অনলাইন ডেস্ক
ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ার কথা বলেছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
মেজর হাফিজ বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে এ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ফ্যাসিস্ট দলকে (আওয়ামী লীগ) নিয়ে মাঠে নামতে চান। এখন প্রয়োজন দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চাই। বিশেষ করে যে ছাত্রসমাজ অংশগ্রহণ করেছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে তাদের এবং হাসিনাবিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য আমরা গড়ে তুলতে চাই।’
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনো চলমান, সেটি এখনো শেষ হয় নাই। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সেই তথ্যও আমাদের কাছে নেই। আজকের দিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে হবে—কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এ জন্য দায়ী। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে আমরা এ সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাব।’
হাফিজ বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য কেউ কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করব।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একাত্তর সালে যুদ্ধের পর আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকে আমাদের স্বপ্ন ভেঙে গেল। যে লক্ষ্য ধারণ করে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, ধীরে ধীরে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। গণতন্ত্রের পরিবর্তে স্থাপিত হলো একটি একদলীয় রাষ্ট্র। যেখানে সংবাদপত্র থাকবে না, রাজনৈতিক দল থাকবে না, সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না—এমন একটি রাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ দেশে ১৯৭৫ সালে কায়েম হয়েছিল। এর নাম হলো আওয়ামী লীগ। এদের কাছে কোনো দেশ নাই। এদের কাছে নিজের দল, নিজের পরিবার, নিজের স্বার্থ, নিজের সম্পদ আহরণ মূল কাজ।’
বিরাজমান সংকট নিরসনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব, এখন অতি দ্রুত এ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। কারণ, গণতন্ত্র না থাকার ফলেই নানা ধরনের ঘটনা ঘটে। এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছে।’
মেজর হাফিজ বলেন, ‘এখন নির্বাচন দিলে বিএনপি বিজয়ী হবে। সুতরাং, এই নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, এটা তো অপরাধ হতে পারে না। বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য কেন নির্বাচন দীর্ঘায়িত করা হবে, এটি আমরা বুঝতে অক্ষম।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাফিজ বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অনুরোধ রাখব আপনি দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নিন। নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের প্রধান অনুষঙ্গ। এই নির্বাচনকে ঠুনকো অজুহাতের কারণে আর দূরে ঠেলে দেবেন না।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করেন। সহসভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বাবলু সঞ্চালনা করেন। আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মুনির, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, স্বাধীনতা ফোরামের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, এ কে এম রেজাউল করীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ার কথা বলেছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
মেজর হাফিজ বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে এ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ফ্যাসিস্ট দলকে (আওয়ামী লীগ) নিয়ে মাঠে নামতে চান। এখন প্রয়োজন দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চাই। বিশেষ করে যে ছাত্রসমাজ অংশগ্রহণ করেছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে তাদের এবং হাসিনাবিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য আমরা গড়ে তুলতে চাই।’
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার প্রসঙ্গে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে সেটি এখনো চলমান, সেটি এখনো শেষ হয় নাই। এটি কারা করেছে, এই তথ্য আমাদের কাছে নেই। এতে সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সেই তথ্যও আমাদের কাছে নেই। আজকের দিনের মধ্যে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে হবে—কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কারা এ জন্য দায়ী। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেলে আমরা এ সম্পর্কে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানাব।’
হাফিজ বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য কেউ কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারেন। বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ আছে কি না, তা জানার চেষ্টা করব।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একাত্তর সালে যুদ্ধের পর আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকে আমাদের স্বপ্ন ভেঙে গেল। যে লক্ষ্য ধারণ করে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, ধীরে ধীরে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। গণতন্ত্রের পরিবর্তে স্থাপিত হলো একটি একদলীয় রাষ্ট্র। যেখানে সংবাদপত্র থাকবে না, রাজনৈতিক দল থাকবে না, সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না—এমন একটি রাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ দেশে ১৯৭৫ সালে কায়েম হয়েছিল। এর নাম হলো আওয়ামী লীগ। এদের কাছে কোনো দেশ নাই। এদের কাছে নিজের দল, নিজের পরিবার, নিজের স্বার্থ, নিজের সম্পদ আহরণ মূল কাজ।’
বিরাজমান সংকট নিরসনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানান মেজর হাফিজ। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব, এখন অতি দ্রুত এ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। কারণ, গণতন্ত্র না থাকার ফলেই নানা ধরনের ঘটনা ঘটে। এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছে।’
মেজর হাফিজ বলেন, ‘এখন নির্বাচন দিলে বিএনপি বিজয়ী হবে। সুতরাং, এই নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, এটা তো অপরাধ হতে পারে না। বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য কেন নির্বাচন দীর্ঘায়িত করা হবে, এটি আমরা বুঝতে অক্ষম।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাফিজ বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অনুরোধ রাখব আপনি দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নিন। নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের প্রধান অনুষঙ্গ। এই নির্বাচনকে ঠুনকো অজুহাতের কারণে আর দূরে ঠেলে দেবেন না।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করেন। সহসভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বাবলু সঞ্চালনা করেন। আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মুনির, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, স্বাধীনতা ফোরামের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান, এ কে এম রেজাউল করীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘এখানে ইন্ডাস্ট্রির একটা বিষয় আছে। গার্মেন্টস সেক্টর একটা বড় বিষয় আছে। অ্যাপ্লায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি বিষয় আছে। নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয় চলে আসছে। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের একটা বিষয় আছে। সেই বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে। আমরা আশা করছি, দেশের স্বার্থে আগামী দিনের অর্থনীতি
১০ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট নিয়ে এসেছিল এনসিপি। এরপরও নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি দলটি। নিবন্ধন পেতে দলটিকে নতুন করে আরও কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে; যা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগেঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন না হলে গণভোটের প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, সবাই জনগণের পক্ষে থাকবে। কিন্তু যদি কেউ সংস্কার বাধাগ্রস্ত করে, তাহলে একমাত্র পথ হচ্ছে গণভোট। জনগণই ঠিক করবে তারা কোন
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘যাঁরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় এ দেশে রাজনীতি করতে পেরেছেন, এখন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রকে আপনারা টার্গেট করেছেন। বুক-পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই।’
১২ ঘণ্টা আগে