নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে বাসায় গিয়ে থাকার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলে ছিল। অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় নির্বাহী ক্ষমতায় তাকে আমি তার বাসায় থাকার সুযোগটা করে দিয়েছি। কিন্তু এখন বলছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে বিদেশে পাঠাও। আহ্লাদের আর শেষ নাই!’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলে ছিল। অন্তত আমি এইটুকু দয়া করেছি যে, ঠিক আছে, বয়োবৃদ্ধ মানুষ বা অসুস্থ। হাঁটতে, চলতে, উঠতে, বসতে অসুবিধা। শুইলে একজন না ধরলে উঠতে পারে না। জেলখানায় যখন এই অবস্থা দেখেছি, তখন বলেছি ঠিক আছে, যেটুকু আমার ক্ষমতা আছে, নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে তাকে আমি তার বাসায় থাকার সুযোগটা করে দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘এখন তিনি সেজেগুজে, একেবারে মেকআপ-টেকাপ করে ভ্রু এঁকে হাসপাতালে যান। এদিকে তার ডাক্তারেরা আবার রিপোর্ট দেন, খুবই খারাপ অবস্থা, মানে একেবারেই যায় যায়। তার লিভার নাকি পচে শেষ। লিভার সাধারণত পচলে মানুষ কী বলে? সেটা আমি আর মুখ দিয়ে বলতে চাই না। কী খেলে তাড়াতাড়ি লিভার পচে সেটা মানুষ জানে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কাছে বলে কোন মুখে? জিয়াউর রহমান আমার বাবা, মা, ভাইদের হত্যা… ইনডেমনিটি দিয়ে খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। এরশাদ এসে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিল। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আরও এক ধাপ।’
১৯৯৮ সালে ৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যার রায়ের দিন বিচারক যাতে কোর্টে না যেতে পারে সে জন্য খালেদা জিয়া হরতাল ডেকেছিল বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে পদোন্নতি দিয়েছিল এবং আরেকজনকে রাষ্ট্রদূত করে বিদেশে পাঠিয়েছিল খালেদা জিয়া। আমার বাবা ও মায়ের হত্যাকারীদের এনে সংসদে বসিয়েছিল।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর গুলশানের বাসায় গিয়েছিলেন। তবে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সময় আমার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। আমি গেছি। আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কত বড় অপমান। খালি মনে হলো, তুমি খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমানের সঙ্গে অন্তত দুই মাস, এক মাস পরপরই আমাদের বাসায় যেয়ে বসে থাকতা। চেয়ার পেতেও বসতা না, লবিতে মোড়া ছিল, সেখানে বসতা। আর এখন আমাকে ঢুকতে দিবা না। আমার গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে গেট বন্ধ। আমাকে ঢুকতে দিল না। জীবনে কখনো এই রকম ইনসাল্ট করবে, তারপরেও তার জন্য দরদ দেখাতে হবে? দরদ তো দেখিয়েছি, আর কত? আর কত দয়া দেখাব? যে আমাকে খুন করতে চেয়েছে। আমার বাবা, মা, ভাইদের হত্যার সঙ্গে জড়িত, তার জন্য যথেষ্ট দয়া দেখানো হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে আমার হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে, তার জন্য অনেক দয়া দেখানো হয়েছে। এর বেশি দয়া দেখানো আমাদের পক্ষে আর সম্ভব না।’
বিএনপি এখন আরেকটা নাটক সাজাচ্ছেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে গাড়িতে করে উনি হাসপাতালে গেলেন, হলুদ শাড়ি পরে। এখন রিপোর্ট—খুবই খারাপ অবস্থা, বিদেশে না পাঠালে নাকি চিকিৎসা হবে না। এভারকেয়ারতো চমৎকার চিকিৎসা করিয়েছে। সব থেকে আধুনিক ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা তাকে দিচ্ছে। আসামিকে কে কবে বিদেশে পাঠায় চিকিৎসার জন্য? তাহলে তো কারাগারের কোনো আসামি আর বাদ থাকবে না, সবাই দাবি করবে, আমাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। আমরা কী সবাইকে পাঠাব?’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো, মামলা করতে দেওয়া হয়নি। আলামত নষ্ট করেছিল, জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। যে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তার জন্য এত করুণা, দয়া চায় কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। তারপরও তো আমরা করুণা করেছি।’
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনেক দুঃখে কথাগুলো বললাম। অনেক অপপ্রচার হচ্ছে, দেশে বিদেশে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমাদের নেতাকর্মীদের তার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। আমরা সংঘাত চাই না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেটা দেখিয়ে গেছেন।’
সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে বাসায় গিয়ে থাকার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলে ছিল। অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় নির্বাহী ক্ষমতায় তাকে আমি তার বাসায় থাকার সুযোগটা করে দিয়েছি। কিন্তু এখন বলছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাকে বিদেশে পাঠাও। আহ্লাদের আর শেষ নাই!’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি জেলে ছিল। অন্তত আমি এইটুকু দয়া করেছি যে, ঠিক আছে, বয়োবৃদ্ধ মানুষ বা অসুস্থ। হাঁটতে, চলতে, উঠতে, বসতে অসুবিধা। শুইলে একজন না ধরলে উঠতে পারে না। জেলখানায় যখন এই অবস্থা দেখেছি, তখন বলেছি ঠিক আছে, যেটুকু আমার ক্ষমতা আছে, নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে তাকে আমি তার বাসায় থাকার সুযোগটা করে দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘এখন তিনি সেজেগুজে, একেবারে মেকআপ-টেকাপ করে ভ্রু এঁকে হাসপাতালে যান। এদিকে তার ডাক্তারেরা আবার রিপোর্ট দেন, খুবই খারাপ অবস্থা, মানে একেবারেই যায় যায়। তার লিভার নাকি পচে শেষ। লিভার সাধারণত পচলে মানুষ কী বলে? সেটা আমি আর মুখ দিয়ে বলতে চাই না। কী খেলে তাড়াতাড়ি লিভার পচে সেটা মানুষ জানে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কাছে বলে কোন মুখে? জিয়াউর রহমান আমার বাবা, মা, ভাইদের হত্যা… ইনডেমনিটি দিয়ে খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। এরশাদ এসে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিল। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আরও এক ধাপ।’
১৯৯৮ সালে ৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যার রায়ের দিন বিচারক যাতে কোর্টে না যেতে পারে সে জন্য খালেদা জিয়া হরতাল ডেকেছিল বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দিয়ে পদোন্নতি দিয়েছিল এবং আরেকজনকে রাষ্ট্রদূত করে বিদেশে পাঠিয়েছিল খালেদা জিয়া। আমার বাবা ও মায়ের হত্যাকারীদের এনে সংসদে বসিয়েছিল।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর গুলশানের বাসায় গিয়েছিলেন। তবে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সময় আমার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। আমি গেছি। আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কত বড় অপমান। খালি মনে হলো, তুমি খালেদা জিয়া জিয়াউর রহমানের সঙ্গে অন্তত দুই মাস, এক মাস পরপরই আমাদের বাসায় যেয়ে বসে থাকতা। চেয়ার পেতেও বসতা না, লবিতে মোড়া ছিল, সেখানে বসতা। আর এখন আমাকে ঢুকতে দিবা না। আমার গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গে গেট বন্ধ। আমাকে ঢুকতে দিল না। জীবনে কখনো এই রকম ইনসাল্ট করবে, তারপরেও তার জন্য দরদ দেখাতে হবে? দরদ তো দেখিয়েছি, আর কত? আর কত দয়া দেখাব? যে আমাকে খুন করতে চেয়েছে। আমার বাবা, মা, ভাইদের হত্যার সঙ্গে জড়িত, তার জন্য যথেষ্ট দয়া দেখানো হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে আমার হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে, তার জন্য অনেক দয়া দেখানো হয়েছে। এর বেশি দয়া দেখানো আমাদের পক্ষে আর সম্ভব না।’
বিএনপি এখন আরেকটা নাটক সাজাচ্ছেন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে গাড়িতে করে উনি হাসপাতালে গেলেন, হলুদ শাড়ি পরে। এখন রিপোর্ট—খুবই খারাপ অবস্থা, বিদেশে না পাঠালে নাকি চিকিৎসা হবে না। এভারকেয়ারতো চমৎকার চিকিৎসা করিয়েছে। সব থেকে আধুনিক ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা তাকে দিচ্ছে। আসামিকে কে কবে বিদেশে পাঠায় চিকিৎসার জন্য? তাহলে তো কারাগারের কোনো আসামি আর বাদ থাকবে না, সবাই দাবি করবে, আমাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। আমরা কী সবাইকে পাঠাব?’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো, মামলা করতে দেওয়া হয়নি। আলামত নষ্ট করেছিল, জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। যে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল তার জন্য এত করুণা, দয়া চায় কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। তারপরও তো আমরা করুণা করেছি।’
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনেক দুঃখে কথাগুলো বললাম। অনেক অপপ্রচার হচ্ছে, দেশে বিদেশে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমাদের নেতাকর্মীদের তার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। আমরা সংঘাত চাই না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেটা দেখিয়ে গেছেন।’
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। এতে বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।
৯ ঘণ্টা আগেসংস্কার, বিচারসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে, এর কড়া সমালোচনা করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, এই সরকার শেখ হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেবিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান ও ফজলুর রহমানের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের আশাহত করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, তাঁরা বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন না। সত্যিকার অর্থে যদি আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকে, তাহলে বিএনপির
১০ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি এখন অনেকটা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁকে আরও কয়েক দিন বিশ্রাম নিতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে