সম্পাদকীয়
না, এটা কোনো সিনেমার নাম নয়। ‘বাবা কেন চাকর’ কিংবা ‘স্বামী কেন আসামি’ ইত্যাদি নাম দিয়ে চমক সৃষ্টি করা যেতে পারে এবং চলচ্চিত্রের শেষে সেই বাবা বা স্বামীর জয়জয়কারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, কিন্তু ‘কৃষক কেন কাঁদে’ বলা হলে সেই সুখস্বপ্ন দেখার কোনো উপায় নেই। কৃষককে চাইলেও এখন ইতিবাচক কোনো চরিত্রে পরিণত করা যাবে না। কৃষককে নিয়ে কোনো ইতিবাচক রূপকথা লেখার উপায় নেই। কৃষককে নিয়ে কোনো বিজয়ের কাহিনি লেখা যাবে না। সবাই জানে ও বোঝে, কৃষক ভালো নেই। রূপকথার জাদুকর হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন যেসব করুণ রসের রূপকথা লিখেছেন, শুধু সে রকম রূপকথাতেই জায়গা হতে পারে কৃষকের।
যে কারও মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অর্থনীতি এ রকম বেহাল কেন? পূর্ববর্তী সরকার সবকিছু ভেঙেচুরে দিয়েছে বলে এই পাঁচ মাসে তা কোনো একটা কাঠামোর মধ্যে আনা যাচ্ছে না, এ রকম কথা বলে মুখরক্ষার ব্যবস্থা হয়তো হবে, কিন্তু তাতে প্রকৃত সত্য আড়াল করা হবে। অর্থনীতি নিয়ে যাঁরা ভাবনা-চিন্তা করেন, তাঁদের দায়িত্ব দিলে নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন আসতে পারত। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা যায় কোন পথে, তা পরিষ্কার হতো।
শুধু আইএমএফ আর বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে দেশের অর্থনীতি চাঙা হয় না। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা থাকতে হয় এবং তা বাস্তবায়ন করতে হয়। পরিকল্পনা করা হলেও কখনো কখনো ঠিক নীতি নেওয়া হয় না বলে আমাদের উৎপাদনব্যবস্থাও পড়ে যায় ফাঁপরে। এখন সেই পর্যায়টাই পার করছে দেশ। শীতকালীন সবজি উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করে যাঁরা সামান্য সুখের খোঁজ করছিলেন, তাঁদের এখন মহাবিপর্যয়। ফসলের দাম পানির দামে পরিণত হয়েছে।
উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বেশ কিছু পরিকল্পনা করা যায়। কথাগুলো কেউ জানে না, এমন নয়। কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ কোথায়? এক কেজি সবজি (একেক সবজিতে উৎপাদন খরচ একেক রকম) ফলাতে উৎপাদন ব্যয় কত এবং তার সঙ্গে কৃষকের মুনাফা ধরে যদি আগে থেকেই ফসলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তাহলে কৃষকের বাঁচার একটা উপায় হয়তো বেরিয়ে আসে। কোনো ফড়িয়া বা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের কম দামে যেন সবজি কিনে নিতে না পারেন, সে ব্যাপারে নজরদারিও করতে হবে। আর এ জন্য জেলাওয়ারি কোন ফসল কী পরিমাণ চাষ করতে হবে, সেটাও নির্ধারণ করে দেওয়া দরকার। দেখা যায়, এক বছর কোনো ফসলে ভালো মুনাফা আসায় একই ফসল আশপাশের সবাই চাষ করছেন। এ কারণেও ফসলের দাম পড়ে যায়। সবজির বিকল্প ব্যবহারও বের করা দরকার, যেন মৌসুমের পরেও তার মূল্য থাকে।
জনগণই দেশের প্রাণ, এ কথা বলা হয় সবখানেই, কিন্তু ক্ষমতার স্বাদ পেলে এমন সব বিষয় নিয়ে মানুষ ব্যস্ত থাকে, যার সঙ্গে বৃহৎ জনগণের কোনো যোগ নেই। অবান্তরভাবে এমন সব প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, যেগুলো মানুষের মুক্তি ও বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। কৃষককে যদি রাজনীতির আলোচনা থেকে বাদ রাখা হয়, তাহলে সবকিছুই কুতর্কে পরিণত হতে পারে।
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে—এ কথা বোঝার জন্য বড় তাত্ত্বিক হওয়ার প্রয়োজন নেই।
না, এটা কোনো সিনেমার নাম নয়। ‘বাবা কেন চাকর’ কিংবা ‘স্বামী কেন আসামি’ ইত্যাদি নাম দিয়ে চমক সৃষ্টি করা যেতে পারে এবং চলচ্চিত্রের শেষে সেই বাবা বা স্বামীর জয়জয়কারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে, কিন্তু ‘কৃষক কেন কাঁদে’ বলা হলে সেই সুখস্বপ্ন দেখার কোনো উপায় নেই। কৃষককে চাইলেও এখন ইতিবাচক কোনো চরিত্রে পরিণত করা যাবে না। কৃষককে নিয়ে কোনো ইতিবাচক রূপকথা লেখার উপায় নেই। কৃষককে নিয়ে কোনো বিজয়ের কাহিনি লেখা যাবে না। সবাই জানে ও বোঝে, কৃষক ভালো নেই। রূপকথার জাদুকর হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন যেসব করুণ রসের রূপকথা লিখেছেন, শুধু সে রকম রূপকথাতেই জায়গা হতে পারে কৃষকের।
যে কারও মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অর্থনীতি এ রকম বেহাল কেন? পূর্ববর্তী সরকার সবকিছু ভেঙেচুরে দিয়েছে বলে এই পাঁচ মাসে তা কোনো একটা কাঠামোর মধ্যে আনা যাচ্ছে না, এ রকম কথা বলে মুখরক্ষার ব্যবস্থা হয়তো হবে, কিন্তু তাতে প্রকৃত সত্য আড়াল করা হবে। অর্থনীতি নিয়ে যাঁরা ভাবনা-চিন্তা করেন, তাঁদের দায়িত্ব দিলে নিশ্চয়ই অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন আসতে পারত। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা যায় কোন পথে, তা পরিষ্কার হতো।
শুধু আইএমএফ আর বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে দেশের অর্থনীতি চাঙা হয় না। অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা থাকতে হয় এবং তা বাস্তবায়ন করতে হয়। পরিকল্পনা করা হলেও কখনো কখনো ঠিক নীতি নেওয়া হয় না বলে আমাদের উৎপাদনব্যবস্থাও পড়ে যায় ফাঁপরে। এখন সেই পর্যায়টাই পার করছে দেশ। শীতকালীন সবজি উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করে যাঁরা সামান্য সুখের খোঁজ করছিলেন, তাঁদের এখন মহাবিপর্যয়। ফসলের দাম পানির দামে পরিণত হয়েছে।
উৎপাদিত পণ্যের ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বেশ কিছু পরিকল্পনা করা যায়। কথাগুলো কেউ জানে না, এমন নয়। কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগ কোথায়? এক কেজি সবজি (একেক সবজিতে উৎপাদন খরচ একেক রকম) ফলাতে উৎপাদন ব্যয় কত এবং তার সঙ্গে কৃষকের মুনাফা ধরে যদি আগে থেকেই ফসলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তাহলে কৃষকের বাঁচার একটা উপায় হয়তো বেরিয়ে আসে। কোনো ফড়িয়া বা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের কম দামে যেন সবজি কিনে নিতে না পারেন, সে ব্যাপারে নজরদারিও করতে হবে। আর এ জন্য জেলাওয়ারি কোন ফসল কী পরিমাণ চাষ করতে হবে, সেটাও নির্ধারণ করে দেওয়া দরকার। দেখা যায়, এক বছর কোনো ফসলে ভালো মুনাফা আসায় একই ফসল আশপাশের সবাই চাষ করছেন। এ কারণেও ফসলের দাম পড়ে যায়। সবজির বিকল্প ব্যবহারও বের করা দরকার, যেন মৌসুমের পরেও তার মূল্য থাকে।
জনগণই দেশের প্রাণ, এ কথা বলা হয় সবখানেই, কিন্তু ক্ষমতার স্বাদ পেলে এমন সব বিষয় নিয়ে মানুষ ব্যস্ত থাকে, যার সঙ্গে বৃহৎ জনগণের কোনো যোগ নেই। অবান্তরভাবে এমন সব প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়, যেগুলো মানুষের মুক্তি ও বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। কৃষককে যদি রাজনীতির আলোচনা থেকে বাদ রাখা হয়, তাহলে সবকিছুই কুতর্কে পরিণত হতে পারে।
কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে—এ কথা বোঝার জন্য বড় তাত্ত্বিক হওয়ার প্রয়োজন নেই।
২০ বছর আগে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম শব্দটির অস্তিত্ব প্রায় খুঁজে পাওয়া যেত না। অটিজম বিষয়ে মানুষের ধারণা সীমিত ছিল। ঠিক সেই সময়ে অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘কানন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি চারতলা ভাড়া বাড়িতে...
৭ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয় দেশটা বুঝি ট্রায়াল অ্যান্ড এররের ভিত্তিতে চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, এমনকি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও নানা ধরনের পরীক্ষামূলক তত্ত্ব দেখতে পাচ্ছি। প্রথমে নতুন কিছু একটা বলা হয় বা চালু করা হয়। তারপর দেখা হয়—কতটা বিতর্ক হয় সেটা নিয়ে।
১৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া ও অস্থায়ী আবাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার পরও প্রত্যাশিত দাবির বাস্তবায়ন না দেখে আবারও...
১৩ ঘণ্টা আগেআকৃষ্ট করেছিল, সে বাণী যেন কথার কথায় পরিণত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ভালো একটি ভবিষ্যতের আশা ক্রমেই ধূসরতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকার মধ্যে থাকা ৫৭টি মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এই মার্কেটগুলো থেকে প্রতি মাসে সেবা খাত...
১৩ ঘণ্টা আগে