদি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হয়, তার বাহক হচ্ছে যে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় অলটারনেটিভ নাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কাজগুলো শুরু করা দরকার, সে কাজগুলোর শুরু হতেই আমরা দেখতে পারছি না। আমরা সেই কাজের আশপাশে নাই। বিগত দিনে আমরা যেগুলো দেখে আসছি, মনে হচ্ছে সেগুলো একটা ভিন্ন রূপে আমাদের কাছে চালু হয়ে গেছে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, এর বেশির ভাগ লোকের চেহারা আমরা দেখি নাই আন্দোলনের সময়। এদের মধ্যে কেউ কেউ উঁকিঝুঁকি মেরেছে। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ তাদের ওপর গেছে, তারা গর্তে ঢুকে গেছে, আর বের হয় নাই। এখন তারা গর্ত থেকে বের হয়ে আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে।’
নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কোনো সংস্কার করা যাবে না। এখানে কাউকে আমরা বাংলাদেশের মালিকানা দিইনি, যারা আগামীর বাংলাদেশের সংস্কার করবে। তার বাইরে সংস্কারের কোনো সুযোগ নাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সংসদ ব্যতীত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নাই।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করতেন, মানুষই দেশের মালিক, মানুষের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করাই রাজনীতির কাজ। আজকের বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ, আবু সাঈদ, মুগ্ধরা বয়সে ছোট জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের সকলের ভেতরেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরা উচিত। আমরা আজকের এই সভা থেকে এই দাবি জানাচ্ছি। সরকার কোন দিকে হাঁটছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। নয় মাস পর এখনো কেন বিচার, সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে? এর কারণ উপদেষ্টারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ভোট শেষ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, ভোট কবে হবে? ভোট কি হবে? ড. ইউনূস বিদেশ থেকে যারা জ্ঞানী লোক তাদের নিয়ে এসে দেশ গঠন করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাঁরা দেশে ভালো মানুষ পান না। এই ৯ মাসে কী সংস্কার হয়েছে?’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই মনে করি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত। যতটা অত্যাচার করেছে, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘যারা জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চান, তাঁরা সাবধান হয়ে যান। আপনারা ’২৪-এ আমাদের সঙ্গে ছিলেন সে জন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই, কিন্তু ’৭১-এর জন্য আপনাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করতে ইস্যু তৈরি করতে পারঙ্গম। আবদুল হামিদ রাতের আঁধারে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন, এটা সরকার জানে না—এটা মানি না।’
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ।
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যদি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হয়, তার বাহক হচ্ছে যে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় অলটারনেটিভ নাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কাজগুলো শুরু করা দরকার, সে কাজগুলোর শুরু হতেই আমরা দেখতে পারছি না। আমরা সেই কাজের আশপাশে নাই। বিগত দিনে আমরা যেগুলো দেখে আসছি, মনে হচ্ছে সেগুলো একটা ভিন্ন রূপে আমাদের কাছে চালু হয়ে গেছে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, এর বেশির ভাগ লোকের চেহারা আমরা দেখি নাই আন্দোলনের সময়। এদের মধ্যে কেউ কেউ উঁকিঝুঁকি মেরেছে। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ তাদের ওপর গেছে, তারা গর্তে ঢুকে গেছে, আর বের হয় নাই। এখন তারা গর্ত থেকে বের হয়ে আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে।’
নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কোনো সংস্কার করা যাবে না। এখানে কাউকে আমরা বাংলাদেশের মালিকানা দিইনি, যারা আগামীর বাংলাদেশের সংস্কার করবে। তার বাইরে সংস্কারের কোনো সুযোগ নাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সংসদ ব্যতীত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নাই।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করতেন, মানুষই দেশের মালিক, মানুষের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করাই রাজনীতির কাজ। আজকের বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ, আবু সাঈদ, মুগ্ধরা বয়সে ছোট জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের সকলের ভেতরেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরা উচিত। আমরা আজকের এই সভা থেকে এই দাবি জানাচ্ছি। সরকার কোন দিকে হাঁটছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। নয় মাস পর এখনো কেন বিচার, সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে? এর কারণ উপদেষ্টারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ভোট শেষ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, ভোট কবে হবে? ভোট কি হবে? ড. ইউনূস বিদেশ থেকে যারা জ্ঞানী লোক তাদের নিয়ে এসে দেশ গঠন করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাঁরা দেশে ভালো মানুষ পান না। এই ৯ মাসে কী সংস্কার হয়েছে?’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই মনে করি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত। যতটা অত্যাচার করেছে, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘যারা জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চান, তাঁরা সাবধান হয়ে যান। আপনারা ’২৪-এ আমাদের সঙ্গে ছিলেন সে জন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই, কিন্তু ’৭১-এর জন্য আপনাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করতে ইস্যু তৈরি করতে পারঙ্গম। আবদুল হামিদ রাতের আঁধারে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন, এটা সরকার জানে না—এটা মানি না।’
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মরণসভা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যদি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হয়, তার বাহক হচ্ছে যে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় অলটারনেটিভ নাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কাজগুলো শুরু করা দরকার, সে কাজগুলোর শুরু হতেই আমরা দেখতে পারছি না। আমরা সেই কাজের আশপাশে নাই। বিগত দিনে আমরা যেগুলো দেখে আসছি, মনে হচ্ছে সেগুলো একটা ভিন্ন রূপে আমাদের কাছে চালু হয়ে গেছে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, এর বেশির ভাগ লোকের চেহারা আমরা দেখি নাই আন্দোলনের সময়। এদের মধ্যে কেউ কেউ উঁকিঝুঁকি মেরেছে। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ তাদের ওপর গেছে, তারা গর্তে ঢুকে গেছে, আর বের হয় নাই। এখন তারা গর্ত থেকে বের হয়ে আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে।’
নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কোনো সংস্কার করা যাবে না। এখানে কাউকে আমরা বাংলাদেশের মালিকানা দিইনি, যারা আগামীর বাংলাদেশের সংস্কার করবে। তার বাইরে সংস্কারের কোনো সুযোগ নাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সংসদ ব্যতীত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নাই।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করতেন, মানুষই দেশের মালিক, মানুষের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করাই রাজনীতির কাজ। আজকের বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ, আবু সাঈদ, মুগ্ধরা বয়সে ছোট জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের সকলের ভেতরেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরা উচিত। আমরা আজকের এই সভা থেকে এই দাবি জানাচ্ছি। সরকার কোন দিকে হাঁটছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। নয় মাস পর এখনো কেন বিচার, সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে? এর কারণ উপদেষ্টারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ভোট শেষ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, ভোট কবে হবে? ভোট কি হবে? ড. ইউনূস বিদেশ থেকে যারা জ্ঞানী লোক তাদের নিয়ে এসে দেশ গঠন করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাঁরা দেশে ভালো মানুষ পান না। এই ৯ মাসে কী সংস্কার হয়েছে?’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই মনে করি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত। যতটা অত্যাচার করেছে, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘যারা জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চান, তাঁরা সাবধান হয়ে যান। আপনারা ’২৪-এ আমাদের সঙ্গে ছিলেন সে জন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই, কিন্তু ’৭১-এর জন্য আপনাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করতে ইস্যু তৈরি করতে পারঙ্গম। আবদুল হামিদ রাতের আঁধারে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন, এটা সরকার জানে না—এটা মানি না।’
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ।
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের যদি বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হয়, তার বাহক হচ্ছে যে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। এটার কোনো দ্বিতীয় অলটারনেটিভ নাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে কাজগুলো শুরু করা দরকার, সে কাজগুলোর শুরু হতেই আমরা দেখতে পারছি না। আমরা সেই কাজের আশপাশে নাই। বিগত দিনে আমরা যেগুলো দেখে আসছি, মনে হচ্ছে সেগুলো একটা ভিন্ন রূপে আমাদের কাছে চালু হয়ে গেছে।’
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এখন যারা বড় বড় কথা বলছে, এর বেশির ভাগ লোকের চেহারা আমরা দেখি নাই আন্দোলনের সময়। এদের মধ্যে কেউ কেউ উঁকিঝুঁকি মেরেছে। যখন শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ তাদের ওপর গেছে, তারা গর্তে ঢুকে গেছে, আর বের হয় নাই। এখন তারা গর্ত থেকে বের হয়ে আমাদের সংস্কারের তালিম দিচ্ছে।’
নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার হতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে যেয়ে কোনো সংস্কার করা যাবে না। এখানে কাউকে আমরা বাংলাদেশের মালিকানা দিইনি, যারা আগামীর বাংলাদেশের সংস্কার করবে। তার বাইরে সংস্কারের কোনো সুযোগ নাই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বলা আছে বাংলাদেশের জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সংসদ ব্যতীত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হবে না। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয় নাই।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করতেন, মানুষই দেশের মালিক, মানুষের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করাই রাজনীতির কাজ। আজকের বাংলাদেশ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ, আবু সাঈদ, মুগ্ধরা বয়সে ছোট জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাদের সকলের ভেতরেই জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরা উচিত। আমরা আজকের এই সভা থেকে এই দাবি জানাচ্ছি। সরকার কোন দিকে হাঁটছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। নয় মাস পর এখনো কেন বিচার, সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে? এর কারণ উপদেষ্টারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ভোট শেষ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। আমরা সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করে, ভোট কবে হবে? ভোট কি হবে? ড. ইউনূস বিদেশ থেকে যারা জ্ঞানী লোক তাদের নিয়ে এসে দেশ গঠন করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাঁরা দেশে ভালো মানুষ পান না। এই ৯ মাসে কী সংস্কার হয়েছে?’
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই মনে করি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা উচিত। যতটা অত্যাচার করেছে, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নাই।’
সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘যারা জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে চান, তাঁরা সাবধান হয়ে যান। আপনারা ’২৪-এ আমাদের সঙ্গে ছিলেন সে জন্য আপনাদের সাধুবাদ জানাই, কিন্তু ’৭১-এর জন্য আপনাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের দৃষ্টি বিভ্রান্ত করতে ইস্যু তৈরি করতে পারঙ্গম। আবদুল হামিদ রাতের আঁধারে দেশ ছেড়ে চলে গেলেন, এটা সরকার জানে না—এটা মানি না।’
স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় তারা।
৪ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা চরম নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে কার্যকর...
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
আজ বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
আজ বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন, এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি।
১৩ মে ২০২৫জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় তারা।
৪ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা চরম নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে কার্যকর...
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় তারা।
জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা।
আইআরআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস, কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান, প্রচারণা ও পরামর্শদাতা জন ফ্লুহার্টি, পরামর্শক ডারিন বিয়েলেকি, অমিতাভ ঘোষ ও সাইদা মুশরেফা জাহান।
বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় জাতীয় পার্টির নেতারা দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, জাতীয় পার্টিকে নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়া এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে দলীয়মুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।
বৈঠকের বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত মাসরুর মাওলা বলেন, ‘আজ (বুধবার) বাংলাদেশে সফররত আইআরআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের (জাতীয় পার্টি) বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আইআরআই প্রতিনিধিদল আমাদের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।’
মাসরুর মওলা জানান, আইআরআই প্রতিনিধিদলের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না? জবাবে পার্টির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে বর্তমানে দেশে নির্বাচনের স্থিতিশীল পরিবেশ দৃশ্যমান হয়নি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁদের আরও জানান, জাতীয় পার্টির অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সরকার এখনো সেগুলো প্রত্যাহার করেনি। এ ছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, প্রশাসনে এখনো দলীয় প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি এখনো উন্মুক্ত পরিবেশে সভা-সমাবেশ করতে পারছে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব সমস্যার সুরাহা দরকার।
জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় তারা।
জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা।
আইআরআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস, কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, আবাসিক প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান, প্রচারণা ও পরামর্শদাতা জন ফ্লুহার্টি, পরামর্শক ডারিন বিয়েলেকি, অমিতাভ ঘোষ ও সাইদা মুশরেফা জাহান।
বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় জাতীয় পার্টির নেতারা দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, জাতীয় পার্টিকে নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেওয়া এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে দলীয়মুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।
বৈঠকের বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত মাসরুর মাওলা বলেন, ‘আজ (বুধবার) বাংলাদেশে সফররত আইআরআই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের (জাতীয় পার্টি) বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আইআরআই প্রতিনিধিদল আমাদের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।’
মাসরুর মওলা জানান, আইআরআই প্রতিনিধিদলের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না? জবাবে পার্টির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল। সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে বর্তমানে দেশে নির্বাচনের স্থিতিশীল পরিবেশ দৃশ্যমান হয়নি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তাঁদের আরও জানান, জাতীয় পার্টির অনেক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সরকার এখনো সেগুলো প্রত্যাহার করেনি। এ ছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, প্রশাসনে এখনো দলীয় প্রভাব রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি এখনো উন্মুক্ত পরিবেশে সভা-সমাবেশ করতে পারছে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব সমস্যার সুরাহা দরকার।
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন, এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি।
১৩ মে ২০২৫বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা চরম নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে কার্যকর...
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকেল সোয়া ৫টায় প্রথমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসেছিলাম আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন নিয়ে কথা বলার জন্য; বিশেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ভূমিকা, সেই ভূমিকায় তাদের যেতে হবে। সে জন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে, তা হচ্ছে প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ একটা জনগণের মধ্যে তৈরি করতে হবে।’
চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈঠক হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকেল সোয়া ৫টায় প্রথমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এসেছিলাম আমাদের কতগুলো রাজনৈতিক কনসার্ন নিয়ে কথা বলার জন্য; বিশেষ করে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই মুহূর্ত থেকে যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ভূমিকা, সেই ভূমিকায় তাদের যেতে হবে। সে জন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে, তা হচ্ছে প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ একটা জনগণের মধ্যে তৈরি করতে হবে।’
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন, এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি।
১৩ মে ২০২৫বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় তারা।
৪ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা চরম নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে কার্যকর...
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা চরম নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ‘চলতি বছর ২৫১ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করলেও সরকারের টনক নড়ছে না। কেবল সরকারি হিসাবেই ৬১ হাজারজনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যাদের সবাই হাসপাতাল পর্যন্ত আসতে পারেনি। এমনকি সরকারি হাসপাতালেও ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচ সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে। মানুষকে মৃত্যুর সম্ভাবনার মুখে রেখে সরকারের নির্বিকার আচরণ দেখে আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।’
নেতারা বলেন, ‘সারা বছর যেখানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পিত ভূমিকা থাকার কথা, সেখানে তারা এ বিষয়ে কোনো কাজই করেনি। ডেঙ্গুর প্রকোপে এত মানুষের মৃত্যুর পরেও সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল কোনো ভূমিকা আমরা দেখছি না। আমরা সরকারের এই ভূমিকার নিন্দা জানাই।’
নেতারা অবিলম্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তাঁরা।
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্বিকার ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা চরম নিন্দনীয় এবং অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, ‘চলতি বছর ২৫১ জন মানুষ ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করলেও সরকারের টনক নড়ছে না। কেবল সরকারি হিসাবেই ৬১ হাজারজনের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যাদের সবাই হাসপাতাল পর্যন্ত আসতে পারেনি। এমনকি সরকারি হাসপাতালেও ডেঙ্গু চিকিৎসার খরচ সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে। মানুষকে মৃত্যুর সম্ভাবনার মুখে রেখে সরকারের নির্বিকার আচরণ দেখে আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।’
নেতারা বলেন, ‘সারা বছর যেখানে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পিত ভূমিকা থাকার কথা, সেখানে তারা এ বিষয়ে কোনো কাজই করেনি। ডেঙ্গুর প্রকোপে এত মানুষের মৃত্যুর পরেও সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল কোনো ভূমিকা আমরা দেখছি না। আমরা সরকারের এই ভূমিকার নিন্দা জানাই।’
নেতারা অবিলম্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর ভূমিকা ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সরকারি হাসপাতালগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তাঁরা।
চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন আজীবন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি যত দিন বেঁচে ছিলেন, এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সব সময় কাজ করেছেন। ফ্যাসিবাদী আমলেও তিনি সবাইকে একত্র করার চেষ্টা করেছেন। তবে ফ্যাসিস্টের পতন তিনি দেখে যেতে পারেননি।
১৩ মে ২০২৫বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হয় তারা।
৪ ঘণ্টা আগেমঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
৪ ঘণ্টা আগে