হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদের গত পাঁচ বছরে সম্পদ কমেছে। তবে বেড়েছে ঋণের পরিমাণ। এর মধ্যে তিনি স্বামীর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন সোয়া এক কোটি টাকারও বেশি।
এদিকে গত পাঁচ বছরে সেলিমা আহমাদের স্বামী নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদের সম্পদ বেড়েছে ছয় কোটি ৬৪ লাখ ৪১ হাজার ৯৩ টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিমা আহমাদ কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের পর ২০১৮ সালেই প্রথম সেলিমা আহমাদের বিজয়ের মাধ্যমে কুমিল্লা-২ আসনটি নৌকার নিয়ন্ত্রণে আসে।
হলফনামা থেকে আরও জানা গেছে, সেলিমা আহমাদ এমপির বার্ষিক আয় ৯২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৪ টাকা। এর মধ্যে এমপি হিসেবে সম্মানী ভাতা ছয় লাখ ৬০ হাজার, মিটিং ফি সাত লাখ ৯৯ হাজার ২৭২ টাকা; শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৩০ লাখ ১ হাজার ২৬৯ টাকা, চাকরি হিসেবে নিটল মোটরস লিমিটেড থেকে পান ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৮২৬ টাকা আর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া মিলিয়ে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৭ টাকা পান।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী সেলিমা আহমাদ ব্যবসায়ী হলেও গত পাঁচ বছরে তাঁর ব্যবসা থেকে এক টাকাও আয় হয়নি। ২০১৮ সালের হলফনামার তথ্য বলছে, ওই সময়ে তিনি ব্যবসা থেকে আয় করেছেন ৪২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে সেলিমা আহমাদ এমপি উল্লেখ করেছেন, নগদ টাকা আছে ৮৮ হাজার ৫৮৭ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৭ টাকা; বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে আট কোটি ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭০ টাকার; পোস্টাল, সেভিংসহ স্থায়ী আমানত বিনিয়োগ পাঁচ কোটি ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯০ টাকা। বাসা, ট্রাক, মোটর গাড়ি ও মোটরসাইকেল রয়েছে ৯২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ টাকার। সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে ২১ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি রয়েছে ১৬ দশমিক ৬৫ বিঘা, যার মূল্য দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৬১ লাখ ৫৩ হাজার ১০০ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে ২৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার।
এমপি সেলিমা আহমাদের নামে ২৬ কোটি ১৫ লাখ ৮ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের রাজধানীর আদাবর ও গুলশানে দুটি বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া গুলশান-১ এ রয়েছে দুই কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট, হোমনায় এক কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ টাকা এবং তিতাসে ৩৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি।
এর আগে ২০১৮ সালে এ প্রার্থীর ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৭৪১ টাকা। এবার ঋণ বেড়ে হয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ২৫৬ টাকা। এর মধ্যে প্রার্থীর স্বামী আবদুল মাতলুব আহমাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন এক কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আত্মীয়-স্বজন থেকে ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৮ টাকা এবং অগ্রিম ভাড়া বাবদ এক লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
এমপি সেলিমা আহমাদের তুলনায় তার স্বামী ব্যবসায়ী আবদুল মাতলুব আহমাদের ১১৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৭০৮ টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে। ২০১৮ সালে সেলিমা আহমাদের সম্পদ ছিল ৩১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭১ টাকার। ২০২৩ সালে তার সম্পদ কমে হয়েছে ২৬ কোটি ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫০৫ টাকায়। এদিকে, ২০১৮ সালে স্বামী আবদুল মাতলুব আহমাদের সম্পদ ছিল ১৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ১২০ টাকার। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪০ কোটি ৫৮ লাখ ৪৯ হাজার ২১৩ টাকা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদের গত পাঁচ বছরে সম্পদ কমেছে। তবে বেড়েছে ঋণের পরিমাণ। এর মধ্যে তিনি স্বামীর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন সোয়া এক কোটি টাকারও বেশি।
এদিকে গত পাঁচ বছরে সেলিমা আহমাদের স্বামী নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদের সম্পদ বেড়েছে ছয় কোটি ৬৪ লাখ ৪১ হাজার ৯৩ টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেলিমা আহমাদ কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের পর ২০১৮ সালেই প্রথম সেলিমা আহমাদের বিজয়ের মাধ্যমে কুমিল্লা-২ আসনটি নৌকার নিয়ন্ত্রণে আসে।
হলফনামা থেকে আরও জানা গেছে, সেলিমা আহমাদ এমপির বার্ষিক আয় ৯২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৪ টাকা। এর মধ্যে এমপি হিসেবে সম্মানী ভাতা ছয় লাখ ৬০ হাজার, মিটিং ফি সাত লাখ ৯৯ হাজার ২৭২ টাকা; শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে ৩০ লাখ ১ হাজার ২৬৯ টাকা, চাকরি হিসেবে নিটল মোটরস লিমিটেড থেকে পান ৩২ লাখ ২৪ হাজার ৮২৬ টাকা আর বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া মিলিয়ে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৭ টাকা পান।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী সেলিমা আহমাদ ব্যবসায়ী হলেও গত পাঁচ বছরে তাঁর ব্যবসা থেকে এক টাকাও আয় হয়নি। ২০১৮ সালের হলফনামার তথ্য বলছে, ওই সময়ে তিনি ব্যবসা থেকে আয় করেছেন ৪২ লাখ ১২ হাজার ৬২৪ টাকা। অস্থাবর সম্পদ হিসেবে সেলিমা আহমাদ এমপি উল্লেখ করেছেন, নগদ টাকা আছে ৮৮ হাজার ৫৮৭ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৭ টাকা; বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার রয়েছে আট কোটি ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭০ টাকার; পোস্টাল, সেভিংসহ স্থায়ী আমানত বিনিয়োগ পাঁচ কোটি ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৯০ টাকা। বাসা, ট্রাক, মোটর গাড়ি ও মোটরসাইকেল রয়েছে ৯২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ টাকার। সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে ২১ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি রয়েছে ১৬ দশমিক ৬৫ বিঘা, যার মূল্য দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৬১ লাখ ৫৩ হাজার ১০০ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে ২৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার।
এমপি সেলিমা আহমাদের নামে ২৬ কোটি ১৫ লাখ ৮ হাজার ১৪০ টাকা মূল্যের রাজধানীর আদাবর ও গুলশানে দুটি বাড়ি রয়েছে। এ ছাড়া গুলশান-১ এ রয়েছে দুই কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট, হোমনায় এক কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৮০০ টাকা এবং তিতাসে ৩৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি।
এর আগে ২০১৮ সালে এ প্রার্থীর ঋণের পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৭৪১ টাকা। এবার ঋণ বেড়ে হয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ২৫৬ টাকা। এর মধ্যে প্রার্থীর স্বামী আবদুল মাতলুব আহমাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন এক কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আত্মীয়-স্বজন থেকে ৬৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৮ টাকা এবং অগ্রিম ভাড়া বাবদ এক লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
এমপি সেলিমা আহমাদের তুলনায় তার স্বামী ব্যবসায়ী আবদুল মাতলুব আহমাদের ১১৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৭০৮ টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে। ২০১৮ সালে সেলিমা আহমাদের সম্পদ ছিল ৩১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৭১ টাকার। ২০২৩ সালে তার সম্পদ কমে হয়েছে ২৬ কোটি ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫০৫ টাকায়। এদিকে, ২০১৮ সালে স্বামী আবদুল মাতলুব আহমাদের সম্পদ ছিল ১৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ১২০ টাকার। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪০ কোটি ৫৮ লাখ ৪৯ হাজার ২১৩ টাকা
মনোনয়নপত্র সশরীরে জমা দেওয়া, দল নিবন্ধন নবায়ন, দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানো, ঋণখেলাপি ও হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্তত ১০টি দাবি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে তুলে ধরেছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকের পক্ষে নয় এবং এই নীতিটি সংবিধানে সংযুক্ত করার পক্ষেও দলটি একমত। সংবিধান সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অসন্তুষ্ট নয় বিএনপি। বরং রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য তাঁরা সর্বাত্মক...
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গতকাল তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার পর কয়েকটি সুপারিশ নিয়ে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার এবং ভরণপোষণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেসংস্কারের বিষয়ে আর কোনো সংকট দেখছে না বিএনপি। এই অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে মনে করছে দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে কোনো সংকট নেই। সবাই সবার মতামত দিয়েছে। ঐকমত্য কোথায় কোথায় হয়েছে, তা জানতে এক সপ্তাহের...
৫ ঘণ্টা আগে