Ajker Patrika

সার্চ নয়, এটি ক্র্যাশ কমিটি: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৩
সার্চ নয়, এটি ক্র্যাশ কমিটি: রিজভী

‘নিশিরাতের সরকারের বানানো সার্চ কমিটিকে বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে। সেখানে নাম দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আসলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য সরকারের মন্ত্রীরা মিথ্যাচার করছে।’ 

আজ শুক্রবার তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সার্চ কমিটিতে যাঁরা আছেন, সবাই আওয়ামী লীগের। মূলত এটি সার্চ কমিটি নয়, ক্র্যাশ কমিটি। তাঁদের দ্বারা যে কমিশন গঠিত হবে, তাঁরাও তাই হবেন। এই কমিটির মাধ্যমে যে ইসি গঠিত হবে, তারা জালিয়াতি ও পাতানোর নির্বাচনই উপহার দেবে। আরেকটি পাতানো নির্বাচন আয়োজনের জন্য শেখ হাসিনা তা করেছেন। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে তাদের দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।’ 

পণ্যমূল্যের ভয়ংকর ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এখন শীতকাল, রবিশস্যের মৌসুম। এখন নিত্যপণ্যের দাম কম থাকার কথা। অথচ সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির কারণে নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। সেদিকে তাঁদের কোনো নজর নেই। জনগণ বাঁচুক না বাঁচুক, তাঁদের কিছু যায় আসে না। বর্তমানে মিথ্যাই হয়েছে তাঁদের একমাত্র অবলম্বন। এ সময় তিনি তাঁতশিল্প ধ্বংসের জন্য সরকারকে দায়ী করেন। তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদসহ নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগামীকাল সব জেলায় মিছিল করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আটটি দল
আটটি দল

আগামীকাল সোমবার দেশের সব জেলা শহরে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আটটি দল। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ পাঁচ দাবিতে এটি তাদের চতুর্থ পর্বের আন্দোলন।

১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন দলগুলোর নেতারা। এ ছাড়া আজ রোববার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পুনরায় গণমাধ্যমকে এক বিজ্ঞপ্তি পাঠায় দলগুলো।

যুগপৎ আন্দোলনের পাঁচটি দাবির মধ্যে রয়েছে—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে অথবা উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

এর আগে একই দাবিতে তিন পর্বের কর্মসূচি পালন করেছে দলগুলো।

যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি ( জাগপা) এবং নতুন যুক্ত হওয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাস্তায় আন্দোলন নয়, এখন জনগণের কাছে যেতে হবে: আমীর খসরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ রোববার গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: ফোকাস বাংলা
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ রোববার গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: ফোকাস বাংলা

সংঘাতের পথে না গিয়ে সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে আগামীর রাজনীতির পথ তৈরির তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এখন রাস্তায় আন্দোলন নয়, এখন জনগণের কাছে আমাদের যেতে হবে। আমরা সাংঘর্ষিক রাজনীতির দিকে যেতে পারব না। আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির দিকে যেতে পারব না।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সহনশীল হতে হবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখতে হবে। দ্বিমত পোষণ করেও তার মতকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমাদের এই চর্চাগুলো আনতে হবে। আরেকজনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করব; তারপরও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তো আমাদের অসুবিধা নেই। আমাদের এই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে যদি রাজনীতি করে যাই, তাহলে আবার সেই পুরোনো কালচারে আমাদের ফিরে যেতে হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দলগুলোর একসঙ্গে বসার চর্চা কোনো সময় ছিল না। কেউ কারও চেহারা দেখত না। আজকে কিন্তু আমরা এখানে বসেছি সবাই। আমরা বসে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা বলছি। আমরা এখানে বসে আগামী নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করে দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনব, সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই চলছি যার যার অবস্থান থেকে।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে ১৪ মাস আমরা অতিক্রম করছি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসেনি। আমরা যুদ্ধ করেছি একটি নির্বাচিত সরকারের জন্য। সেটা এখনো আমরা পাইনি। এ জন্য আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাই জাতীয় সনদে সই করেছি। এখন আমাদের বাকি কাজ যেটা আছে—আগামী নির্বাচনে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা।’

আলোচনা সভায় গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অটুট রাখতে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরও এক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ভেঙে গেলে সেটাই ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলে দেবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিজয় অর্জন করেছি। সেই ঐক্যের ফলে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। স্বৈরাচার পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই ঐক্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। এটি নষ্ট হলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা থেমে যাবে।’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে সব দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।

জুলাই সনদকে ‘জাতীয় ঐক্যের প্রতীক’ হিসেবে অভিহিত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত জাতীয় সংসদই হবে উপযুক্ত ফোরাম।’

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘তাদের (এনসিপি) অনেক প্রস্তাব আমরা সমর্থন করি। তবে এসব প্রস্তাব যেন বাস্তবসম্মত হয় এবং ভবিষ্যতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিসিএস নিয়ে পিএসসিতে এনসিপির ১৫ দফা প্রস্তাবনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেয় এনসিপির ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ছবি: ফেসবুক
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দেয় এনসিপির ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ছবি: ফেসবুক

বিসিএসের অগ্রগতির বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) ১৫ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেয় এনসিপির প্রতিনিধিদল।

তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।

এনসিপির ১৫ প্রস্তাবনা হলো:

১. ২৩ নন-ক্যাডার বিধি সংশোধনের জন্য পিএসসি থেকে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে দ্রুত চিঠি ইস্যু করা। ৪৩তম বিসিএস থেকেই এ সমন্বয় শুরু করা।

২. ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদে দ্রুত সুপারিশ কার্যক্রম সম্পন্ন করা।

৩. ৪৪তম বিসিএসে অধিযাচিত ৮৭০ পোস্ট বৃদ্ধি ও চলমান সপ্তাহেই পুনরায় ফলাফল প্রকাশ। চলতি বছরেই গেজেট প্রকাশ নিশ্চিত করা।

৪. ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন ত্বরান্বিত করে ৪৩ থেকে ৪৭তম বিসিএসে সর্বোচ্চ নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ অব্যাহত রাখা।

৫. ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারে পূর্বে ১২ গ্রেডের হেড টিচার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্তদের মেধার ভিত্তিতে নতুন সার্কুলারে অন্তর্ভুক্ত করা।

৬. ৪৫তম বিসিএস ভাইভার হাজিরা পত্রে ভাইভার নম্বর ১০০ আপডেট করা।

৭. স্বচ্ছতা রক্ষায় প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ।

৮. চূড়ান্ত নম্বরপত্র ওয়েবসাইটে রোল নম্বর দিয়ে দেখা।

৯. পুলিশ ভ্যারিফিকেশন জটিলতা হ্রাস ও এক মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করা।

১০. ক্যালেন্ডার ইয়ারে প্রতিটি বিসিএস শেষ করা।

১১. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য স্পেশাল বিসিএসে প্যানেল সিস্টেম রাখা।

১২. ভাইভা বোর্ডভিত্তিক নম্বরের তারতম্য হ্রাসে ক্যাটাগরি নির্ধারণ।

১৩. প্রিলিমিনারি থেকে লিখিত পরীক্ষার মধ্যবর্তী সময় দুই মাস বা ৫০ দিন রাখা ও লিখিত রুটিন আগে প্রকাশ।

১৪. চূড়ান্ত রেজাল্টের আগে ক্রস চেক করে সম বা নিচের ক্যাডার না পাওয়া নিশ্চিত করা।

১৫. পিএসসির পরীক্ষাগুলো গ্রেডভিত্তিক (ক্লাস্টার বা সমন্বিত) আয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ১৬৩ জনকে অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ২৯
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৩ নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এই নির্দেশ দেন।

অন্য যাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আহমেদ আজম খান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আহমেদ আজম খান, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, খন্দকার এনামুল হক এনাম, আমিনুল হক প্রমুখ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রমনা থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে দেড় লাখের বেশি মানুষ সমবেত হয়। সে সময় প্রধান বিচারপতির বাড়ির সামনে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রমনা থানায় মামলা করেন এসআই সহিদুল ওসমান। তদন্ত শেষে চলতি বছর সবাইকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।

পল্টন থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলার সময় পল্টন থানার সামনে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পল্টন থানার এসআই সালাহ উদ্দিন কাদের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন।

মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ১০৪ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে সবাইকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।

দুই মামলায় অব্যাহতির সুপারিশ করে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজ আদালত গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে সবাইকে অব্যাহতি দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত