Ajker Patrika

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রিকশা মিছিল

নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১৭: ৩৪
Thumbnail image

রাত পোহালেই রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন নেতা–কর্মীরা। এই নেতা–কর্মীদের অধিকাংশ ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা। সন্ধ্যার পর থেকেই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে নয়াপল্টন এলাকা।

নেতা–কর্মীদের ভিড়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল করতে না পারলেও রিকশা চলাচল করছে। স্লোগানরত বিএনপি নেতা–কর্মীদের এক একটি দল অতিক্রম করার সময় রিকশাচালক ও যাত্রীদেরও স্বপ্রণোদিত হয়ে স্লোগানে গলা মেলাতে দেখা গেছে। 

নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রিকশাচালকদেরও স্লোগান। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাত ৯টার একটু পরে শতাধিক রিকশাচালককে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিয়ে সারিবদ্ধভাবে চলে যেতে দেখা যায়। এ সময় অনেক নেতা–কর্মী রাস্তা থেকে লাফিয়ে সেসব রিকশায় ওঠেন। রিকশাচালকেরাও তাঁদের স্বাগত জানিয়ে কণ্ঠ মেলান।

নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রিকশাচালকদেরও স্লোগান। ছবি: আজকের পত্রিকাঢাকায় এক বছরের বেশ সময় ধরে রিকশা চালান কুষ্টিয়া সদরের আলোপাড়া এলাকার মো. হেলাল। থাকেন যাত্রাবাড়ীতে। সমাবেশের আগের দিন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন তিনি। আসার পর নেতা–কর্মীদের উপস্থিতি ও উল্লাস দেখে নিজেও যোগ দেন। স্লোগানরত নেতা–কর্মীদের তাঁর রিকশায় তুলে নিয়ে নিজেও স্লোগান ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার নেত্রীর মুক্তি চাই। এই সরকারের পদত্যাগ চাই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এই সরকার না গেলে সমস্যার সমাধান হবে না। আমি স্বেচ্ছায় এখানে এসেছি এবং আন্দোলনে থাকা এই সব মানুষদের নিয়ে রিকশায় পল্টন এলাকা ঘুরে স্লোগান দিচ্ছি। কারও থেকে কোনো টাকা নেব না।’ 

নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রিকশাচালকদেরও স্লোগান। ছবি: আজকের পত্রিকাহেলাল এক সময় স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি করতেন। চারটি মামলাও খেয়েছেন। তবে বর্তমানে রাজনীতিতে সক্রিয় নেই বলে জানান তিনি।

নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রিকশাচালকদেরও স্লোগান। ছবি: আজকের পত্রিকাবিভিন্ন জেলা থেকে দীর্ঘদিন আগে ঢাকায় আসা আরও বেশ কয়েকজন রিকশাচালক প্রায় একই অভিজ্ঞতা ও দাবির কথা জানিয়েছেন।

তবে সাড়ে ১০টার দিকে স্বতঃস্ফূর্ত এই রিকশার‍্যালি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। রিকশাচালক কয়েকজনকে পুলিশ মৃদু লাঠিপেটা করতেও দেখা যায়।রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিকশাচালকদের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ বিষয়ে উপস্থিত পুলিশের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে দায়িত্বশীল এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এই র‍্যালি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

পুলিশের তৎপরতায় উপস্থিত বিএনপি নেতা–কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত