নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করা হলে সেটাই সবার জন্য সুবিধাজনক হবে। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন না আয়োজন করার যদি কোনো পাল্টা বা বিপরীত যুক্তি সরকারের থাকে সেটাও তারা প্রকাশ করুক। তিনি বলেছেন, সরকারে থাকা অনেকেই মনে করে যে, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই সভার আয়োজন করে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কেবল বিএনপি নয়, দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই সংসদ নির্বাচন চায়। নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে নির্বাচন কমিশনের সুবিধা, সরকারেও সুবিধা, জনগণেরও সুবিধা। সেটা আমরা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছি।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকেও এক সময় বিদায় নিতে হবে। আমরা মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে পারবে। এর থেকে সম্মানের আর কিছু হতে পারে না। এ থেকে বিলম্ব হলে এমন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়বেন যে কখন নির্বাচন হয়, তা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’
নির্বাচনে বিএনপির জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিই দেশের একমাত্র জনপ্রিয় দল এবং সরকারে থাকা অনেকেই স্বীকার করেন যে, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে।’
জাপান সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার যদি অন্য কোনো যুক্তি থাকে সরকার পরিষ্কার করুক, করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সেটা না করে বিদেশে গিয়ে “শুধুমাত্র বিএনপি (ডিসেম্বরে) নির্বাচন চায়”—এটা বলা সঠিক নয়।’
আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক ডেকেছেন। আমরা যাব। গেলেও আমরা কি বলব? আমরা তো আগেই সংস্কার কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি। আমরা মনে করি, মিনিমাম সব দল যেখানে একমত হবে, সেটাকে ঐকমত্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সংকট—আলোচনা, এটা কিন্তু নির্বাচনকে নিয়ে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত সম্মানী ব্যক্তি, যিনি দেশে-বিদেশে সুনাম করেছেন। এ দেশের জনগণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমরা যারা নেতৃত্ব দিয়েছি আমরা অনেক বিশ্বাস করে উনাকে এই পদে (প্রধান উপদেষ্টা) বসিয়েছি। কিন্তু তিনি জাপানে গিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন এতে আমরা হতাশ। উনি বলেছেন, একমাত্র নাকি বাংলাদেশে বিএনপি নির্বাচন চায়? আমি বলছি, কে নির্বাচন চায় না? নির্বাচন সবাই চায়।’
জুনে নির্বাচন সম্ভব নয়—মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, পতিত স্বৈরাচারেরা তত ষড়যন্ত্র করবে। আপনরা যে বলছেন জুনে নির্বাচন দেবেন। এর আগে কি হয়? ডিসেম্বরের পর জানুয়ারি মাস, এরপরে ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা। রোজা ও ঈদ নিয়ে দুই মাস চলে যায়, ফেব্রুয়ারি-মার্চ। তারপরে আসবে এপ্রিল-মে মাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। এগুলো পেছানোর সুযোগ নেই। এসব পাবলিক পরীক্ষায় যেসব স্কুল-কলেজে সেন্টার হয় সেগুলোতে কিন্তু ভোটের সেন্টার হয়। সরকার এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন করতেই পারবেন না। আর জুন মাসে পুরোপুরি বর্ষাকাল চলে আসে। জুন মাসে নির্বাচন সম্ভব না। তাই আমরা মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব এবং আমরা দাবি করেছি যে, আপনি ডিসেম্বরের মধ্যে যেদিন সুইটেবল মনে করেন, সে দিনটি আপনারা ঘোষণা করেন।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন। সংগঠনের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতারা বক্তৃতা করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন করা হলে সেটাই সবার জন্য সুবিধাজনক হবে। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন না আয়োজন করার যদি কোনো পাল্টা বা বিপরীত যুক্তি সরকারের থাকে সেটাও তারা প্রকাশ করুক। তিনি বলেছেন, সরকারে থাকা অনেকেই মনে করে যে, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই সভার আয়োজন করে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কেবল বিএনপি নয়, দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই সংসদ নির্বাচন চায়। নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে নির্বাচন কমিশনের সুবিধা, সরকারেও সুবিধা, জনগণেরও সুবিধা। সেটা আমরা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছি।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকেও এক সময় বিদায় নিতে হবে। আমরা মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে পারবে। এর থেকে সম্মানের আর কিছু হতে পারে না। এ থেকে বিলম্ব হলে এমন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়বেন যে কখন নির্বাচন হয়, তা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’
নির্বাচনে বিএনপির জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিই দেশের একমাত্র জনপ্রিয় দল এবং সরকারে থাকা অনেকেই স্বীকার করেন যে, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হবে।’
জাপান সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠান না করার যদি অন্য কোনো যুক্তি থাকে সরকার পরিষ্কার করুক, করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সেটা না করে বিদেশে গিয়ে “শুধুমাত্র বিএনপি (ডিসেম্বরে) নির্বাচন চায়”—এটা বলা সঠিক নয়।’
আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক ডেকেছেন। আমরা যাব। গেলেও আমরা কি বলব? আমরা তো আগেই সংস্কার কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি। আমরা মনে করি, মিনিমাম সব দল যেখানে একমত হবে, সেটাকে ঐকমত্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সংকট—আলোচনা, এটা কিন্তু নির্বাচনকে নিয়ে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত সম্মানী ব্যক্তি, যিনি দেশে-বিদেশে সুনাম করেছেন। এ দেশের জনগণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-গণআন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিয়েছে এবং আমরা যারা নেতৃত্ব দিয়েছি আমরা অনেক বিশ্বাস করে উনাকে এই পদে (প্রধান উপদেষ্টা) বসিয়েছি। কিন্তু তিনি জাপানে গিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন এতে আমরা হতাশ। উনি বলেছেন, একমাত্র নাকি বাংলাদেশে বিএনপি নির্বাচন চায়? আমি বলছি, কে নির্বাচন চায় না? নির্বাচন সবাই চায়।’
জুনে নির্বাচন সম্ভব নয়—মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, পতিত স্বৈরাচারেরা তত ষড়যন্ত্র করবে। আপনরা যে বলছেন জুনে নির্বাচন দেবেন। এর আগে কি হয়? ডিসেম্বরের পর জানুয়ারি মাস, এরপরে ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা। রোজা ও ঈদ নিয়ে দুই মাস চলে যায়, ফেব্রুয়ারি-মার্চ। তারপরে আসবে এপ্রিল-মে মাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। এগুলো পেছানোর সুযোগ নেই। এসব পাবলিক পরীক্ষায় যেসব স্কুল-কলেজে সেন্টার হয় সেগুলোতে কিন্তু ভোটের সেন্টার হয়। সরকার এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন করতেই পারবেন না। আর জুন মাসে পুরোপুরি বর্ষাকাল চলে আসে। জুন মাসে নির্বাচন সম্ভব না। তাই আমরা মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব এবং আমরা দাবি করেছি যে, আপনি ডিসেম্বরের মধ্যে যেদিন সুইটেবল মনে করেন, সে দিনটি আপনারা ঘোষণা করেন।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন। সংগঠনের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতারা বক্তৃতা করেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম বাজেটে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি। পূর্বের বাজেটসমূহের ন্যায় এটি একটি গতানুগতিক বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের মোটা দাগে খুব একটা তফাত পরিলক্ষিত হয়নি। এবার বাজেটে ব্যয় না বাড়লেও তেমন কমেওনি, এতে কোনো
৯ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আগামী ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হবে। এটি আমরা উদ্যাপন করতে চাই। ৫ আগস্টের আগেই জুলাই মাসে যেন জুলাই সনদ রচিত হয়। জুলাই সনদের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা ও শাসনকাঠামো দেখতে চায়। জুলাই সনদ
১১ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংবিধান ছাড়া অন্য যেসব সংস্কার আছে, সেগুলো নির্বাহী আদেশে বা অর্ডিন্যান্সের (অধ্যাদেশ) মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব। আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্বোধনী
১১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বতী সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটে গুণগত কোনো পরিবর্তন দেখছে না বিএনপি। রাজস্ব আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বাজেটে যে পরিমাণ দেশি-বিদেশি ঋণ প্রস্তাব করা হয়েছে, তাতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে বিএনপি।
১৩ ঘণ্টা আগে