নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী নির্বাচনে গায়ের জোরে বা নতুন কোনো ফন্দিতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা যাবে না জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার নিজেদের গদি রক্ষার জন্য দেশ ও দেশের মানুষকে ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে অবিলম্বে পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা। অন্যথায় সামনের দিনে আন্দোলনের গতি আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আপনার উন্নয়নের মডেল আইয়ুব, এরশাদের মডেল। বড় বড় প্রকল্প করাই যদি উন্নয়ন হয় তাহলে আগে আইয়ুব আর এরশাদকে সালাম দিয়ে আলোচনা শুরু করেন। এই উন্নয়ন মডেল মানুষ গ্রহণ করে নাই বলেই ৬৯, ৯০ হয়েছিল। ৬৯-এ বহুলোককে জনগণ ধাওয়া করেছে। ধাওয়া খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। শুধু একজনের গদি রক্ষার জন্য সরকার আজকে দেশ ও দেশের মানুষকে ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ এ সময় সরকারকে পদত্যাগ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার এখন প্রলাপ গুনছে। প্রতিদিন সরকারি দলের নেতাদের বেসামাল বক্তব্যই তার প্রমাণ। কিন্তু তারপরেও তোষামোদকারীদের সংখ্যা কমছে। সরকার আতঙ্কে আছে, সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক এবং রাতে আরেক কথা বলছে তারা। ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো আরেকটা তামাশার নির্বাচনের দায়ভার এ দেশের জনগণ নেবে না। দম্ভ অহমিকা পরিহার করে সোজা পথে হাঁটেন, কীভাবে পদত্যাগ করবে, অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের শাহবাগে সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল রমনা থানার পুলিশ কর্মকর্তা ফোন করে বললেন, ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিদেশিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মিটিং আছে। বিদেশিদের সঙ্গে মিটিং এখনো শেষ হলো না? বিদেশিদের সঙ্গে এত কী কথা? আগে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে এসে সবাইকে প্রেস কনফারেন্স করে জানাতেন। কিন্তু এখন জবাব দেওয়ার মতো কিছু নাই, কথা বলবে কি?’
মান্না আরও বলেন, ‘সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। কেন বেশি? জিনিসপত্রের জাহাজ এসে বসে আছে, ডলারের অভাবে খালাস করা যাচ্ছে না। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বলছে এখন একটু নিশ্বাস নিতে পারছি। টাকার অভাবে দম আটকে গিয়েছিল সরকারের। টাকার অভাবে খাবার আনতে না পারলে এই সরকারের থাকার দরকার কী?’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘দেশ এখন ক্রান্তিকালের শেষ প্রান্তে। এই দেশের সরকার ভারত, আমেরিকা, চায়না, রাশিয়া পরিবর্তন করতে পারবে না। পারবে এই দেশের মানুষ। গণতন্ত্র মঞ্চ জনগণকে এই পরিবর্তন করার সুযোগ করে দেবে।’
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। এই সরকারের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা শুধু সরকার বদল করতে আসিনি। জনগণকে শোষণের যে ব্যবস্থা এখানে বিদ্যমান তার সম্পূর্ণ পরিবর্তন চাই।’
আগামী নির্বাচনে গায়ের জোরে বা নতুন কোনো ফন্দিতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা যাবে না জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, সরকার নিজেদের গদি রক্ষার জন্য দেশ ও দেশের মানুষকে ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই প্রক্রিয়া বন্ধ করে অবিলম্বে পদত্যাগ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা। অন্যথায় সামনের দিনে আন্দোলনের গতি আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন মঞ্চের নেতারা।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আপনার উন্নয়নের মডেল আইয়ুব, এরশাদের মডেল। বড় বড় প্রকল্প করাই যদি উন্নয়ন হয় তাহলে আগে আইয়ুব আর এরশাদকে সালাম দিয়ে আলোচনা শুরু করেন। এই উন্নয়ন মডেল মানুষ গ্রহণ করে নাই বলেই ৬৯, ৯০ হয়েছিল। ৬৯-এ বহুলোককে জনগণ ধাওয়া করেছে। ধাওয়া খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। শুধু একজনের গদি রক্ষার জন্য সরকার আজকে দেশ ও দেশের মানুষকে ভয়াবহ নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ এ সময় সরকারকে পদত্যাগ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান তিনি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার এখন প্রলাপ গুনছে। প্রতিদিন সরকারি দলের নেতাদের বেসামাল বক্তব্যই তার প্রমাণ। কিন্তু তারপরেও তোষামোদকারীদের সংখ্যা কমছে। সরকার আতঙ্কে আছে, সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক এবং রাতে আরেক কথা বলছে তারা। ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো আরেকটা তামাশার নির্বাচনের দায়ভার এ দেশের জনগণ নেবে না। দম্ভ অহমিকা পরিহার করে সোজা পথে হাঁটেন, কীভাবে পদত্যাগ করবে, অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের শাহবাগে সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল রমনা থানার পুলিশ কর্মকর্তা ফোন করে বললেন, ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিদেশিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মিটিং আছে। বিদেশিদের সঙ্গে মিটিং এখনো শেষ হলো না? বিদেশিদের সঙ্গে এত কী কথা? আগে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে এসে সবাইকে প্রেস কনফারেন্স করে জানাতেন। কিন্তু এখন জবাব দেওয়ার মতো কিছু নাই, কথা বলবে কি?’
মান্না আরও বলেন, ‘সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। কেন বেশি? জিনিসপত্রের জাহাজ এসে বসে আছে, ডলারের অভাবে খালাস করা যাচ্ছে না। আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বলছে এখন একটু নিশ্বাস নিতে পারছি। টাকার অভাবে দম আটকে গিয়েছিল সরকারের। টাকার অভাবে খাবার আনতে না পারলে এই সরকারের থাকার দরকার কী?’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘দেশ এখন ক্রান্তিকালের শেষ প্রান্তে। এই দেশের সরকার ভারত, আমেরিকা, চায়না, রাশিয়া পরিবর্তন করতে পারবে না। পারবে এই দেশের মানুষ। গণতন্ত্র মঞ্চ জনগণকে এই পরিবর্তন করার সুযোগ করে দেবে।’
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। এই সরকারের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা শুধু সরকার বদল করতে আসিনি। জনগণকে শোষণের যে ব্যবস্থা এখানে বিদ্যমান তার সম্পূর্ণ পরিবর্তন চাই।’
জামায়াতে ইসলামী বলেছে, অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করতে হবে এবং এই সনদ মেনেই বর্তমান ও ভবিষ্যতের সরকারকে দেশ পরিচালনা করতে হবে। অন্যথায়, আবারও ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দলটি।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের আশঙ্কা হলো, যদি এসব সংস্কার এখন থেকেই বাস্তবায়নের উদ্যোগ না নেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে অন্য কোনো সরকারের ওপর তা ন্যস্ত করা হয়, তাহলে নানা ধরনের
১৭ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেছেন, সরকার যদি জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে গড়িমসি করে, তাহলে বুঝতে হবে ‘কুচ কালা হ্যায়’ (কিছু একটা সমস্যা আছে)। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের সমাপনী..
১৭ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের প্রতিশ্রুতির কাগজটা (ডিড) জুলাই জাতীয় সনদের। লিখিত ডকুমেন্টটা ওয়েবসাইটে যাবে, মিডিয়াতেও যাবে। যদি আমি একটা নতুন প্রস্তাব দিই, যদি সরকার চায়, সেটা গেজেট নোটিফিকেশনও করতে পারে।’
১৮ ঘণ্টা আগে