নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন দাবি করে তাঁকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার (২০) রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এমন ঘোষণা দেয় গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান। ‘নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের নেতা ও এনসিপির প্রতিনিধি ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ডিএনসিসির সামনে গণঅধিকার পরিষদের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী মিছিল শুরু করেন। তাঁরা মোহাম্মদ এজাজের অপসারণ চেয়ে নানান স্লোগান দেন। ‘জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’; ‘জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এ বাংলায় রাখব না’; ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, নগর ভবন ঘেরাও হবে’সহ নানান স্লোগান দেন।
পরে তাঁদের মিছিলে শতাধিক লোক অংশ নেন। গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ওই সময় আরেকটি পক্ষও মোহাম্মদ এজাজের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেয়। পরিচয় জানতে চাইলে মিছিলকারী একজন জানান, স্লোগানদাতা তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সদস্য জাহিদ হোসেন। তাঁদের ‘দফা এক, দাবি এক, ডিসির পদত্যাগ’; ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার, সাবধান’সহ নানান স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে তাঁদের সঙ্গে শ্রমিক দলের একটি অংশও যোগ দিয়েছে।
বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ডিএনসিসির গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। বৃষ্টি শুরু হলে ইউনিমার্টের গেটের সামনে সমাবেশ করে। ডিএনসিসির সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে বিকেল পৌনে পাঁচটার আগেই সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ।
ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর জাহের, আবু হানিফ, রবিউল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রহমান, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম প্রমুখ।
মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় গণঅধিকার পরিষদ। দলটির মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে একটা আলটিমেটাম এ সরকারকে দিতে চাই। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ সরকার তথা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আলটিমেটাম দিচ্ছি। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এজাজকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী শনিবার আমাদের কর্মসূচি হবে যমুনার সামনে। সময় ও তারিখসহ বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে অপসারণ না হলে যমুনা ঘেরাও হবে।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা যখন দেখি, একজন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের নেতা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব পান, তার মানে আর বুঝতে বাকি থাকে না, এই সরকার জনগণের সংস্কার নয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষা নয়, আওয়ামী লীগের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বেশি তৎপর। এই মোহাম্মদ এজাজের ইতিহাস সবাই জানে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। শুধু নেতা বললে ভুল হবে, প্রথম সারির নেতা ছিলেন। এক থেকে পাঁচজনের মধ্যে টপ লেভেলের নেতা ছিলেন মোহাম্মদ এজাজ। এই হিযবুত তাহ্রীর করার কারণে একাধিকবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে জেলে গিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে জেল থেকে বেরিয়ে মোহাম্মদ এজাজ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন দাবি করে ফারুক হাসান বলেন, ‘২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ করেছেন। আওয়ামী লীগের ধান্দাবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি—প্রতিটি অপকর্মের সঙ্গে মোহাম্মদ এজাজ সম্পৃক্ত ছিলেন। এরপর আন্দোলন-সংগ্রাম শুরুর পর খোলস পাল্টে এ সরকারের নব্য বিপ্লবী, যাদের আমরা বলি দুই দিনের বৈরাগী, সেই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে তলে তলে গোপন চুক্তি করে এই এজাজ আজকে সিটি করপোরেশনের জমিদার বনে গেলেন।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন দাবি করে তাঁকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার (২০) রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এমন ঘোষণা দেয় গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মুখপাত্র ফারুক হাসান। ‘নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের নেতা ও এনসিপির প্রতিনিধি ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদ।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ডিএনসিসির সামনে গণঅধিকার পরিষদের ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী মিছিল শুরু করেন। তাঁরা মোহাম্মদ এজাজের অপসারণ চেয়ে নানান স্লোগান দেন। ‘জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’; ‘জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এ বাংলায় রাখব না’; ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও হবে, নগর ভবন ঘেরাও হবে’সহ নানান স্লোগান দেন।
পরে তাঁদের মিছিলে শতাধিক লোক অংশ নেন। গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ওই সময় আরেকটি পক্ষও মোহাম্মদ এজাজের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেয়। পরিচয় জানতে চাইলে মিছিলকারী একজন জানান, স্লোগানদাতা তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সদস্য জাহিদ হোসেন। তাঁদের ‘দফা এক, দাবি এক, ডিসির পদত্যাগ’; ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা হুঁশিয়ার, সাবধান’সহ নানান স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে তাঁদের সঙ্গে শ্রমিক দলের একটি অংশও যোগ দিয়েছে।
বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ডিএনসিসির গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। বৃষ্টি শুরু হলে ইউনিমার্টের গেটের সামনে সমাবেশ করে। ডিএনসিসির সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে বিকেল পৌনে পাঁচটার আগেই সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ।
ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর জাহের, আবু হানিফ, রবিউল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রহমান, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম প্রমুখ।
মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় গণঅধিকার পরিষদ। দলটির মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে একটা আলটিমেটাম এ সরকারকে দিতে চাই। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ সরকার তথা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে আলটিমেটাম দিচ্ছি। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এজাজকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী শনিবার আমাদের কর্মসূচি হবে যমুনার সামনে। সময় ও তারিখসহ বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে অপসারণ না হলে যমুনা ঘেরাও হবে।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা যখন দেখি, একজন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের নেতা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব পান, তার মানে আর বুঝতে বাকি থাকে না, এই সরকার জনগণের সংস্কার নয়, জনগণের আকাঙ্ক্ষা নয়, আওয়ামী লীগের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বেশি তৎপর। এই মোহাম্মদ এজাজের ইতিহাস সবাই জানে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। শুধু নেতা বললে ভুল হবে, প্রথম সারির নেতা ছিলেন। এক থেকে পাঁচজনের মধ্যে টপ লেভেলের নেতা ছিলেন মোহাম্মদ এজাজ। এই হিযবুত তাহ্রীর করার কারণে একাধিকবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে জেলে গিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে জেল থেকে বেরিয়ে মোহাম্মদ এজাজ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন দাবি করে ফারুক হাসান বলেন, ‘২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ করেছেন। আওয়ামী লীগের ধান্দাবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি—প্রতিটি অপকর্মের সঙ্গে মোহাম্মদ এজাজ সম্পৃক্ত ছিলেন। এরপর আন্দোলন-সংগ্রাম শুরুর পর খোলস পাল্টে এ সরকারের নব্য বিপ্লবী, যাদের আমরা বলি দুই দিনের বৈরাগী, সেই স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে তলে তলে গোপন চুক্তি করে এই এজাজ আজকে সিটি করপোরেশনের জমিদার বনে গেলেন।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
৭ ঘণ্টা আগে
সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলগুলোর যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন— ‘ছোট দল’ বলে কাউকে অসম্মান করছিন না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট–বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তারা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এবিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, ছোটখাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ পার্লামেন্টে এলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়। এভাবে যুক্ত ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। সেটা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ আমরা একটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটা সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদ দেখতে চাই, যেখানে সকল মতের, আদর্শের ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির কল্যাণে তাঁদের অবদান রাখবেন এবং সেটা হলেই জাতির গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি আসে জাতি উপকৃত হয়।’
বিএনপির সঙ্গে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটায় (বাধ্যতামূলক দলীয় প্রতীক) তাদেরও সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত চেয়েছিল, আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যে সমস্ত সংশোধনী এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত। কিন্তু এই বিষয়টা, প্রতীকের বিষয়টা—জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না—এ বিষয়ে আমরা কখনো সম্মত হইনি।’
এটি একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ও আরপিও নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং অধিকাংশ সংশোধনের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই প্রতীকের বিষয়টি সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে ও নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেব। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ছোট দলের অংশগ্রহণ সংসদকে সমৃদ্ধ করে। এভাবে তাদের সুযোগ সংকুচিত করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-এনসিপির জোট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপিন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
এনসিপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না—অথবা তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে এসব আগে থেকে বলা যায় না।’
তবে এনসিপির দিক থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত মিলেনি। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপির অবস্থানে এনসিপির উদ্বেগ
এদিকে সংশোধিত আরপিও নিয়ে বিএনপির আপত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। সংশোধিত আরপিও থেকে সরকার সরে এলে তা ‘লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ হিসেবে দেখা হবে বলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। কিন্তু বিএনপি এখন বলছে, তারা সংশোধনী বাতিলের আবেদন করবে আইন মন্ত্রণালয়ে। অথচ আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন। এটি রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর সংকেত দিচ্ছে। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী ঠেকানোর মানসিকতা থেকে মনে হচ্ছে, কিছু দল হয়তো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিতে চাইছে। এটা গণতান্ত্রিকভাবে অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।’
সরকারকে সতর্ক করে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘যদি কোনো দলের চাপে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে সেটা প্রমাণ করবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে এগোচ্ছে। এটা জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া নয়।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। আগে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। বিএনপির দাবি, এই পরিবর্তন ‘একতরফাভাবে’ করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫’–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক ছাড়াও আরপিওতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়। ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা— এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তবে জোটের ভোটে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা ছাড়া বাকি সংশোধনীতে বিএনপি একমত।
জোটেও দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপির আপত্তি কেন
গতকাল শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, সংশোধিত আরপিওতে এমন কিছু বিধান আছে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা আগে থেকেই একমত ছিলাম। কিন্তু প্রতীকের বিষয়ে যেটি পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো সম্মতি ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আগে আরপিওর ২০ ধারায় বলা ছিল— জোটভুক্ত দলগুলো চাইলে নিজেদের প্রতীকে বা জোটের মধ্যে সম্মত কোনো এক প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হতো। এতে ছোট দলগুলো জোটে থেকে কিছু আসন জয়ের সুযোগ পেত। এটা একটি ইতিবাচক ব্যবস্থা ছিল।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা। তাই বিএনপি ধরে নিয়েছিল, ধারাটিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সংশোধিত আরপিওতে দলীয় প্রতীক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত হবে।
বিএনপির আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন যেভাবে সংশোধনীর খসড়া পাস হয়েছে, কয়দিন পর অধ্যাদেশ আকারে পাস হবে। সেটা হলে অনেক ছোট দলগুলোর যারা জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করতে চাইবেন— ‘ছোট দল’ বলে কাউকে অসম্মান করছিন না, রাজনীতির মাঠে আকারে ছোট–বড় অনেক দল থাকে, যাদের জনসমর্থনের ভিত্তিতে এটা বলা হয়—তো তারা জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবেন না।’
এবিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতির ইতিহাসে দেখা গিয়েছে, ছোটখাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ পার্লামেন্টে এলে জাতীয় সংসদটা সমৃদ্ধ হয়। এভাবে যুক্ত ইলেকশন করার মধ্য দিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়ার একটা সুযোগ হচ্ছে। সেটা থেকে তাঁদেরকে বঞ্চিত করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি না। কারণ আমরা একটা বহুদলীয় গণতন্ত্র, একটা সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদ দেখতে চাই, যেখানে সকল মতের, আদর্শের ব্যক্তিগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জাতির কল্যাণে তাঁদের অবদান রাখবেন এবং সেটা হলেই জাতির গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধি আসে জাতি উপকৃত হয়।’
বিএনপির সঙ্গে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেটায় (বাধ্যতামূলক দলীয় প্রতীক) তাদেরও সম্মতি নেই, আমাদেরও সম্মতি নেই। এটা একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে এভাবে কেন উত্থাপন করা হলো জানি না। কারণ আচরণবিধি এবং আরপিওর বিষয়ে আমাদের কাছে মতামত চেয়েছিল, আমরা নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে যে সমস্ত সংশোধনী এসেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই আমরা একমত। কিন্তু এই বিষয়টা, প্রতীকের বিষয়টা—জোটভুক্ত হলেও দলগুলোর নিজস্ব প্রতীকের বাইরে জোটের অন্য প্রতীক নিতে পারবে না—এ বিষয়ে আমরা কখনো সম্মত হইনি।’
এটি একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন থেকে উত্থাপন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি ও আরপিও নিয়ে আমাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, এবং অধিকাংশ সংশোধনের সঙ্গে আমরা একমত। কিন্তু এই প্রতীকের বিষয়টি সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে ও নির্বাচনের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্র রক্ষার স্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও আইন উপদেষ্টার কাছে চিঠি দেব। বহুদলীয় গণতন্ত্রে ছোট দলের অংশগ্রহণ সংসদকে সমৃদ্ধ করে। এভাবে তাদের সুযোগ সংকুচিত করা গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়।’
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-এনসিপির জোট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপিন স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।’
এনসিপির সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না—অথবা তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে এসব আগে থেকে বলা যায় না।’
তবে এনসিপির দিক থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত মিলেনি। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপাতত বিএনপির সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
বিএনপির অবস্থানে এনসিপির উদ্বেগ
এদিকে সংশোধিত আরপিও নিয়ে বিএনপির আপত্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। সংশোধিত আরপিও থেকে সরকার সরে এলে তা ‘লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া’ হিসেবে দেখা হবে বলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন। আজ শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আখতার বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। কিন্তু বিএনপি এখন বলছে, তারা সংশোধনী বাতিলের আবেদন করবে আইন মন্ত্রণালয়ে। অথচ আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন। এটি রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর সংকেত দিচ্ছে। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী ঠেকানোর মানসিকতা থেকে মনে হচ্ছে, কিছু দল হয়তো বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধা নিতে চাইছে। এটা গণতান্ত্রিকভাবে অযৌক্তিক ও অনুপযুক্ত।’
সরকারকে সতর্ক করে এই এনসিপি নেতা বলেন, ‘যদি কোনো দলের চাপে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে সেটা প্রমাণ করবে, সরকার বিএনপির সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের সমঝোতার ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে এগোচ্ছে। এটা জাতির জন্য কোনো সুস্থ প্রক্রিয়া নয়।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন দাবি করে তাঁকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার ঘোষণা
২০ মে ২০২৫
বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
৭ ঘণ্টা আগে
সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও মূল্যবোধ পরিপন্থী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আয়োজন করা হয় সেমিনারটির।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মো. রেজাউল করীম, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মো. মামুনুল হক প্রমুখ।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘বিগত দিনে কিছু সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে। নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত কোনো জাতি শক্তিশালী জাতি হিসেবে পরিচয় লাভ করতে পারে না। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান ও উৎপাত বন্ধ হবে।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পশ্চিমা আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধবিবর্জিত শিক্ষার প্রসার ঘটানো হচ্ছে, যা দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রাথমিক শিক্ষাকে নৈতিকতাবিরোধী অবস্থান থেকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এনসিপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাসঙ্গিকতা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ প্রণোদনা দিয়ে মূল্যবোধ কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা। এভাবে সবাইকে কোনো না কোনো প্রণোদনা দিয়ে ফ্যাসিজম বহাল রেখেছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তিতে দেশ চলবে এবং শিক্ষাব্যবস্থায় সেটি বিরাজমান থাকবে।
সৈয়দ মো. রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন এখনই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সব দল মিলে সম্মিলিত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এই ইস্যু আমাদের প্রজন্মের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত, তাই আমরা যতটুকু কঠোর হওয়ার দরকার, ততটুকুই হব।’
মো. মামুনুল হক বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারাই বাংলাদেশের ক্ষমতায় যাবে, তাদের ইসলামপন্থীদের সঙ্গে নিয়েই দেশ পরিচালনা করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলামি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সামনে বৃহত্তর কর্মসূচিও আসতে পারে।’

বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
আজ শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও মূল্যবোধ পরিপন্থী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে আয়োজন করা হয় সেমিনারটির।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মো. রেজাউল করীম, এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মো. মামুনুল হক প্রমুখ।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘বিগত দিনে কিছু সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে। নীতি-নৈতিকতাবিবর্জিত কোনো জাতি শক্তিশালী জাতি হিসেবে পরিচয় লাভ করতে পারে না। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, তবে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান ও উৎপাত বন্ধ হবে।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পশ্চিমা আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধবিবর্জিত শিক্ষার প্রসার ঘটানো হচ্ছে, যা দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রাথমিক শিক্ষাকে নৈতিকতাবিরোধী অবস্থান থেকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এনসিপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাসঙ্গিকতা ও মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ প্রণোদনা দিয়ে মূল্যবোধ কেড়ে নিয়েছিল শেখ হাসিনা। এভাবে সবাইকে কোনো না কোনো প্রণোদনা দিয়ে ফ্যাসিজম বহাল রেখেছিল। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তিতে দেশ চলবে এবং শিক্ষাব্যবস্থায় সেটি বিরাজমান থাকবে।
সৈয়দ মো. রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন এখনই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সব দল মিলে সম্মিলিত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এই ইস্যু আমাদের প্রজন্মের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত, তাই আমরা যতটুকু কঠোর হওয়ার দরকার, ততটুকুই হব।’
মো. মামুনুল হক বলেন, ‘ভবিষ্যতে যারাই বাংলাদেশের ক্ষমতায় যাবে, তাদের ইসলামপন্থীদের সঙ্গে নিয়েই দেশ পরিচালনা করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলামি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সামনে বৃহত্তর কর্মসূচিও আসতে পারে।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন দাবি করে তাঁকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার ঘোষণা
২০ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে এবং আপনারা অবশ্যই এটা অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। আমি আশঙ্কা করছি, যদি এটার সঙ্গে ধর্মীয় যে দৃষ্টিকোণ, এটা যদি যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। সংলাপের আয়োজন করে সুফি সম্প্রদায় নিয়ে গবেষণা করা প্ল্যাটফর্ম ‘মাকাম’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দরবারগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। দরবারগুলোকে এটা বোঝানোর জন্য যে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার এসে মাজার ভেঙে দিচ্ছে, মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে। এই কোশ্চেনটা (প্রশ্ন) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইস্যু নয়। এটা ৫০ বছর ধরে চলছে। যখন সরকার পরিবর্তন হয়, মসজিদ কমিটি বদল হয়ে যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কমিটি বদল হয়ে যায়।’
মাজার-দরবারে হামলা বন্ধে সামাজিকভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘দেশে কোনো কোনো দূতাবাস চায়, মাজারগুলো ধ্বংস হোক। একধরনের রাজনৈতিক আদর্শিক জায়গা এখানে আছে। গত এক বছর যাবৎ মাজার-দরবারের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার যদি পাল্টা আঘাত হয়, তাহলে তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করবে। ফলে এই সহিংসতাকে যেকোনো মূল্যেই হোক বন্ধ করতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সামাজিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সামাজিক সংলাপের মাধ্যমেই এই সংকট দূরীভূত করা সম্ভব।’
এ সময় সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে। আমার পরামর্শ থাকবে, সুফি সমাজের পক্ষ থেকে এই আওয়াজ তোলা উচিত—আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের ইশতেহারে যেন সুফি সমাজের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।’
সংলাপে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘মাজারে সহিংসতার বিষয়ে কথা বলা একটা ট্যাবুতে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে আসতেও আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু এই ট্যাবু ভাঙতে হবে। আমাদের দেশে মাজার-দরবারে দায়িত্বশীল যাঁরা আছেন, তাঁদের একটা ঘাটতি হলো, তাঁরা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে প্রভাব রাখতে পারছেন না। যে কারণে তাঁদের কণ্ঠস্বর রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে পারছে না।’
সুফি সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুফি সমাজের এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে আপনারা অবদান রাখতে পারবেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে মাজার-দরবারে যে সহিংসতা হলো, এ ঘটনাগুলোর তদন্ত ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা দরকার। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই কমিশন গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা করবে। সর্বশেষ কথা হলো, এ দেশের নাগরিক কওমি হোক, আলিয়া হোক, সুন্নি হোক—যে যেই মতাদর্শ ধারণ করুক না কেন—কেউ কারও গায়ে আঘাত করবে না। এই জায়গায় আমাদের একটি বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন।’
সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মানজুর আল মতিন, দ্য ডিসেন্টের সম্পাদক ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দীন শিশির, মাইজভান্ডার দরবার শরিফের রহমানিয়া মঈনিয়া মঞ্জিলের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, অলিতলা দরবার শরিফের পীর মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন লতিফী প্রমুখ।

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছে এবং আপনারা অবশ্যই এটা অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। আমি আশঙ্কা করছি, যদি এটার সঙ্গে ধর্মীয় যে দৃষ্টিকোণ, এটা যদি যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। সংলাপের আয়োজন করে সুফি সম্প্রদায় নিয়ে গবেষণা করা প্ল্যাটফর্ম ‘মাকাম’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দরবারগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। দরবারগুলোকে এটা বোঝানোর জন্য যে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার এসে মাজার ভেঙে দিচ্ছে, মসজিদ থেকে বের করে দিচ্ছে। এই কোশ্চেনটা (প্রশ্ন) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইস্যু নয়। এটা ৫০ বছর ধরে চলছে। যখন সরকার পরিবর্তন হয়, মসজিদ কমিটি বদল হয়ে যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নিং কমিটি বদল হয়ে যায়।’
মাজার-দরবারে হামলা বন্ধে সামাজিকভাবে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘দেশে কোনো কোনো দূতাবাস চায়, মাজারগুলো ধ্বংস হোক। একধরনের রাজনৈতিক আদর্শিক জায়গা এখানে আছে। গত এক বছর যাবৎ মাজার-দরবারের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার যদি পাল্টা আঘাত হয়, তাহলে তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করবে। ফলে এই সহিংসতাকে যেকোনো মূল্যেই হোক বন্ধ করতে হবে। সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সামাজিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সামাজিক সংলাপের মাধ্যমেই এই সংকট দূরীভূত করা সম্ভব।’
এ সময় সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে। আমার পরামর্শ থাকবে, সুফি সমাজের পক্ষ থেকে এই আওয়াজ তোলা উচিত—আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের ইশতেহারে যেন সুফি সমাজের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।’
সংলাপে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘মাজারে সহিংসতার বিষয়ে কথা বলা একটা ট্যাবুতে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে আসতেও আমি উদ্বিগ্ন ছিলাম। কিন্তু এই ট্যাবু ভাঙতে হবে। আমাদের দেশে মাজার-দরবারে দায়িত্বশীল যাঁরা আছেন, তাঁদের একটা ঘাটতি হলো, তাঁরা রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে প্রভাব রাখতে পারছেন না। যে কারণে তাঁদের কণ্ঠস্বর রাষ্ট্রকে বাধ্য করতে পারছে না।’
সুফি সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সুফি সমাজের এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে আপনারা অবদান রাখতে পারবেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে মাজার-দরবারে যে সহিংসতা হলো, এ ঘটনাগুলোর তদন্ত ও অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা দরকার। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই কমিশন গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা করবে। সর্বশেষ কথা হলো, এ দেশের নাগরিক কওমি হোক, আলিয়া হোক, সুন্নি হোক—যে যেই মতাদর্শ ধারণ করুক না কেন—কেউ কারও গায়ে আঘাত করবে না। এই জায়গায় আমাদের একটি বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন।’
সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মানজুর আল মতিন, দ্য ডিসেন্টের সম্পাদক ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দীন শিশির, মাইজভান্ডার দরবার শরিফের রহমানিয়া মঈনিয়া মঞ্জিলের প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, অলিতলা দরবার শরিফের পীর মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন লতিফী প্রমুখ।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন দাবি করে তাঁকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার ঘোষণা
২০ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
৭ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এই
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই দেশের সমস্ত শক্তিগুলো, যারা গণতন্ত্রকামী, তারা নির্যাতিত হয়েছে। প্রায় ৬০ লক্ষ গণতন্ত্রের কর্মীকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীসহ ১৭ শ কর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আলেম-ওলামা, জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা নিজামী সাহেব (মতিউর রহমান নিজামী), কামারুজ্জামান সাহেব, এই পত্রিকার প্রকাশক মীর কাসেম আলী খান, সালাউদ্দিন সাহেব...তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলায়।’
অনুষ্ঠানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবার ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষর করা দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। ছোটখাটো সমস্যা দূরে রেখে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে সব রাজনৈতিক দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের দুঃসময়। তখন সাংবাদিকেরা বেকার হয়েছিলেন, অনেকে রাস্তায় হকারি করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশবাসী একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। এমন বাংলাদেশ, যা কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘নয়াদিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের আরেক নাম। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তবুও তাঁরা ধৈর্য, সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন।’
নয়াদিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীসহ অনেককে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়াদিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই দেশের সমস্ত শক্তিগুলো, যারা গণতন্ত্রকামী, তারা নির্যাতিত হয়েছে। প্রায় ৬০ লক্ষ গণতন্ত্রের কর্মীকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ২০ হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীসহ ১৭ শ কর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের আলেম-ওলামা, জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা নিজামী সাহেব (মতিউর রহমান নিজামী), কামারুজ্জামান সাহেব, এই পত্রিকার প্রকাশক মীর কাসেম আলী খান, সালাউদ্দিন সাহেব...তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মিথ্যা মামলায়।’
অনুষ্ঠানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবার ঐক্যের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষর করা দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। ছোটখাটো সমস্যা দূরে রেখে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে সব রাজনৈতিক দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭৫ সালের বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের দুঃসময়। তখন সাংবাদিকেরা বেকার হয়েছিলেন, অনেকে রাস্তায় হকারি করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশবাসী একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। এমন বাংলাদেশ, যা কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত হবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘নয়াদিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের আরেক নাম। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তবুও তাঁরা ধৈর্য, সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন।’
নয়াদিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন দাবি করে তাঁকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাও করার ঘোষণা
২০ মে ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সংশোধিত আরপিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিএনপি। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কোনো দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রার্থীদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, যে জাতি ধর্মীয় ও নৈতিকতার ওপর সমুন্নত থাকে, তার পরাজয় হয় না।
৭ ঘণ্টা আগে
সুফি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে মাজার ও দরবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের স্বার্থেই মাজার ও দরবারের প্রতি এই সহিংসতাকে রোধ করতে হবে।
৭ ঘণ্টা আগে