নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারের নানামুখী সমালোচনা করে এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথ দখলের আহ্বান জানিয়ে দেশে ষোলো আনা স্বৈরতন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন ৷ আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত চতুর্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে জনগণের সরকার নেই। এই সরকার জনগণের কাছ থেকে ক্ষমতা পায়নি। দেশে ষোলো আনা স্বৈরতন্ত্র বিরাজ করছে। যে অবস্থা চলছে, মানুষ তা সহ্য করতে পারছে না। এই অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।
সবাইকে একসঙ্গে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, সবাই একসঙ্গে রাস্তায় নামলে দেশের মানুষ, অর্থনীতি, রাজনীতিকে বাঁচানো সম্ভব। বাড়িতে আর বসে থাকা যাবে না, রাজপথ দখল করতে হবে। যে গণবিরোধী শক্তি দেশ দখল করে আছে, তাদের কাছ থেকে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তি তাকে আটকাতে পারে না এটা ইতিহাসের অভিজ্ঞতা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত, নৌকা ডুবে যাচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই সরকার চলে যাবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, পীরগঞ্জের হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই দায়ী। সেখানকার নারীরা জিজ্ঞেস করলেন, মা আসলেন না? প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুরবাড়ি ওইখানে। তিনিও যাননি, তার কোনো মন্ত্রীও যাননি।
প্রধানমন্ত্রীর বুদ্ধিতে আগুন লেগেছে জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, `আজ একটা জাতীয় সরকার প্রয়োজন। মানুষ এক হয়ে রাস্তায় নামলে পরিবর্তন অবশ্যই হবে। জনগণের সরকার এলে সবাই হেসেখেলে থাকতে পারব, ভারতের দাসত্ব করতে হবে না।'
ক্ষমতা চলে গেলে সব দুর্নীতির দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে জাফরুল্লাহ বলেন, এই দুর্নীতি আপনার ভাগেই পড়বে। তখন মোসাদ, 'র' কেউ থাকবে না। আমার মতো কয়েক জন থাকবে। গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়ে গেছে। জিয়াউর রহমানের কবরে গণতন্ত্রের কবর দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, করোনায় মানুষের যখন কাজ নেই, তখন চালের দাম ৭০ টাকা। অথচ মন্ত্রীরা বলেন, ভাত কম খান। ফেসবুকে লিখলে ধরে নিয়ে আসা হয় অথচ পুলিশের সামনেই ষড়যন্ত্র হয়, হামলা হয় কিন্তু তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কথা বললে জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলবেন।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ দমনের কথা বলে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মন্দিরে হামলার উসকানি দিয়ে এখন সরকার অসাম্প্রদায়িকতা দেখাতে নেমে পড়েছে। এভাবে আরেকটা ভোট রাতে কাটতে দেশের মানুষ দেবে না।
যে আইন মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার কেড়ে নেয়, সেই আইন মানুষ মেনে নেবে না জানিয়ে সাকি বলেন, ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। সমাজে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছড়িয়ে দিতে হবে। হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, নয়তো আমরা বিনাশ হয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সম্মেলনের অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
সরকারের নানামুখী সমালোচনা করে এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথ দখলের আহ্বান জানিয়ে দেশে ষোলো আনা স্বৈরতন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন ৷ আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত চতুর্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে জনগণের সরকার নেই। এই সরকার জনগণের কাছ থেকে ক্ষমতা পায়নি। দেশে ষোলো আনা স্বৈরতন্ত্র বিরাজ করছে। যে অবস্থা চলছে, মানুষ তা সহ্য করতে পারছে না। এই অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।
সবাইকে একসঙ্গে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, সবাই একসঙ্গে রাস্তায় নামলে দেশের মানুষ, অর্থনীতি, রাজনীতিকে বাঁচানো সম্ভব। বাড়িতে আর বসে থাকা যাবে না, রাজপথ দখল করতে হবে। যে গণবিরোধী শক্তি দেশ দখল করে আছে, তাদের কাছ থেকে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তি তাকে আটকাতে পারে না এটা ইতিহাসের অভিজ্ঞতা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত, নৌকা ডুবে যাচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই সরকার চলে যাবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, পীরগঞ্জের হামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই দায়ী। সেখানকার নারীরা জিজ্ঞেস করলেন, মা আসলেন না? প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুরবাড়ি ওইখানে। তিনিও যাননি, তার কোনো মন্ত্রীও যাননি।
প্রধানমন্ত্রীর বুদ্ধিতে আগুন লেগেছে জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, `আজ একটা জাতীয় সরকার প্রয়োজন। মানুষ এক হয়ে রাস্তায় নামলে পরিবর্তন অবশ্যই হবে। জনগণের সরকার এলে সবাই হেসেখেলে থাকতে পারব, ভারতের দাসত্ব করতে হবে না।'
ক্ষমতা চলে গেলে সব দুর্নীতির দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে জাফরুল্লাহ বলেন, এই দুর্নীতি আপনার ভাগেই পড়বে। তখন মোসাদ, 'র' কেউ থাকবে না। আমার মতো কয়েক জন থাকবে। গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়ে গেছে। জিয়াউর রহমানের কবরে গণতন্ত্রের কবর দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, করোনায় মানুষের যখন কাজ নেই, তখন চালের দাম ৭০ টাকা। অথচ মন্ত্রীরা বলেন, ভাত কম খান। ফেসবুকে লিখলে ধরে নিয়ে আসা হয় অথচ পুলিশের সামনেই ষড়যন্ত্র হয়, হামলা হয় কিন্তু তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কথা বললে জিহ্বা টেনে ছিঁড়ে ফেলবেন।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ দমনের কথা বলে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মন্দিরে হামলার উসকানি দিয়ে এখন সরকার অসাম্প্রদায়িকতা দেখাতে নেমে পড়েছে। এভাবে আরেকটা ভোট রাতে কাটতে দেশের মানুষ দেবে না।
যে আইন মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায়বিচার কেড়ে নেয়, সেই আইন মানুষ মেনে নেবে না জানিয়ে সাকি বলেন, ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। সমাজে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছড়িয়ে দিতে হবে। হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, নয়তো আমরা বিনাশ হয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
সম্মেলনের অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উপনিবেশে পরিণত করতে সরকার নতজানু ভূমিকা পালন করছে— এমন অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
১২ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং এই ঘটনায় যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১২ ঘণ্টা আগেচার-পাঁচ দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার।
১৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সংখ্যানুপাতিক হারে ভোটের (পিআর) নামে দেশে জগাখিচুড়ি চলছেও বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ির ঘটনা চলছে। কিছু কিছু লোক, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল, তারা বিভিন্নরকম কথা বলতে...
১৭ ঘণ্টা আগে