সম্পাদকীয়
২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জাতীয় পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। শিরোনামগুলো ভিন্ন, কিন্তু বিষয়বস্তু এক। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে একেবারেই নাজুক, সে কথাই রয়েছে প্রতিবেদনগুলোতে।
চোখের সামনে যে কটি পত্রিকা রয়েছে, সেগুলোর শিরোনামগুলো বলছি। আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিল ‘পথে নামতে মনে ভয়’। প্রথম আলোর ‘অপরাধীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ’, কালবেলার ‘অপরাধের “হটস্পট” ঘিরে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার’, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ‘আইনশৃঙ্খলার কঠিন চ্যালেঞ্জ’, আমাদের সময়ের ‘টালমাটাল আইনশৃঙ্খলা, ঘরে–বাইরে আতঙ্ক’, যুগান্তরের ‘চারদিকে আতঙ্ক: বাড়ছে ছিনতাই ডাকাতি ধর্ষণ, জনগণের নিরাপত্তা কোথায়’, কালের কণ্ঠের ‘সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ’, সমকালের ‘ছিনতাই খুন লুটে ভয়ার্ত মানুষ’, খবরের কাগজের ‘আইনশৃঙ্খলা: অস্বস্তিতে সরকার’, প্রতিদিনের বাংলাদেশের শিরোনাম ‘পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় অপরাধীরা ভয়ংকর’। এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। দেশের নিরাপত্তার স্বাস্থ্য যে কাহিল অবস্থায় আছে, সে কথা অনায়াসে বোঝা যায়। অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই এই সংকট মোকাবিলা করতে পারছে না।
আমরা গতকালও এ বিষয়ে সম্পাদকীয় লিখেছি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভোররাতে যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, তা ভোররাতেই কেন করতে হলো, সে বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য বক্তব্য দেননি উপদেষ্টা। তিনি যে শুধু দিনে নয়, রাত জেগেও কাজ করেন, এ কথা জেনে দেশের জনগণের কোনো উপকার হয়নি। সময়ের কাজ সময়েই করতে হয়। দিনের বেলায় ঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এ জন্য রাত জাগার প্রয়োজন নেই। বিশেষ পরিস্থিতিতেই কেবল রাত জাগতে হয়। মূল বিষয়টি হলো, সত্যিই দেশের মানুষ কতটা নিরাপদ আছেন, সেটা অনুভব করা। পঙ্গপালের মতো উগ্র মব ছড়িয়ে যাচ্ছে সবখানে, তারা ভাঙচুর চালাচ্ছে, চাপাতি বা দেশীয় অস্ত্র হাতে হামলে পড়ছে পথচারীদের ওপর, বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করছে, চলন্ত বাসে ডাকাতি করছে, নারীদের শ্লীলতাহানি করছে অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সময়মতো প্রতিক্রিয়া দেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করার পরই কি এই তড়িঘড়ি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল? আরও দুঃখের ব্যাপার হলো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব হাঙ্গামায় এখনো আওয়ামী জুজুই কেবল আবিষ্কার করে চলেছেন। যাদের গ্রেপ্তার করা উচিত, তাদের কোথায় খুঁজতে হবে সেটাই যদি তিনি না জেনে থাকেন, তাহলে তো বিপদ! এই যদি হয় রাষ্ট্রযন্ত্র সংস্কারের একটি উদাহরণ, তাহলে বলতেই হবে, দেশটা ঠিক পথে হাঁটছে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা, তাতে এই সমস্যা নিয়ে সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, এ কথা বলাই বাহুল্য। আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পরপরই শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গিদের কার ইশারায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, সে প্রশ্নও এখন উঠছে। দুঃখজনক সত্য হলো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য সরকারের আন্তরিকতার পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নৈরাজ্য বা অরাজকতার কাছে হার স্বীকার করে নিলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে, সেটা কি সরকার বুঝতে পারছে?
২৫ ফেব্রুয়ারি দেশের সব জাতীয় পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। শিরোনামগুলো ভিন্ন, কিন্তু বিষয়বস্তু এক। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে একেবারেই নাজুক, সে কথাই রয়েছে প্রতিবেদনগুলোতে।
চোখের সামনে যে কটি পত্রিকা রয়েছে, সেগুলোর শিরোনামগুলো বলছি। আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ছিল ‘পথে নামতে মনে ভয়’। প্রথম আলোর ‘অপরাধীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ’, কালবেলার ‘অপরাধের “হটস্পট” ঘিরে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার’, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ‘আইনশৃঙ্খলার কঠিন চ্যালেঞ্জ’, আমাদের সময়ের ‘টালমাটাল আইনশৃঙ্খলা, ঘরে–বাইরে আতঙ্ক’, যুগান্তরের ‘চারদিকে আতঙ্ক: বাড়ছে ছিনতাই ডাকাতি ধর্ষণ, জনগণের নিরাপত্তা কোথায়’, কালের কণ্ঠের ‘সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, আতঙ্কে মানুষ’, সমকালের ‘ছিনতাই খুন লুটে ভয়ার্ত মানুষ’, খবরের কাগজের ‘আইনশৃঙ্খলা: অস্বস্তিতে সরকার’, প্রতিদিনের বাংলাদেশের শিরোনাম ‘পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় অপরাধীরা ভয়ংকর’। এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। দেশের নিরাপত্তার স্বাস্থ্য যে কাহিল অবস্থায় আছে, সে কথা অনায়াসে বোঝা যায়। অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই এই সংকট মোকাবিলা করতে পারছে না।
আমরা গতকালও এ বিষয়ে সম্পাদকীয় লিখেছি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভোররাতে যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, তা ভোররাতেই কেন করতে হলো, সে বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য বক্তব্য দেননি উপদেষ্টা। তিনি যে শুধু দিনে নয়, রাত জেগেও কাজ করেন, এ কথা জেনে দেশের জনগণের কোনো উপকার হয়নি। সময়ের কাজ সময়েই করতে হয়। দিনের বেলায় ঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এ জন্য রাত জাগার প্রয়োজন নেই। বিশেষ পরিস্থিতিতেই কেবল রাত জাগতে হয়। মূল বিষয়টি হলো, সত্যিই দেশের মানুষ কতটা নিরাপদ আছেন, সেটা অনুভব করা। পঙ্গপালের মতো উগ্র মব ছড়িয়ে যাচ্ছে সবখানে, তারা ভাঙচুর চালাচ্ছে, চাপাতি বা দেশীয় অস্ত্র হাতে হামলে পড়ছে পথচারীদের ওপর, বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করছে, চলন্ত বাসে ডাকাতি করছে, নারীদের শ্লীলতাহানি করছে অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সময়মতো প্রতিক্রিয়া দেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করার পরই কি এই তড়িঘড়ি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল? আরও দুঃখের ব্যাপার হলো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব হাঙ্গামায় এখনো আওয়ামী জুজুই কেবল আবিষ্কার করে চলেছেন। যাদের গ্রেপ্তার করা উচিত, তাদের কোথায় খুঁজতে হবে সেটাই যদি তিনি না জেনে থাকেন, তাহলে তো বিপদ! এই যদি হয় রাষ্ট্রযন্ত্র সংস্কারের একটি উদাহরণ, তাহলে বলতেই হবে, দেশটা ঠিক পথে হাঁটছে না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা, তাতে এই সমস্যা নিয়ে সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে, এ কথা বলাই বাহুল্য। আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পরপরই শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গিদের কার ইশারায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, সে প্রশ্নও এখন উঠছে। দুঃখজনক সত্য হলো, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য সরকারের আন্তরিকতার পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নৈরাজ্য বা অরাজকতার কাছে হার স্বীকার করে নিলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে, সেটা কি সরকার বুঝতে পারছে?
জোসেফ গোয়েবলস ছিলেন হিটলারের নাৎসি জার্মানির তথ্য ও প্রচারবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি ছিলেন মিথ্যাকে ‘সত্য’ বানানোর এক ভয়ংকর কৌশলের রূপকার। গোয়েবলস বিশ্বাস করতেন, ‘একটি বড় মিথ্যাকে বারবার বললে মানুষ একসময় সেটিকে সত্য বলে মেনে নেয়।’ তাঁর এই নীতি দিয়েই নাৎসি জার্মানি কোটি মানুষের চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করেছিল...
১৫ ঘণ্টা আগেগত বছর জুলাইয়ের আন্দোলনে একটি স্লোগান শুনে আমি পুলকিত বোধ করেছিলাম। স্লোগানটা ছিল—‘কোটা না মেধা মেধা, মেধা মেধা’। এই স্লোগানের আরেকটি সমার্থক প্রবাদ বাক্য আছে আমাদের সমাজে—‘জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো’। আপনি কার ছেলে বা মেয়ে, কার নাতি বা নাতনি অর্থাৎ পিতা-মাতা বা দাদা-দাদির পরিচয় সূত্রে আপনি...
১৫ ঘণ্টা আগেসেই উনিশ শ সাতাশি সালের এক শীতের সকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের ক্রাসনাদার শহরে ক্যাম্পাসের সামনে জড়ো হয়েছিল একদল বিদেশি শিক্ষার্থী। কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল এরা। ছুটির দিনে ভ্রমণে যাচ্ছিল। দুটো বাস প্রস্তুত। কয়েকজন শিক্ষক আর অনেকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে বাস ছুটল তাগানরোগের দিকে...
১৫ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকায় সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধপ্রবণতার উদ্বেগজনক বৃদ্ধি জনমনে গভীর দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করেছে। ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে খুন, অপহরণ, ছিনতাই ও ডাকাতি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৮২.৫ শতাংশ বেশি। এ নিয়ে ১৩ জুলাই আজকের পত্রিকায় একটা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে