সম্পাদকীয়
এখন মনে হচ্ছে সবই ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য! এমন আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল যে তাঁরা তাঁদের পকেট ভারী করবেন ঠিকই, তাতে সাধারণ ভোক্তার কোনো লাভ হবে না। অনেক দেনদরবার করে তাঁরা দুই দফায় চাল, পেঁয়াজ, চিনির শুল্ক কমাতে সক্ষম হলেন, বাজার সহনীয় রাখবেন বলে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন এখনো দেখা যাচ্ছে না। উল্টো আবারও বাড়ছে চালের দাম।
আজকের পত্রিকায় খবর এসেছে শুল্ক কমিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। কয়েক দিন ধরে কুষ্টিয়ার বাজারে খুচরা এবং পাইকারি সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা বাড়তে শুরু করেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ৫০-৭০ টাকা। চালের পাশাপাশি বাজারে ধানের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক মাস ধরে চালের দাম বাড়তে থাকায় সরকার চালের শুল্ক দুই গুণেরও বেশি কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। মাঝে অল্প সময়ের জন্য দাম সহনীয় থাকলেও এখন তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরাও বরাবরের মতো নানান অজুহাত দিচ্ছেন।
একইভাবে লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকা চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এ পণ্যটির শুল্কও ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয় গত সপ্তাহে। কিন্তু শুল্ক কমানোর প্রভাব এখনো পড়েনি বাজারে। কমেনি চিনির দাম। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে গত বৃহস্পতিবার ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চিনির দাম ছিল ৩ হাজার ৮২০ টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি চিনির দাম হয় ৭৬ টাকা ৪০ পয়সা। গত শনিবারও একই দামে চিনি বেচাকেনা হয়েছে। ক্রেতারা জানান, চিনির আমদানি শুল্ক কমালেও ভোক্তার কোনো লাভ হবে না।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৮০-৮৯ টাকা। গত শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ৮০-৮২ টাকায়। রাজধানীর নয়াবাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় এবং মৌলভীবাজারে খুচরায় ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সমাজে প্রচলিত একটি কথা সবাই জানেন তা হলো, ‘যেই লাউ সেই কদু’।
চাল আর চিনির ক্ষেত্রেও এখন এ কথাটি প্রযোজ্য।
বাস্তবতা হলো দাম কমানোর উপায় হিসেবে যতই শুল্ক, ব্যাংকঋণের সুদ কমানো হোক বা আরও যেকোনো সুবিধা দেওয়া হোক না কেন, তাতে ব্যবসায়ীরা নিজেরটি ষোলো আনাই বুঝে নেন। বাজার সহনীয় রাখতে এই পুরোনো কৌশল পর্যালোচনা করা উচিত।
বাজারে শক্ত নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববাজারের সঙ্গে দামের সার্বক্ষণিক হিসাব-নিকাশ করে তা ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সময়ে-সময়ে অবহিত করা, তাঁদের কড়া হুঁশিয়ারির মধ্যে রাখতে হবে। কোনো অসাধু কর্মকাণ্ড বা অতিমুনাফা ধরা পড়লে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। আর বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো, বাজারব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজটিও সরকারকে সমানভাবে করতে হবে।
এখন মনে হচ্ছে সবই ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য! এমন আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল যে তাঁরা তাঁদের পকেট ভারী করবেন ঠিকই, তাতে সাধারণ ভোক্তার কোনো লাভ হবে না। অনেক দেনদরবার করে তাঁরা দুই দফায় চাল, পেঁয়াজ, চিনির শুল্ক কমাতে সক্ষম হলেন, বাজার সহনীয় রাখবেন বলে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন এখনো দেখা যাচ্ছে না। উল্টো আবারও বাড়ছে চালের দাম।
আজকের পত্রিকায় খবর এসেছে শুল্ক কমিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। কয়েক দিন ধরে কুষ্টিয়ার বাজারে খুচরা এবং পাইকারি সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা বাড়তে শুরু করেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ৫০-৭০ টাকা। চালের পাশাপাশি বাজারে ধানের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক মাস ধরে চালের দাম বাড়তে থাকায় সরকার চালের শুল্ক দুই গুণেরও বেশি কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। মাঝে অল্প সময়ের জন্য দাম সহনীয় থাকলেও এখন তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরাও বরাবরের মতো নানান অজুহাত দিচ্ছেন।
একইভাবে লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকা চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এ পণ্যটির শুল্কও ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয় গত সপ্তাহে। কিন্তু শুল্ক কমানোর প্রভাব এখনো পড়েনি বাজারে। কমেনি চিনির দাম। পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে গত বৃহস্পতিবার ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চিনির দাম ছিল ৩ হাজার ৮২০ টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি চিনির দাম হয় ৭৬ টাকা ৪০ পয়সা। গত শনিবারও একই দামে চিনি বেচাকেনা হয়েছে। ক্রেতারা জানান, চিনির আমদানি শুল্ক কমালেও ভোক্তার কোনো লাভ হবে না।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৮০-৮৯ টাকা। গত শনিবার তা বিক্রি হয়েছে ৮০-৮২ টাকায়। রাজধানীর নয়াবাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় এবং মৌলভীবাজারে খুচরায় ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সমাজে প্রচলিত একটি কথা সবাই জানেন তা হলো, ‘যেই লাউ সেই কদু’।
চাল আর চিনির ক্ষেত্রেও এখন এ কথাটি প্রযোজ্য।
বাস্তবতা হলো দাম কমানোর উপায় হিসেবে যতই শুল্ক, ব্যাংকঋণের সুদ কমানো হোক বা আরও যেকোনো সুবিধা দেওয়া হোক না কেন, তাতে ব্যবসায়ীরা নিজেরটি ষোলো আনাই বুঝে নেন। বাজার সহনীয় রাখতে এই পুরোনো কৌশল পর্যালোচনা করা উচিত।
বাজারে শক্ত নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববাজারের সঙ্গে দামের সার্বক্ষণিক হিসাব-নিকাশ করে তা ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সময়ে-সময়ে অবহিত করা, তাঁদের কড়া হুঁশিয়ারির মধ্যে রাখতে হবে। কোনো অসাধু কর্মকাণ্ড বা অতিমুনাফা ধরা পড়লে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। আর বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো, বাজারব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজটিও সরকারকে সমানভাবে করতে হবে।
দেশে কী ঘটছে, রাজনীতির গতিমুখ কোন দিকে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল ও আগ্রহের শেষ নেই। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন, জবাব নেই প্রায় কোনো প্রশ্নেরই। রাজনীতি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো জ্যোতিষীরও দেখা পাওয়া ভার। তবে গুজব, রটনা, কানকথার কোনো অভাব নেই। আমরা যাঁরা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের সঙ্গে পরিচিতজনদের
৯ ঘণ্টা আগেগত এপ্রিল মাসে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। উভয় দেশই পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। যদিও এই হামলার শুরুটা ভারতের দিক থেকে হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, বাণিজ্য ও যাতায়াত বন্ধ করে দেয়
৯ ঘণ্টা আগেতথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নটি তুলেছিলেন। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে, তার বিচারের ব্যাপারে কথাবলার আগে তিনি লিখেছেন, ‘একাত্তরের প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে।
৯ ঘণ্টা আগেগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে দেশে আঙুর চাষের চেষ্টা চলেছে। দেশের মাটিতে আঙুরের ফলন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বাদ ছিল বেজায় টক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ তখনো জানত না আঙুরগাছ দেখতে কেমন।
১ দিন আগে