Ajker Patrika

গণ অধিকার পরিষদে রেজা কিবরিয়ার কোনো ভিত্তি নেই: নুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ জুন ২০২৩, ২১: ৪২
Thumbnail image

গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। গতকাল সোমবার দলের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয়। এই ঘটনার এক দিন পরই গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন রেজা কিবরিয়া। 

অব্যাহতির বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘তিনি দেশের বাইরে থেকে এই ধরনের অব্যাহতি বা পদক্ষেপ নিতে পারেন না। এটা একটা মনগড়া পদক্ষেপ। গণ অধিকার পরিষদে তাঁর কোনো ভিত্তি নেই। গণ অধিকার পরিষদ তরুণদের দ্বারা গঠিত সংগঠন। গণ অধিকার পরিষদ তৈরি হওয়ার আগেই বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ছাত্র, যুব, শ্রমিক, প্রবাসী, পেশাজীবী সংগঠন তৈরি হয়েছে। তাতে রেজা কিবরিয়ার বিন্দুমাত্র কোনো অবদান নেই। সুতরাং তিনি গণ অধিকার পরিষদের সংগঠকদের বহিষ্কার বা অব্যাহতি দিতে পারেন না।’ 

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া বলেন, গণ অধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ২১ দফা কর্মসূচি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং মূলনীতিবিরোধী কাজ করা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান মানি লন্ডারিং আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা, ইসরায়েলসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সভা আয়োজন ও অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোনয়ন করা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্ট নিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব মো. নুরুল হক নুরকে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। 

নুরের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা রাশেদ খান প্রসঙ্গে বলা হয়, একই সঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খানকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। উভয়কে দলের দপ্তর বরাবর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো। 

বিগত কয়েক মাস ধরেই গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। রেজা কিবরিয়ার অভিযোগ, নুরের কাছে আসা টাকার হিসাব তাঁর কাছে চাওয়া হলেও তিনি দিচ্ছেন না। অন্যদিকে নুরের অভিযোগ, ইনসাফ কায়েম কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ এবং সংগঠনবিরোধী নানা তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত রেজা কিবরিয়া। ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ এই দুই নেতার দ্বন্দ্বে দলে ভাঙনের আশঙ্কা দেখা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত