অনলাইন ডেস্ক
সমন্বয়কদের চার গ্রুপে কতজন সত্যিকারের ছাত্র আছেন, তা জানতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আজকে যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করছেন, সরকারে তিনজন আছেন; এ ছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন, নাগরিক কমিটি রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী কমিটি রয়েছে। তাঁদের সরাসরি প্রশ্ন করতে চাই, এই যে চারটি গ্রুপ রয়েছে, এর মধ্যে কজন সত্যিকারের ছাত্র?’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ মিরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম ‘গণ-অভ্যুত্থান, গণপ্রত্যাশা এবং রাষ্ট্র সংস্কার’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। মঈন খান বলেন, ‘রাজপথে যাঁরা ছিলন, যাঁরা নিজেদের সাধারণ ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কি কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না? অবশ্যই ছিল। যাঁরা সত্যিকারের ছাত্র, রাজপথে ছিলেন, তাঁরা কি কেউ বিএনপির সদস্য ছিল না? এটা বুঝতে হবে। সত্যটা হলো, তাঁরা সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি বলে নিজেদের পরিচয় দেননি, তাঁরা পরিচয় দিয়েছিলেন সাধারণ ছাত্র বলে। এই সত্যগুলো বুঝতে না পারলে আমরা যে সংকটে আছি, সে সংকট থেকে কিন্তু বের হতে পারব না।’
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে নয়, অন্তর্বর্তী সরকার ‘বড় দায়িত্ব’ নিয়ে এসেছে জানিয়ে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিন্তু এই সরকার আসেনি। বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরিত করার বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে। তারা চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছে। শুধু গ্রহণ করলে হবে না, দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এটা শুধু তাঁদের জন্য না, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জন্য।’
এ সময় সংস্কার নিয়ে মঈন খান বলেন, ‘সংস্কার এমন একটি জিনিস, যেটা একবার করে ফেললাম আর সবকিছু সুন্দর হয়ে গেল সেটাকে বোঝায় না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি আজকে যেটি সংস্কার করলাম, সেটি আগামীকাল আবার সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। যে মুহূর্তে তারা পক্ষপাতিত্বে চলে যাবে, তখনই তাদের কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা শুনেছি, ছাত্ররা নাকি এই সরকারকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে, আমরা জানি না সারা দেশের মানুষ কি তাদের দায়িত্ব দেয়নি? ১৮ কোটি মানুষ কি দায়িত্ব দেয়নি? তারা কি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে? সেই আন্দোলনে তো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গিয়েছিল। আমরা আবু সাঈদকে দেখেছি, তোমরা গুলি করো, কিন্তু আমি প্রত্যয় থেকে সরব না। যে ছেলেটি আন্দোলনকারীদের পানি খাইয়েছে, তার কথা ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। সবকিছু ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মুক্তচিন্তা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।
সমন্বয়কদের চার গ্রুপে কতজন সত্যিকারের ছাত্র আছেন, তা জানতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আজকে যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করছেন, সরকারে তিনজন আছেন; এ ছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন, নাগরিক কমিটি রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী কমিটি রয়েছে। তাঁদের সরাসরি প্রশ্ন করতে চাই, এই যে চারটি গ্রুপ রয়েছে, এর মধ্যে কজন সত্যিকারের ছাত্র?’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ মিরসরাই জাতীয়তাবাদী ফোরাম ‘গণ-অভ্যুত্থান, গণপ্রত্যাশা এবং রাষ্ট্র সংস্কার’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। মঈন খান বলেন, ‘রাজপথে যাঁরা ছিলন, যাঁরা নিজেদের সাধারণ ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কি কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না? অবশ্যই ছিল। যাঁরা সত্যিকারের ছাত্র, রাজপথে ছিলেন, তাঁরা কি কেউ বিএনপির সদস্য ছিল না? এটা বুঝতে হবে। সত্যটা হলো, তাঁরা সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি বলে নিজেদের পরিচয় দেননি, তাঁরা পরিচয় দিয়েছিলেন সাধারণ ছাত্র বলে। এই সত্যগুলো বুঝতে না পারলে আমরা যে সংকটে আছি, সে সংকট থেকে কিন্তু বের হতে পারব না।’
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে নয়, অন্তর্বর্তী সরকার ‘বড় দায়িত্ব’ নিয়ে এসেছে জানিয়ে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করার জন্য কিন্তু এই সরকার আসেনি। বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরিত করার বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে। তারা চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছে। শুধু গ্রহণ করলে হবে না, দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এটা শুধু তাঁদের জন্য না, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জন্য।’
এ সময় সংস্কার নিয়ে মঈন খান বলেন, ‘সংস্কার এমন একটি জিনিস, যেটা একবার করে ফেললাম আর সবকিছু সুন্দর হয়ে গেল সেটাকে বোঝায় না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি আজকে যেটি সংস্কার করলাম, সেটি আগামীকাল আবার সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। যে মুহূর্তে তারা পক্ষপাতিত্বে চলে যাবে, তখনই তাদের কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমরা শুনেছি, ছাত্ররা নাকি এই সরকারকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে, আমরা জানি না সারা দেশের মানুষ কি তাদের দায়িত্ব দেয়নি? ১৮ কোটি মানুষ কি দায়িত্ব দেয়নি? তারা কি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে? সেই আন্দোলনে তো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গিয়েছিল। আমরা আবু সাঈদকে দেখেছি, তোমরা গুলি করো, কিন্তু আমি প্রত্যয় থেকে সরব না। যে ছেলেটি আন্দোলনকারীদের পানি খাইয়েছে, তার কথা ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না। সবকিছু ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মুক্তচিন্তা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম হায়দার প্রমুখ।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে তাদের ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে। গতকাল রোববার সমাবেশ থেকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই ইশতেহার ঘোষণা করেন, যেখানে ‘দ্বিতীয় রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন সংবিধান প্রণয়ন
৮ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রপতির এপিএস মুহাম্মদ সাগর হোসাইন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে যান এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জামায়াতে ইসলামীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য
১৮ ঘণ্টা আগে‘ফ্যাসিবাদ পতন’-এর বর্ষপূর্তিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক জনসমাবেশে ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ২৪ দফার এই ইশতেহারে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র গঠনের আহ্বান জানিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্র ও রাজনীতির কাঠামো পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে