আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মায়ের বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পরিচালিত বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জয়।
শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে নয়াদিল্লিকে ঢাকার ‘কূটনৈতিক পত্র’ দেওয়ার পর এই অভিযোগ তুললেন তাঁর ছেলে।
জয় তাঁর পোস্টে বলেন, ‘অবৈধ ইউনূস সরকারের নিযুক্ত বিচারক ও প্রসিকিউটরদের মাধ্যমে পরিচালিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া একটি প্রহসন মাত্র। এর মূল হলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা ন্যায়বিচারকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে পরিকল্পিতভাবে দমন-পীড়নের নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধীদের নিপীড়ন করার জন্য এই ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করছে। এর বিচারিক প্রক্রিয়া ‘সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’, যা ন্যায়বিচারের ধারণাকে উপেক্ষা করে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘তথাকথিত এই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের পাশাপাশি বেআইনিভাবে আওয়ামী লীগের শত শত নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হচ্ছে। হত্যার অযৌক্তিক অভিযোগে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। এছাড়া দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বেআইনিভাবে আটক করার ঘটনাও ঘটছে।’
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের মামলা পরিচালনার তথ্য তুলে ধরে জয় বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর ‘ইন্টারপোলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে’ বলে চরম মিথ্যাচার করেছেন তাজুল ইসলাম।
প্রত্যর্পণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ‘প্রহসনের বিচারের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্রের অংশ’ হিসেবে তাজুল এই মিথ্যাচার করেন বলে তাঁর দাবি।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতকে যে ‘কূটনৈতিক পত্র’ দেওয়া হয়েছে, তার প্রাপ্তি স্বীকার করেছে ভারত। কিন্তু তাকে ফেরত দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি দেশটি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব এএনআইকে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা এই বিচার ব্যবস্থার প্রতি কোনো আস্থা রাখতে পারি না।’
গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এরপর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পাশাপাশি তাঁর সরকারের ৪৫ জন সাবেক মন্ত্রী ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে’ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মায়ের বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পরিচালিত বিচার প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জয়।
শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে নয়াদিল্লিকে ঢাকার ‘কূটনৈতিক পত্র’ দেওয়ার পর এই অভিযোগ তুললেন তাঁর ছেলে।
জয় তাঁর পোস্টে বলেন, ‘অবৈধ ইউনূস সরকারের নিযুক্ত বিচারক ও প্রসিকিউটরদের মাধ্যমে পরিচালিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া একটি প্রহসন মাত্র। এর মূল হলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা ন্যায়বিচারকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে পরিকল্পিতভাবে দমন-পীড়নের নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধীদের নিপীড়ন করার জন্য এই ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করছে। এর বিচারিক প্রক্রিয়া ‘সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’, যা ন্যায়বিচারের ধারণাকে উপেক্ষা করে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘তথাকথিত এই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের পাশাপাশি বেআইনিভাবে আওয়ামী লীগের শত শত নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হচ্ছে। হত্যার অযৌক্তিক অভিযোগে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। এছাড়া দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বেআইনিভাবে আটক করার ঘটনাও ঘটছে।’
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষে ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের মামলা পরিচালনার তথ্য তুলে ধরে জয় বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর ‘ইন্টারপোলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে’ বলে চরম মিথ্যাচার করেছেন তাজুল ইসলাম।
প্রত্যর্পণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ‘প্রহসনের বিচারের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্রের অংশ’ হিসেবে তাজুল এই মিথ্যাচার করেন বলে তাঁর দাবি।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতকে যে ‘কূটনৈতিক পত্র’ দেওয়া হয়েছে, তার প্রাপ্তি স্বীকার করেছে ভারত। কিন্তু তাকে ফেরত দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি দেশটি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব এএনআইকে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার বিচার ব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা এই বিচার ব্যবস্থার প্রতি কোনো আস্থা রাখতে পারি না।’
গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এরপর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পাশাপাশি তাঁর সরকারের ৪৫ জন সাবেক মন্ত্রী ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি সংখ্যানুপাতিক হারে ভোটের (পিআর) নামে দেশে জগাখিচুড়ি চলছেও বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন একটা জগাখিচুড়ির ঘটনা চলছে। কিছু কিছু লোক, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল, তারা বিভিন্নরকম কথা বলতে...
৩ ঘণ্টা আগেস্বৈরাচার পতনের পরেও দেশের দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গতকাল এক বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ হলো। তিনি বলছিলেন, আগে ঘুষ দিতে হতো ১ লাখ টাকা, এখন দিতে হয় ৫ লাখ টাকা।’
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জনগণ যে পরিবর্তনের আশায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে।
১ দিন আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যে দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সে দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ
২ দিন আগে