সম্পাদকীয়
বাংলাদেশ যে গ্যাসের ওপর ভাসছে না, এটা তো সত্য কথা। তবে গ্যাসের সংকট কতটা তীব্র, তা হয়তো অনেকের জানা নেই। ১৪ জুন আজকের পত্রিকায় ‘সম্ভব হলে আমি ঢাকায়ও বাসাবাড়ির গ্যাস বন্ধ করতাম: ফাওজুল’ শিরোনামে প্রকাশিত ছোট খবর থেকে গ্যাস-সংকটের মাত্রা বোঝা যায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের মুখে আবাসিকে গ্যাসের সংযোগ ‘কিয়ামত পর্যন্ত’ না দেওয়ার এই ঘোষণা আমরা হঠাৎ শুনলেও আদতে তা দীর্ঘদিনের সমস্যার পরিণতি। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার দিনে দিনে ক্ষীণ হয়ে আসছে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের হার খুবই কম। অথচ এ দেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী যুগের পর যুগ ধরে বাসাবাড়িতে রান্নার জন্য গ্যাস পাইপলাইনের সুবিধা ভোগ করে আসছে। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। গ্যাসের ব্যবহার যুক্তিযুক্ত ও দক্ষ হাতে পুনর্বিন্যাস না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের জ্বালানি বিপর্যয় এড়ানো যাবে না।
গ্যাসের সীমিত মজুত যেখানে শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে দরকার, সেখানে বাসাবাড়ির চুলা জ্বালাতে গ্যাস খরচ করা নিঃসন্দেহে বিলাসিতা। উপদেষ্টার ভাষায় বললে, এটি একরকম ‘অপচয়’। দেশে প্রতিদিনের গ্যাসের ঘাটতি পূরণে এখন সরকারকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করতে হচ্ছে, যার ব্যয় অনেক গুণ বেশি। অথচ বাসাবাড়িতে ভর্তুকির মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবহার চলছেই। এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি সত্যিই আবাসিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহারে উৎসাহিত করে এবং এর দাম নাগালের মধ্যে রাখে, তবে তা দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী হবে। ফাওজুল কবির খানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যেখানে বেসরকারি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৬ টাকা, সেখানে সরকার ৮০০ টাকায় তা সরবরাহ করার উদ্যোগ নিচ্ছে—এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। এই পদক্ষেপ সফল হলে দেশের একটি বড় অংশ এলপিজিতে রূপান্তরিত হবে এবং পাইপলাইনের ওপর নির্ভরতা কমবে। তবে প্রশ্ন হলো, এই রূপান্তর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হবে?
সরকার অতীতে আবাসিক খাতে গ্যাসের সংযোগ দিয়ে যে রাজনৈতিক ও জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আজ তার মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে। এখন আর সময় নেই আবেগ দিয়ে দেখার। এলপিজি একটি ব্যয়বহুল বিকল্প হলেও যদি সেটিকে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি ও কার্যকর নীতির মাধ্যমে সুলভ করা যায়, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ পথ। তবে শুধু ঢাকায় নয়, দেশের সর্বত্র এই রূপান্তরের বাস্তব রূপরেখা থাকা চাই।
অবশ্য শুধু গ্যাস সংকোচন বা এলপিজি সরবরাহ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারকে এই সুযোগে জনগণকে সচেতন করতে হবে—গ্যাস একটি মূল্যবান সম্পদ, এটি অপচয়যোগ্য কোনো সাধারণ সেবা নয়। আবাসিক খাতে গ্যাসের অপব্যবহার, অবৈধ সংযোগ, লাইনের ফুটো, অতিরিক্ত ব্যবহার—এই সবকিছু এখনই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের বক্তব্য হয়তো কিছুটা তেতো, কিন্তু তা অবহেলার নয়। অতএব এখনই সময় কৌশলী, দূরদর্শী ও টেকসই সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
বাংলাদেশ যে গ্যাসের ওপর ভাসছে না, এটা তো সত্য কথা। তবে গ্যাসের সংকট কতটা তীব্র, তা হয়তো অনেকের জানা নেই। ১৪ জুন আজকের পত্রিকায় ‘সম্ভব হলে আমি ঢাকায়ও বাসাবাড়ির গ্যাস বন্ধ করতাম: ফাওজুল’ শিরোনামে প্রকাশিত ছোট খবর থেকে গ্যাস-সংকটের মাত্রা বোঝা যায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের মুখে আবাসিকে গ্যাসের সংযোগ ‘কিয়ামত পর্যন্ত’ না দেওয়ার এই ঘোষণা আমরা হঠাৎ শুনলেও আদতে তা দীর্ঘদিনের সমস্যার পরিণতি। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার দিনে দিনে ক্ষীণ হয়ে আসছে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের হার খুবই কম। অথচ এ দেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী যুগের পর যুগ ধরে বাসাবাড়িতে রান্নার জন্য গ্যাস পাইপলাইনের সুবিধা ভোগ করে আসছে। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। গ্যাসের ব্যবহার যুক্তিযুক্ত ও দক্ষ হাতে পুনর্বিন্যাস না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের জ্বালানি বিপর্যয় এড়ানো যাবে না।
গ্যাসের সীমিত মজুত যেখানে শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে দরকার, সেখানে বাসাবাড়ির চুলা জ্বালাতে গ্যাস খরচ করা নিঃসন্দেহে বিলাসিতা। উপদেষ্টার ভাষায় বললে, এটি একরকম ‘অপচয়’। দেশে প্রতিদিনের গ্যাসের ঘাটতি পূরণে এখন সরকারকে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি করতে হচ্ছে, যার ব্যয় অনেক গুণ বেশি। অথচ বাসাবাড়িতে ভর্তুকির মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবহার চলছেই। এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি সত্যিই আবাসিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহারে উৎসাহিত করে এবং এর দাম নাগালের মধ্যে রাখে, তবে তা দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী হবে। ফাওজুল কবির খানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যেখানে বেসরকারি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৬ টাকা, সেখানে সরকার ৮০০ টাকায় তা সরবরাহ করার উদ্যোগ নিচ্ছে—এটি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। এই পদক্ষেপ সফল হলে দেশের একটি বড় অংশ এলপিজিতে রূপান্তরিত হবে এবং পাইপলাইনের ওপর নির্ভরতা কমবে। তবে প্রশ্ন হলো, এই রূপান্তর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কতটা কার্যকর হবে?
সরকার অতীতে আবাসিক খাতে গ্যাসের সংযোগ দিয়ে যে রাজনৈতিক ও জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আজ তার মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে। এখন আর সময় নেই আবেগ দিয়ে দেখার। এলপিজি একটি ব্যয়বহুল বিকল্প হলেও যদি সেটিকে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি ও কার্যকর নীতির মাধ্যমে সুলভ করা যায়, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ পথ। তবে শুধু ঢাকায় নয়, দেশের সর্বত্র এই রূপান্তরের বাস্তব রূপরেখা থাকা চাই।
অবশ্য শুধু গ্যাস সংকোচন বা এলপিজি সরবরাহ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারকে এই সুযোগে জনগণকে সচেতন করতে হবে—গ্যাস একটি মূল্যবান সম্পদ, এটি অপচয়যোগ্য কোনো সাধারণ সেবা নয়। আবাসিক খাতে গ্যাসের অপব্যবহার, অবৈধ সংযোগ, লাইনের ফুটো, অতিরিক্ত ব্যবহার—এই সবকিছু এখনই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের বক্তব্য হয়তো কিছুটা তেতো, কিন্তু তা অবহেলার নয়। অতএব এখনই সময় কৌশলী, দূরদর্শী ও টেকসই সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
জাতি হিসেবে আমরা এতই নির্বোধ যে, কিসে আমাদের প্রাপ্তি, আর কিসে আমাদের গৌরব, তা বোঝার ন্যূনতম জ্ঞানটুকুও হারিয়ে ফেলেছি। জাতিগত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিচারে তামাম দুনিয়ার অনেকের চেয়ে আমরা যে অনেক এগিয়ে, সেটা গর্ব করে বলার সুযোগও যেন হারাতে বসেছি।
১৫ ঘণ্টা আগেযখনই আকাশে কোনো বিমানের ডানা কেঁপে ওঠে, নিচে থাকা মানুষের হৃদয়ও কেঁপে ওঠে আতঙ্কে। বিশেষত ভারতে, যেখানে একদিকে বিমান চলাচল বেড়েছে অভাবনীয় হারে, অন্যদিকে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নও বেড়েছে ততটাই জোরে।
১৫ ঘণ্টা আগেকোথাও শান্তি নেই। ঢাকায় নেই, লন্ডনে নেই, ইরানে নেই। বাসে নেই, রেলগাড়িতে নেই, উড়োজাহাজে নেই। শুধু মৃত্যু, অপমান আর অশান্তি আছে। আমাদের জীবনে সবচেয়ে মিসিং বিষয়টা হচ্ছে শান্তি।
১৫ ঘণ্টা আগেডা. মারুফুর রহমান ২০১২ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেন্টার ফর মেডিকেল বায়োটেকনোলজিতে ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ দিন আগে