নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করে না আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন সরকারের কাউকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর পলাশী মোড়ে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ভারতে গিয়ে আমি বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাঁকে টিকিয়ে রাখলে আমাদের দেশ সত্যিকার অর্থে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি দেশ হবে। তাই আমি ভারতকে শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার সেটি করতে বলেছি।’
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু দেশ। তাদের সঙ্গে আমরা বৈরিতা চাই না। ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে ৭৫ এর পর আমাদের নিজেদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শেখ হাসিনা-মোদি ক্ষমতায় আসার পর সে সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছে।’
কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি বলতে চাই, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। একাত্তরের রক্তের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। কিন্তু তাই বলে আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করব—এ ধরনের কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না। আর শেখ হাসিনা সরকারেরও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সমর্থন ও ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাইরের কেউ আমাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থনেই ক্ষমতা টিকে আছে, ভবিষ্যতেও টিকে থাকবো। তিনি এ কথা বলেছেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। আমাদের সরকারের কারও বক্তব্য নয়। বন্ধু, বন্ধু আছে। অহেতুক কথা বলে সম্পর্কটা নষ্ট করবেন না।’
বঙ্গবন্ধুর সরকার ছিল ধর্মীয় সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছেন। কেউ আপনাদের বাধা দেয়নি।’
কাদের বলেন, ‘যারা হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দিরে হামলা করে, তারা কোনো দলের নয়। তারা দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা আমাদের সকলের শত্রু। এই দুর্বৃত্তায়ন, এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) আমাদের নেত্রী বলেছেন, আপনারা নিজেদের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভাববেন না। আপনারাও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আপনারা এ দেশে সংগ্রাম করেছেন, আন্দোলন করেছেন। আপনারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নন। আপনাদের সমান অধিকার। আপনাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কেউ নেই।’
সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে চিনে রাখার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের দোসরদের, তাদের পৃষ্ঠপোষককে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। এ দেশে তাদের বিশ্বস্ত একমাত্র ঠিকানা বিএনপি। এরাই ঠিকানা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির। এরাই তাদের আপনজন। এরই উসকানি দেয়। এরই মদদ দেয়। কাজেই এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে পরিষ্কার করে বলতে চাই—আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি ভবিষ্যতেও থাকব। এখানে কোনো দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনন্দিত প্রধানমন্ত্রী। ভারতের জনন্দিত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বসে এদেশের বহু অমীমাংসিত সমস্যা, সীমান্ত চুক্তি করেছেন তিনি।’
ওবায়দুল বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল ঘটনা শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে ভারতে যাওয়া কথা রয়েছে। তখন হয়তো আরও কিছু বিষয়ে মত ঐক্য হবে।
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করে না আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন সরকারের কাউকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর পলাশী মোড়ে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ভারতে গিয়ে আমি বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাঁকে টিকিয়ে রাখলে আমাদের দেশ সত্যিকার অর্থে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত একটি দেশ হবে। তাই আমি ভারতকে শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার সেটি করতে বলেছি।’
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু দেশ। তাদের সঙ্গে আমরা বৈরিতা চাই না। ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে ৭৫ এর পর আমাদের নিজেদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শেখ হাসিনা-মোদি ক্ষমতায় আসার পর সে সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছে।’
কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি বলতে চাই, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। একাত্তরের রক্তের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। কিন্তু তাই বলে আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করব—এ ধরনের কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না। আর শেখ হাসিনা সরকারেরও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সমর্থন ও ক্ষমতার উৎস দেশের জনগণ দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাইরের কেউ আমাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থনেই ক্ষমতা টিকে আছে, ভবিষ্যতেও টিকে থাকবো। তিনি এ কথা বলেছেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। আমাদের সরকারের কারও বক্তব্য নয়। বন্ধু, বন্ধু আছে। অহেতুক কথা বলে সম্পর্কটা নষ্ট করবেন না।’
বঙ্গবন্ধুর সরকার ছিল ধর্মীয় সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘু বান্ধব সরকার। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছেন। কেউ আপনাদের বাধা দেয়নি।’
কাদের বলেন, ‘যারা হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দিরে হামলা করে, তারা কোনো দলের নয়। তারা দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা আমাদের সকলের শত্রু। এই দুর্বৃত্তায়ন, এদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) আমাদের নেত্রী বলেছেন, আপনারা নিজেদের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভাববেন না। আপনারাও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আপনারা এ দেশে সংগ্রাম করেছেন, আন্দোলন করেছেন। আপনারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নন। আপনাদের সমান অধিকার। আপনাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কেউ নেই।’
সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে চিনে রাখার অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের দোসরদের, তাদের পৃষ্ঠপোষককে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। এ দেশে তাদের বিশ্বস্ত একমাত্র ঠিকানা বিএনপি। এরাই ঠিকানা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির। এরাই তাদের আপনজন। এরই উসকানি দেয়। এরই মদদ দেয়। কাজেই এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে পরিষ্কার করে বলতে চাই—আমরা আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি ভবিষ্যতেও থাকব। এখানে কোনো দ্বিধা দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনন্দিত প্রধানমন্ত্রী। ভারতের জনন্দিত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বসে এদেশের বহু অমীমাংসিত সমস্যা, সীমান্ত চুক্তি করেছেন তিনি।’
ওবায়দুল বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত দুনিয়ার ইতিহাসে বিরল ঘটনা শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে ভারতে যাওয়া কথা রয়েছে। তখন হয়তো আরও কিছু বিষয়ে মত ঐক্য হবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনিবার্য। তবে কোনো অপরিপক্ব বা প্রহসনের নির্বাচন জনগণ আর মেনে নেবে না। নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও পেশিশক্তি ও কালোটাকামুক্ত। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে এই নির্বাচনও ব্যর্থ হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার
৭ ঘণ্টা আগেগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী ৫ আগস্ট বা এর পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জনগণ আশা করে। তিনি মনে করেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ
৮ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নানা দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেবজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘সরকার যখন খুব বিপদে পড়ে, আর সামলাতে পারছে না, টালমাটাল অবস্থা এবং মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকে। তারা দেখাতে চায় যে, এরা সবাই আমার সঙ্গে আছে। আমরা এই সরকারকে সমর্থন করেছি ঠিক, কিন্তু অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী কোনো কাজ করলে আমরা এই...
৮ ঘণ্টা আগে