Ajker Patrika

দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক: সংসদে জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ২১: ৫৮
দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক: সংসদে জিএম কাদের

দেশের ব্যাংকগুলো যে রুগ্‌ণ ও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তার উদাহরণ হচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক বলে দাবি করে বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, এই ব্যাংকটি দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। এনআরবিসি ব্যাংকের ১৩ জন পরিচালক তাঁকে গত ৩০ এপ্রিল একটি চিঠি দিয়েছেন জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘এই ব্যাংকটি দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছে। উদ্যোক্তা পরিচালকেরা বলছেন তাঁরা এখানে লগ্নি করেছেন। এখন ব্যাংক থাকবে কি না, তাঁরা তাঁদের টাকা পাবেন কি না জানেন না। তাঁরা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।’ এ বিষয়ে তাঁর করার কিছু নেই। তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বিষয়টি সংসদে তুলে ধরেছেন। 

বিরোধীদলীয় এ নেতা বলেন, ‘লোডশেডিং বাড়ছে। রাজধানী ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে তেমন কোনো ঘাটতি হয়নি। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং বাড়ছে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে যখন সারা দেশে তীব্র দাবদাহ বিরাজমান ছিল, গ্রামাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং ভোগ করেছে। রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, সিলেট অঞ্চল ছাড়াও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো এবং বরিশাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনি এসব এলাকায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হয়েছে তীব্র দাবদাহের সময়।’

তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, প্রয়োজনের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং কমাতে পারেনি এবং নিশ্চিত করতে পারেনি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। প্রয়োজনের বেশি ১০ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে উৎপাদনক্ষম বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে আছে। বিদ্যুতের উৎপাদন এবং সরবরাহের বিষয়টি পিডিবির কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা প্রণয়নে বিবেচনা করা যায়, এ চিন্তাই তাদের মাথায় আসেনি।’ 

জিএম কাদের বলেন, ‘এই অতিরিক্ত উৎপাদনক্ষম বিদ্যুৎকেন্দ্রসমূহ বেসরকারি খাতে অনেক বেশি সুবিধা নিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল, এ ধরনের পরিস্থিতিতে সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ প্রদান করা হচ্ছে। বিদ্যুতে ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে জনগণের অর্থে গঠিত সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হয়। এখন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। ক্যাপাসিটি চার্জ না দিলে দাম বাড়াতে হতো না। সামনে দাম আরও বেশি দিতে হবে ক্যাপাসিটি চার্জ। অলস বসিয়ে রাখা বেসরকারি ভাড়া করা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের জন্য এবং বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে গ্রাহকদের ঘাড়ে সরাসরি বোঝা চাপিয়ে ভর্তুকির অঙ্ক কমানো হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বাড়তি দামের মাধ্যমে প্রাপ্ত অধিক অর্থের অধিকাংশ ক্যাপাসিটি চার্জ খাতে ব্যবহার হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ বিষয়ে পরিবর্তন না হলে জুলাই সনদে সই করবে না ৪ বাম দল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জুলাই জাতীয় সনদে রাখা, সনদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রাখা, রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাদ না দেওয়া, জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত না করাসহ সাতটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী চারটি দল। এসব বিষয়ে নিষ্পত্তি না হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে না।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে কমিশনের সভাপতি বরাবর দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এমনটা বলা হয়েছে। স্মারকলিপি দেওয়া দলগুলো হলো সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।

সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানার পৌঁছে দেওয়া স্মারকলিপিতে সংস্কার কমিশন গঠন, সংলাপের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। সব দলের একমত হওয়া বিষয়গুলো সনদে স্থান দেওয়ার কথা বলা হলেও চূড়ান্ত অনুলিপিতে নোট অব ডিসেন্ট বা ভিন্নমতের বিষয়গুলোও রাখা এবং চার দলের দেওয়া নোট অব ডিসেন্টগুলোর কারণ যথাযথভাবে উল্লেখ না করার কথা বলা হয়েছে এতে।

আপত্তি থাকা সনদের ৭ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—সব দলের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো রেখে ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত (অ্যানেক্স) প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা; সনদের পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপন; অঙ্গীকারনামার প্রথম দফায় সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও ভিন্নমত থাকা; দ্বিতীয় দফায় সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করার কথা বলা হলেও নোট অব ডিসেন্ট থাকা; তৃতীয় দফায় সনদ নিয়ে কেউ আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবে না, এটা নাগরিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী হওয়া; সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স ও প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স বাদ দিয়ে জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করা এবং পটভূমিতে আগের খসড়ায় উল্লেখ থাকলেও চূড়ান্ত সনদে ১০৬ অনুচ্ছেদের কথা বাদ দেওয়া।

এসব বিষয়ের নিষ্পত্তি না হওয়ায় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বিশেষ করে সংবিধানে বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি—গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ এবং ১৫০(২) অনুচ্ছেদের ক্রান্তিকালীন বিধানের তফসিল পরিবর্তনে সম্মতি প্রদান ও আদালতে প্রশ্ন করা যাবে না, এমন বিষয়ে অঙ্গীকার করতে হয় এবং ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা অনুল্লেখ থাকা এমন কোনো সনদে ভিন্নমত দিয়ে আমরা স্বাক্ষর করতে পারি না।’

সনদের যেসব বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে স্মরিকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের কনসার্নের বিষয়সমূহ যুক্ত করে এই সনদ পরিবর্তন না হলে আমরা তাতে স্বাক্ষর করতে পারব না।’

জানতে চাইলে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতি যেহেতু আমাদের জাতি গঠনের ইতিহাস। সেটাকে রক্ষা করেই অন্য বিষয়কে যুক্ত করতে হবে। কমিশন আমাদের জানিয়েছে, তারা উল্লেখ করার কথা বলেছে, বাতিল করার কথা বলেনি। কিন্তু তারা যদি বিদ্যমান মূলনীতির সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলত, তাহলে সমস্যা হতো না। তাদের ব্যাখ্যা আমাদের মনঃপূত হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিআর নিয়ে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট দিতে হবে: নায়েবে আমির মুজিবুর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ফাইল ছবি
নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। ফাইল ছবি

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ‘যাঁরা পিআরের বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকলে আজকে গণভোটের মুখোমুখি হন। দেখা যাবে আপনাদের পক্ষে জনগণ না, পিআরের পক্ষে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে—পিআরের পক্ষে দেশের জনগণ আছে।’

আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিলটি মগবাজার গিয়ে শেষ হয়। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আল্লাহ তাদের বিদেশে পালাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু এখানে সেখানে আগুন-সন্ত্রাস করে বিভিন্নভাবে আবার ফিরে আসার চেষ্টা করছে তারা। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা জালেমকে বিতাড়িত করেছে, ওই জালেমকে আবার সুযোগ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত যান সংগঠনের নেতারা।

সমাবেশে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে ওয়াদা করেছেন, এই সরকারের কাজ হবে সব গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। কিন্তু সরকার তার প্রতিশ্রুতির কোনোটিই এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। একটি দলের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে সরকার কেবল নির্বাচনের কথাই বলছে।

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের সুযোগ নেই উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় কোনো দল সংঘর্ষে জড়ালে কিংবা ভোট কারচুপি হলে গণভোটও বিতর্কিত হবে। তাই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।

একই দাবিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব পাশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে আগের পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের জনতা প্রতিহত করবে। জুলাইয়ের এত রক্ত ও জীবনের পরে কোনো অবস্থাতেই আর কোনো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে।’

পাঁচ দাবিতে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো। এরপর ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জানুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৩৯
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের মুখপাত্র হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় গণঅধিকার পরিষদ। আমরা শুরু থেকে এই সরকারকে একনিষ্ঠভাবে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সরকার সেই আশার প্রতিফলন দেখাতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকার এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। আমরা দেশে আর কোনো বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।’ তাই আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কেটে গেছে। এখন অতি দ্রুত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিয়ে আপনারা ওয়াদা বাস্তবায়ন করেন। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, চক্রান্তের পরিমাণ তত বাড়বে। আগামী জানুয়ারি মাসে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন।’

রাশেদ খান আরও বলেন, সরকার যদি দলগুলোর প্রস্তাবে যতটুকু মিল ছিল, সেগুলো নিয়ে সংস্কার শুরু করত, তাহলে এত আলোচনা হতো না। নির্বাচন চলে এসেছে, অথচ সংস্কারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর সংস্কার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘যে এনএসআই, এসবি ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে নির্বাচন করেছে, হাসিনাকে তুষ্ট করা সেই গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা এখনো বহাল আছে। এই অবস্থায় কি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব? এনএসআই ও ডিজিএফআইকে যদি সংস্কার করা না হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের আগে তিনটা গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার করতে হবে। যারা গত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিচার করতে হবে, চাকরিচ্যুত করতে হবে। তাঁদের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচন করা যাবে না।’

রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদে অধিকাংশ দল স্বাক্ষর করেছে। যারা করেনি, আমরা আশা করি, তারা হঠকারী না হয়ে স্বাক্ষর করবে।’

রাশেদ খান আরও বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে দেখছি বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, হাসিনার দোসরেরা নির্বাচন বানচাল করতে উদ্‌গ্রীব হয়ে উঠবে। বিমানবন্দরে যা ঘটেছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ। স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, আওয়ামী লীগের গুপ্ত হত্যা শুরু হবে।’

আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দল অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে ডামি, স্বতন্ত্র কোনো নামেই আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী অংশ নিতে পারবে না। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে আর আমরা কি ললিপপ খাব?’

সংবাদ সম্মেলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রাশেদ খান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আজহার, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রিদওয়ান উল্লাহ খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় এনসিপির নিন্দা ও উদ্বেগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।

দলের মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের ওপর হামলা, নির্যাতন ও মোবাইল ভাঙচুরের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’

এনসিপি মনে করে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাদের ওপর আক্রমণ জনগণের তথ্য জানার অধিকার কেড়ে নেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি তিনটি দাবি করেছে। এগুলো হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

সেই সঙ্গে, বিএনপির প্রতি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।

জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে, মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা জনমনে ফ্যাসিবাদী আমলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসার আশঙ্কা সৃষ্টি করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা জাহিদুল ইসলাম ও সব নির্যাতিত সাংবাদিকের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে এনসিপি দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত