সম্পাদকীয়
শিক্ষার্থীকেই। বাক্যটির সরল অর্থ হলো, কোনো কিছুকেই অবহেলা করতে নেই। যা অবহেলা করা হচ্ছে, তার মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে অপার সম্ভাবনা। আমরা যা শিখি বাস্তব জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই তার সবকিছু প্রয়োগ করি না। ফল প্রত্যাশা করে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে প্রাপ্তির জন্য চেষ্টা করা ভালো। ১৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম হলো: ‘খুঁজলে আরও গ্যাস মিলবে’। খবরটি আশাজাগানিয়া। সংবাদপত্রে প্রতিদিন শুধু হতাশার খবর নয়, কিছু আশার খবরও থাকে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্যাস একটি অতিপ্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক উপকরণ।
একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের জ্বালানি খাতের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সার কথা হচ্ছে: আমাদের দেশের আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোয় উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ যেকোনো সময় কমে আসতে পারে। আমদানি করা গ্যাস দিয়ে দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানো কঠিন হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার কারখানা, শিল্প ও গৃহস্থালি কাজে জ্বালানির প্রধান উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস।
আমাদের দেশে ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সম্প্রতি সিলেটের জকিগঞ্জে ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। ২৭টি গ্যাসক্ষেত্রের কূপ থেকে যে পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন করা হয়, প্রতিদিনই তার পরিমাণ কমছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে দিনে ৩০ থেকে ৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমে যেতে পারে। এমনিতেই মনে করা হয়, আমাদের দেশে যে গ্যাসের মজুত আছে তা আগামী ২৫-৩০ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান করা জরুরি। দেশের পার্বত্য এলাকায় গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার সম্ভাবনার কথা যেমন বলা হচ্ছে, তেমনি সামুদ্রিক এলাকা, বিশেষ করে সমুদ্রের তলদেশে গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার বিপুল সম্ভাবনার কথা আলোচনায় থাকলেও বাস্তবে এর জন্য সেভাবে উদ্যোগ-আয়োজন দেখা যায় না। বাপেক্সকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। সরকারি নির্দেশনা যাতে গতি পায় তার জন্যও বাপেক্সের অধিক সক্রিয়তা দেখাতে হবে। যার মাথা তারই বেশি ব্যথা হওয়ার কথা।
দেশের বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্রের গভীরে খনন করেও অতিরিক্ত গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তিতাসের মতো বড় গ্যাসক্ষেত্রের যে স্তর থেকে এখন গ্যাস তোলা হচ্ছে, তার আরও নিচের স্তরগুলোয় গ্যাস থাকার সম্ভাবনা প্রবল। তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের নিচে ৭ হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে গ্যাসের জন্য সাড়ে ৯ হাজার মিটার পর্যন্ত খনন করা হচ্ছে। আমাদের দেশে উচ্চচাপ অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধান কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অসম্ভব নয়। প্রয়োজনে বাপেক্সকে দেশের বাইরে থেকে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান এবং উপযুক্ত প্রযুক্তি সহায়তা নিতে হবে। গ্যাস পাওয়ার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোয় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা দরকার কালক্ষেপণ না করেই। চোখ বন্ধ করে বসে বসে স্বপ্ন না দেখে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার পথে দ্রুত হাঁটাটাই জরুরি।
শিক্ষার্থীকেই। বাক্যটির সরল অর্থ হলো, কোনো কিছুকেই অবহেলা করতে নেই। যা অবহেলা করা হচ্ছে, তার মধ্যেও লুকিয়ে থাকতে পারে অপার সম্ভাবনা। আমরা যা শিখি বাস্তব জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই তার সবকিছু প্রয়োগ করি না। ফল প্রত্যাশা করে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে প্রাপ্তির জন্য চেষ্টা করা ভালো। ১৫ আগস্ট আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম হলো: ‘খুঁজলে আরও গ্যাস মিলবে’। খবরটি আশাজাগানিয়া। সংবাদপত্রে প্রতিদিন শুধু হতাশার খবর নয়, কিছু আশার খবরও থাকে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে গ্যাস একটি অতিপ্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক উপকরণ।
একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দেশের জ্বালানি খাতের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সার কথা হচ্ছে: আমাদের দেশের আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রগুলোয় উত্তোলিত গ্যাসের পরিমাণ যেকোনো সময় কমে আসতে পারে। আমদানি করা গ্যাস দিয়ে দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানো কঠিন হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার কারখানা, শিল্প ও গৃহস্থালি কাজে জ্বালানির প্রধান উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস।
আমাদের দেশে ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। সম্প্রতি সিলেটের জকিগঞ্জে ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। ২৭টি গ্যাসক্ষেত্রের কূপ থেকে যে পরিমাণ গ্যাস উত্তোলন করা হয়, প্রতিদিনই তার পরিমাণ কমছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে দিনে ৩০ থেকে ৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমে যেতে পারে। এমনিতেই মনে করা হয়, আমাদের দেশে যে গ্যাসের মজুত আছে তা আগামী ২৫-৩০ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান করা জরুরি। দেশের পার্বত্য এলাকায় গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার সম্ভাবনার কথা যেমন বলা হচ্ছে, তেমনি সামুদ্রিক এলাকা, বিশেষ করে সমুদ্রের তলদেশে গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার বিপুল সম্ভাবনার কথা আলোচনায় থাকলেও বাস্তবে এর জন্য সেভাবে উদ্যোগ-আয়োজন দেখা যায় না। বাপেক্সকে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে। সরকারি নির্দেশনা যাতে গতি পায় তার জন্যও বাপেক্সের অধিক সক্রিয়তা দেখাতে হবে। যার মাথা তারই বেশি ব্যথা হওয়ার কথা।
দেশের বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্রের গভীরে খনন করেও অতিরিক্ত গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। তিতাসের মতো বড় গ্যাসক্ষেত্রের যে স্তর থেকে এখন গ্যাস তোলা হচ্ছে, তার আরও নিচের স্তরগুলোয় গ্যাস থাকার সম্ভাবনা প্রবল। তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের নিচে ৭ হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে গ্যাসের জন্য সাড়ে ৯ হাজার মিটার পর্যন্ত খনন করা হচ্ছে। আমাদের দেশে উচ্চচাপ অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধান কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অসম্ভব নয়। প্রয়োজনে বাপেক্সকে দেশের বাইরে থেকে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান এবং উপযুক্ত প্রযুক্তি সহায়তা নিতে হবে। গ্যাস পাওয়ার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোয় অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা দরকার কালক্ষেপণ না করেই। চোখ বন্ধ করে বসে বসে স্বপ্ন না দেখে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার পথে দ্রুত হাঁটাটাই জরুরি।
মনজিল মোরসেদ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী। তিনি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট। জনস্বার্থে এ পর্যন্ত তিনি ২২৫টির বেশি মামলা করে মানবাধিকার ও পরিবেশ সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।
২০ ঘণ্টা আগেসরকার ১৫ মে ২০২৫ তারিখে এক প্রজ্ঞাপন দ্বারা ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিগাছকে আগ্রাসী গাছ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেই প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তিপর্যায়ে বৃক্
২১ ঘণ্টা আগেখারাপ খবরের ভিড়ে হাঁপিয়ে ওঠা সমাজে যখন ইতিবাচক বা ভালো কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তখন রংপুরের কাউনিয়ার একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠানের খবর পড়ে মন ভালো না হয়ে পারে না।
২১ ঘণ্টা আগে১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তা কি খুব অপ্রত্যাশিত ছিল? স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। কিন্তু ঘটনা এত বড় হবে, সে তথ্য ছিল না।’ অর্থাৎ ছোটখাটো ঘটনা ঘটবে, সেটা সরকারের জানা ছিল।
২ দিন আগে