Ajker Patrika

ভারতীয় আধিপত্য ঠেকাতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কোলে ওঠা যাবে না: আনু মুহাম্মদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. আনু মুহাম্মদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. আনু মুহাম্মদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কোলে বসা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. আনু মুহাম্মদ।

আজ শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, কখনো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ওপরে ভরসা করা যাবে না। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে বন্ধু ভাবা যাবে না, বিশ্বাস করা যাবে না। কেননা এটা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কোলে বসলে ভারতের আধিপত্যও থাকবে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্যও থাকবে। সুতরাং আমাদের দেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে নিয়ে এসে লড়াইটা করতে হবে। এই লড়াই শক্তিশালী হতে পারবে তখনই, যখন আমরা শ্রেণি, ধর্ম, লিঙ্গ, জাতি–ধর্ম–নির্বিশেষে সব অংশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারব এই সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও তার অনুচর হিসেবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। সেই কর্মসূচি আমাদের অব্যাহত থাকবে।’

এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘প্যালেস্টাইনে আক্রমণ যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে বাংলাদেশে আমাদের সামনে আরও কর্মসূচি নিতে হবে। আমরা প্রয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে দূতাবাস, সেটার অভিমুখে যাব। কারণ, তারাই হচ্ছে প্রধান অপরাধী। এখানে ইসরায়েলের দূতাবাস নাই। কিন্তু প্যালেস্টাইনে আক্রমণের সহযোগী যারা, যেমন, সৌদি আরব দূতাবাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সেগুলোতে গিয়েও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জানাতে হবে। আরব বিশ্বকে অবশ্যই শক্তিশালী, সক্রিয় ও সরব ভূমিকা নিতে হবে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে জানাতে হবে যে ইসরায়েলকে সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে।’

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ট্রাম্প গাজাকে মানুষশূন্য করতে চায়। সেখানে তারা হোটেল বানাবে, রিসোর্ট বানাবে, পর্যটনকেন্দ্র বানাবে, তাদের বিনোদনের জন্য গাজার মানুষদের জীবন বিপন্ন হবে। শিশু–নারী একের পর এক গণহত্যার শিকার হবে। তাতে তাদের কিছু আসে–যায় না। পুঁজির ভাষা হচ্ছে, মানুষের যাই হোক, প্রাণ–প্রকৃতির যাই হোক, মুনাফা হলেই হলো। সেই লক্ষ্য নিয়েই ট্রাম্প, ইলন মাস্ক, নেতানিয়াহু। তাদের মধ্যেই ভয়ংকর রকম একটা দুষ্ট জোট তৈরি হয়েছে। সেই জোটের বিরুদ্ধে লড়াইটা যুক্তরাষ্ট্রে হবে, প্যালেস্টাইনে হবে, ইসরায়েলে হবে এবং বাংলাদেশেও হবে। সব জায়গাতে এই লড়াইকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভাটি সম্পন্ন হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম, বাসদের কেন্দ্রীয় নেত্রী (মার্ক্সবাদী) সীমা দত্ত প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত