সম্পাদকীয়
কী হবে আজ, তা নিয়ে সারা দেশেই চলছে জল্পনাকল্পনা। কিন্তু এ কথা পরিষ্কার, জাতীয় ঐক্যের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল সবার মনে, সেই ঐক্যবদ্ধ জাতির দেখা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ বেলা ৩টায় তাদের তৈরি ঘোষণাপত্র পাঠ করবে জাতীয় শহীদ মিনারে। ১৯৭২ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের যে সংবিধান রচিত হয়েছিল, তার সংস্কার বা বাতিল চাইছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যে কাজটি ৫ আগস্টে হতে পারত, তার যথার্থতা ৩১ ডিসেম্বরে এসেও বলবৎ আছে কি না, সে প্রশ্ন করছেন কেউ কেউ।
সময়ের কাজ সময়ে করা না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটা থাকে, সে প্রশ্নও উঠছে। ভাবনার জগতে আমূল পরিবর্তন আনা যায় কি না, তা নিয়েও অনেকেই ভাবছেন। আবার অনেকেই মনে করছেন, গণ-অভ্যুত্থানের ফলে যে সংস্কার আসছে, তাতে সংবিধান সংস্কার বা বাতিলের ভাবনাটি অমূলক নয়। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপিও মনে করে না, বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে এ রকম তোলপাড় করা উচিত।
জাতীয় ঐক্যের বদলে এত বেশি ফাটল দেখা যাচ্ছে যে কোন পথে শান্তির দেখা পাওয়া যাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। সরকার পরিচালনা করার পথেও অনেক ঝক্কি দেখা যাচ্ছে। উপদেষ্টাদের নিয়ে সমালোচনা আছে। দখল-বাণিজ্য শুধু হাতবদল হয়েছে, পদায়ন-বাণিজ্য নামেও একটা খেলা চলছে বলে গুঞ্জন আছে। মুক্তিযুদ্ধকে শত্রু বলে মনে করে, এমন একটি গোষ্ঠীকে সরকারি বিভিন্ন মহলে প্রতিষ্ঠিত করার অভিযোগও আছে। এ রকম এক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ খুবই সংশয়ের মধ্যে আছে। রাস্তাঘাটে কারও সঙ্গে আলোচনা করতে গেলেই বোঝা যায়, যে সংকটগুলো জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভাবায়, তা সমাধান না হওয়ায় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছেন। মুদ্রাস্ফীতি তো আছেই, নিত্যপণ্যের বাজারও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। শীতের সবজি এসেছে আশীর্বাদ হয়ে, কিন্তু অন্য পণ্যের দামে তো ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসেনি। কর্মসংস্থান কীভাবে তৈরি হবে, তা নিয়েও আশায় আছে মানুষ, কিন্তু সেই আশা টিকে থাকবে কত দিন, সেটাও তো ভাববার বিষয়। আর দখলদারির হাতবদল হয়েছে শুধু, চাঁদাবাজি চলছেই—এই অবস্থায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৃপ্ত হওয়ার কোনো পথ খোলা নেই।
এ রকম এক সংকটময় পথ পাড়ি দেওয়ার পথে ঘোষণাপত্র নিয়ে হাজির হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দেশের জনগণ মূলত রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দিদশা থেকে মুক্তি চায়। জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার হাত থেকে নিষ্কৃতি চায়। ঘৃণা ও প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান চায়। ধর্ম-ব্যবসার উৎখাত চায়। নিজের সংস্কৃতিকে উচ্চে স্থান দিয়ে অন্য সংস্কৃতির সঙ্গে পারস্পরিক আদান-প্রদান চায়। সবচেয়ে বড় কথা, নিরাপদে, শান্তিতে জীবনযাপন করতে চায়। জনগণকে নিরাপত্তা দিতে হলে দেশ পরিচালনাকারীদের জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। সেই পথে আমরা
হাঁটতে পারব কি না, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়াই এখন সবচেয়ে জরুরি।
কী হবে আজ, তা নিয়ে সারা দেশেই চলছে জল্পনাকল্পনা। কিন্তু এ কথা পরিষ্কার, জাতীয় ঐক্যের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল সবার মনে, সেই ঐক্যবদ্ধ জাতির দেখা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ বেলা ৩টায় তাদের তৈরি ঘোষণাপত্র পাঠ করবে জাতীয় শহীদ মিনারে। ১৯৭২ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের যে সংবিধান রচিত হয়েছিল, তার সংস্কার বা বাতিল চাইছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যে কাজটি ৫ আগস্টে হতে পারত, তার যথার্থতা ৩১ ডিসেম্বরে এসেও বলবৎ আছে কি না, সে প্রশ্ন করছেন কেউ কেউ।
সময়ের কাজ সময়ে করা না হলে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটা থাকে, সে প্রশ্নও উঠছে। ভাবনার জগতে আমূল পরিবর্তন আনা যায় কি না, তা নিয়েও অনেকেই ভাবছেন। আবার অনেকেই মনে করছেন, গণ-অভ্যুত্থানের ফলে যে সংস্কার আসছে, তাতে সংবিধান সংস্কার বা বাতিলের ভাবনাটি অমূলক নয়। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপিও মনে করে না, বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে এ রকম তোলপাড় করা উচিত।
জাতীয় ঐক্যের বদলে এত বেশি ফাটল দেখা যাচ্ছে যে কোন পথে শান্তির দেখা পাওয়া যাবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। সরকার পরিচালনা করার পথেও অনেক ঝক্কি দেখা যাচ্ছে। উপদেষ্টাদের নিয়ে সমালোচনা আছে। দখল-বাণিজ্য শুধু হাতবদল হয়েছে, পদায়ন-বাণিজ্য নামেও একটা খেলা চলছে বলে গুঞ্জন আছে। মুক্তিযুদ্ধকে শত্রু বলে মনে করে, এমন একটি গোষ্ঠীকে সরকারি বিভিন্ন মহলে প্রতিষ্ঠিত করার অভিযোগও আছে। এ রকম এক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ খুবই সংশয়ের মধ্যে আছে। রাস্তাঘাটে কারও সঙ্গে আলোচনা করতে গেলেই বোঝা যায়, যে সংকটগুলো জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভাবায়, তা সমাধান না হওয়ায় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছেন। মুদ্রাস্ফীতি তো আছেই, নিত্যপণ্যের বাজারও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। শীতের সবজি এসেছে আশীর্বাদ হয়ে, কিন্তু অন্য পণ্যের দামে তো ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসেনি। কর্মসংস্থান কীভাবে তৈরি হবে, তা নিয়েও আশায় আছে মানুষ, কিন্তু সেই আশা টিকে থাকবে কত দিন, সেটাও তো ভাববার বিষয়। আর দখলদারির হাতবদল হয়েছে শুধু, চাঁদাবাজি চলছেই—এই অবস্থায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৃপ্ত হওয়ার কোনো পথ খোলা নেই।
এ রকম এক সংকটময় পথ পাড়ি দেওয়ার পথে ঘোষণাপত্র নিয়ে হাজির হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দেশের জনগণ মূলত রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দিদশা থেকে মুক্তি চায়। জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার হাত থেকে নিষ্কৃতি চায়। ঘৃণা ও প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান চায়। ধর্ম-ব্যবসার উৎখাত চায়। নিজের সংস্কৃতিকে উচ্চে স্থান দিয়ে অন্য সংস্কৃতির সঙ্গে পারস্পরিক আদান-প্রদান চায়। সবচেয়ে বড় কথা, নিরাপদে, শান্তিতে জীবনযাপন করতে চায়। জনগণকে নিরাপত্তা দিতে হলে দেশ পরিচালনাকারীদের জনসম্পৃক্ততা প্রয়োজন। সেই পথে আমরা
হাঁটতে পারব কি না, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়াই এখন সবচেয়ে জরুরি।
দেশ কোন পথে যাত্রা করেছে, তা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে দেশের জনগণ। এক বছর আগে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে যে ঐক্য দেখা দিয়েছিল, এখন সেই ঐক্যের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না কোথাও। বিভিন্ন দল তাদের নিজেদের পথ বেছে নিয়েছে। একে অন্যের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন দল বিভিন্ন...
৭ ঘণ্টা আগে‘জুলাই আন্দোলনের সময় যাঁরা রাজপথে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই নারীরা আজ ঘরে বসে আছেন। তাঁরা মুখ লুকিয়ে ফেলেছেন। এটা আমাদের জন্য ভালো বার্তা নয়।’—মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের এই বক্তব্য শুধু হতাশার প্রকাশ নয়, বরং এক ব্যর্থ সময়ের স্বীকারোক্তি। নারী যখন রাষ্ট্রবিরোধী নয়, বরং রাষ্ট্র
৭ ঘণ্টা আগেমালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে কঠোর হয়েছে সে দেশের সরকার। গত সোমবার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে সন্দেহভাজন যে ১৩১ জনকে ফেরত পাঠানো হয়, তার ৯৬ জনই বাংলাদেশি। শুধু মালয়েশিয়ায়ই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণপ্রত্যাশী বাংলাদেশিরা ভিসা সমস্যায় পড়ছেন। ঘটনাটি উদ্বেগজনক।
৭ ঘণ্টা আগেজুলাইয়ের শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়। এই আন্দোলন কেবল রাজপথের ঘটনা ছিল না; এর পেছনে ছিল এক গভীর সাংস্কৃতিক জাগরণ। অথচ আজ, এই ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে আমরা এক বিষণ্ন চিত্র দেখছি। যে রাষ্ট্র এই আন্দোলনের ফসল, সেই রাষ্ট্রই যেন বই, লেখক আর পাঠকের অস্তিত্বক
২১ ঘণ্টা আগে