Ajker Patrika

নতুন দলের আত্মপ্রকাশ, নেতৃত্বে ইলিয়াস কাঞ্চন ও শওকত মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ৩১
নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত
নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাবেক বিএনপি নেতা শওকত মাহমুদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। দলের নাম ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’। দলের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। দলের মহাসচিব শওকত মাহমুদ।

আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। দলটির স্লোগান ‘গড়ব মোরা ইনসাফের দেশ’।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা ও ইশতেহার পাঠ করেন শওকত মাহমুদ। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং বিএনপির সাবেক (বহিষ্কৃত) ভাইস চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে শওকত মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, প্রতিটি গণ-অভ্যুত্থান, বিপ্লব ও আন্দোলনের পরে সেসব সংগ্রামী চেতনায় নতুন নতুন রাজনৈতিক দলের অভ্যুদয় ঘটে। যেহেতু রাষ্ট্র সাজবে একাত্তর ও চব্বিশের গণজাগরণের চেতনায়, সেই আঙ্গিকে নতুন দলের আবির্ভাব অনিবার্য। জাতির এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতীয় প্রত্যাশায় সব ধরনের বৈষম্য, ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে জনকল্যাণ, ইনসাফ, সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে এবং গর্বিত জাতীয়তাবোধ দৃঢ় করতে তাঁরা আজ নতুন দলের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে দলটির ২৭ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

ঘোষিত কমিটি অনুযায়ী, ইলিয়াস কাঞ্চন চেয়ারম্যান। নির্বাহী চেয়ারম্যান ও মুখপাত্র গোলাম সারোয়ার মিলন। ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল হক হাফিজ, ওয়ালিউর রহমান খান, রেহানা সালাম, মো. আব্দুল্লাহ, এম এ ইউসুফ ও নির্মল চক্রবর্তী। মহাসচিব শওকত মাহমুদ। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম আসাদুজ্জামান। যুগ্ম মহাসচিব এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, আল আমিন রাজু ও নাজমুল আহসান। সমন্বয়কারী নুরুল কাদের সোহেল। সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ আহমেদ। প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক গুলজার হোসেন। প্রচার সম্পাদক হাসিবুর রেজা কল্লোল। সম্মানিত সদস্য হিসেবে আছেন মেজর (অব.) ইমরান ও কর্নেল (অব.) সাব্বির। উপদেষ্টা হিসেবে আছেন শাহ মো. আবু জাফর, মেজর (অব.) মুজিব, ইকবাল হোসেন মাহমুদ, ডা. ফরহাদ হোসেন মাহবুব, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, আউয়াল ঠাকুর, তৌহিদা ফারুকী ও মামুনুর রশীদ।

উল্লেখ্য, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে শওকত মাহমুদকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে একই অভিযোগে শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ ডেকে সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন। সেই পটভূমিতে তখন ওই সমাবেশের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক ছিল না বলে দলটির নেতারা বলেছিলেন।

২০১৯–২০ সালের ডিসেম্বরেও ঢাকায় এ ধরনের দুটি বড় জমায়েত করে রাস্তায় নেমেছিল জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও পেশাজীবী পরিষদ। এরও নেতৃত্বে ছিলেন শওকত মাহমুদ। তখনো তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ ‘ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠনের দাবি করা হয়।

এ ছাড়া অনুষ্ঠান থেকে জাতীয় সরকার গঠনের পর সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়। এই সংগঠনের আহ্বায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার, সদস্যসচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত