নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব বিষয় বাতিল, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী সব আলেমের মুক্তিসহ তাদের পাঁচ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে অচিরেই ইসলামী কারিকুলাম সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানান নেতারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফেনী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানান সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
এ ছাড়া পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধ এবং তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা, ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতের নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির সুরক্ষা আইন, ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হেফাজত নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সাজিদুর রহমান বলেন, ‘ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত একশ্রেণির ধর্মবিরোধী গোষ্ঠী এ দেশের মুসলিম প্রজন্মের মন ও মানস থেকে ইসলামের ধ্যানধারণা চিরতরে মুছে দেওয়ার নীল নকশা বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে পাঠ্যপুস্তককে। পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামঘনিষ্ঠ বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামবিরোধী বিষয়ের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে শিক্ষা কারিকুলামে বিতর্কিত সব বিষয় সংশোধনে আলেম সমাজের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন সংকলিত পাঠ্যপুস্তক পুনরায় বিতরণ করতে হবে। আর না হলে এ দেশের অনাগত প্রজন্মের মন-মানসিকতা থেকে ইসলামকে চিরতরে মুছে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’
সাজিদুর রহমান বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০২৩ (খসড়া) আমাদের নজরে এসেছে। বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনটি অচিরেই পাস হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এ আইনকে যদিও হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষা আইন মনে করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসলে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়।’
আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক আলেমকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আলেমদের প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখানো হচ্ছে না। তাঁরা যতটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন, সে ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হচ্ছে। দেশের শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজের সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে। আলেম-উলামাগণ কারাগারে বন্দী অবস্থায় এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবিলম্বে তাঁদের বিনা শর্তে মুক্তি দিতে এবং সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম আমরা নিজেরা ঠিক করব। অন্য দেশের ঠিক করা কারিকুলাম চলবে না। হেফাজতের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ইসলামি কারিকুলাম প্রস্তাবনা আকারে তুলে দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘ইসলাম সাংঘর্ষিক কোনো আইন বা পাঠ্যপুস্তক আমরা মানি না, মানব না।’
‘ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শ ও বর্তমান জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে জাতির ভবিষ্যৎ’-শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বক্তারা। সেখান থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মহিউদ্দিন রাব্বানী, মুফতি আহমদ আলী কাসেমী, আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মাহফুজুল হক, যুগ্ম-মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হারুন ইজাহার, মীর ইদ্রিস, মুজিবুর রহমান হামিদী, সহকারী মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, অর্থ সম্পাদক মুনির হোসাইন, সহ-অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব বিষয় বাতিল, মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী সব আলেমের মুক্তিসহ তাদের পাঁচ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে অচিরেই ইসলামী কারিকুলাম সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানান নেতারা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ফেনী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানান সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
এ ছাড়া পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধ এবং তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা, ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতের নেতা-কর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির সুরক্ষা আইন, ২০২৩ (খসড়া) প্রণয়ন করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হেফাজত নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সাজিদুর রহমান বলেন, ‘ইসলামফোবিয়ায় আক্রান্ত একশ্রেণির ধর্মবিরোধী গোষ্ঠী এ দেশের মুসলিম প্রজন্মের মন ও মানস থেকে ইসলামের ধ্যানধারণা চিরতরে মুছে দেওয়ার নীল নকশা বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে পাঠ্যপুস্তককে। পাঠ্যপুস্তক থেকে ইসলামঘনিষ্ঠ বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে ইসলামবিরোধী বিষয়ের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে শিক্ষা কারিকুলামে বিতর্কিত সব বিষয় সংশোধনে আলেম সমাজের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন সংকলিত পাঠ্যপুস্তক পুনরায় বিতরণ করতে হবে। আর না হলে এ দেশের অনাগত প্রজন্মের মন-মানসিকতা থেকে ইসলামকে চিরতরে মুছে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’
সাজিদুর রহমান বলেন, ‘ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০২৩ (খসড়া) আমাদের নজরে এসেছে। বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি যে, আইনটি অচিরেই পাস হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। এ আইনকে যদিও হিজড়া সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষা আইন মনে করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসলে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়।’
আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক আলেমকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আলেমদের প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখানো হচ্ছে না। তাঁরা যতটুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রাখেন, সে ক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হচ্ছে। দেশের শান্তিপ্রিয় আলেম সমাজের সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকার হরণ করা হচ্ছে। আলেম-উলামাগণ কারাগারে বন্দী অবস্থায় এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অবিলম্বে তাঁদের বিনা শর্তে মুক্তি দিতে এবং সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম আমরা নিজেরা ঠিক করব। অন্য দেশের ঠিক করা কারিকুলাম চলবে না। হেফাজতের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ইসলামি কারিকুলাম প্রস্তাবনা আকারে তুলে দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ‘ইসলাম সাংঘর্ষিক কোনো আইন বা পাঠ্যপুস্তক আমরা মানি না, মানব না।’
‘ট্রান্সজেন্ডার মতাদর্শ ও বর্তমান জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে জাতির ভবিষ্যৎ’-শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বক্তারা। সেখান থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মহিউদ্দিন রাব্বানী, মুফতি আহমদ আলী কাসেমী, আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মাহফুজুল হক, যুগ্ম-মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হারুন ইজাহার, মীর ইদ্রিস, মুজিবুর রহমান হামিদী, সহকারী মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, অর্থ সম্পাদক মুনির হোসাইন, সহ-অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমরা কিন্তু একটু শঙ্কিত ছিলাম। কারণ, আমাদের কাছে নানা রকম তথ্য ছিল, আমরা শুনেছি যে, হঠাৎ করে এই জুলাই সনদ স্বাক্ষরের জন্য একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এর ভিত্তিতে আজকে এই মিটিংটা হয়েছে। পরে আমরা দেখলাম যে, না, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা...
১০ ঘণ্টা আগে‘আপনার প্রতি আমাদের সীমাহীন সমর্থন নয়, আমাদের সীমারেখা আছে। আমরা গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য এই সীমারেখার মধ্যে আপনাকে সমর্থন দিচ্ছি। আপনি দয়া করে এটা অনুধাবন করার চেষ্টা করবেন।’
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়; এক দিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট আলোচনা। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে। আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদ
১০ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের সঙ্গে সাংবিধানিক সংস্কার পরিষদ নিয়ে প্রস্তাব ফের তুলেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা থেকে বের হয়ে দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ ওভার-অল ঐকমত্য, নোট অব ডিসেন্টসহ এর বাস্তবায়নের পদ্ধতিসহ একটা হ্যাঁ বা না ভোটের মধ্য দিয়ে যাবে। তাহলে এই দুটো
১০ ঘণ্টা আগে