নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘সরকার দাবি করে, দেশে গণতন্ত্র আছে। আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই দেশে গণতন্ত্র আছে। তাহলে প্রশ্ন করি, এত ভয় কেন? বিরোধী দল বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছে, মিছিল করছে। সেটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেইটুকু সহ্য করবার সাহস ও মুরোদ যদি না থাকে, রাজনীতি ছেড়ে দেন। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আর কয়দিন রাজনীতি করবেন? বিরোধী দলকে দমন করে আর কয়দিন রাজনীতি করবেন?’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) যদি মনে করেন ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের কায়দায় খেলা হবে, অন্ধকারে কিংবা খেলা হবে বলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় করবেন, তাহলে ভুল করবেন। বাংলাদেশের মানুষ সমুচিত জবাব দিবে।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘খেলা হবে স্লোগানটি প্রথমে দিয়েছিল আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য। পরে এই স্লোগানটি গড়াতে গড়াতে গেল পশ্চিমবঙ্গে। বিধানসভায় তৃণমূলের মূল স্লোগান হয়েই দাঁড়াল খেলা হবে। পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা আছে, সেখানের খেলা হবে এবং বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে খেলা হবে এই দুটোর মধ্যে আসমান-জমিন পার্থক্য।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের খেলা হবে বক্তব্য প্রসঙ্গে এ এমপি বলেন, ‘সেই ভয়ঙ্কর খেলা শুরু হয়ে গেছে।’
ভোলায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির দুজন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার কথা তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সেই হত্যাকাণ্ডের কোনো তদন্ত হয়নি। পুলিশকে জবাবদিহির মধ্যে আনা হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি।’
বরগুনায় ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ছাত্রলীগের গায়ে পুলিশের লাঠির দুটো টোকা পড়ল কি পড়ল না, ছাত্রলীগের ওপর পুলিশ লাঠির বাড়ি দিল কি দিল না—তারপর সেখান থেকে একরাতে পুলিশকে বদলি করতে দেখলাম। কী অদ্ভুত বিচার দেখলাম! বিরোধী দলের দুইজন কর্মী হত্যা হয়ে যায়, বিচার হয় না, তদন্ত হয় না, ব্যবস্থা হয় না। অথচ ছাত্রলীগের গায়ে দুটো লাঠির বাড়ি পড়বার আগেই পুলিশ বদলি হয়ে যায়।’ এ সময় আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে যুবদলকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাও উল্লেখ করেন তিনি।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এক ধরনের কথা বলছেন। আর পুলিশ প্রশাসনের আচারণ দেখছি আরেক রকম। প্রধানমন্ত্রী একধরনের কথা বলছেন, আশ্বাস দিচ্ছেন। তাঁর দলের যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা অন্যরকম আচারণ ও ব্যবহার করছে বিরোধী দলের সঙ্গে।’
এ সময় গত ২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার চিত্র তুলে ধরে রুমিন ফারহানা দাবি করেন, ৭০ টির বেশি জায়গায় হামলা হয়েছে, ৬০০ নেতাকর্মী আহত, গ্রেপ্তার ২০০-এর বেশি, মামলায় আসামি ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মী। রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এতই পোড়া কপাল আমাদের, মামলা হামলার শিকার আমরা হই! পুলিশের গুলিতে আমাদের কর্মী মারা যায়, লাঠিচার্জে আমরা আহত হই, ছাত্রলীগ-যুবলীগের লাঠিচার্জে বাড়ি আমরা খাই, আমাদের সভাতে ১৪৪ ধারা জারি হয়, আবার মামলাও করা হয় আমাদের নামে!’
বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগ কেন মাঠে জানতে চেয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে, নাশকতা ঠেকাতে তারা মাঠে আছে। আমার প্রশ্ন, যদি বিএনপির নাশকতা ঠেকানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হয়, তাহলে পুলিশ প্রশাসন পুষে আমাদের লাভ কী? আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করে, তাহলে পুলিশ প্রশাসন কেন আছে?’
বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘সরকার দাবি করে, দেশে গণতন্ত্র আছে। আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নিই দেশে গণতন্ত্র আছে। তাহলে প্রশ্ন করি, এত ভয় কেন? বিরোধী দল বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছে, মিছিল করছে। সেটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেইটুকু সহ্য করবার সাহস ও মুরোদ যদি না থাকে, রাজনীতি ছেড়ে দেন। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আর কয়দিন রাজনীতি করবেন? বিরোধী দলকে দমন করে আর কয়দিন রাজনীতি করবেন?’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে বিএনপি দলীয় সংরক্ষিত আসনের এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনারা (আওয়ামী লীগ) যদি মনে করেন ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের কায়দায় খেলা হবে, অন্ধকারে কিংবা খেলা হবে বলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় করবেন, তাহলে ভুল করবেন। বাংলাদেশের মানুষ সমুচিত জবাব দিবে।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘খেলা হবে স্লোগানটি প্রথমে দিয়েছিল আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য। পরে এই স্লোগানটি গড়াতে গড়াতে গেল পশ্চিমবঙ্গে। বিধানসভায় তৃণমূলের মূল স্লোগান হয়েই দাঁড়াল খেলা হবে। পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা আছে, সেখানের খেলা হবে এবং বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে খেলা হবে এই দুটোর মধ্যে আসমান-জমিন পার্থক্য।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের খেলা হবে বক্তব্য প্রসঙ্গে এ এমপি বলেন, ‘সেই ভয়ঙ্কর খেলা শুরু হয়ে গেছে।’
ভোলায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির দুজন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার কথা তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সেই হত্যাকাণ্ডের কোনো তদন্ত হয়নি। পুলিশকে জবাবদিহির মধ্যে আনা হয়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বক্তব্য পায়নি।’
বরগুনায় ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ছাত্রলীগের গায়ে পুলিশের লাঠির দুটো টোকা পড়ল কি পড়ল না, ছাত্রলীগের ওপর পুলিশ লাঠির বাড়ি দিল কি দিল না—তারপর সেখান থেকে একরাতে পুলিশকে বদলি করতে দেখলাম। কী অদ্ভুত বিচার দেখলাম! বিরোধী দলের দুইজন কর্মী হত্যা হয়ে যায়, বিচার হয় না, তদন্ত হয় না, ব্যবস্থা হয় না। অথচ ছাত্রলীগের গায়ে দুটো লাঠির বাড়ি পড়বার আগেই পুলিশ বদলি হয়ে যায়।’ এ সময় আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে যুবদলকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাও উল্লেখ করেন তিনি।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এক ধরনের কথা বলছেন। আর পুলিশ প্রশাসনের আচারণ দেখছি আরেক রকম। প্রধানমন্ত্রী একধরনের কথা বলছেন, আশ্বাস দিচ্ছেন। তাঁর দলের যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা অন্যরকম আচারণ ও ব্যবহার করছে বিরোধী দলের সঙ্গে।’
এ সময় গত ২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার চিত্র তুলে ধরে রুমিন ফারহানা দাবি করেন, ৭০ টির বেশি জায়গায় হামলা হয়েছে, ৬০০ নেতাকর্মী আহত, গ্রেপ্তার ২০০-এর বেশি, মামলায় আসামি ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মী। রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এতই পোড়া কপাল আমাদের, মামলা হামলার শিকার আমরা হই! পুলিশের গুলিতে আমাদের কর্মী মারা যায়, লাঠিচার্জে আমরা আহত হই, ছাত্রলীগ-যুবলীগের লাঠিচার্জে বাড়ি আমরা খাই, আমাদের সভাতে ১৪৪ ধারা জারি হয়, আবার মামলাও করা হয় আমাদের নামে!’
বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগ কেন মাঠে জানতে চেয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলছে, নাশকতা ঠেকাতে তারা মাঠে আছে। আমার প্রশ্ন, যদি বিএনপির নাশকতা ঠেকানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হয়, তাহলে পুলিশ প্রশাসন পুষে আমাদের লাভ কী? আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছাত্রলীগ-যুবলীগ হামলা করে, তাহলে পুলিশ প্রশাসন কেন আছে?’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দল। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে আজ রোববার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে বৈঠকটি শুরু হয়।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগে বিএনপি ‘সিরিয়াসলি’ সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। আজ রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগেত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে যেসব কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে তাঁরা রাজনৈতিকভাবে হয় বিএনপি, নয় জামায়াত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
১৫ ঘণ্টা আগেঅতীতে রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের সংবিধানে মূলনীতি হিসেবে দলীয় বক্তব্য চাপিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দেশের সংবিধানের মূলনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলটি। অর্থবিল ও আস্থা ভোটে সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তে ভোটের পক্ষে রয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকারে
১৮ ঘণ্টা আগে