নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সংকটের চক্রে ঘূর্ণমান দিশাহীন বাজেট। অতীতের অর্থনৈতিক সংকটের কারণ চিহ্নিত করে দূর করার কোনো দিকনির্দেশনা এ বাজেটে না থাকায় অর্থনীতি সংকটের চক্রেই ঘুরপাক খেতে থাকবে। সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট নয়, এটি লুটপাটকারীদের আরও লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। গণবিরোধী এই বাজেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, প্রতিবারই বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ থাকে না। কিন্তু লুটপাটের জন্য বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। এই সরকার জনগণের স্বার্থের বাজেট কখনোই দিতে পারবে না।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘এবার গত বছরের চেয়ে বাজেট টাকার অঙ্কে সাড়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। এই অতিরিক্ত টাকাটা আমাদের ট্যাক্সের মাধ্যমেই সরকার নেবে। ঘাটতি যা হবে সেটা তারা ঋণ নেবে। এই ঋণ এবং ঋণের সুদের টাকাও জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা আফগানিস্তানের নিচে চলে এসেছি। এখানে মাত্র জিডিপির ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বরাদ্দ হলো। সরকার শিক্ষাকে সংকুচিত করার সমস্ত আয়োজন নিয়েছে। দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস কৃষি। কৃষিতেও বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এই বাজেট জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বড়লোকদের পকেটে ভরার বাজেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আর তারা সেই টাকা পাচার করবে দেশের বাইরে। বাজেট এবার এতই স্মার্ট যে আপনার টাকা চুরি হবে, আর আপনি টেরই পাবেন না। আমরা স্মার্ট, ডিজিটাল বাজেট চাই না, আমরা জনগণের কল্যাণের বাজেট চাই।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এই বাজেট আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধানবিরোধী। সংবিধানে বলা আছে, অনুপার্জিত আয় কোনোভাবে ভোগ করা যাবে না। কিন্তু আমাদের শেখ হাসিনা কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছেন। এখন সৎ আয়ের চেয়ে অসৎ আয়ের ক্ষেত্রে কম ট্যাক্স দিতে হবে। এই গণবিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই।’
সভাপতির বক্তব্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘গণবিরোধী এই বাজেট আমাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। পুঁজিবাদী শাসনব্যবস্থা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সামনেও আমাদের তাই করতে হবে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় কখনোই শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষার বাজেট হবে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা শিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সংকটের চক্রে ঘূর্ণমান দিশাহীন বাজেট। অতীতের অর্থনৈতিক সংকটের কারণ চিহ্নিত করে দূর করার কোনো দিকনির্দেশনা এ বাজেটে না থাকায় অর্থনীতি সংকটের চক্রেই ঘুরপাক খেতে থাকবে। সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট নয়, এটি লুটপাটকারীদের আরও লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। গণবিরোধী এই বাজেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, প্রতিবারই বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ থাকে না। কিন্তু লুটপাটের জন্য বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। এই সরকার জনগণের স্বার্থের বাজেট কখনোই দিতে পারবে না।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘এবার গত বছরের চেয়ে বাজেট টাকার অঙ্কে সাড়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। এই অতিরিক্ত টাকাটা আমাদের ট্যাক্সের মাধ্যমেই সরকার নেবে। ঘাটতি যা হবে সেটা তারা ঋণ নেবে। এই ঋণ এবং ঋণের সুদের টাকাও জনগণকেই পরিশোধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা আফগানিস্তানের নিচে চলে এসেছি। এখানে মাত্র জিডিপির ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বরাদ্দ হলো। সরকার শিক্ষাকে সংকুচিত করার সমস্ত আয়োজন নিয়েছে। দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস কৃষি। কৃষিতেও বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এই বাজেট জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বড়লোকদের পকেটে ভরার বাজেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আর তারা সেই টাকা পাচার করবে দেশের বাইরে। বাজেট এবার এতই স্মার্ট যে আপনার টাকা চুরি হবে, আর আপনি টেরই পাবেন না। আমরা স্মার্ট, ডিজিটাল বাজেট চাই না, আমরা জনগণের কল্যাণের বাজেট চাই।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এই বাজেট আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধানবিরোধী। সংবিধানে বলা আছে, অনুপার্জিত আয় কোনোভাবে ভোগ করা যাবে না। কিন্তু আমাদের শেখ হাসিনা কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছেন। এখন সৎ আয়ের চেয়ে অসৎ আয়ের ক্ষেত্রে কম ট্যাক্স দিতে হবে। এই গণবিরোধী বাজেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বিকল্প নেই।’
সভাপতির বক্তব্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘গণবিরোধী এই বাজেট আমাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। পুঁজিবাদী শাসনব্যবস্থা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে সামনেও আমাদের তাই করতে হবে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় কখনোই শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষার বাজেট হবে না।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা শিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব। তবে দেশের সংকট দূর হওয়া খুবই জরুরি।’
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচনের জন্য ‘এপ্রিল মাস কোনোভাবেই উপযোগী নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেবিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার (৭ জুন) ঈদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেএকটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রভাবাধীন হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটি এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিতে রাজি নয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বরাবরের মতো অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে।
১৮ ঘণ্টা আগে